বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৭ ভাদ্র ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এম‌পি হাসানা‌তের পুড়িয়ে দেওয়া বাড়ি থেকে ৩‌ মর‌দেহ উদ্ধার

আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

ব‌রিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপ‌তি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এম‌পির কা‌লিবা‌ড়ি রোডের পুড়িয়ে দেয়া বা‌ড়ি‌ থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৫ আগস্ট) বি‌কেলে আগুন দেওয়ার পর সেখা‌নে ফায়ার সা‌র্ভিস‌কে যে‌তে বাধা দেওয়া হয়েছিল। প্রায় এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যার দি‌কে দমকল বা‌হিনী গি‌য়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকল বা‌হিনীর কর্মীরা জানি‌য়ে‌ছেন, ওই বা‌ড়ি থে‌কে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে।

ব‌রিশাল ফায়ার সা‌ভিস ও সি‌ভিল ডিফেন্সের সহকা‌রী প‌রিচালক বেল্লাল হো‌সেন তিনটি মর‌দেহ পাওয়ার সত্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন। কা‌লিবাড় রো‌ডের সের‌নিয়াবাত ভব‌নে থাক‌তেন হাসানাতের বড় ছে‌লে মহানগর আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সি‌টি মেয়র সের‌নিয়াবাত সা‌দিক আব্দুল্লাহ।

স্থানীয় একা‌ধিক সূত্র নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছে, বিক্ষুব্ধরা ওই বা‌ড়ি‌তে আগুন দেওয়ার কিছুক্ষণ আগেও বা‌ড়ির দোতলার বারান্দায় তাঁকে দাঁড়ি‌য়ে থাক‌তে দেখা গেছে। সা‌দিক নিরাপ‌দে বা‌ড়ি ছে‌ড়ে‌ছেন কিনা তা এখন পর্যন্ত নিশ্চত হওয়া যায়‌নি।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাদেক আব্দুল্লাহ বাসভবনে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। পরে সেখান থেকে আমরা তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করি। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা‌লে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়াও আগুন দেওয়া হ‌য়ে‌ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচ‌নের আগে বিএন‌পি ছে‌ড়ে আওয়ামী লী‌গে যোগ দেওয়া ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর এম‌পির ব্রাউন্ড কম্পাউন্ড সড়‌কের বীর উত্তম ভব‌নে। সি‌টি কর‌পো‌রেশ‌নের এনএক্স ভবন কার্যালয় ও আওয়ামী লীগ অ‌ফিসেও আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর ক‌রা হয়েছে শাহান আরা বেগম পার্ক, ব‌রিশাল ক্লাব, সা‌র্কিট হাউসসহ আওয়ামী লী‌গে নেতাকর্মী‌দের রাজ‌নৈ‌তিক অ‌ফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব‌রিশাল প্রেসক্লাব।

Header Ad

‘আ. লীগের পতনে এক মাস লাগলেও আপনাদেরকে আরও আগেই দমন করা হবে’

ছবি: সংগৃহীত

তরুণরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কোনো স্বৈরাচারী সরকার আসতে পারবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, অনেকে ফ্যাসিবাদের সুযোগ নিয়ে চাঁদাবাজি করছে। তাদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনাদের পরিণতি ও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো হবে। বাংলাদেশের তরুণদের এই শক্তি সমুন্নত থাকবে।

গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লা নগরীর টাউনহল মাঠে এক মতবিনিময় সভায় এই কথা বলেন তিনি। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে এই সভা আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের পতনে এক মাস লাগলেও আপনাদেরকে আরও আগেই দমন করা হবে। আওয়ামী লীগ চলে গেলেও আওয়ামী লীগের মানসিকতার মানুষগুলো এখনো রয়ে গেছে।'

'অনেকে ১৬ বছর বললেও আমি বলব ৫৩ বছর ধরে এই দেশে জঞ্জাল জমা হয়েছিল। ৫৩ বছরের জঞ্জাল কীভাবে এক মাসে সরাব তা আমাদের জানা নেই। তবে, একটা জিনিসের পরিবর্তন হয়েছে সেটা হলো কেউ এবার বন্যার ত্রাণের টাকা মেরে খায়নি। সরকারি অফিস আদালতে ঘুষ বন্ধ হয়েছে। আমরা এই ধরনের পরিবর্তন চেয়েছিলাম।'

তিনি আরও বলেন, 'রাজনীতি করা না করা ব্যক্তিগত বিষয়, কিন্তু সবার মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা থাকাটা জরুরি। গত সরকার ছিল নতজানু, কারণ তারা জনগণের সরকার ছিল না। এদেশের জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, আমরা আর নতজানু হবো না।'

তিনি আরও বলেন, 'ভারত এতদিন একটি দল বা সরকারের সঙ্গে কথা বলত। এখন সেই সুযোগ নেই। এখন কথা বলতে হবে জনগণের সঙ্গে তাও চোখে চোখ রেখে।'

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের, সুমাইয়া আক্তার, হামযা মাহবুব, জিয়া উদ্দিন আয়ান, আলী আহাম্মেদ আরাফ, আবু রায়হান, তাছনিয়া নাওরিন, মহিদুল ইসলাম রিন্তু, ফারিয়া রহমান, খালেদ হাসান, নাঈম আবেদীনসহ আরও অনেকে। আরও বক্তব্য রাখেন, ইয়াসির আরাফাত হিমু, মাহির তাজওয়ার, আবদুল কাদের, মাহী খানসহ অনেকে। সভায় কুমিল্লার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী গ্রেফতার

ফাইল ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরি গ্রেফতার হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশান থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে, তাকে কোন মামলায় বা কী অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য মেলেনি।

তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে আছেন বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান বলেও জানিয়েছে ডিএমপি।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীও আত্মগোপনে ছিলেন।

এরপর ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ নেন। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে একের পর এক মামলা শুরু হয়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাবেক আইজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছেন।

এবার শেখ হাসিনাসহ জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীতে মাহমুদুল হাসান জয় নামে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দায়ী করে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে নিহত কিশোরের পূর্বপরিচিত দাবিকারী রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার সাত মসজিদ হাউজিংয়ের বাসিন্দা মো. রবিউল আউয়াল এই মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি যাত্রাবাড়ী থানাকে এজাহার হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন— শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, পুলিশের সাবেক যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. হাসান মাহমুদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হামিম গ্রুপের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী এনামুল হক শামীম, জিএম কাদের স্ত্রী শেরিফা কাদের, সুজন হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আতিকুল রহমান ভুঁইয়া, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, তারেক খালদুন বিন আরিফ, তাজরিন হোসেন, ইঞ্জি. রবিউল আলম, হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া ওরফে হাবু, রফিকুল ইসলাম শান্ত, সাইদুর রহমান বাবুল, আবু বকর, মমিন, শাহজালাল, আবুল কালাম আজাদ, আকবর হোসেন, চিত্তরঞ্জন দাস, নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম রফিক ও মো. আফজাল হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৪ বছরের কিশোর মাহমুদুল হাসান জয় একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গত ৫ আগস্ট সে ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে যোগ দেয়। ওই দিন সকাল ১১টায় যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে অন্যান্যদের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়ও গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

সর্বশেষ সংবাদ

‘আ. লীগের পতনে এক মাস লাগলেও আপনাদেরকে আরও আগেই দমন করা হবে’
সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী গ্রেফতার
এবার শেখ হাসিনাসহ জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
এবার মাশরাফী ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা
গুলিতে নিহত শ্রী জয়ন্ত'র মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
দিল্লি হয়ে ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক
টেন্ডার ছাড়াই ওরাকলকে ২০৭ কোটি টাকার কাজ দেন পলক
সেন্টমার্টিনে যাত্রীবাহী ট্রলারে মিয়ানমার থেকে গুলি
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৩৪ জন
প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছেন শেখ হাসিনা: ড. ইউনূস
৩ বছরে ৫৫০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন তিতাসের সাবেক এমডি হারুন!
চট্টগ্রামে নতুন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম
সালমান এফ রহমান ও এস আলমের শেয়ার কারসাজি তদন্তে কমিটি গঠন
আইডিয়ালের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে গেল ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা
পাওনা ৮০ কোটি ডলার চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিলেন গৌতম আদানি
ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা
জেনে নিন ফেসবুক পোস্টের রিচ কমার কারণ ও তা বাড়ানোর কৌশল
মণিপুরে কারফিউ জারি, ৫ দিনের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ
২৫ জন ডিসির সবাই ছিল ছাত্রলীগের: রিজভী