মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নাটোরে লালন একাডেমির জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, বন্ধ সংগীতচর্চা

 

নাটোরে প্রতিষ্ঠিত লালন একাডেমির জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে স্থবির হয়ে পড়েছে একাডেমির কার্যক্রম। স্থানীয় অধিবাসী ও শিল্পীদের দাবী, সমস্যার সমাধান না হওয়ায় বন্ধ রয়েছে সংগীতচর্চাও। স্থানীয়দের অভিযোগ, সন্ধ্যায় একাডেমি চত্বর পরিণত হয় মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে। বেকায়দায় পড়েছেন শিল্পীরা।

জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার বজরাপুর এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে কামরুল ইসলাম ওই জমির মালিক দাবি করে বলেন, জমিটি মূলত তার নানা হজরত আলী সরকারের। তার একমাত্র মামা শরিফ ছাড়াও মা সুরাইয়া, খালা সুফিয়া, ছইজান ও সামিয়ারা তার নানার সন্তান। নানা মারা যাওয়ার আগে কিছু জমি মামাকে রেজিস্ট্রি করে দেন। নানা মারা যাওয়ার পর মামা,মা ও খালাদের মধ্যে এজমালি সম্পত্তি স্থানীয় ও পারিবারিকভাবে আপস বণ্টন হয়। এতে বর্তমানে লালন একাডেমির জায়গাটি তার মা পান। এরপর ওই জমি তার মা তাকে রেজিস্ট্রি করে দেন। এরপর জমির খাজনা খারিজ করে ভোগদখলও করছিলেন তিনি।

অপরদিকে তার মামা শরিফ তার সমস্ত সম্পত্তি স্ত্রী ও ছেলেকে রেজিস্ট্রি করে দেন। এরপর তার নামে রেজিস্ট্রি ও খারিজ হওয়া ওই ২৬ শতক জমি লালন একাডেমিকে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে তাকে বেদখল করা হয়। তিনি ওই জমির দখল পেতে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।

লালন একাডেমির জমিদাতা শরিফ জানান, তার বাবা বেঁচে থাকতে তাকে ১০-১২ বিঘা এবং তার দুই ছেলেকে ১০ বিঘা জায়গা রেজিস্ট্রি করে দেন। বাবার মৃত্যুর পর এজমালি জমি পারিবারিক আপস মিমাংসায় মায়ের অংশ দেওয়া ছাড়াও সব বোনকে ৪ বিঘা করে আর তাকে হিসেব মতো ৮ বিঘা জায়গা দেওয়া হয়েছে।

এরমধ্যে ওই ২৬ শতক জমি তার অংশে রয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, সাবেক ডিসি শাহিনা খাতুনের আহ্বানে তিনি ওই জমি ২০০৯ সালে লালন একাডেমির নামে ওয়াকফ করে দেন। এরপর সেখানে কাজ শুরু হলে তার বোনেরা বাধা দেন৷ বিষয়টি জানতে পেরে ২০১৭ সালে ডিসি শাহিনা খাতুন তার তিন বোন ও কামরুলের বাবা করিমকে ডেকে তাদের কাছ থেকে লিখিত নেন। তাতে তারা ওই জমির দাবি ত্যাগ করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে শরীফ জানান, তার বাবার জমি বণ্টননামার জন্য তিনি আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি চলমান।

লালন একাডেমির কার্যকরী কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ খোকা জানান, ওই বিবাদমান গ্রুপ কাউকে মানতে চায় না। তারা সবাইকে অবমাননা করে। মাঝে মাঝে এসে তারা হট্টগোল করে। এসব কারণে তিনিসহ লালনশিল্পীরা ওই একাডেমিতে যাওয়া বন্ধ করেছেন। এতে শিল্পীদের সংগীতচর্চা বন্ধ রয়েছে; যা সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। এ ক্ষতি পোষানোর পাশাপাশি সংগীতচর্চায় একাডেমিতে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চান তিনি।

লালন একাডেমির কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নয়ন হালদার বলেন, এখন প্রতি সন্ধ্যায় লালন একাডেমি সংগীতচর্চার বদলে মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। এতে বেকায়দায় পড়েছেন লালন শিল্পীরা।

এক প্রশ্নের জবাবে নয়ন বলেন, সংগীতচর্চা বা কোনো অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিলে ওই দুই পক্ষ এসে সমস্যার সৃষ্টি করে। দুই পক্ষের লোকজন ওই জমির মালিকানা দাবি করে কমিটির নেতৃত্ব চায়। এমন অবস্থায় সংগীত শিল্পীরা উভয়পক্ষের বিবাদ-সংঘরর্ষের আশঙ্কায় একাডেমিতে যাওয়া বন্ধ করেছেন।

অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান প্রত্যাশা করেন তিনি। লালন একাডেমির জন্য নিষ্কন্টক জায়গা প্রয়োজন। এব্যাপারে তিনি জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার আশু পদক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, কামরুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করতে সদর ইউএনওকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

লালন সংগীত ও ফকির লালনকে নিয়ে গবেষণা, সংগীতচর্চা আর লালন ফকিরের জীবনাদর্শকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষে নাটোরে প্রতিষ্ঠা করা হয় জেলা লালন একাডেমি। সাবেক জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের উদ্যোগে সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নের জালালাবাদ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় ওই একাডেমি। এরপর থেকে লালনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে জাঁকজমক অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতি সপ্তাহে একদিন করা হতো সংগীতচর্চা। ওই অনুষ্ঠানে জেলার বাইরে থেকেও আসতেন শিল্পীরা। জেলা প্রশাসনের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত লালন একাডেমি পরিচালনায় উপজেলা পর্যায়েও গঠন করা হয় কমিটি। একাডেমিতে দলে দলে যোগ হতে থাকেন লালনশিল্পী আর সাধুরা। সাবেক ওই ডিসি নাটোরে থাকাকালে তিনি ছিলেন লালন একাডেমির পরিচালনা পর্ষদের প্রধান উপদেষ্টা।

এসএন

 

Header Ad

শাকিবের বিয়ে নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস

ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় বারের মত বিয়ে করতে যাচ্ছেন ঢালিউডের কিং খান খ্যাত চিত্রনায়ক শাকিব খান। ইতোমধ্যে তার পরিবার থেকেও নাকি বিয়ের তোড়জোড় চলছে। আর শাকিবও চান বাবা-মায়ের পছন্দে বিয়ে করতে। বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগে এমনই খবর ঘুরপাক খাচ্ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা এগোচ্ছে শাকিবের। আর এ কারণে অপু বিশ্বাস এবং শবনম বুবলীকে বাড়িতে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছেন না চিত্রনায়কের পরিবার।

একই সঙ্গে শাকিবের পরিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, শাকিবকে নিয়ে কোনো রকম মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন।

এ প্রসঙ্গে সত্যতা জানতে চাইলে বিষয়টি নিয়ে এখনই কথা বলতে নারাজ অপু। অভিনেত্রী বলেন, আপাতত এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাইছি না। তবে খুব শিগগিরই কথা বলব।

দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর গোপনে বিয়ে করেছিলেন শাকিব-অপু। টানা আট বছর সুখে সংসারও করেন তারা। এমনকি সন্তানের মা-বাবাও হন সাবেক এই তারকা দম্পতি। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের মাঝে ঢুকে পড়েন বুবলী। তৈরি হয় শাকিব-অপুর সম্পর্কের টানাপোড়েন।

মূলত বুবলীর সঙ্গে শাকিবের সম্পর্ক তৈরি হওয়াতেই বাঁধে বিপত্তি। নিজের সংসার টেকাতে অনেকটা অনিশ্চয়তা থেকেই নিজের গোপন বিয়ে আর সন্তান জয়কে নিয়ে মিডিয়ার সামনে আসেন অপু। নানান নাটকীয়তার পর শাকিব-অপু প্রকাশ্যে সংসার শুরু করলেও বেশিদিন টেকেনি।

পরবর্তীতে অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে বুবলীকে নিয়ে সংসার শুরু করেন শাকিব। সেই সংসারে শাকিব-বুবলীর কোল জুড়ে আসে ছোট্ট বীর। তবুও ভেঙে যায় তাদের সেই সংসার। ধীরে ধীরে বুবলীর সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয় শাকিবের।

বর্তমানে দুই সন্তানের বাবা হলেও সিঙ্গেল জীবন কাটাচ্ছেন শাকিব। তবে সন্তানদের কারণে অপু-বুবলীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়েছে তার।

এদিকে বিচ্ছেদের পর বুবলীর সঙ্গে সখ্যতা না থাকলেও অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সখ্যতা বেড়েছিল শাকিবের। পরিবারের সঙ্গেও এবারের ঈদও উদযাপন করেন অপু।

এতে ভক্তরাও ভাবতে শুরু করেন হয়তো আবারও এক হতে যাচ্ছেন শাকিব-অপু। কিন্তু তাদের সেই ভাবনাতেও পানি ঢেলে দিলো চিত্রনায়কের পরিবার। নতুন করে যখন পথ চলতে শুরু করেছেন তারা ঠিক সেই সময়ে ঢালিপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে শাকিবের তৃতীয় বিয়ের কথা।

 

চুনাপাথর নিয়ে দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিকসহ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুর হাত থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে ২৩ নাবিককে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে জাহাজটি। এর আগে ওই বন্দরে জাহাজে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, দস্যুমুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ গত ২১ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে কয়লা খালাস করে জাহাজটি ২৭ এপ্রিল মিনা সাকার বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর মিনা সাকার থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে জাহাজটি। মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিকও আসছেন একই সঙ্গে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর কুতুবদিয়া চ্যানেলে জাহাজ থেকে কার্গো খালাস করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক।

মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ।

এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরেও আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই মালিকপক্ষের জাহাজ এমভি জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরে ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

 

এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু, ৮ জনই পুরুষ

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে গোটা দেশ। প্রচন্ড গরমে হাসফাস অবস্থা জনজীবনে। হাসপাতাল গুলোতেও বাড়ছে গরমে অসুস্থ হওয়া রোগির সংখ্যা। তীব্র তাপপ্রবাহে হিটস্ট্রোকে গত এক সপ্তাহে সারা দেশে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৮ জন পুরুষ দুইজন নারী। এছাড়া নিহত ১০ জনের মধ্যে গতকাল সোমবার হিটস্ট্রোকে তিনজন মারা যান। তারা তিনজনই পুরুষ। এদিকে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হিটস্ট্রোকে নতুন করে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম গত ২২ এপ্রিল থেকে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে হিটস্ট্রোকের রোগীর তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যে হিটস্ট্রোকে দশজনের মৃত্যু ও পাঁচজনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। কন্ট্রোল রুম জানায়, এ পর্যন্ত সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া দশজনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।

মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

তাদের বয়স ৩২ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি গ্রামাঞ্চলে।

এছাড়া, হিটস্ট্রোকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পাঁচজনের দুজন নারী। দুজনের বয়স ৪৫ বছরের বেশি। বাকি তিনজন পুরুষের একজনের বয়স ১২ বছর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি), বমি বমি ভাব থাকে, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, ঘাম হতেও পারা আবার না–ও পারে, ত্বক গরম ও শুষ্ক অথবা স্যাঁতসেঁতে থাকতে পারে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি সামঞ্জস্যহীন আচরণ করে, তার কথা জড়িয়ে যায়, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা ধারণা করছেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রথমত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন শুধু সরকারি হাসপাতালের হিসাব নিচ্ছে, দেশের বিপুলসংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কোনো রোগী যাচ্ছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, রোগীর কোন লক্ষণ দেখে হিটস্ট্রোক শনাক্ত হবে সেই ধারণাও চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে পরিষ্কার ছিল না। অতিসম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে এবং সেই নির্দেশিকা অনুসরণ করে সরকারি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৩ ও ২০০৭ সালের মধ্যে দেশে তাপপ্রবাহের দেশেগুলোয় মৃত্যু ২২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোক ছাড়াও গরমজনিত আরও কিছু সমস্যা হয়। এর মধ্যে আছে: তাপজনিত শ্রান্তি, তাপজনিত সংজ্ঞালোপ, তাপজনিত পেশিসংকোচন, তাপজনিত ফুসকুড়ি। আর হয় তাপজনিত পানিশূন্যতা। প্রচণ্ড তাপ বিশেষ প্রভাব ফেলে অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও প্রবীণদের ওপর। এ ছাড়া যেসব মানুষ দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন, তাঁদের ঝুঁকি বাড়ে গরমে।

সর্বশেষ সংবাদ

শাকিবের বিয়ে নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস
চুনাপাথর নিয়ে দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিকসহ
এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু, ৮ জনই পুরুষ
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
সম্পত্তি ভাগাভাগির জেরে ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যু
নারী ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে ইসির নির্দেশ
‘দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার পায়না’
মঙ্গলবার আরও বাড়বে তাপমাত্রা, গরম অনুভূত হবে অনেক বেশি
নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযানে ৯ লাখ টাকা জরিমানা
কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ৫
বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
পাক অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং
টাঙ্গাইলে গরমে স্কুলছাত্রীর হিটস্ট্রোক, হাসপাতালে ভর্তি
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের খোঁজ মিলল ভারতে!
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী, যাবেন আপিলে
যুবদল সভাপতি টুকুকে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল
নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ ছাড়ালো ৪০.২ ডিগ্রি
জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশী ১৫ শিক্ষার্থী
স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা