রাজশাহীতে বিষপানেই মৃত্যু আলোচিত দুই কৃষকের
রাজশাহীতে আলোচিত দুই আদিবাসী কৃষকের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোয়াশা কাটল। ফরেনসিক রিপোর্টে বিষপানে ওই দুই কৃষকের মারা যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। শনিবার (১৬ এপ্রিল) ময়নাতদন্তের রির্পোট জমা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) এর ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কফিল উদ্দিন।
তিনি জানান, মৃতের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেগুলো ফরেনসিক রিপোর্ট প্রস্তুতের জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। ওই ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চুড়ান্ত রির্পোট তৈরি করা হয়। ফরেনসিক রিপোর্টে মৃত দুজনের শরীরেই বিষ পাওয়া গেছে।
ফরেনসিক বিভাগের প্রধান আরও জানান, পরীক্ষায় অর্গানো ফসফরাস যৌগ নামে এক ধরনের বিষ পাওয়া গেছে। এতে বিষপানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে চুড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
গোদাগাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর কারণ আমরা ফরেনসিক রিপোর্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখন মামলার কার্যক্রম গতি পাবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ গুরুতর অসুস্থ হন রাজশাহীর গোদাগাড়ীর নিমঘুটু গ্রামের দু’জন আদিবাসী কৃষক। তারা নিজেরাই বিষপান করেছিলেন বলে পরিবারকে জানিয়েছিলেন। ওই রাতেই অভিনাথ মারান্ডি নামে একজনের মৃত্যু হয়। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ মার্চ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তার চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি মারা যান।
অভিনাথ মার্ডি ও রবি মার্ডির পরিবারের দাবি, অনেক ঘুরেও গভীর নলকূপ থেকে সেচের পানি না পেয়ে ক্ষোভে ওই নলকূপের সামনেই দু’জনে বিষপান করেন। এতে স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিনাথের স্ত্রী রোজিনা হেমব্রম এবং রবির ভাই সুশিল মারান্ডি বাদী হয়ে গভীর নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দুটি মামলা করেন। এরপর ওই মামলায় অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে বন্দী রয়েছেন। এরই মধ্যে তাকে নলকূপ অপারেটরের পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিএমডিএ। এ ঘটনার তদন্তে নামে কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটিও। এর পরও তাদের (অভিনাথ মার্ডি ও রবি মার্ডি) মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিল পুলিশ।
এসআইএইচ