তিন বন্ধুর ২ জনের মৃত্যু, আরেকজনের অবস্থাও সংকটাপন্ন
নিহত সিয়াম। ছবি: সংগৃহীত
ইঞ্জিনচালিত করিমনের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মিতুল হোসেনের মৃত্যুর পর অপর সহপাঠী সিয়াম হোসেনও প্রাণ হারিয়েছে। দুইজনেরই বয়স ১৫। সোমবার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিয়াম হোসেনের মৃত্যু হয়।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সিয়াম হোসেন ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ড্রেস মেকিং বিভাগের ছাত্র ও নওদাপাড়া গ্রামের শিহাব সরদারের ছেলে। এ ছাড়া গুরুতর আহত আরেক সহপাঠি বিশাল হোসেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৩ বন্ধু মোটরসাইকেলে করে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলো। পথে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুরে ইঞ্জিনচালিত করিমনের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ৩ আরোহীর মধ্যে ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র মিতুল হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
সিয়াম ও বিশাল হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১টার দিকে মারা যায় সিয়াম। চিকিৎসাধীন বিশাল হোসেনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক উম্মে হাবিবা জানান, দুর্ঘটনাস্থলেই মিতুল মারা যায়। গুরুতর আহত সিয়ামও রাতে মারা গেছে। আর বিশাল রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থাও সংকটাপন্ন।
ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের সুপারেনট্যান্ট রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ জনই আমার স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। সকালে পরীক্ষা দিতে একই মোটরসাইকেলে তারা ৩ জন আসতেছিলো। বিষয়টি দু:খজনক। স্কুলের পক্ষ পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি।