বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ | ১২ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণকাজ, ছাদ চুইয়ে পড়ছে বৃষ্টির পানি!

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে প্লাটফর্ম এবং ভিতরের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে, স্টেশন কর্মীরা পরিষ্কার করছেন। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কাছে ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ায় নির্মিত হয়েছে ঝিনুক আকৃতির দৃষ্টিনন্দন ছয়তলাবিশিষ্ট আইকনিক রেলস্টেশন। যেখানে রয়েছে পাঁচ তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, শিশুযত্ন কেন্দ্র, পোস্ট অফিস, কনভেনশন সেন্টার, ইনফরমেশন বুথ, এটিএম বুথ, মসজিদ, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সব সুবিধা। যা ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

বর্তমানে স্বল্প পরিসরে চলছে এই রেলস্টেশনের কার্যক্রম। ২৯ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা ১ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুটের রেলস্টেশনটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ২১৫ কোটি টাকা। তবে এর মধ্যেই সামনে আসছে নির্মাণকাজের নানা ত্রুটি। বৃষ্টি হলেই নাকি ছাদ চুইয়ে পানি ঢুকে পড়ছে স্টেশন ভবনের ভেতর। ড্রেনেজের পানি উপচে প্লাবিত হয় প্লাটফর্ম। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে পরিচালন কার্যক্রম। ব্যয়বহুল আইকনিক স্টেশন ভবনটির নির্মাণকাজের মান নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন। ছবি: সংগৃহীত

চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) সঙ্গে যৌথভাবে স্টেশন ভবনটি তৈরি করেছে বাংলাদেশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। তাদের দাবি, দৃশ্যমান সকল সমস্যা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করা হবে। এরই মধ্যে কাজও শুরু হয়েছে।

এদিকে কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের ভেতর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির পানি প্রবেশের ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার (৬ জুলাই)। ওইদিন পানি গড়ায় স্টেশনমাস্টারের রুম পর্যন্ত। এ ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা ভবনটির নির্মাণকাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রেলওয়ের একটি প্রতিনিধি দলও স্টেশনটি পরিদর্শন করেছেন।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের ভিতরে প্রবেশ করেছে বৃষ্টির পানি। ছবি: সংগৃহীত

এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের কর্মীরা জানিয়েছেন, এদিন কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন ভবনের পাশাপাশি প্লাটফর্মেও বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে। এতে বৃষ্টির সময় যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। নিকটবর্তী দোহাজারী ও চকরিয়া স্টেশনের প্লাটফর্মেও বৃষ্টির পানি প্রবেশের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, বৃষ্টিতে স্টেশনের ভেতরে পানি প্রবেশের বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। বর্ষা মৌসুমে প্লাটফর্মেও বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় যাত্রীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। বিষয়টি প্রকল্প ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে পানি প্রবেশের বিষয়টি সমাধানে ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। তবে ২০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত অত্যাধুনিক রেলওয়ে স্টেশনের ভেতরে এভাবে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের মান নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলছেন।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের ভিতরে প্রবেশ করেছে বৃষ্টির পানি। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার স্টেশনের ভেতরে বৃষ্টির পানি প্রবেশের ঘটনাটি স্বীকার করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স। এ বিষয়ে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আহমেদ সুফি গণমাধ্যমকে বলেন, আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনটির কাঠামো ও নকশা অন্য যেকোনো উঁচু ভবনের চেয়ে আলাদা। স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। এর মধ্যে এবারই প্রথম ভারী বৃষ্টির মুখোমুখি হয়েছি আমরা। ছাদ থেকে কোনো একটা বা একাধিক লিকেজ দিয়ে ভবনের অভ্যন্তরে পানি প্রবেশ করতে পারে। আমরা বিষয়টি নিয়ে সজাগ রয়েছি। এরই মধ্যে প্লাটফর্ম ও স্টেশন ভবনে পানি প্রবেশ নিয়ে সৃষ্ট ত্রুটিগুলো সংশোধন করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে স্টেশন ভবনটি বুঝিয়ে দেয়ার সময় এ ধরনের ত্রুটি থাকবে না।

স্টেশনটি তৈরি করা হচ্ছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে। ছাদ চুইয়ে ভবনে পানি প্রবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পটির পরিচালক মোহাম্মদ সুবক্তগীন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ের হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজ বুঝে নেয়া হয়নি। তাছাড়া বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝড় হলে এমনিতেও প্লাটফর্মে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করতে পারে। স্টেশন এলাকার পানি নির্গমনের স্থানে ঘাসের কারণে বৃষ্টির পানি স্টেশনমাস্টারের রুমে প্রবেশ করেছে। এটি সামান্য বিষয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ায় এ ধরনের সংকট আর হবে না।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের ভিতরে প্রবেশ করেছে বৃষ্টির পানি। ছবি: সংগৃহীত

এ প্রসঙ্গে রেলপথ পরিদর্শন অধিদপ্তরের সরকারি রেল পরিদর্শক মামুনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, প্রায় এক মাস আগে আমরা স্টেশন ইন্সপেকশন করেছি। ওই সময়ে আইকনিক স্টেশন ভবনের অভ্যন্তরে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে কিনা সে বিষয়ে পরীক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে আমরা ওয়াটারিং সিস্টেমসহ প্লাটফর্মের উচ্চতা বেশি হওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। ডাবল ডেকার ট্রেন প্রবেশের সুবিধা রেখে প্লাটফর্মের ছাদের উচ্চতা রাখা হয়েছে। এ কারণে বৃষ্টিতে পানি প্রবেশ করতে পারে। তবে স্টেশন ভবন কিংবা প্লাটফর্মে পানি প্রবেশ মাত্রাতিরিক্ত হলে ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ডের সময়ে সেটি ঠিক করে দেয়ার সুযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথটি ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ট্রেন চলাচল শুরু হয় ১ ডিসেম্বর থেকে। বর্তমানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে সরাসরি দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে।

Header Ad
Header Ad

আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী

বক্তব্য রাখছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন- শেখ হাসিনার পতন ন্যায়ের কাছে অন্যায়ের পতন। শেখ হাসিনার পতনে রাজনৈতিক দলের শ্রম ও ঘাম আছে। শেখ হাসিনার পতনে যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছেন তাদের ভূমিকা আছে। আল্লাহর রহমতে দেশের জনগণের দ্বারা শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও গুরুতর পতন হবে। অন্য কেউ যদি করেন তারও হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধুকে কেউ ভাঙতে ও মুছতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধকে ভাঙতে ও মুছতে পারবে না। স্বাধীনতাকেও ভাঙতে ও মুছতে পারবে না। তাই স্বাধীনতা অক্ষয় ও অমর। বঙ্গবন্ধুও তেমন অক্ষয় ও অমর।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি কিন্তু আওয়ামী লীগদের দাওয়াত করতে বলেছিলাম। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে। মানুষের অন্তরে তো বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ না। মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ তো নিষিদ্ধ না। নিষিদ্ধ আইনের ধারা হতে পারে। মানুষের অন্তরের ধারা না।

তিনি আরও বলেন- স্বাধীনতা আমাদের, স্বাধীনতা বাংলাদেশের। স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ-বিএনপির না। অধ্যাপক ইউনুস ও এনসিপিদের না। স্বাধীনতা এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা। সে জন্য এই স্বাধীনতার প্রতি যারাই হস্তক্ষেপ করবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অন্যকে শিকার করতে হবে। বিরোধীকে সম্মান দিতে হবে। চোর ও ডাকাতকে ইচ্ছে হলেই মেরে ফেললাম এটা চলবে না। তাকেও আইনের আশ্রয় দিতে হবে।

এ সময় সখীপুর উপজেলা শাখার কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি আব্দুস সবুর খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথি ছিলেন- কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ হাবীব, কালিহাতী উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, সখীপুর উপজেলা শাখার কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজ বলেছেন, ‘আমরা কোনো জোট গঠন করছি না।’ সম্প্রতি চীনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি জোট গঠন হয়েছে বলে খবরের প্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে বাংলাদেশ চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গঠন করছে কি না— জানতে চাওয়া হয় উপদেষ্টার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো জোট গঠন করছি না। মূলত, উদ্যোগটি চীনের এবং এটি একেবারেই অফিসিয়াল পর্যায়ে, রাজনৈতিক কোনো পর্যায়ে না।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ওখানে একটা প্রদর্শনী হচ্ছিল, সেখানে সাইডলাইনে তিন দেশের পররাষ্ট্রসচিব বসে আলাপ-আলোচনা করেছি। আলাপ-আলোচনা পুরোপুরি ছিল কানেক্টিভিটি, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি; এগুলো নিয়ে। আপনারা জোট গঠনের যে কথা বলছেন, এ ধরনের কোনো কিছু ছিল না। এটা নিতান্তই একটি প্র্যাকটিক্যাল সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির ব্যাপার। আমরা মনে হয় না, এটা নিয়ে আর কোনো কিছু হতে দেওয়া উচিত।

কুনমিংয়ের ওই বৈঠকে তিন পক্ষের সহযোগিতা বাস্তবায়নে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) গঠনের কথা এসেছে চীন ও পাকিস্তানের দিক থেকে। বৈঠকটি নিয়ে তিন দেশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও মিল ছিল না। তাহলে বাংলাদেশ জোট গঠনের কথা ডিনাই করছে কি না—

এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, কোনোটিই ডিনাই করার প্রয়োজন নেই। আমরা আমাদের যেটুকু উল্লেখ করেছি, এটাতে বোঝা যায় এটাতে স্ট্রাকচারাল বড়সড় কোনো ব্যাপার ছিল না। প্রত্যেকটা দেশ নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখেছে। আমরাও তাই করেছি। যদি ভবিষ্যতে কোনো অগ্রগতি হয় তখন আপনারা জানতে পারবেন।

ত্রিপক্ষীয় যে জোট গঠনের কথা আসছে এটা তৃতীয় কোনো দেশকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে কি না— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই নয়। এটা আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি। টার্গেট করার বিষয় এখানে নেই। এরকম আরও কোনো দেশ যদি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করতে চায় আমি তো কোনো সমস্যা দেখি না। সেটাও আমি করতে রাজি।

তিনি বলেন, ধরুন ভারত যদি করতে চায় কানেক্টিভিটি নিয়ে, নেপাল বা অন্য কোনো দেশকে নিয়ে, আমরা রাজি আছি। এটা হলে আমি কালকেই করতে রাজি। যেহেতু চীন ও পাকিস্তান ছিল যার কারণে হয়তো আপনারা মনে করছেন হঠাৎ করে কেন হলো। এটাকে খুব বেশি স্পেকুলেট করার সুযোগ নেই।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানোর পর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদদের নামে নামকরণ করা মোট ৯৭৭টি স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মধ্যে বেশিরভাগ নাম পরিবর্তনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ বছরে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, যেমন সেনানিবাস, বিমানঘাঁটি, নৌবাহিনীর জাহাজ, মেগা সেতু, মহাসড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, গবেষণা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনার নাম শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও দলীয় নেতাদের নামে রাখা হয়েছিল।

বর্তমানে নতুন সরকার ওইসব স্থাপনাকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখতে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এসব নাম পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানানো হয়। বাকি যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন বাকি রয়েছে, সেগুলোর প্রক্রিয়া চলমান।

তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
নীরবতা ভেঙে খামেনি বললেন, ইরান ‘বিজয়’ অর্জন করেছে (ভিডিও)
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই: প্রেস সচিব
রংপুরে দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন ডিএসসিসি প্রশাসক, পেলেন অভ্যর্থনা
ভেঙেই গেল জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা কেটি পেরির সংসার!
সব সরকারি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
জেলার সব প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের ঘোষণা দিলেন ডিসি
রংপুরে চিকিৎসা অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতালকে ২ লাখ জরিমানা
টাঙ্গুয়ার হাওরে গাঁজা সেবন দায়ে ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড
৮৩ লাখ মাদকাসক্ত দেশে, গাঁজা সেবনকারী সবচেয়ে বেশি
নতুন গিলাফে আবৃত পবিত্র কাবা শরিফ