বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৭ ভাদ্র ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিদেশে পালানো ঠেকাতে শাহ আমানত বিমানবন্দরে কড়া নজরদারি

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সন্ত্রাস-নৈরাজ্যে জড়িত নেতাকর্মীরা দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের বিদেশে পালানো ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে তারা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের দুই নেতার বিদেশ যাওয়া ঠেকিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তাদের সোপর্দ করেছে।

সোমবার (১২ আগস্ট) চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ এবং দেশত্যাগ করেন। ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও সহিংসতায় জড়িত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশত্যাগ করতে পারেন, এই তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দরে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুজনকে দেশত্যাগে বাধা দেওয়া হয়।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট সৌদি আরবে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজকে আটকে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১০ আগস্ট দিল মোহাম্মদ নামে ফেনীর এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়। এ দুজনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়াও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য নুরুল আজিম রনিকে গত ৯ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, চট্টগ্রামে ছাত্র-জনতার ওপর যেসব পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গুলি-হামলা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে।

Header Ad

সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী গ্রেফতার

ফাইল ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরি গ্রেফতার হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশান থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে, তাকে কোন মামলায় বা কী অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য মেলেনি।

তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে আছেন বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান বলেও জানিয়েছে ডিএমপি।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীও আত্মগোপনে ছিলেন।

এরপর ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ নেন। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে একের পর এক মামলা শুরু হয়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাবেক আইজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছেন।

এবার শেখ হাসিনাসহ জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীতে মাহমুদুল হাসান জয় নামে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দায়ী করে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে নিহত কিশোরের পূর্বপরিচিত দাবিকারী রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার সাত মসজিদ হাউজিংয়ের বাসিন্দা মো. রবিউল আউয়াল এই মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি যাত্রাবাড়ী থানাকে এজাহার হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন— শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, পুলিশের সাবেক যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. হাসান মাহমুদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হামিম গ্রুপের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী এনামুল হক শামীম, জিএম কাদের স্ত্রী শেরিফা কাদের, সুজন হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আতিকুল রহমান ভুঁইয়া, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, তারেক খালদুন বিন আরিফ, তাজরিন হোসেন, ইঞ্জি. রবিউল আলম, হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া ওরফে হাবু, রফিকুল ইসলাম শান্ত, সাইদুর রহমান বাবুল, আবু বকর, মমিন, শাহজালাল, আবুল কালাম আজাদ, আকবর হোসেন, চিত্তরঞ্জন দাস, নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম রফিক ও মো. আফজাল হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৪ বছরের কিশোর মাহমুদুল হাসান জয় একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গত ৫ আগস্ট সে ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে যোগ দেয়। ওই দিন সকাল ১১টায় যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে অন্যান্যদের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়ও গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

এবার মাশরাফী ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা

ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে এবার ক্রিকেটার ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও তার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে নড়াইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শেখ মোস্তফা আল-মুজাহিদুর রহমান পলাশ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতাকে রুখতে মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রডের মতো দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি শর্টগান, বন্দুক-পিস্তল ও বোমা নিয়ে নড়াইল চৌরাস্তায় সমাবেশ করে। সমাবেশ চৌরাস্তা থেকে চিত্রা নদীর ওপর রাসেল সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত বিস্ততৃ ছিল। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ও নিরীহ শান্তিকামী জনতা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল নিয়ে শহর অভিমুখে আসছিল।

রাসেল সেতুর কাছাকাছি পৌঁছাতেই মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে হামলার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর শর্টগান ও পিস্তল থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বোমার। বৃষ্টির মতো নিক্ষেপ করা হয় ইট-পাটকেল।

এতে বহু আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হন। তাদের অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং এখনও চিকিৎসাধীন।

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী গ্রেফতার
এবার শেখ হাসিনাসহ জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
এবার মাশরাফী ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা
গুলিতে নিহত শ্রী জয়ন্ত'র মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
দিল্লি হয়ে ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক
টেন্ডার ছাড়াই ওরাকলকে ২০৭ কোটি টাকার কাজ দেন পলক
সেন্টমার্টিনে যাত্রীবাহী ট্রলারে মিয়ানমার থেকে গুলি
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৩৪ জন
প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছেন শেখ হাসিনা: ড. ইউনূস
৩ বছরে ৫৫০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন তিতাসের সাবেক এমডি হারুন!
চট্টগ্রামে নতুন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম
সালমান এফ রহমান ও এস আলমের শেয়ার কারসাজি তদন্তে কমিটি গঠন
আইডিয়ালের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে গেল ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা
পাওনা ৮০ কোটি ডলার চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিলেন গৌতম আদানি
ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা
জেনে নিন ফেসবুক পোস্টের রিচ কমার কারণ ও তা বাড়ানোর কৌশল
মণিপুরে কারফিউ জারি, ৫ দিনের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ
২৫ জন ডিসির সবাই ছিল ছাত্রলীগের: রিজভী
শিবলী রুবাইয়াত ও তার সহযোগী ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক