কিশোরগঞ্জে একটি আম বিক্রি হলো ১৬০০ টাকায়। ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার একটি মসজিদে নিলামে ডাকের মাধ্যমে একটি আম বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ টাকায়।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা পশ্চিমপাড়া বায়তুল-আমান জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। আমটি কিনেছেন ওই মসজিদের ইমাম মাসুম বিল্লাহ।
মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের সময় অনেকেই দান হিসাবে বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে আসেন। পরে সেই বস্তুটি প্রকাশ্যে উম্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়। মসজিদের লোকজন আল্লাহর রহমতের আশায় বেশি দাম দিয়ে কিনে নেন। প্রাপ্ত টাকা মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হয়।’
‘দুপুরে আক্তার হোসেন নামে একজন একটি গাছ পাকা আম নিয়ে আসেন। আমিও নিলামে অংশ নিয়ে বরকত ও সওয়াবের আশায় সর্বোচ্চ দামে ১ হাজার ৬০০ টাকায় আমটি কিনে নেই।’
আম ছাড়াও এক হালি ডিম ২০০ টাকায় নিলামে বিক্রি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “গত শুক্রবার একটি লেবু ৪০০ টাকায় একজন নিলামে কিনে নেন।”
গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবিতে আজ গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে এই গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।
একইসঙ্গে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাতেও এ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে রাজধানীর অন্যান্য পয়েন্ট যেমন মিরপুর, বাড্ডা, রামপুরা, সায়েন্সল্যাবসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে ব্লকেড না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন ‘শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারাদেশের হাইওয়েগুলোতে ব্লকেড দেবেন না। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন। কিন্তু ব্লকেড না, ব্লকেড খুলে দিন।’
এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাতে শাহবাগ থেকে গণজমায়েতের ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও সহযোগী নেতাদের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে বিচার নিশ্চিত ও জুলাই ঘোষণাপত্রের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি, ২৫ ঘণ্টা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। আমরা জানি না এ কর্মসূচির শেষ কোথায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ করা হয়, কতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সভাপতি শাহীন সুমন ও মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন শাহীন কবির টুটুল। ছবি: সংগৃহীত
দফায় দফায় পেছানোর পর অবশেষে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে আগামী দুই বছরের জন্য পরিচালক সমিতির নতুন নেতৃত্ব পেয়েছেন দুই শাহীন!
শুক্রবার (৯ মে) নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে জানানো হয়, এতে সভাপতি পদে শাহীন সুমন ১৬৬ ভোট পেয়ে হারিয়েছেন মুশফিকুর রহমান গুলজারকে। অন্যদিকে মহাসচিব পদে ১৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শাহীন কবির টুটুল, তিনি হারিয়েছেন সাফিউদ্দিন সাফিকে।
এদিন সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল লতিফ।
নির্বাচিত অন্যরা হলেন সহসভাপতি আবুল খায়ের; উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম; কোষাধ্যক্ষ সায়মন তারিক; প্রচার, প্রকাশনা ও দফতর সচিব ওয়াজেদ আলী; আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব বন্ধন বিশ্বাস; সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর মেয়াদি পরিচালক সমিতির নেতৃত্বে নির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন—ছটকু আহমেদ, শাহাদাৎ হোসেন, পল্লী মালেক, জাকির হোসেন, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, সাইদুর রহমান, হাবিবুল ইসলাম, জয় সরকার, গাজী মাহবুব ও বুলবুল বিশ্বাস।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচনের ফলাফল। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচিত উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৫৯ জন ভোটারের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৩৯১।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে দুটি প্যানেল। এর মধ্যে মুশফিকুর রহমান গুলজার–সাফিউদ্দিন সাফি প্যানেলে সভাপতি ও মহাসচিব পদপ্রার্থী ছাড়া সম্পাদকীয় পদে প্রার্থী ছিলেন—আবুল খায়ের বুলবুল (সহসভাপতি), সালাউদ্দিন (উপমহাসচিব), সায়মন তারিক (কোষাধ্যক্ষ), আবদুর রহিম বাবু (সাংগঠনিক সম্পাদক), রফিক শিকদার (প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সচিব), এস ডি রুবেল (আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব) ও মুস্তাফিজুর রহমান মানিক (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সচিব)।
অন্য প্যানেলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন টানা দুইবারের মহাসচিব শাহীন সুমন। তিনি প্যানেল গড়েছেন শাহীন কবির টুটুলকে নিয়ে। এই প্যানেল থেকে সম্পাদকীয় পদে প্রার্থী ছিলেন—মন্তাজুর রহমান আকবর (সহসভাপতি), কবিরুল ইসলাম রানা (উপমহাসচিব), সেলিম আজম (কোষাধ্যক্ষ), ওয়াজেদ আলী বাবুল (প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সচিব), বন্ধন বিশ্বাস (আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব) ও সাইফ চন্দন (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সচিব)।
পাকিস্তানের ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করেছেন, শুক্রবার মধ্যরাতে ছয়টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ভারত, যেগুলো তাদের নিজ রাজ্য পাঞ্জাবে পড়েছে। তার দাবি, ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে পাঞ্জাবের সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের ওপর মিসাইলগুলো ছুড়েছে।
মাধ্যরাতে তার এমন ‘অদ্ভুত’ অভিযোগের পর ভারত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এর আগে গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মির ও অন্যান্য জায়গায় মিসাইল ছুড়েছিল ভারত। ওই হামলার পরপরই সবার আগে এটির খবর জানিয়েছিলেন পাক ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক। পরবর্তীতে ভারতও মিসাইল ছোড়ার সত্যতা স্বীকার করে নেয়।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারত পাঞ্জাবের ঝালান্দার বিভাগের অদমপুর থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইলগুলো ছোড়ে, যার মধ্যে একটি অদমপুরে আঘাত হানে। আর বাকি পাঁচটি তারা ফেলে পাঞ্জাবেরই অমৃতসরে। তার অভিযোগ, নিজ দেশের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে লক্ষ্য করে মিসাইলগুলো ছুড়েছে ভারতীয় বাহিনী।
তিনি বলেন, ভারত তাদের পরিকল্পনার মাধ্যমে, পাঞ্জাবের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে, আমাদের সব সহমর্মিতা শিখ এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি রয়েছে, যারা ভারতের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এটি অবাক করার মতো ঘটনা এবং সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে উসকানিমূলক কাজ। যেখানে ভারত এখন নিজ জনগণের ওপর ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া শুরু করেছে, যেটি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
এর আগে অমৃতসরে রাতের বেলা সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। তখন সেখানকার বিভাগীয় কমিশনার সবাইকে শান্ত থেকে ব্ল্যাকআউট পালনের অনুরোধ জানিয়েছিলেন।