টাঙ্গাইলে ১২ কোটি টাকার সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা-ভূঞাপুর-চরগাবসারা আঞ্চলিক মহাসড়কের ১২ কোটি টাকার সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কে ধীরগতিতে কাজ চলার পাশাপাশি কার্পেটিংয়ের আগে খানাখন্দ ও ফাটল না মেরামত করেই কাজ চালানোয় ক্ষোভ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ ও পরিবহন চালকরা।
প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ৯ কিলোমিটার সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিটুমিন, কেরোসিন ও পাথরের নিম্নমানের সংমিশ্রণে সড়কটি কার্পেটিং করা হচ্ছে। ফলে নতুন কার্পেটিং থেকে পাথর উঠে গিয়ে গাড়ির চাকায় আঘাত করছে এবং যাত্রীদের শরীরেও লাগছে।
পরিবহন চালক জাহিদ জানান, “সপ্তাহে তিনবার গাড়ির চাকা বদলাতে হচ্ছে। উপার্জনের টাকাই এখন গাড়ি মেরামতে খরচ হয়ে যাচ্ছে।” তার মতো আরও অনেক চালক জানিয়েছেন, সড়কের পাথরের কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ বিকল হচ্ছে, এবং অনেককে রোদে দাঁড়িয়ে গাড়ি মেরামত করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কিছু এলাকায় আগে বিছানো পাথরের উপর পুনরায় ছোট পাথর ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাব ঠিকাদার ফারুক হোসেন দাবি করেন, “এই কাজ নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে। কেউ বুঝতে না পারায় ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে।”
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ না মেরামত করে পুরো সড়কে এমনভাবে কাজ করে কোটি কোটি টাকা অপচয় করা হচ্ছে। এতে মূলত ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা লাভবান হচ্ছেন।
এ বিষয়ে সওজ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমেরি খান জানান, “বরাদ্দ কম থাকায় ডাবল বিটুমিনাস সারফেস ট্রিটমেন্ট পদ্ধতিতে কাজ করা হচ্ছে। এতে পরিবহনগুলো অতিরিক্ত গতিতে চলাচল করতে পারবে না। কাজের মানও ভালো হচ্ছে।”

তবে ভুক্তভোগী চালক ও যাত্রীরা বলছেন, বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। সরকারি অর্থ অপচয় ও নিম্নমানের কাজের জন্য তারা দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
