
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল না পেয়ে বিক্ষোভ
২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:৪৯ পিএম | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৩ পিএম

ঝিনাইদহে হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরের চালের উপকারভোগীদের অনলাইনে তালিকা প্রণয়ন শতভাগ অর্জিত হয়নি। গতকাল বুধবার পর্যন্ত সারা জেলায় ৮২% তালিকা সম্পন্ন হলেও ৮ হাজার ১৩০ জন উপকারভোগীর অনলাইন করা হয়নি। ফলে অনেক ইউনিয়নে উপকারভোগীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। গত পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে এই তালিকা প্রণয়নের কাজ শরু হয়েছে এবং ৩০ সেপ্টম্বরের মধ্যে অনলাইন সম্পন্ন করা না হলে চাল পাবেন না বাদ পড়া উপকারভোগীরা।
ঝিনাইদহ জেলা খাদ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ঝিনাইদহের ৬৭টি ইউনিয়নে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৪৪ হাজার ৩৪০। এরমধ্যে বুধবার পর্যন্ত ৩৬ হাজার ২১০ জনের তালিকা অনলাইন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ইউপি চেয়ারম্যানদের বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও রাজনৈতিক ও সামাজিক বিরোধের কারণে দ্রুত অনলাইন পক্রিয়া ঝুলে গেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে এখনো ২৭০৭ জনের অনলাইন বাকী থাকায় তারা ১৫ টাকা কেজি দরের চাল পাচ্ছেন না।
এর মধ্যে ফুরসন্দি ইউনিয়নে ৮২৭ জন উপকারভোগীর মধ্যে মাত্র ১৪৩ জনের অনলাইন করা হয়েছে। এখনো ৬৮৪ জন হতদরিদ্র এই তালিকার বাইরে রয়েছেন। ফলে ১৫ টাকা কেজির চাল না পেয়ে তারা ফুরসন্দি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। ফুরসন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিকদার আগের চেয়ারম্যানের করা তালিকা হালনাগাদ করতে টালবাহানা করায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে বলে মোক্তারপুর গ্রামের উপকারভোগী সাজু ও মহিউদ্দীন অভিযোগ করেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খোন্দকার তাজউদ্দীন আহম্মেদ জানান, সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ১৯৭ জন। কিন্তু অনলাইনে তালিকা হয়েছে ১৩ হাজার ৪৯০ জনের। এখনো বাকী রয়েছে ২৭০৭ জনের।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, সাধুহাটী ইউনিয়নে ৫৭ জন, মধুহাটী ইউনিয়নে ১৪৫ জন, সাগান্না ইউনিয়নে ১৩৮ জন, হলিধানী ইউনিয়নে ১৯৮ জন, কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নে ১৩২ জন, গান্না ইউনিয়নে ২৪১ জন, মহারাজপুর ইউনিয়নে ১৯২ জন, পাগলাকানাই ইউনিয়নে ১৯৪ জন, পোড়াহাটী ইউনিয়নে ১০৬ জন, হরিশংকরপুর ইউনিয়নে ১০৩ জন, পদ্মাকর ইউনিয়নে ৭৩ জন, দোগাছি ইউনিয়নে ৫০ জন, ঘোড়শাল ইউনিয়নে ৯৬ জন, কালীচরণপুর ইউনিযনে ৯০ জন, সুরাট ইউনিযনে ৭৭ জন, নলডাঙ্গা ইউনিয়নে ১৩৫ জন ও ফুরসন্দি ইউনিয়নে ৬৮৪ জন উপকারভোগীর অনলাইন বাকী রয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাসান আলী জানান, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের সামাজিক দলের লোক না হওয়ায় অনেক উপকারভোগীকে ইচ্ছাকৃত ভাবে অনলাইনে তালিকা করছে না। এ নিয়ে ইউনিয়নে ইউনিয়নে ক্ষোভ বাড়ছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তারা বলছেন, সার্ভার ডাউন থাকায় তারা অনলাইনে কাজ করতে পারছেন না। ফুরসন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিকদারের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহিন জানান, আমি সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের ফোনে ও সরাসরি বলেছি দ্রুত অনলাইনে তালিকা করতে। কিন্তু অনেক ইউনিয়নে গাফলতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত কার্ডধারী সবাই সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল পাবেন, হতাশ হওয়ার কারণ নেই।
এএজেড

সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতিতে আহত ৬ অভিনয়শিল্পী হাসপাতালে
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১২ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪৭ পিএম

মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে চলমান সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে খেলতে নেমে দুই দলের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে। সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় ৬ জন শিল্পী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ও দীপঙ্কর দীপনের টিম। খেলা চলাকালীন মাঠের বাইরে থাকা দুই দলের সতীর্থদের মধ্যে উত্তেজনা ছাড়িয়ে পড়ে, যা মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
তবে ম্যাচ শেষে রাত সাড়ে ১১টার পর আবারও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। সেখানে নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ ও অভিনেতা শরিফুল রাজ গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ করেছেন নায়িকা রাজ রিপা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
দীপনের দলের খেলোয়াড়দের একজন অভিনেতা মনির হোসেন শিমুল অভিযোগ করে বলেন, তারা বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে আমাদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। এটা কোন ধরনের সিসিএল খেলা? এখানে তো ক্রিকেট খেলছে না তারা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে।
একই দলের আরেক খেলোয়াড় চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী বলেন, রাজ ভাইয়ের টিম থেকে আমাদের দলের ওপর আক্রমণ শুরু করে। তারা বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসেছে। আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে একজনকে তুলে নিয়ে মারধর করতে শুরু করে। এর মধ্যে মৌসুমী হামিদ আহত হন।
ঘটনার বিষয়ে দীপঙ্কর দীপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অফিসিয়ালি বক্তব্য দেব। এখানে গোপন করার কিছু নেই। আমি মনে করি, ঢালাওভাবে শিল্পী সমাজের ওপর এর দায় চাপানো খুবই ভুল হবে। আমরা সবাই ব্যাপারটা নিয়ে খুবই মর্মাহত। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, শিল্পী নাম ধরে কিছু অশিল্পী মানুষ আমাদের মধ্যে ঢুকে গেছে, যারা আসলে পুরো অরাজকতা তৈরি করেছিল।
তবে এ ঘটনার পরপরই দল নিয়ে মাঠ থেকে বেড়িয়ে যান মোস্তফা কামাল রাজ। ফলে তার কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগে (সিসিএল) মোট আটটি দলে ভাগ হয়ে লড়ছেন শোবিজের তারকারাসহ কলাকুশলীরা। প্রতি দলে নারী-পুরুষ তারকারা অংশ নিচ্ছেন। এসব দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিহাব শাহীন, চয়নিকা চৌধুরী, দীপংকর দীপন, সকাল আহমেদ, মোস্তফা কামাল রাজ ও রায়হান রাফী।

জাতীয় স্কুল ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪৮ পিএম

'যদি লক্ষ্য থাকে অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে,হবেই হবে দেখা দেখা হবে বিজয়ে'-গানটির এ লাইন আবারো প্রমান করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিটি ম্যাচে একের পর এক দুর্দান্ত জয় দিয়ে অবশেষে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
আজ (রোজ শনিবার) সকাল ৯ ঘটিকায় সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অঘোষিত ফাইনাল খেলায় চাপা অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ ছিল
গোলাপ অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়। এ ম্যাচে পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়কে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। একটি করে গোল করে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিমন, শাওন ও শাকিল।
৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয় লীগ ভিত্তিক। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগে থেকেই লীগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল পর্যায়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আজকের ম্যাচে কমপক্ষে ড্র বা ১ পয়েন্ট দরকার ছিল।
অঘোষিত ফাইনাল খেলায় শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ দলের উপর একের পর এক আক্রমণে কুপোকাত করে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা। এর ফলও তারা পায় ম্যাচের মাত্র ৩৬ মিনিট। গৌরব কর্মকার লিমনের অসাধারণ গোলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড পায় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণের ধার আরো বাড়িয়ে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় খেলোয়াড়েরা। এবার জ্বলে ওঠে গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা স্ট্রাইকার শাওন। দুর্দান্ত এক গোল করে শাওন। ম্যাচের ঠিক শেষ দিকে আর একটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে শাকিল। আর সেই সাথে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত হয়।
ম্যাচে শেষের বাঁশি বাজার সাথে সাথেই মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও শিক্ষকরা আবেগে আপ্পলুত হয়ে পরে।
মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এটা তাদের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন আর সেই সাথে সকলের সাপোর্ট ও ভালোবাসার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৯ এএম | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪৭ পিএম

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আব্দুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার। তিনি বলেন, বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। শনিবার রাত ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উকিল আব্দুল সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ ভূঞা ও রহিমা খাতুনের সংসারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন দীর্ঘদিন। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাও ছিলেন।