শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নওগাঁয় ৬ শতাধিক গ্রাহকের ১৫ কোটি টাকা নিয়ে উধাও আব্দুর রাজ্জাক

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় ‘ডলফিন সেভিং এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে গ্রাহকের প্রায় ১৫ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই সংস্থায় জীবনের শেষ সঞ্চয় রেখে সর্বশান্ত হয়েছে অন্তত ৬ শতাধিক গ্রাহক। টাকা ফেরত পাবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে গ্রামের সহজ-সরল মানুষরা। কষ্টের অর্জিত টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছেন তারা।

অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ সদর উপজেলার ফতেপুর বাজারে ২০১৩ সালে সমবায় থেকে নিবন্ধন নিয়ে ‘ডলফিন সেভিং এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা গড়ে তুলেন একই গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। যেখানে বিভিন্ন গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্থায়ী আমানত ও ক্ষুদ্র সঞ্চয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। গ্রাহকদের প্রতি লাখে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মুনাফা দিতেন। হঠাৎ করেই এ সংস্থার পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক উধাও হয়ে গেছেন। গত এক সপ্তাহ থেকে ওই অফিসের প্রধান গেটে তালা ঝুঁলছে। গ্রাহকরা অফিসে এসে তালা দেখে ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন গ্রাহকরা।

বাড়তি লাভের আশায় কেউ মেয়ের বিয়ের জন্য, কেউ বিদেশ যাওয়ার জন্য, কেউ বা গরু-ছাগল বিক্রির টাকা আবার কেউ দিনমজুরি করে টাক আয় করে জীবনের শেষ সঞ্চয় রেখেছিলেন এ সংস্থায়। মুনাফাও পেতেন তারা। তবে বিপত্তি বাঁধে মুল টাকা ফেরত চাইলে। এতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠে পরিচালকের বিরুদ্ধে। হঠাৎ করে সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করে পরিচালক পালিয়ে যাওয়ায় এখন গ্রামের সহজ-সরল মানুষ পথে বসার উপক্রম।

স্থানীয়রা জানান- সঠিক তদারকির অভাবে নামে-বেনামে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে বিভিন্ন সংস্থা। গ্রামের সরল-সরল মানুষদের বেশি লাভের প্রলোভন দিয়ে টাকা গুছিয়ে নিয়ে একসময় পালিয়ে যায়। এ সংস্থাটি অন্তত ৬ শতাধিক গ্রাহকের ১৫ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে।

ফতেপুর গ্রামের দিনমজুর আলম হোসেন কান্না জড়িত সুরে বলেন- অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চলে। দিন আনা দিন খাওয়া অবস্থা। দুই মেয়ে। তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গত কয়েক বছর বছরে এ সংস্থায় দেড় লাখ টাকা সঞ্চয় করেছিলাম। কিন্তু আমার সব শেষ হয়ে গেলো। এখন পথে বসা ছাড়া আর কেউ উপায় দেখছি না।

অফিসের সামনে গ্রাহকেরা। ছবি: সংগৃহীত

নরসুন্দর সাইদুল ইসলাম বলেন- কাজ করে সংসারের খরচ বহনের পাশাপাশি প্রায় এক লাখ টাকা গুছিয়ে গত কয়েক বছর আগে এ সংস্থায় রেখেছিলাম। প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা করে লাভ পেতাম। টাকার প্রয়োজন হওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে ঘুরে ঘুরে ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। গত কয়েকদিন থেকে অফিস তালাবদ্ধ। মালিক আব্দুর রাজ্জাককে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার বাড়িতেও তালা দেয়া।

গৃহবধু মাসুদা বানু বলেন- বাড়ির পাশেই এনজিও। বিদেশ যাওয়ার জন্য দুই লাখ টাকা রেখেছিলাম। বলতে গেলে আমার কাছ থেকে জোর করেই দশ মাস আগে টাকা নিয়েছে আব্দুর রাজ্জাক। লাখে আড়াই হাজার টাকা লাভ দেয়ার কথা থাকলেও দুই হাজার করে দিয়েছে। গত চার মাস থেকে মুল টাকা নেয়ার জন্য তাগাদা দিয়ে আসছিলাম। টাকা না দিয়ে সময়ক্ষেপন করছিলো এবং হুমকিও দিচ্ছিল। এখনতো পালিয়ে গেছে। টাকা পাবো কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পার করছি।

গৃহবধু নাহিদা আক্তার বলেন- স্বামীকে না জানিয়ে এ সংস্থায় দেড় লাখ টাকা রেখেছিলাম। স্বামী পরে জানতে পারে। এ নিয়ে ঝগড়াও হয়। আমরা যারা টাকা রেখেছে সবারই কষ্টের টাকা। কষ্টে উপার্জিত টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।

আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ির দরজা তালাবদ্ধ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

আব্দুর রাজ্জাক এর গ্রামের বাড়ি ফতেপুর পূর্বপাড়া গিয়ে দেখা যায় সেখানে কেউ না থাকায় বাড়ির মুল দরজায় তালাবদ্ধ। তবে আব্দুর রাজ্জাক এর বড় ভাইয়ের বাড়িতে বসবাস করছেন তার বাবা-মা। আব্দুর রাজ্জাকের মা মরজিনা বেগম বলেন- ছেলে এক সময় বিদেশ ছিলো। এরপর গ্রামে এসে বিভিন্ন দোকানে কাজ করে। এরপর একটি এনজিও (বেসরকারি সংস্থা) দেয়। গত কয়েকদিন থেকে ছেলেকে দেখা যাচ্ছে না। তবে কিভাবে কত টাকা লেনদেন করেছে একমাত্র ছেলেই বলতে পারবে বলে জানান তিনি।

নওগাঁ জেলা সমবায় অফিসার খোন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেন-গত বছরের জুনে ওই সংস্থা পরিদর্শন করে ৩৮ লাখ টাকা আমানতের তথ্য পাওয়া যায়। তবে ৬ মাসের ব্যবধানে কোটি কোটি টাকা কিভাবে লেনদেন হয়েছে যা অসম্ভব। তবে সমিতিকে সামনে রেখে বা সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ব্যক্তিগত ভাবে গোপনে আত্মসাতের জন্য লেনদেন করেছে কিনা সে বিষয়টিও দেখা হবে। গত কয়েকদিন আগে কয়েক ভুক্তভোগী এসে টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে। যদি এ ধরণের কোন সত্যতা পাওয়া যায় তবে ওই সংস্থার নিবন্ধন বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

বই ছাপার কাগজ কেনায় ৪০০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ

নেতৃত্ব দিয়েছেন এনসিপি যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বই ছাপার জন্য কাগজ কেনাকে ঘিরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এই দুর্নীতির পেছনে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। অভিযোগ রয়েছে, এনসিটিবি ও সচিবালয়ের একাধিক জায়গায় প্রভাব খাটিয়ে তদবির ও বাণিজ্য করেছেন তিনি।

সূত্র বলছে, পাঠ্যবই পরিমার্জনের নামে সময়ক্ষেপণের সুযোগে তানভীর ও তার ঘনিষ্ঠ একটি চক্র এনসিটিবিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কয়েক হাজার টন কাগজ আমদানি করায় এবং শুল্ক মওকুফ করিয়ে নেয়। এই আমদানিকৃত কাগজ প্রেস মালিকদের বাজারমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে কিনতে বাধ্য করা হয়। এতে প্রতি টনে ৫০ হাজার টাকা করে বেশি আদায় করা হয়, যার মাধ্যমে প্রায় ৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুধু আমদানিকৃত কাগজ নয়, দেশীয় কাগজ সরবরাহের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট প্রেস মালিকদের চাপ প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে তানভীরের বিরুদ্ধে। এভাবে পুরো প্রক্রিয়ায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে।

গাজী সালাউদ্দিন তানভীর এনসিটিবির চেয়ারম্যানের নাম ব্যবহার করে একপ্রকার অলিখিতভাবে বোর্ডের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এনসিটিবির কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ কেনায় বাধ্য করা হয়।

এই অভিযোগ সামনে আসার পর এনসিপি গত ২১ এপ্রিল এক চিঠির মাধ্যমে গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়। চিঠিতে জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধ প্রভাব এবং এনসিটিবির কাগজ কেনায় কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধানে নেমেছে। দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, গোপন তথ্য যাচাই শেষে প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।

তানভীরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতিপত্র না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে নিয়মিত সেখানে প্রবেশ করতেন এবং বিভিন্ন বদলির তদবিরে জড়িত ছিলেন।

তবে সংবাদ সম্মেলন করে তানভীর তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ১৩ মার্চ কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যদি এক পয়সা দুর্নীতির প্রমাণ মেলে, আমি নিজেই দল থেকে পদত্যাগ করব।’

তিনি দাবি করেন, ‘১০০ কোটি টাকার কাগজ কেনা হয়েছে, অথচ বলা হচ্ছে ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এসব তথ্য বিভ্রান্তিকর।’

তবে রাজনৈতিক মহল ও সংশ্লিষ্ট মহলে তানভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক আলোচনা চলছে। একটি টক শোতে তাঁকে ডিসি নিয়োগে তিন কোটি টাকার চেক গ্রহণে সংশ্লিষ্ট থাকার বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়।

এনসিটিবির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্য দুর্নীতির অভিযোগ ও তাতে রাজনৈতিক দলের নেতার সম্পৃক্ততা প্রশাসনিক ও নীতিগত প্রশ্নও তুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ায় ম্যাচ বয়কটের দাবি ভারতীয়দের!

ছবি: সংগৃহীত

এক সপ্তাহের স্থগিতাবস্থা কাটিয়ে আইপিএল ২০২৫ মৌসুম শুরু হচ্ছে আবারও ১৭ মে থেকে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার জেরে টুর্নামেন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। তবে আইপিএল ফের শুরুর আগে এক সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্কে জড়িয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস ও বিসিসিআই।

বিতর্কের মূল কারণ, বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে দিল্লির দলে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে। ১৪ মে দিল্লি ঘোষণা করে, অস্ট্রেলিয়ান তরুণ ব্যাটার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের বদলে মুস্তাফিজকে নেওয়া হয়েছে। জ্যাক ভারতে ফিরে আসতে রাজি হননি, তাই বিসিসিআইয়ের বিশেষ নিয়ম মেনে দিল্লি বদলি ক্রিকেটারকে হিসেবে মুস্তাফিজকে দলে নেয়।

তবে এই সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি অনেক ভারতীয় ক্রিকেট ভক্ত। তারা বিসিসিআই ও দিল্লি ক্যাপিটালসের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন এবং দিল্লির ম্যাচ বয়কটের ডাক দিয়েছেন। এমনটায় জানায় ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকে বলছেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে।

বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হওয়া হামলার প্রেক্ষিতে অনেকেই বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ভারতে খেলার বিরোধিতা করছেন। বিসিসিআই এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বদলি খেলোয়াড় নেওয়ার অনুমতি দিলেও, ভক্তদের একাংশ মনে করছেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশের ক্রিকেটারকে এখনই নেওয়া উচিত হয়নি।

দিল্লি ক্যাপিটালসের এমন সিদ্ধান্ত ঘিরে এই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র বিতর্ক চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

জাপান থেকে আরও বেশি সহজ শর্তের ঋণ এবং বাজেট সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। একইসঙ্গে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার টোকিওতে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) আলোচনায় বাংলাদেশের তরফে এসব অনুরোধ করা হয়।

বৈঠকে আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জাপান থেকে আরও অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) ঋণ, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো এবং বাজেট সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও এর সংস্কার উদ্যোগগুলোর প্রতি জোরাল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে জাপান। বলেছে, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। রাজনৈতিক আস্থা গভীর করা, উন্নয়ন কৌশলকে অগ্রাধিকার এবং ‘কৌশলগত অংশীদারত্বের’ পুরোপুরি অর্জনে একমত হয়েছে উভয়পক্ষ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এলডিসি-উত্তরণের পরও বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার অনুরোধও ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে জাপান। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ফল ও সবজির প্রবেশাধিকার নিয়েও একযোগে কাজ করার কথা বলেছে। রোহিঙ্গা পুর্নবাসন নিয়েও কাজ করার বলেছে দেশটি।

অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির (ইপিএ) অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে চলতি বছরই তা স্বাক্ষরের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছে উভয় দেশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাপান বলেছে, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভসের (বিগ-বি) আওতায় বাংলাদেশের জন্য উচ্চ মানসম্পন্ন অবকাঠামো নিশ্চিতের জন্য আরও জোরালভাবে সম্পৃক্ত হবে দেশটি। একইসঙ্গে জাপানি উদ্যোক্তাদের কারখানা ও সরবরাহ চেইন বাংলাদেশে স্থানান্তরের কথাও বলেছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন জাপান সফর নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বই ছাপার কাগজ কেনায় ৪০০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ
আইপিএলে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ায় ম্যাচ বয়কটের দাবি ভারতীয়দের!
জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইল বাংলাদেশ
নির্বাচনের নাম শুনলে সরকারের গা জ্বলে: মির্জা আব্বাস
ডিসি পরিবর্তন করতে এনসিপি সংগঠক নাহিদের বিরুদ্ধে তদবিরের অভিযোগ!
রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়ি ‘সুন্দর মহলে’ হামলা-ভাঙচুর
প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ ৯ স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
মাহফুজ জাতীয় ঐক্য ভেঙে ফেলার মাস্টারমাইন্ড : রাশেদ খাঁন
তদবির বাণিজ্য: এনসিপির সাবেক নেতা তানভীরসহ ৪ জনকে দুদকে তলব
বাংলাদেশের জন্য পুনরায় উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
মুফতি স্বামীর বিরুদ্ধে হ্যাপির মামলা, ৯ বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ
সাম্য হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে: রিজভী
মেট্রোরেলে ২৪ পদে ১২০ জনের চাকরির সুযোগ
৫ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি ভিক্ষুককে ফেরত পাঠালো সৌদি আরব
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিলো ডিএসসিসি
চুরির টাকায় ফ্রিজ-আলমারি কিনে ধরা খেল কেয়ারটেকার
সাকিবকে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা জরিমানা করল বিএসইসি
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক বিডিআরের ২৭ জওয়ান
বেনাপোল কাস্টমসে দ্বিতীয় দিনের মতো কলম বিরতি, স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানি
ইন্টারনেট সেবায় বিভ্রাট, গ্রামীণফোনের কাছে ব্যাখ্যা চাইল বিটিআরসি