
বৈশাখের ভোরে ঘন কুয়াশা নওগাঁয়!
১৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৫৪ এএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২৯ এএম

বাংলা পঞ্জিকার পাতায় ৩ বৈশাখ। গ্রীষ্মের দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত। কিন্তু বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে যেন হঠাৎ খেয়ালি হয়ে উঠেছে নওগাঁর প্রকৃতি। এমন দৃশ্য এর আগে কখনোই দেখেননি বলে জানিয়েছেন প্রবীণরা। গ্রীষ্মের প্রথম সপ্তাহে কালবৈশাখী বা বজ্রবৃষ্টির আভাসও নেই। তীব্র দাবদাহের পর ভোরের এমন স্নিগ্ধ কুয়াশায় মন ভুলেছে অনেকের।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) ভোরে দৃশ্যটা ছিল পুরোপুরিই শীতকালের মতো। যদিও শীতকালে যে ধরনের তাপমাত্রা থাকে সেটি ছিল না। সূর্যোদয়ের পর পরই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় সবুজ প্রকৃতি। সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখতে পায়নি নওগাঁবাসী। কয়েক দিন তাপমাত্রা বাড়ার পরও কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি বৃষ্টির দেখা নেই । এরপরই হঠাৎ প্রকৃতির এমন আকস্মিক পরিবর্তন দেখে তাই সবাই অবাক! সচারাচর এমনটি হওয়ার কথা নয়।
বদলগাছী উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য মতে, বৈশাখ মাসে এমন সময় কুয়াশায় পড়ার ঘটনা বিরল। বৈশাখে নওগাঁয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির উপরে উঠে গেছে। গতকাল নওগাঁর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। পবিত্র রমজানে এমন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় অনেকেই তৃপ্তি ও প্রশান্তি নিয়ে প্রাতঃভ্রমণ সেরেছেন। মন খুলে হেঁটেছেন। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া সকলের মন জুড়িয়ে দিচ্ছে গরমে স্বস্তি পেয়েছেন অনেকে।
নওগাঁর সদর উপজেলার সুলতানপুর এলাকার মিলন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সকালে ঢাকা থেকে নওগাঁ ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসি ৬টার দিকে। ভোরে নেমে দেখি প্রচণ্ড কুয়াশা। আমি এর আগে কখনো বৈশাখে এমন কুয়াশা দেখিনি।’
সদরের পার নওগাঁ এলাকার শামীম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘রমজানের জন্য ভোরে সেহেরি খেয়ে মসজিদে নামাজ পড়ে বের হয়ে দেখি প্রচণ্ড কুয়াশা। নামাজ পড়ে আসার সময় ধান, ঘাস ও লতাপাতার কচি ডগায় শিশির বিন্দু। আসলে এমনটি আগে কখনো হয়নি। মনে হচ্ছিল, এটি আমন মৌসুম না, বোরো মৌসুম। সাধারণত আমন মৌসুমে এমন দেখা যায়।’
এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রবিবার ভোরে সূর্যোদয় হলেও পরে কুয়াশা পড়ে। তবে আবার সূর্যের মুখ দেখা যায়। রবিবার নওগাঁতে সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৮ মিনিটে। ভোর ৬ টায় নওগাঁর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, এ রকম কুয়াশা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সাধারণত কোনো এলাকায় মেঘ নিচে নেমে এলে এবং তাপমাত্রা কম থাকলে মেঘলা আকাশের মতো আবহাওয়া বিরাজ করতে দেখা যায়।
এসএন

সেনাবাহিনীও নির্বাচনের মাঠে থাকবে: ইসি আলমগীর
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩০ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৯ পিএম

নির্বাচনকে প্রতিহত করতে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংস ঘটনা ঘটলেও তা ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেছেন, ভোটারদের ভালো উপস্থিতি থাকবে। নির্বাচনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে থাকবে সেনাবাহিনীও।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোহাম্মদ আলমগীর।
ইসি আলমগীর আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর বিদেশিদের চাপ একেবারেই নেই। তারা এসে আমাদের কাছে যেটা জানতে চান সেটা হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা কী কী কাজ করেছি। আমাদের প্রস্তুতি ও নির্বাচনের পরিবেশ দেখে এখন পর্যন্ত বিদেশিরা সন্তুষ্ট। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো সাজেশন দেওয়া হয়নি, চাপ তো নয়ই। বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনই সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছে।
নির্বাচনকে ঘিরে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নেই উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, যে কোনো কাজ করতে গেলেই চ্যালেঞ্জ থাকে। ছোটখাটো চ্যালেঞ্জ তো আছেই। তবে কর্মকর্তারা এমন কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেননি যেটা আমাদের কাছে বড় ইস্যু হিসেবে দেখা দিয়েছে।
প্রশাসনে রদবদলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচনে অতীতেও জেলা প্রশাসন পর্যায়ে কখনো কখনো পরিবর্তন করা হয়েছে, উপজেলা পর্যায়েও পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসার শর্ত হিসেবে যে দাবিগুলো তুলেছিল, এর মধ্যে একটা দাবি ছিল প্রশাসনের রদবদল করতে হবে। তার একটা অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
বিষয় : আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী-বাহিনী , ভোটার , ইসি , জাতীয়-নির্বাচন , সংসদ-নির্বাচন , নির্বাচন , নির্বাচন-কমিশন , ইসি-আলমগীর

শীত থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে?
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৪ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫০ পিএম

পোশাক পরার ক্ষেত্রে অনেকে প্যান্ট, পায়জামা লুঙ্গি টাখনুর নিচে পরে থাকেন, যা ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েয। এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘লুঙ্গির যে অংশ টাখনুর নিচে থাকবে তা জাহান্নামে যাবে।’ (বুখারি, হাদিস, ৫৭৮৭) জাহান্নামে গেলে শরীরের কোনো অংশবিশেষ যাবে না; বরং সমগ্র দেহই যাবে।
টাখনুর নিচে কাপড় পরার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, “যে ব্যক্তি অহংকার বশে তার লুঙ্গি মাটির সাথে টেনে নিয়ে বেড়াবে, কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি দৃষ্টি দিবেন না।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস, ৩৬৬৫)
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা টাখনুর নিচে কাপড় পরলে ধর্মের কী অসুবিধা? তার সরল উত্তর হলো, অসুবিধা ধর্মের নয়, অসুবিধা আমাদের নিজেদের। কারণ দুনিয়াতেও টাখনুর নিচে কাপড় পরার অপকারিতা কম নয়। পুরুষের পায়ের টাখনুতে থাকে টেস্টোস্টেরন নামক যৌন হরমোন, যা সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের প্রয়োজন। টাখনুকে ঢেকে রাখলে টেস্টোস্টেরন হরমোন শুকিয়ে যায়। যার প্রভাবে শরীরে অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়। শুক্রাণু কমে যায়। ফলে সহজে বাচ্চা হয় না। এ সমস্যাটি আমাদের সমাজে মহামারি আকার ধারণ করছে। তা ছাড়া টেস্টোস্টেরনের অভাব মস্তিষ্ক ‘ঘোলাটে’ করে দেয়। এতে মনোযোগ নষ্ট হয়। স্মৃতিশক্তিও কমে আসে ধীরে ধীরে।
অনেকে ইসলামের বিধান মেনে টাখনুর নিচে কাপড় পড়া থেকে বিরত থাকেন। তবে শীতের সময় ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে টাখনুর নিচে কাপড় পরতে চান। এবিষয়ে আলেমদের মতামত হলো- শীতের কারণেও টাখনুর নিচে কাপড় পরা যাবে না। কারণ এর সমাধান জায়েজ পদ্ধতিতে করা সম্ভব। সেটি হল, মোটা মোজা বা চামড়ার মোজা পরিধান করা। যেহেতু ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার বিকল্প ব্যবস্থা আছে, সেখানে নিষিদ্ধ কাজ করার কোন প্রয়োজন নেই।
তবে যদি কোথাও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকে, আর ঠান্ডার কারণে পা জমে যাওয়া বা মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, তাহলে টাখনুর নিচে জামা পরিধান জায়েজ হবে ইসলামি শরীয়তের এই মূলনীতির ভিত্তিতে, যেখানে বলা হয়েছ, তীব্র প্রয়োজন নিষিদ্ধ বস্তু হালাল করে দেয়। তবে যখনি তীব্র প্রয়োজন দূর হয়ে যাবে, সঙ্গেসঙ্গে আবার তা হারাম হয়ে যাবে এবং আবারও কাপড় টাখনুর ওপর উঠাতে হবে। (শরহু কাওয়ায়িদিল ফিক্বহিয়্যাহ লিজযারক্বা, কায়দা নং-২০)

নাসুমকে ডেকে কথা বলল বিসিবির তদন্ত কমিটি
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১২ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৭ পিএম

বড় রকমের প্রত্যাশা নিয়েই ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ৫০ ওভারের বৈশ্বিক এই মহাযজ্ঞে ৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটিতে জিতেছে লাল-সবুজেরা, এমনকি অপেক্ষাকৃত দুর্বল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও পরাজয়ের মুখ দেখেছে টাইগাররা। শুধু আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পেরেছে সাকিব-শান্তরা। এরমধ্যে লঙ্কানদের বিপক্ষে জয় আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে।
এদিকে বিশ্বমঞ্চে এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচকদের কাঠগড়ায় অধিনায়ক, কোচ, নির্বাচকসহ দল সংশ্লিষ্ট সবাই। এমন ভরাডুবির পেছনের কারণ উৎঘাটনে গত বুধবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই মধ্যে জোরেশোরে কাজও শুরু করেছে সেই কমিটি।
ক্রিকেটারদেরও সেই কমিটির কাছে নিজেদের হতশ্রী পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ক্রিকেটার নাসুম আহমেদ। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি। এরপর বিসিএল খেলতে আবারও সেখানে ছুটেন তিনি। এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, প্রধান কোচ নাকি এই স্পিনারকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও কেউই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায়নি।
এর আগে, রোববার (৩ ডিসেম্বর) থেকে কাজ শুরু করেছে এই তদন্ত কমিটি। প্রথমদিন বিকেলে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিসিবি অফিসে শুরুতেই আসেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। এরপর আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনকেও সেখানে দেখা যায়। তবে তাদের কেউই গণমাধ্যমে কথা বলেননি। তাদের দাবি, তদন্ত চলাকালে কথা বলা নিষেধ।
এই দুই নির্বাচকের পর সেখানে একে একে হাজির হতে থাকেন ক্রিকেটাররাও। কমিটির কাছে শুরুতে নিজের জবাব দেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। এদিন তদন্ত কমিটির সঙ্গে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজনও উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সন্ধ্যার দিকে সেখানে আসেন ওপেনার লিটন দাস। তদন্ত কমিটির কাছে আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা করেন তারা। বের হওয়ার সময়ে এই দুই ক্রিকেটারও মুখে কুলুপ আঁটেন। এরপর ধাপে ধাপে কোচ, অধিনায়ক সবার কাছ থেকেই ব্যাখ্যা চাইবে তদন্ত কমিটি।
প্রসঙ্গত, ৩ সদস্যবিশিষ্ট বিশেষ এই কমিটিতে আছেন এনায়েত হোসেন সিরাজ, মাহবুব আনাম ও আকরাম খান। এর মধ্যে সিরাজকে আহ্বায়ক এবং মাহবুব ও আকরামকে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিভাগ : খেলা
বিষয় : ওয়ানডে-বিশ্বকাপ-২০২৩ , ওডিআই-বিশ্বকাপ , ক্রিকেটার-নাসুম , টাইগাররা , বিসিবি , চ্যাম্পিয়নস-ট্রফি