শুক্রবার, ২ মে ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সিজেএম আদালত চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ। ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আদালত চত্বরের জুডিশিয়াল অফিসার্স টেনিস কোর্টে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও আদালতের কর্মকর্তারা জানান, কয়েকদিন ধরেই চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরের টেনিস গ্রাউন্ডে খেলা বন্ধ। এ জন্য রাতে গ্রাউন্ডে আলোও জ্বালানো হয়নি। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা একটি ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়। এই গ্রাউন্ডে আদালতের বিচারক ও কর্মকর্তারা খেলাধুলা করেন।

ঘটনার পর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আদীব আলী, জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুমার শিপন মোদক, পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশ সুপার মো. ছাইদুল হাসান জানান, একটা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে দেখছে। তবে এই বিস্ফোরণে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি বিস্ফোরণ বেড়ে যাওয়ায় শহরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সামনে থাকা সাত মাসকে ‘নির্ধারণমূলক সময়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার (১ মে) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সময়টাই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে হয় ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেবে, নয়তো পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি করবে।

শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ছয় গুণ বাড়ানোর উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এতে বন্দরের পণ্য ধারণক্ষমতা বাড়বে ৭.৮৬ মিলিয়ন টিইইউ পর্যন্ত, যা বাস্তবায়িত হলে দেশের রপ্তানি-ভিত্তিক অর্থনীতিতে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে।

তবে তিনি স্পষ্ট করেন, আন্তর্জাতিক বন্দর পরিচালনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব ছাড়া এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তার ভাষায়, “সফল হলে, এই অংশীদারিত্ব বৈশ্বিক বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠাবে: বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত।”

বিশ্বের রপ্তানিনির্ভর অর্থনৈতিক ইতিহাস প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ব্রেটন উডস চুক্তি ও পরবর্তী সময়ে গঠিত ডব্লিউটিও-ভিত্তিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। এই শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, চীন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপমুখী রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে এগিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া এ দৌড়ে পিছিয়ে থাকলেও এখন বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এসেছে। “আমরা কি এই মুহূর্তকে কাজে লাগাতে পারবো?”—এই প্রশ্ন রাখেন তিনি।

শফিকুল আলম মনে করেন, রাজনীতি এখানে একটি মূল ভূমিকা রাখবে। আশাব্যঞ্জক দিক হিসেবে তিনি বলেন, এমনকি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এখন ব্যবসাবান্ধব মনোভাব গড়ে উঠছে।

তবে এই সম্ভাবনার পথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন লজিস্টিক বা পরিবহন ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে। তার মতে, “বৃহৎ পরিমাণ পণ্য দ্রুত ও কার্যকরভাবে পরিবহণের সক্ষমতা শিগগিরই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়বে। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে, বাংলাদেশ যে একটি উৎপাদনশীল শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়—সে স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়বে।”

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ আজ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শুক্রবার (২ মে) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিকেল ৩টায় শুরু হতে যাওয়া এ কর্মসূচিতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপি জানিয়েছে, ‘গণহত্যায় জড়িত’ অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের বিচার এবং দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশের আয়োজন করছে দলটির ঢাকা মহানগর শাখা।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ আর কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তারা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের আস্থা হারিয়েছে এবং রাজনীতি করার নৈতিক অধিকারও খুইয়েছে। এখন সময় এসেছে দ্রুত বিচার করে দলটিকে নিষিদ্ধ করার।'

হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগের কেউ আর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার রাখে না। আসন্ন নির্বাচন পরিচালনার জন্য নতুন যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, তার উচিত হবে এই বিষয়ে দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া।' তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, 'যদি ফ্যাসিবাদ পুনরায় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়, তবে তা জনগণ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিহত করবে।'

 

 

Header Ad
Header Ad

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অব্যাহতি দিলেন ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১ মে) হোয়াইট হাউজ থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সাময়িকভাবে এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, মাইক ওয়াল্টজকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল। ট্রাম্প পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় ওয়াল্টজের কাজের প্রশংসা করে বলেন, “তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় কঠোর পরিশ্রম করেছেন।” একই সঙ্গে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ওয়াল্টজকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করা হবে।

সাবেক কংগ্রেসম্যান এবং সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট গ্রিন বেরেটের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মাইক ওয়াল্টজ সম্প্রতি হোয়াইট হাউজের অভ্যন্তরে সমালোচনার মুখে পড়েন। বিশেষ করে মার্চ মাসে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের একটি ‘সিগন্যাল চ্যাট’ কেলেঙ্কারিতে তার নাম উঠে এলে তা নিয়ে প্রশাসনের ভেতরেই অসন্তোষ তৈরি হয়।

হোয়াইট হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, “যখনই কোনো জটিলতা আসে, আমি রুবিওকে ডাকি। এবং সে সব ঠিক করে ফেলে।”

মার্কো রুবিও দায়িত্ব পালন করবেন যতদিন না নতুন একজন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়। এই পদটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব বহন করে এবং এর জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হয় না। এর আগে ১৯৭০-এর দশকে হেনরি কিসিঞ্জার একইসঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

রয়টার্স আরও জানিয়েছে, ওয়াল্টজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অ্যালেক্স ওয়াংকেও পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ওয়াং উত্তর কোরিয়া বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।

এদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি বড় ধরনের অদলবদল চলছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে অন্তত ২০ জন কর্মকর্তা বরখাস্ত হয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার পরিচালককে পদচ্যুত করা হয়েছে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ তিনজন রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্তকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, এসব পরিবর্তনের ফলে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ভেতরে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ প্রেসিডেন্টের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী প্ল্যাটফর্ম, যা বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ আজ
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অব্যাহতি দিলেন ট্রাম্প
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর রাতভর হামলা, নিহত আরও ৩১ ফিলিস্তিনি
উত্তরায় হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ, ৮ নারী ও ৯ পুরুষ আটক
রিয়াজ-ফেরদৌস-চঞ্চল-শাওনসহ ১৪ শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা
দুই সপ্তাহের মধ্যে সোনার দাম সর্বনিম্ন, ভবিষ্যতে বাড়ার ইঙ্গিত বিশ্লেষকদের
সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ১১৩৭ জন
খুচরা বাজারে কমেছে চালের দাম
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. নাজমুল করিম, সম্পাদক আনিসুজ্জামান
ঢাকার ২২ মোড়ে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বসছে সংকেতবাতি, কতটা কার্যকর হবে?
প্রথম দল হিসেবে আইপিএল থেকে বিদায় নিলো চেন্নাই সুপার কিংস
ইসকন নেতা চিন্ময়ের জামিন নিয়ে সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিল হাসনাত আব্দুল্লাহ
করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার করার দাবি টিইউসির
‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে ভারতে ভাঙা হচ্ছে মুসলমানদের বাড়ি (ভিডিও)
জিআই সনদ পেল কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ‘খাদি’
জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি থেকে বিরত থাকার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
আইপিএলে ‘রোবট কুকুর চম্পক’ নিয়ে আইনি বিপাকে বিসিসিআই
ট্র্যাফিক সিগন্যালে গাড়ি থামানোর সময় এমপিকে গুলি করে হত্যা