শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

কুড়িগ্রামে পূণ্যস্নান উৎসবে ব্রহ্মপুত্র পাড়ে ভক্তদের ঢল

গেল বছরগুলোর তুলনায় এই বছর কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূণ্যস্নান উৎসবে ভক্তদের অংশগ্রহণ দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর থেকে পূণ্যস্নান উৎসব শুরু হয়। এই বছর উৎসবটি বুধবার হওয়ায় এটিকে বুধাষ্টমী বলা হয়। প্রতি এক যুগ পর পূণ্যস্নান উৎসব বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। বুধাষ্টমীতে পূণ্যস্নান উৎসবে অংশগ্রহণ করে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করলে অধিক প্রশান্তি আসে বলে জানিয়েছেন হিন্দুধর্মাবলম্বীরা।

ব্রহ্মপুত্র পাড়ে পূণ্যস্নান উৎসবে আসা হিন্দু পুরোহিত কানাই চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, বুধাষ্টমীতে পূণ্যস্নান উৎসবে অংশগ্রহণ সকলের জীবনে কম আসে। তাই বুধাষ্টমীতে পূণ্যস্নান উৎসব হলে ভক্তদের ঢল নামে। এ বছরও পূণ্যস্নান উৎসবটি বুধবার হওয়ায় ভক্তদের উপস্থিতি অনেক বেশি। ভক্তরা ব্রহ্মপুত্র নদের জলে স্নান করে ভগবানের কাছে পাপ মোচন ও প্রশান্তির জন্য প্রার্থনা করেন।

পূণ্যস্নানে অংশ নেওয়া বাসন্তী রানী (৪০) বলেন, গেল তিন যুগ থেকে প্রতি বছরই তিনি ব্রহ্মপুত্র পাড়ে পূণ্যস্নান উৎসবে অংশগ্রহণ করছেন। এ বছর বুধাষ্টমীতে পূণ্যস্নান উৎসব হওয়ায় বেশি শান্তি অনুভব হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের জলে স্নান করে ভগবানের কাছে পাপমোচন ও প্রশান্তির জন্য প্রার্থনা করি। ভগবান আমাদের প্রার্থনা শুনে পাপমোচন ও প্রশান্তি লাভের পথ প্রশস্ত করে দেন।’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটা এলাকা থেকে আসা ভক্ত নরেন্দ্র নাথ দাস (৭৭) জানান, তিনি প্রায় ৪০ বছর আগে ভারতে চলে যান। ভারতে বসবাস করেও তিনি প্রতি বছর ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে পূণ্যস্নান উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে। এখন আর তেমন চলতে পারছি না। সন্তানদের সাথে নিয়ে এবার পূণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করেছি। হয়তো এরপর নাও আসতে পারি।’

ব্রহ্মপুত্র পাড়ে পূণ্যস্নান আয়োজক কমিটির সদস্য মনীন্দ্র দাস বলেন, গেল ৩০০ বছর ধরে ব্রহ্মপুত্র পাড়ে পূণ্যস্নান উৎসব হয়ে আসছে। প্রতি বছর বাংলা চৈত্র মাসের শেষ অথবা বৈশাখ মাসের প্রথম দিকে এ উৎসব হয়। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল ও ভারতের কোচ বিহার, জলপাইগুড়ি ও আসাম থেকে বিপুল সংখ্যক ভক্ত এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। পূণ্যস্নান উৎসব উপলক্ষে এখানে মেলা বসে। মেলায় সকল ধর্মের মানুষজন অংশগ্রহণ করেন। এ বছর ব্রহ্মপুত্র পাড়ে পূণ্যস্নান উৎসবে এক লাখেরও বেশি ভক্তের সমাগম ঘটেছে বলে জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণভাবে পূণ্যস্নান উৎসব করতে পারেন সেজন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল। তাই শান্তিপূ্ণভাবে পূণ্যস্নান উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর পূণ্যস্নান উৎসবটি বুধাষ্টমী তিথিতে পড়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের ভিড় ছিল অনেক বেশি।

এসআইএইচ

পাবনায় চা পানের সময় ‘হিটস্ট্রোকে’ একজনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

তীব্র থেকে তীব্র দাবদাহ পুড়ছে পাবনা জেলা। অসনীয় গরমে অতিষ্ঠ জেলার জনজীবন। এদিকে তীব্র দাবদাহে পাবনা শহরে চা পানের সময় হিটস্ট্রোকে সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে শহরের রূপকথা রোডের পাশের একটি দোকানে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুকুমারকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সুকুমার শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা ছিলেন।

এদিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডকরা হয়েছে, যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরমও) ডা. জাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছিল সঠিকভাবে এখনো বলা যাচ্ছে না মৃত্যুর কারণ তবে প্রাথমিকভা বে ধারণা করা হচ্ছে, হিট স্টকে মারা যেতে পারে সুকুমার দাস।

এদিকে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, কয়েকদিন ধরেই পাবনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ডকরা হয়েছে। আজকে রেকর্ডকরা হয়েছে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে , এ বছর এতো তাপমাত্রা রেকর্ডহয়নি। এ তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনই বলা যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর অন্যান্য জেলার তথ্য নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত জানানো হবে।

মানুষ কি হাঁস-মুরগির মতো সাপের ডিমও খেতে পারে?

ছবি: সংগৃহীত

ডিম খেতে সকলেই কম-বেশি ভালোবাসে৷ ছোট থেকে বড় সকলেই ভালোবাসে ডিম খেতে৷ হাঁস হোক বা মুরগি ডিমের পুষ্টিগুণের কথা সকলেরই জানা৷ কিন্তু সাপের ডিমও কি হাঁস-মুরগির ডিমের মতো খাওয়া যায়?

সাপের নাম শুনলেই ভয়ে শিউরে ওঠেন সকলেই৷ শুধু তাই নয়, সাপ কতটা বিষাক্ত সেটাও সকলে জানেন৷ তবে সাপের ডিম খাওয়া নিয়ে অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে৷ সত্যিই কি সাপের ডিম খাওয়া যায়৷ সাপের ডিম খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়বে তা জানলে রীতিমতো চমকে যাবেন৷

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Quora-তে অনেকেই অদ্ভুত প্রশ্ন করে৷ এবং সেখানেই একজন প্রশ্ন করেছেন,মানুষ কি মুরগির মতো সাপের ডিমও খেতে পারে?

উত্তরে জানা গেছে, সাপের ডিম ঠিকমতো রান্না করে খাওয়া যায়। এটি অনেক দেশে খাওয়া হয়। সুমিত কুমার নামে এক ব্যবহারকারী জানান, যে সাপের ডিম নিষিক্ত হয়নি সেগুলো খাওয়া যায়। এসবই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া প্রশ্নের উত্তর। এবার জেনে নিন নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলি এই সম্পর্কে কী বলে।

ওয়াইল্ডলাইফ ইনফরমার ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাপের ডিম সঠিকভাবে রান্না করে খাওয়া প্রয়োজন। মুরগির ডিমের মতো, সাপের ডিমেও প্রচুর প্রোটিন থাকে এবং খুব পুষ্টিকরও হয়।

সাপের ডিম খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়বে? জানা গেছে, সাপের ডিম বিষাক্ত নয়। তবে ঠিকমতো রান্না করা সাপের ডিম না খেলে পেট ব্যথা বা অন্য কোনও সমস্যায় ভুগতে পারেন। এমন অনেক দেশ আছে যেখানে সাপ ও সাপের ডিম খাওয়া হয়। যেমন-ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, চীন, জাপানের মতো কিছু দেশ আছে যেখানে সাপ এবং ডিম উভয়ই খাওয়া হয়। সূত্র: নিউজ১৮ বাংলা

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে গৃহবধূর আত্মহত্যা

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় পারিবারিক কলহের জেরে হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে জেলার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া পাঁচপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের আজাহারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ঝর্না খাতুন।

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, আজহারুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্না। প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে সম্প্রতি দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্নার সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছিল। শনিবার রাতে আজহারুলকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় ঝর্না। পরে ঘুমন্ত স্বামীর হাত-পা বেঁধে গোপনাঙ্গ কেটে নেয়। এক পর্যায়ে ঝর্নাও ঘুমের ওষুধ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ভোরে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তাদের অবস্থা অবনতি হলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সামেক) ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের রেজিস্টার ডা. মানস কুমার জানান, সামেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে ঝর্না খাতুন মারা গেছেন। স্বামীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

পাবনায় চা পানের সময় ‘হিটস্ট্রোকে’ একজনের মৃত্যু
মানুষ কি হাঁস-মুরগির মতো সাপের ডিমও খেতে পারে?
হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে গৃহবধূর আত্মহত্যা
একাত্তরের শরণার্থীদের স্মরণে নওগাঁয় প্রতীকী পদযাত্রা ‘রোড টু বালুরঘাট’
অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
স্বর্ণের দাম কমলো
উপজেলা নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কমিটি গঠন বন্ধ ঘোষণা
তীব্র গরম, চুয়াডাঙ্গায় হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি নেতা আউয়াল মিন্টু
শ্যালক রুবেলকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক
তীব্র তাপপ্রবাহ: সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা
এক গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ ‘বংশমর্যাদা’
ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরেছে ৪০৭ প্রাণ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কে কত ভোট পেলেন?
সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি
চাঁদপুরে চলন্ত লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ যাত্রীদের
গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করার নির্দেশ
ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় যা জানালেন বেনজীর আহমেদ
স্বামীর প্রশংসা করার দিন আজ