মুখে পানির পাইপ ঢুকিয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ২

২৫ মে ২০২৩, ০৮:৩১ পিএম | আপডেট: ০২ জুন ২০২৩, ০৮:১১ এএম


মুখে পানির পাইপ ঢুকিয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ২

রংপুরে মুখের ভেতর পানির পাইপ ঢুকিয়ে পাম্প চালু করে দ্বিতীয় স্ত্রী জোসনা বেগম (৪০) কে হত্যার দায়ে স্বামী মো. আইনুল হক আয়ান ও তার প্রথম স্ত্রী মোছা. হাসিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

বুধবার (২৫ মে) রাত ১টার দিকে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার গোপালদী গাজীপুরা এলাকা থেকে মো. আইনুল হক আয়ান (৪২), ও মোছা. হাসিনা বেগম (৪১)কে গ্রেপ্তার করা হয়।

মো. আইনুল হক আয়ান নগরীর বীরভদ্র বালাটারীর মাহিগঞ্জ থানা এলাকার মো. হোসেন আলীর ছেলে। আর মোছা. হাসিনা বেগম আইনুল হকের প্রথম স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ।

তিনি জানান, গত ১৯ মে বিকালে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ থানার বীরভদ্র বালাটারী গ্রামের মো. আইনুল হক আয়ান তার স্ত্রী জোসনা বেগমকে খুন করেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আসামি আইনুল হক প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে জোসনা বেগমকে ১৬ বছর আগে বিয়ে করেন। এর মধ্যে তিনি ৩ সন্তানের জন্ম দেন। পরে আইনুলের প্রথম বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। গত ১৮ মে সকাল ১০টার দিকে কিস্তি ও বাজারের খরচের টাকা চাইলে প্রথম স্ত্রী হাসিনা বেগমকে নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী জোসনাকে বেধড়ক মারধর করেন আইনুল। এতে গুরুতর আহত হন জোসনা। তাকে হাসপাতালে না নিয়ে ঘরে আটকে রাখে আইনুল।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গত ১৯ মে বিকালে আইনুল তার প্রথম স্ত্রী ও বন্ধু মিলন মিয়াকে নিয়ে জোসনাকে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে জোসনার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার মুখের ভেতর পানির পাইপ ঢুকিয়ে পানির পাম্প চালু করে দেন। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জোসনাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ২০ মে নিহতের বোন বাদী হয়ে মাহিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। গতকাল ২৪ মে রাত ১টার দিকে র‍্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী গাজীপুরা এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

র‌্যার আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আসামিদের মাহিগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এসজি