বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাজধানীতে যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে ট্রাফিকের মামলা

‘মিরপুর থেকে কাওয়ান বাজার পর্যন্ত এসেছি। তিনবার রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র চেক করেছে ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন অজুহাতে মামলা দেয়, যার কারণে আমরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই।’ কথাগুলো বলছিলেন, লাব্বাইক পরিবহনের কন্ডাক্টর ফিরোজ হোসেন।

রাস্তায় যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে ট্রাফিক পুলিশ মামলা দেয়। একই অভিযোগ শিকড় পরিবহনের চালক জয়নাল হোসেনেরও। যানবাহনের চালকদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ কমিশনের আশায় বেশি বেশি মামলা দিচ্ছে। অবশ্য ট্রাফিক পুলিশ বলছে, এখানে ট্রাফিক পুলিশের কমিশন নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জরিমানার অর্থের পুরোটাই যায় সরকারের কোষাগারে।

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও মোটরযান আইন যথাযথ বাস্তবায়নে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী চালক ও গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা-জরিমানা হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। সড়কে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে অকারণেই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দোষী হতে হচ্ছে। চালকরা ভাবেন, ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা জরিমানার ভাগের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেন।

জানা যায়, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার, ট্রাফিক পুলিশের আদেশ অমান্য করা ও বাধা সৃষ্টি এবং তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো, উল্টো পথে গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, হেলমেট না পরে মোটরসাইকেল চালানো, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা, গাড়ির কাগজ আপডেট না থাকাসহ এমন অপরাধে মোটরযান আইনে মামলা হয়। এ ছাড়া গাড়ি চলন্ত অবস্থায় কালো ধোঁয়া বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা করতে পারেন।

ট্রাফিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সর্বোচ্চ মামলা হয় ডিএমপিতে। মামলার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯১১টি। এসব মামলায় জরিমানা আদায় হয় ৫০ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩০৩ টাকা। একই বছরে সারাদেশে মোটরযান আইনে মামলা হয়েছে মোট ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৯১২টি। এসব মামলায় ২২১ কোটি ৭ লাখ ৩১ হাজার ৪১৪ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

আর ২০২০ সালে সারাদেশে মোটরযান আইনে মোট মামলার সংখ্যা ৬ লাখ ১৩ হাজার ১৯টি। জরিমানার পরিমাণ ৭৭ কোটি ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ২৫৬ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে সারাদেশে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৩টি। আর জরিমানা আদায় বেড়েছে ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৫৮ টাকা।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ বলছে, শুধু ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের দায়ের করা মামলায় আদায় করা জরিমানা থেকে প্রতি মাসে সরকারের কোষাগারে জমা পাঁচ কোটি টাকারও বেশি।

গাড়ি চালকদের অভিযোগ, মামলা দেওয়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশ পাগল হয়ে যায়। এসব মামলা থেকে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা টাকা পান বা কমিশন পান। এজন্য তারা গাড়ি ধরার পর মামলার জন্য বেপরোয়া হয়ে যান।

রাজধানীর বাংলামটর মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের মামলার শিকার হওয়া মোটরসাইকেল চালক ইব্রাহীম অভিযোগ করে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমি গত মাসে ৫ হাজার টাকার মামলা খেয়েছি।’ কীভাবে এই মামলায় পড়লেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে রাস্তায় পুলিশ দাঁড়িয়ে বলল, কাগজ দেন, এরপর আমি কাগজ দেওয়ার পরে বলে পেছনের লোক হেলমেট খুলে বসে আছে, মাথায় দেয়নি এজন্য জোর করে পল্টন মোড়ে শায়রুল নামের এক ট্রাফিক সার্জেট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মামলা দেয়।

পাঠাও চালক ফাহাদ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কোরবানির ঈদের পর থেকে মোট ২টা মামলা খেয়েছি। একটি মামলা ২ হাজার টাকার, অন্যটি ৫ হাজার টাকার। একটি হলো পেছনের ব্যক্তির হেলমেট ছিল না, আর অন্যটি হলো- আমার লাইসেন্স ছিল না কাছে। তিনি বলেন, লাইসেন্স হারিয়ে যাওয়ার জিডিও ছিল না কাছে, যার জন্য মূলত মামলাটি দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট হান্নান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা সহজে কাউকে মামলা দিতে চাই না। অনেক চালক সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে এবং অনিয়ম করে এজন্য আমরা মামলা দিতে বাধ্য হয়।

ফার্মগেট এলাকায় হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন তুষার হোসেন। সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট তাকে থামিয়ে দুই হাজার টাকার মামলা দেন। দ্বিতীয়বারও একইভাবে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় দ্বিতীয়বার একই মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।

আজিমপুর এলাকায় কথা ২৭ নম্বর পরিবহনের চালক লাল মিয়ার সঙ্গে। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাস্তাঘাটে শুধু ট্রাফিক পুলিশ বিরক্ত করে এবং কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে মামলা দেয়।

ফার্মগেটে কথা হয় স্বাধীন পরিবহনের চালক আলামিনের সঙ্গে। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাজধানীতে গাড়ি চালানোর কোনো পরিবেশ নেই। ট্রাফিক পুলিশের মামলায় আমরা বিরক্ত।

শিকড় পরিবহনের চালক সেলিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ট্রাফিকের মামলায় আমরা জর্জরিত। তাদের অত্যাচারে রাস্তায় বের হওয়া যায় না। অনেক সময় যাত্রীরা হয়রানির শিকার হয়। তিনি বলেন, যদিও আমাদের কাগজপত্র সব সঠিক আছে। তারপরও ট্রাফিক রাস্তায় ধরে সময় নষ্ট করে।

বাংলামোটর মোড়ে কথা হয় বিহঙ্গ পরিবহন লিমিটেডের চালক আশরাফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি ঢাকা প্রকাশ-কে বলেন, ট্রাফিকের অত্যাচারে জর্জরিত আমরা। তারা অনেক সময় আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং মামলা দেয়। শুধু আমি না ট্রাফিকের মামলায় জর্জরিত অসংখ্য চালক। আপনি এ মামলার বিষয়টি নিয়ে চালকদের সঙ্গে কথা বলে দেখেন আমি সত্য বলছি না মিথ্যা বলছি। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর জানা উচিত।

অবশ্য ফার্মগেটে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. আরিফুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চালকেরা অন্যায় বা অনিয়ম করলে আমরা মামলা দিয়ে থাকি।

ট্রাফিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ করলে তো ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি ধরবেই। নতুন আইনে মামলায় জরিমানার অঙ্ক অনেক বেড়েছে।

শাহাবাগে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জন্টে খায়রুল আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকারের অন্যান্য সংস্থা কোনোকিছু উদ্ধার করলে সেখান থেকে ৩০ শতাংশ পায়। সেটা সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাদের খরচ বাবদ দেখাতে পারে। কিন্তু ট্রাফিক বিভাগে এমন কিছু নেই। মামলায় যদি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের কমিশন দেওয়া হতো তাহলে আমরা শুধু মামলাই দিয়ে যেতাম। এতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মধ্যে মামলা দেওয়ার প্রতিযোগিতা বেড়ে যেত।

শুলশানে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের সদস্য সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে। এসময় তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, অধিকাংশ গাড়িতেই কিছু না কিছু ত্রুটি থাকে। প্রতিদিন একশো গাড়ি ধরলে ইচ্ছা করলে ৫০ শতাংশের বেশি যানবাহনে মামলা দেওয়া যায়। কিন্তু এভাবে মামলা দিলে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

জানতে চাইলে ডিএমপি তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ট্রাফিক) এস এম শামীম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুলিশকে হেয় করার জন্য এই প্রচারটা চলেই আসছে। পুলিশ ইচ্ছা করে মামলা দেয় না। পুলিশ মামলা থেকে কমিশন পায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা থেকে আদায় হওয়া জরিমানা থেকে কমিশন পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা পুলিশে নেই। সেটা থাকলে সার্জেন্টরা দিনভর শুধু মামলাই দিত।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মামলার কোনো টাকা ট্রাফিক পায় না। সড়কে আইন অমান্য করায় যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়, তারা প্রায় মন্তব্য করেন, ওই মামলা থেকে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা টাকা পান। সাধারণ মানুষের এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।

তিনি বলেন, ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে পিওএস মেশিনে মামলা দিলে তা অনলাইন সিস্টেমে চলে যায়। মামলা থেকে পার্সেন্টেজের কোনো সুযোগ নেই। জরিমানার টাকা সরাসরি সরকারের তহবিলে জমা হয়।

এসএন

Header Ad

আওয়ামী লীগ আর কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আর কখনোই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, "আওয়ামী লীগ যে মতাদর্শ এবং প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করেছে, তাতে তাদের আর রাজনীতিতে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। যদি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে, তবে তা হবে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা। আমরা আমাদের জীবন থাকতে তা হতে দেব না।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পদত্যাগ করেননি। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, যা স্পষ্ট। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বাংলাদেশের ছাত্র জনতা। এ অবস্থায়, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার থাকবে কিনা, তা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। একটি ফ্যাসিস্ট দল কখনোই গণতান্ত্রিক কাঠামোতে রাজনীতি করতে পারে না।"

নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, "ওয়ান-ইলেভেনের সময় থেকে ফ্যাসিবাদী শাসনের সূত্রপাত হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের পর থেকে ছাত্র নেতৃত্বের উত্থান ঘটে। সরকার এই আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে দমন করতে চেয়েছিল। পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিহত হলে জনগণ রুখে দাঁড়ায়। আমাদের লড়াই ছিল আত্মমর্যাদা ও সম্মানের লড়াই।"

তিনি আরও বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে, তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তুলনা করা ভুল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি নির্ধারিত সময়ের জন্য নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। কিন্তু এবারকার সরকারকে সংস্কার করতে হবে। না হলে গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা মসৃণ হবে না।"

Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিবের নিয়োগ বাতিল এক দিনের ব্যবধানে

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

দিনের ব্যবধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একান্ত সচিব হিসেবে মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শাখা থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর একদিন আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশে গুরুত্বপূর্ণ এই পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক (পরিচিতি নং ২০৯), মহাপরিচালক এবং মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশন, বাংলাদেশ দূতাবাস, চীন-কে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তার চাকরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত অনিবার্য কারণে বাতিল করা হয়েছে।

মোজাম্মেল হক বর্তমানে বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার এবং ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচের সদস্য এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেন। তার পেশাগত জীবনে চীনে উপ-রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও মেক্সিকো ও যুদ্ধকবলিত লিবিয়ায় অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

Header Ad

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে প্রকাশিত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় বিশেষ করে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একাধিক হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্ন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। এসব ঘটনায় দেশের প্রধান গণমাধ্যমে প্রমাণ্য তথ্য প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু মামলায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণের ওপর আক্রমণ করে। এতে শতাধিক নিরপরাধ শিক্ষার্থীসহ আরও অনেকের জীবন বিপন্ন হয়। এ বিষয়ে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। এছাড়াও, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং আইনের তফসিল-২ এ 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' নামীয় সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগ আর কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিবের নিয়োগ বাতিল এক দিনের ব্যবধানে
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলো সরকার
আলোচিত সাবেক ইসি সচিব হেলাল উদ্দিন আটক
বিরামপুরে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: দেশের চার বন্দরের জন্য ঝুঁকি বেড়েছে
হাসপাতালেও দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
ঢাকায় আসছে উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল
সচিবালয়ে ঢুকে পড়া অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আটক
দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়লেন কিউই ব্যাটার
সরকারকে সন্দেহের চোখে দেখছে জনগণ: রিজভী
রোমানিয়া থেকে ৯ মাসে ২৬৮ বাংলাদেশিকে ফেরত
৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে সরকার
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
নেতানিয়াহুর বেডরুমে এবার হিজবুল্লাহর ড্রোনের আঘাত
ঢাবিতে কালো মুখোশ পরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
কথা দিচ্ছি ‘কেজিএফ থ্রি’ অবশ্যই হবে: যশ
১১ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
দেশে নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হোক সেটা চায় না বিএনপি: নজরুল ইসলাম