রাজধানীতে যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে ট্রাফিকের মামলা

০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:০৬ এএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৮ পিএম


রাজধানীতে যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে ট্রাফিকের মামলা

‘মিরপুর থেকে কাওয়ান বাজার পর্যন্ত এসেছি। তিনবার রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র চেক করেছে ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন অজুহাতে মামলা দেয়, যার কারণে আমরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই।’ কথাগুলো বলছিলেন, লাব্বাইক পরিবহনের কন্ডাক্টর ফিরোজ হোসেন।

রাস্তায় যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে ট্রাফিক পুলিশ মামলা দেয়। একই অভিযোগ শিকড় পরিবহনের চালক জয়নাল হোসেনেরও। যানবাহনের চালকদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ কমিশনের আশায় বেশি বেশি মামলা দিচ্ছে। অবশ্য ট্রাফিক পুলিশ বলছে, এখানে ট্রাফিক পুলিশের কমিশন নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জরিমানার অর্থের পুরোটাই যায় সরকারের কোষাগারে।

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও মোটরযান আইন যথাযথ বাস্তবায়নে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী চালক ও গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা-জরিমানা হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। সড়কে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে অকারণেই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দোষী হতে হচ্ছে। চালকরা ভাবেন, ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা জরিমানার ভাগের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেন।

জানা যায়, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার, ট্রাফিক পুলিশের আদেশ অমান্য করা ও বাধা সৃষ্টি এবং তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো, উল্টো পথে গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, হেলমেট না পরে মোটরসাইকেল চালানো, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা, গাড়ির কাগজ আপডেট না থাকাসহ এমন অপরাধে মোটরযান আইনে মামলা হয়। এ ছাড়া গাড়ি চলন্ত অবস্থায় কালো ধোঁয়া বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা করতে পারেন।

ট্রাফিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সর্বোচ্চ মামলা হয় ডিএমপিতে। মামলার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯১১টি। এসব মামলায় জরিমানা আদায় হয় ৫০ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩০৩ টাকা। একই বছরে সারাদেশে মোটরযান আইনে মামলা হয়েছে মোট ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৯১২টি। এসব মামলায় ২২১ কোটি ৭ লাখ ৩১ হাজার ৪১৪ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

আর ২০২০ সালে সারাদেশে মোটরযান আইনে মোট মামলার সংখ্যা ৬ লাখ ১৩ হাজার ১৯টি। জরিমানার পরিমাণ ৭৭ কোটি ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ২৫৬ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে সারাদেশে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৩টি। আর জরিমানা আদায় বেড়েছে ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৫৮ টাকা।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ বলছে, শুধু ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের দায়ের করা মামলায় আদায় করা জরিমানা থেকে প্রতি মাসে সরকারের কোষাগারে জমা পাঁচ কোটি টাকারও বেশি।

গাড়ি চালকদের অভিযোগ, মামলা দেওয়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশ পাগল হয়ে যায়। এসব মামলা থেকে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা টাকা পান বা কমিশন পান। এজন্য তারা গাড়ি ধরার পর মামলার জন্য বেপরোয়া হয়ে যান।

রাজধানীর বাংলামটর মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের মামলার শিকার হওয়া মোটরসাইকেল চালক ইব্রাহীম অভিযোগ করে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমি গত মাসে ৫ হাজার টাকার মামলা খেয়েছি।’ কীভাবে এই মামলায় পড়লেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে রাস্তায় পুলিশ দাঁড়িয়ে বলল, কাগজ দেন, এরপর আমি কাগজ দেওয়ার পরে বলে পেছনের লোক হেলমেট খুলে বসে আছে, মাথায় দেয়নি এজন্য জোর করে পল্টন মোড়ে শায়রুল নামের এক ট্রাফিক সার্জেট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মামলা দেয়।

পাঠাও চালক ফাহাদ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কোরবানির ঈদের পর থেকে মোট ২টা মামলা খেয়েছি। একটি মামলা ২ হাজার টাকার, অন্যটি ৫ হাজার টাকার। একটি হলো পেছনের ব্যক্তির হেলমেট ছিল না, আর অন্যটি হলো- আমার লাইসেন্স ছিল না কাছে। তিনি বলেন, লাইসেন্স হারিয়ে যাওয়ার জিডিও ছিল না কাছে, যার জন্য মূলত মামলাটি দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট হান্নান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা সহজে কাউকে মামলা দিতে চাই না। অনেক চালক সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে এবং অনিয়ম করে এজন্য আমরা মামলা দিতে বাধ্য হয়।

ফার্মগেট এলাকায় হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন তুষার হোসেন। সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট তাকে থামিয়ে দুই হাজার টাকার মামলা দেন। দ্বিতীয়বারও একইভাবে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় দ্বিতীয়বার একই মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।

আজিমপুর এলাকায় কথা ২৭ নম্বর পরিবহনের চালক লাল মিয়ার সঙ্গে। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাস্তাঘাটে শুধু ট্রাফিক পুলিশ বিরক্ত করে এবং কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে মামলা দেয়।

ফার্মগেটে কথা হয় স্বাধীন পরিবহনের চালক আলামিনের সঙ্গে। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাজধানীতে গাড়ি চালানোর কোনো পরিবেশ নেই। ট্রাফিক পুলিশের মামলায় আমরা বিরক্ত।

শিকড় পরিবহনের চালক সেলিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ট্রাফিকের মামলায় আমরা জর্জরিত। তাদের অত্যাচারে রাস্তায় বের হওয়া যায় না। অনেক সময় যাত্রীরা হয়রানির শিকার হয়। তিনি বলেন, যদিও আমাদের কাগজপত্র সব সঠিক আছে। তারপরও ট্রাফিক রাস্তায় ধরে সময় নষ্ট করে।

বাংলামোটর মোড়ে কথা হয় বিহঙ্গ পরিবহন লিমিটেডের চালক আশরাফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি ঢাকা প্রকাশ-কে বলেন, ট্রাফিকের অত্যাচারে জর্জরিত আমরা। তারা অনেক সময় আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং মামলা দেয়। শুধু আমি না ট্রাফিকের মামলায় জর্জরিত অসংখ্য চালক। আপনি এ মামলার বিষয়টি নিয়ে চালকদের সঙ্গে কথা বলে দেখেন আমি সত্য বলছি না মিথ্যা বলছি। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর জানা উচিত।

অবশ্য ফার্মগেটে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. আরিফুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চালকেরা অন্যায় বা অনিয়ম করলে আমরা মামলা দিয়ে থাকি।

ট্রাফিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ করলে তো ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি ধরবেই। নতুন আইনে মামলায় জরিমানার অঙ্ক অনেক বেড়েছে।

শাহাবাগে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জন্টে খায়রুল আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকারের অন্যান্য সংস্থা কোনোকিছু উদ্ধার করলে সেখান থেকে ৩০ শতাংশ পায়। সেটা সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাদের খরচ বাবদ দেখাতে পারে। কিন্তু ট্রাফিক বিভাগে এমন কিছু নেই। মামলায় যদি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের কমিশন দেওয়া হতো তাহলে আমরা শুধু মামলাই দিয়ে যেতাম। এতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মধ্যে মামলা দেওয়ার প্রতিযোগিতা বেড়ে যেত।

শুলশানে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের সদস্য সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে। এসময় তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, অধিকাংশ গাড়িতেই কিছু না কিছু ত্রুটি থাকে। প্রতিদিন একশো গাড়ি ধরলে ইচ্ছা করলে ৫০ শতাংশের বেশি যানবাহনে মামলা দেওয়া যায়। কিন্তু এভাবে মামলা দিলে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

জানতে চাইলে ডিএমপি তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ট্রাফিক) এস এম শামীম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুলিশকে হেয় করার জন্য এই প্রচারটা চলেই আসছে। পুলিশ ইচ্ছা করে মামলা দেয় না। পুলিশ মামলা থেকে কমিশন পায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা থেকে আদায় হওয়া জরিমানা থেকে কমিশন পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা পুলিশে নেই। সেটা থাকলে সার্জেন্টরা দিনভর শুধু মামলাই দিত।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মামলার কোনো টাকা ট্রাফিক পায় না। সড়কে আইন অমান্য করায় যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়, তারা প্রায় মন্তব্য করেন, ওই মামলা থেকে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা টাকা পান। সাধারণ মানুষের এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।

তিনি বলেন, ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে পিওএস মেশিনে মামলা দিলে তা অনলাইন সিস্টেমে চলে যায়। মামলা থেকে পার্সেন্টেজের কোনো সুযোগ নেই। জরিমানার টাকা সরাসরি সরকারের তহবিলে জমা হয়।

এসএন


ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৮ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১২ পিএম


ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছোটভাই কাদের মির্জা
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারই ছোটভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভুইঁয়ার নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

মনোনয়ন দাখিল শেষে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা আওয়ামী লীগের তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে দাখিল করেছি। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয় সেজন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো। বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বে আমাদের নেতার সুনাম জড়িয়ে আছে তাই তার আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। দলের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবো।

কাদের মির্জা আরও বলেন, নৌকাকে জয়যুক্ত করতে আমরা নিয়মিত মিটিং মিছিল করেছি। আগামী চার তারিখ থেকে কেন্দ্রভিত্তিক সভা করবো। এরপরে আমরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট ভিক্ষা করবো। আগামী সাত জানুয়ারিতে যেন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয় সেইজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এর আগে দলীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়ন দাখিল উপলক্ষ্যে বিশেষ দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন এই দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসন থেকে একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের এমপি। এ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকলেও জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলের প্রার্থী রয়েছেন।


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৩ পিএম


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩  বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।

যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

 


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৩ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১২ পিএম


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তর সালনা এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তর সালনা এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাসে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের সামনের অংশ পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

 

অনুসরণ করুন