শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

রাজধানীতে যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে ট্রাফিকের মামলা

‘মিরপুর থেকে কাওয়ান বাজার পর্যন্ত এসেছি। তিনবার রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র চেক করেছে ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন অজুহাতে মামলা দেয়, যার কারণে আমরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই।’ কথাগুলো বলছিলেন, লাব্বাইক পরিবহনের কন্ডাক্টর ফিরোজ হোসেন।

রাস্তায় যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে ট্রাফিক পুলিশ মামলা দেয়। একই অভিযোগ শিকড় পরিবহনের চালক জয়নাল হোসেনেরও। যানবাহনের চালকদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ কমিশনের আশায় বেশি বেশি মামলা দিচ্ছে। অবশ্য ট্রাফিক পুলিশ বলছে, এখানে ট্রাফিক পুলিশের কমিশন নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জরিমানার অর্থের পুরোটাই যায় সরকারের কোষাগারে।

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও মোটরযান আইন যথাযথ বাস্তবায়নে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী চালক ও গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা-জরিমানা হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। সড়কে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে অকারণেই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দোষী হতে হচ্ছে। চালকরা ভাবেন, ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা জরিমানার ভাগের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেন।

জানা যায়, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার, ট্রাফিক পুলিশের আদেশ অমান্য করা ও বাধা সৃষ্টি এবং তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো, উল্টো পথে গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, হেলমেট না পরে মোটরসাইকেল চালানো, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা, গাড়ির কাগজ আপডেট না থাকাসহ এমন অপরাধে মোটরযান আইনে মামলা হয়। এ ছাড়া গাড়ি চলন্ত অবস্থায় কালো ধোঁয়া বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা করতে পারেন।

ট্রাফিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সর্বোচ্চ মামলা হয় ডিএমপিতে। মামলার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯১১টি। এসব মামলায় জরিমানা আদায় হয় ৫০ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩০৩ টাকা। একই বছরে সারাদেশে মোটরযান আইনে মামলা হয়েছে মোট ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৯১২টি। এসব মামলায় ২২১ কোটি ৭ লাখ ৩১ হাজার ৪১৪ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

আর ২০২০ সালে সারাদেশে মোটরযান আইনে মোট মামলার সংখ্যা ৬ লাখ ১৩ হাজার ১৯টি। জরিমানার পরিমাণ ৭৭ কোটি ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ২৫৬ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে সারাদেশে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৩টি। আর জরিমানা আদায় বেড়েছে ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৫৮ টাকা।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ বলছে, শুধু ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের দায়ের করা মামলায় আদায় করা জরিমানা থেকে প্রতি মাসে সরকারের কোষাগারে জমা পাঁচ কোটি টাকারও বেশি।

গাড়ি চালকদের অভিযোগ, মামলা দেওয়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশ পাগল হয়ে যায়। এসব মামলা থেকে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা টাকা পান বা কমিশন পান। এজন্য তারা গাড়ি ধরার পর মামলার জন্য বেপরোয়া হয়ে যান।

রাজধানীর বাংলামটর মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের মামলার শিকার হওয়া মোটরসাইকেল চালক ইব্রাহীম অভিযোগ করে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমি গত মাসে ৫ হাজার টাকার মামলা খেয়েছি।’ কীভাবে এই মামলায় পড়লেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে রাস্তায় পুলিশ দাঁড়িয়ে বলল, কাগজ দেন, এরপর আমি কাগজ দেওয়ার পরে বলে পেছনের লোক হেলমেট খুলে বসে আছে, মাথায় দেয়নি এজন্য জোর করে পল্টন মোড়ে শায়রুল নামের এক ট্রাফিক সার্জেট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মামলা দেয়।

পাঠাও চালক ফাহাদ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কোরবানির ঈদের পর থেকে মোট ২টা মামলা খেয়েছি। একটি মামলা ২ হাজার টাকার, অন্যটি ৫ হাজার টাকার। একটি হলো পেছনের ব্যক্তির হেলমেট ছিল না, আর অন্যটি হলো- আমার লাইসেন্স ছিল না কাছে। তিনি বলেন, লাইসেন্স হারিয়ে যাওয়ার জিডিও ছিল না কাছে, যার জন্য মূলত মামলাটি দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট হান্নান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা সহজে কাউকে মামলা দিতে চাই না। অনেক চালক সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে এবং অনিয়ম করে এজন্য আমরা মামলা দিতে বাধ্য হয়।

ফার্মগেট এলাকায় হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন তুষার হোসেন। সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট তাকে থামিয়ে দুই হাজার টাকার মামলা দেন। দ্বিতীয়বারও একইভাবে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় দ্বিতীয়বার একই মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।

আজিমপুর এলাকায় কথা ২৭ নম্বর পরিবহনের চালক লাল মিয়ার সঙ্গে। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাস্তাঘাটে শুধু ট্রাফিক পুলিশ বিরক্ত করে এবং কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে মামলা দেয়।

ফার্মগেটে কথা হয় স্বাধীন পরিবহনের চালক আলামিনের সঙ্গে। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাজধানীতে গাড়ি চালানোর কোনো পরিবেশ নেই। ট্রাফিক পুলিশের মামলায় আমরা বিরক্ত।

শিকড় পরিবহনের চালক সেলিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ট্রাফিকের মামলায় আমরা জর্জরিত। তাদের অত্যাচারে রাস্তায় বের হওয়া যায় না। অনেক সময় যাত্রীরা হয়রানির শিকার হয়। তিনি বলেন, যদিও আমাদের কাগজপত্র সব সঠিক আছে। তারপরও ট্রাফিক রাস্তায় ধরে সময় নষ্ট করে।

বাংলামোটর মোড়ে কথা হয় বিহঙ্গ পরিবহন লিমিটেডের চালক আশরাফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি ঢাকা প্রকাশ-কে বলেন, ট্রাফিকের অত্যাচারে জর্জরিত আমরা। তারা অনেক সময় আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং মামলা দেয়। শুধু আমি না ট্রাফিকের মামলায় জর্জরিত অসংখ্য চালক। আপনি এ মামলার বিষয়টি নিয়ে চালকদের সঙ্গে কথা বলে দেখেন আমি সত্য বলছি না মিথ্যা বলছি। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর জানা উচিত।

অবশ্য ফার্মগেটে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. আরিফুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চালকেরা অন্যায় বা অনিয়ম করলে আমরা মামলা দিয়ে থাকি।

ট্রাফিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ করলে তো ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি ধরবেই। নতুন আইনে মামলায় জরিমানার অঙ্ক অনেক বেড়েছে।

শাহাবাগে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জন্টে খায়রুল আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকারের অন্যান্য সংস্থা কোনোকিছু উদ্ধার করলে সেখান থেকে ৩০ শতাংশ পায়। সেটা সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাদের খরচ বাবদ দেখাতে পারে। কিন্তু ট্রাফিক বিভাগে এমন কিছু নেই। মামলায় যদি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের কমিশন দেওয়া হতো তাহলে আমরা শুধু মামলাই দিয়ে যেতাম। এতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মধ্যে মামলা দেওয়ার প্রতিযোগিতা বেড়ে যেত।

শুলশানে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের সদস্য সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে। এসময় তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, অধিকাংশ গাড়িতেই কিছু না কিছু ত্রুটি থাকে। প্রতিদিন একশো গাড়ি ধরলে ইচ্ছা করলে ৫০ শতাংশের বেশি যানবাহনে মামলা দেওয়া যায়। কিন্তু এভাবে মামলা দিলে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

জানতে চাইলে ডিএমপি তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ট্রাফিক) এস এম শামীম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুলিশকে হেয় করার জন্য এই প্রচারটা চলেই আসছে। পুলিশ ইচ্ছা করে মামলা দেয় না। পুলিশ মামলা থেকে কমিশন পায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা থেকে আদায় হওয়া জরিমানা থেকে কমিশন পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা পুলিশে নেই। সেটা থাকলে সার্জেন্টরা দিনভর শুধু মামলাই দিত।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মামলার কোনো টাকা ট্রাফিক পায় না। সড়কে আইন অমান্য করায় যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়, তারা প্রায় মন্তব্য করেন, ওই মামলা থেকে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা টাকা পান। সাধারণ মানুষের এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।

তিনি বলেন, ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে পিওএস মেশিনে মামলা দিলে তা অনলাইন সিস্টেমে চলে যায়। মামলা থেকে পার্সেন্টেজের কোনো সুযোগ নেই। জরিমানার টাকা সরাসরি সরকারের তহবিলে জমা হয়।

এসএন

Header Ad
Header Ad

আল নাসরে রোনালদোর নতুন চুক্তি: ঘণ্টায় পাচ্ছেন ৬৫ লাখ টাকা, বছরে কত?

ছবি: সংগৃহীত

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সৌদি ক্লাব আল নাসরের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করলেন পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ইউরোপে ফেরার গুঞ্জনকে নস্যাৎ করে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত ক্লাবটিতে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করে আল নাসর।

ভিডিওটিতে সমুদ্রতটে হাঁটতে দেখা যায় রোনালদোকে। শেষ দৃশ্যে তার মুখে শোনা যায়—"আল নাসর ফরএভার।"

চুক্তির আর্থিক শর্তাবলি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা না হলেও, স্পেনের এএস এবং যুক্তরাজ্যের দ্য সান–এর বরাতে পাওয়া তথ্যে বোঝা যায়, এটি খেলাধুলার ইতিহাসে অন্যতম বিশাল চুক্তি।

এএস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোনালদোর নতুন বার্ষিক আয় হবে ৪৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার—যা টাকার অঙ্কে প্রায় ৫৭২০ কোটি টাকা! তার মাসিক আয় ৪৭৬ কোটি টাকারও বেশি, দৈনিক আয় প্রায় ১৫৭ কোটি টাকা। আর প্রতি ঘণ্টায় তার আয় দাঁড়ায় প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। প্রতি মিনিটে ১ লাখ ৯ হাজার ও প্রতি সেকেন্ডে রোনালদো আয় করছেন প্রায় ১,৮০০ টাকা!

দ্য সান-এর দাবি, রোনালদো আল নাসরের হয়ে গোল্ডেন বুট জিতলে পাবেন ৪০ লাখ পাউন্ড, আর ক্লাব যদি লিগ শিরোপা জেতে, মিলবে আরও ৮০ লাখ পাউন্ড বোনাস। প্রতিটি গোলেই থাকছে ৮০ হাজার পাউন্ড পুরস্কার, যা দ্বিতীয় বছরে ২০% বাড়বে।

এ ছাড়া চুক্তির আওতায় রোনালদো পেয়েছেন আল নাসরের ১৫% মালিকানা, যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৩ মিলিয়ন পাউন্ড। শুধু চুক্তি সইয়ের জন্যও মিলেছে অতিরিক্ত ২৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড, যা দ্বিতীয় বছরে পৌঁছাবে ৩৮ মিলিয়নে।

সার্বক্ষণিক ১৬ জন স্টাফ—ড্রাইভার, রাঁধুনি, নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে হাউসকিপার পর্যন্ত—রাখা হয়েছে রোনালদোর জন্য। রয়েছে প্রাইভেট জেট ব্যবহারের খরচ (৪০ লাখ পাউন্ড), এবং ৬০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের স্পনসরশিপ সুবিধাও।

এক সূত্র জানায়, “আল নাসর ও সৌদি কর্তৃপক্ষ জানে, রোনালদো শুধু একজন খেলোয়াড় নন, তিনি এই লিগের পোস্টার বয়। তাকে ধরে রাখতে হলে ‘সোনায় মোড়ানো’ প্রস্তাব দিতে হতো—আর সেটাই তারা করেছে।”

২০২২ সালের ডিসেম্বরে আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর থেকে ক্লাবটির হয়ে ১০৫ ম্যাচে ৯৩ গোল করেছেন রোনালদো। গত মৌসুমে সৌদি প্রো লিগে সর্বোচ্চ ২৫ গোল করে জিতেছেন গোল্ডেন বুট।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে কাপড়, পাট ও সুতার নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে ভারত। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আর স্থলবন্দর ব্যবহার করে এসব পণ্য দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের ‘নাহভা শেভা’ সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে এসব পণ্য ভারতে আমদানি করা যাবে।

শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্তবর্তী কোনো স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য, একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়, একক শণ সুতা, ব্লিচ না করা পাটের কাপড়— এসব পণ্য আমদানি করা যাবে না। এর পরিবর্তে শুধুমাত্র নির্ধারিত সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রবেশের অনুমতি থাকবে।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির উদ্দেশ্যে ভারতের ওপর দিয়ে পরিবাহিত বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। যদিও ওইসব পণ্য ভারতে পুনরায় প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।

এর আগে গত ১৭ মে ভারত একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তৈরি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রীর ক্ষেত্রে। সে সময়ও বলা হয়, এসব পণ্য শুধু নাহভা শেভা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়েই প্রবেশ করতে পারবে।

এছাড়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর বিভিন্ন স্থলবন্দর এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ফল, কার্বনেটেড পানীয়, তুলার বর্জ্য, পিভিসি পণ্য, কাঠের আসবাবপত্রসহ বেশ কিছু পণ্যের আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ থেকে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও চূর্ণী পাথর এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

Header Ad
Header Ad

‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা মারা গেছেন

শেফালী জারিওয়ালা। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডে ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জনপ্রিয় অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা আর নেই। মাত্র ৪২ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন এই গ্ল্যামারাস তারকা। তার আকস্মিক মৃত্যুতে বলিউড অঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোক।

ভারতীয় বিনোদনমাধ্যম পিংকভিলা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শেফালীর স্বামী অভিনেতা পারাস টাইগি তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই সব শেষ হয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানান, শেফালীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

শেফালী জারিওয়ালা। ছবি: সংগৃহীত

তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত না হলেও প্রাথমিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

২০০২ সালে 'কাঁটা লাগা' গানের রিমেক ভিডিওতে অভিনয়ের মাধ্যমে শেফালী জারিওয়ালা রাতারাতি বলিউডে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তুমুল আলোচিত ওই মিউজিক ভিডিওর পর তিনি বেশ কয়েকটি গানের ভিডিও এবং রিয়েলিটি শোতেও অংশ নিয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি ‘বিগ বস ১৩’-এ অংশ নিয়ে আবারও আলোচনায় আসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আল নাসরে রোনালদোর নতুন চুক্তি: ঘণ্টায় পাচ্ছেন ৬৫ লাখ টাকা, বছরে কত?
বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা মারা গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন আজ
ই-অরেঞ্জ-এর সিইও ও যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ গ্রেপ্তার
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ৪
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন
খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১