বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাক্ষাৎকার

প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট হকি খেলোয়াড় তৈরি করতে চান সাঈদ

ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণ কেন্দ্র পল্টন ময়দান। এক সময় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম নিয়ে যখন ফুটবল ও ক্রিকেটের মধ্যে কাড়াকাড়ি চলেছে, তখন মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম এককভাবে হকির জন্য বরাদ্দ। কিন্তু এ রকম একটি স্টেডিয়াম পেয়েও হকিতে প্রাণচাঞ্চল্য নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। লিগ হয়ে পড়ে অনিয়মিত। অনেক বিলম্বে সেখানে ফিরে আসে প্রাণচাঞ্চল্য। আর এটি সম্ভব হয়েছে ২০১৯ সালে হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মুমিনুল হক সাঈদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসার পর। কিন্তু মাঝে তিনি বেশ কিছু দিন সময় দিতে না পারায় আবার ঝিমিয়ে পড়েছিল। এরই মাঝে তিনি বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আবার ফিরে আসাতে, ফিরে আসতে শুরু করেছে হকির সেই প্রাণচাঞ্চল্য।

হকিতে আবার ফিরে আসার পর অনূর্ধ্ব-১৯ হকি দল বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে যাওয়ার আগে ভারত পাঠিয়ে অনুশীলন ও ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করেছেন। মেয়েদের হকি লিগ শুরু করতে যাচ্ছেন সহসাই। দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাবগুলকে নিজেরে পকেটের টাকা দিয়ে লিগ খেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে তৈরি করতে চান স্মার্ট হকি খেলোয়াড়। সামনে আবার হকি ফেডারেশনের নির্বাচন। হকি সংশ্লিষ্ট অধিকাংশই চান তিনি যেন আবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে আসেন। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি হকির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি ফিরে আসাতে হকিতে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?

সাঈদ: একজন সংগঠকের দক্ষতা তার সংগঠনিক পরিচয় বহন করে। আমি একজন সংগঠক হিসেবে শুধু হকি নয়, বেশ কিছু ইভেন্টের সঙ্গে জড়িত আছি। আমি যেখানে যখন যে দায়িত্ব পেয়েছি, চেষ্টা করেছি আমার মেধা সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সেটিকে উজ্জীবিত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমি মনে করি এটি আমার দক্ষতা। আজকের এই প্রাণপাঞ্চল্য বলেন আর উৎসাহ-উদ্দীপনা বলেন আমি আমার সংগঠনিত অভিজ্ঞতা-দক্ষতা থেকে এটি করতে পেরেছি বলে মনে করি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি যখন প্রথম নির্বাচিত হয়ে হকি ফেডারেশনে আসেন, তখনো দেখা গিয়েছিল একই রকম প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। তাহলে এটা কি বলা যায় হকি আপনার উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে?

সাঈদ: আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর হকিতে নতুন উদ্যোমে, নতুন করে যে কাজ শুরু হয়েছিল, তা এখনো আছে।সামনের দিনেও এই বিষয়গুলো অব্যাহত থাকবে। আমি এসে ফিজিক্যালি চেষ্টা করছি। ক্লাবগুলোর যে দাবি দাওয়ার বিষয় ছিল, জেলা-বিভাগের যে দাবি দাওয়ার বিষয়গুলো ছিল, তারা আশা করে থাকে তা পূরণের। আমি অবস্থান বিশ্লেষন করেই সেগুলো শুনেছি,পর্যলোচনা করেছি। তাদের আশ্বস্ত করেছি। কিন্তু আবার জাগরণে মতোই হকি মাঠে গড়াচ্ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি না থাকার সময় হকি আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল। এই সমস্যা এখন কি কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন?

সাঈদ: আসলে এটিকে অস্বীকার করার উপায় নেই ‘মানি ইজ সেকেন্ড গড’ কিংবা আমি-আপনি কেউ এটি বাদ দিয়ে চলতে পারব? পৃথিবীতে অর্থটাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হয়। এখানে ফিন্যান্সিয়াল বিষয়টা আপনাকে দেখতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে চেয়ার দখল করে বসে থাকলেতো চলবে না। আপনাকে পকেটের অর্থ খরচ করতে হবে। কোথাও যাতে কোনো কিছু আটকে না থাকে, সে চেষ্টা করতে হবে।

আসলে গার্জেনের উপর সব কিছু ডিপেন্ড করে। করোনাকালীণ সময়ে আমার ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে, আমার শারীরিক অসুস্থার কারণে, ফ্যামিলের মেম্বারদের অসুস্থার কারণে মাঝখানে বেশ কিছুদিন আমি সময় দিতে পারিনি। সে সময় আসলে অভিভাবক না থাকার কারণ, অর্থ না থাকার কারণে সব কিছু মন্থর গতিতে এগোচ্ছিল। আমি এসে যতটুকু পেরেছি, সেখান থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ হকি লিগ শেষ হয়েছে। শোনা যাচ্ছে এই সব ক্লাবগুলোকে আপনি ব্যক্তিগত অনুদান দিয়ে মাঠে নামানোর ব্যবস্থা করেছেন?

সাঈদ: ক্লাবগুলোর অর্থনৈতিক যে সমস্যা আছে তা আমি আন্তরিকতা দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করেছি। আমাদের দুভার্গ্য যে বর্তমান অর্থনীতি বিশ্লেষণ করলে লোকজন ডোনেট করত। এখন আর ক্লাবগুলোকে কেউ ডোনেশন করতে চায় না। জেলাগুলোতে কিছু বরাদ্দ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে থাকলেও ক্লাবগুলো জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। এ জন্য অনেক ক্লাব প্রতিকুল অবস্থায় রয়েছে। সেজন্য ক্লাবগুলোর কিছু দাবি-দাওয়া থাকে। কিছু সমস্যা থাকে। আমি আন্তরিকতা দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমার বন্ধুদের, আমার কমিটির সদস্যদের সাহায্য নিয়ে সেসব সমস্যা পূরণ করে হকিকে মাঠে রাখার জন্য।

ঢাকাপ্রকাশ: প্রিমিয়ার লিগ নিয়মিত হচ্ছে না। এটা নিয়মিত করার উদ্যোগ নেবেন কি?

সাঈদ: প্রিমিয়ার লিগ আমার সর্বোচ্চ আসর। কিন্তু আমি যদি তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তৈরি না করি, আমি যদি পাইওনিয়ার লিগ না করে, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগ লিগ না করে, শুধু প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে বসে থাকি, তাহলে জাতীয়ভাবে কোনোকিছু হবে না। আপনি যদি জাতীয় দলের খেলোযাড়দের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, পাইপ লাইনে খেলোয়াড় না থাকে. তাহলে তারা আপনার উপর চেপে বসবে। তারা যা বলবে তাই হবে। আপনাকে সবদিক নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে দেশের হকি এগিয়ে যাবে। এটি ঠিক প্রিমিয়ার লিগ সর্বোচ্চ। দেখা যাচ্ছে একটা বছর প্রিমিয়ার লিগ হয়েছে, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ লিগ হলো না। আপনি যদি ফুল লিগ শেষ করতে না পারেন, পরের লিগটা শুরু করতে পারছেন না। করোনার সময় আমাদের একটা গ্যাপ পড়ে গিয়েছিল। এই কারণে নিয়মিত হয়নি। আমি আস্বস্থ করতে পারি। নেক্সট ইয়ার থেকে প্রিমিয়ার লিগ প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হবে। ইয়ারলি যে ক্যালেন্ডার করেছি। সে অনুযায়ী হকিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মেয়েদের হকিতে প্রাণচাঞ্চল দেখা গিয়েছিল। আপনার অনুপস্থিতকালীন তা আবার ঝিমিয়ে পড়ে। মেয়েদের হকিটা আসলে এখন কী পর্যায়ে আছে?

সাঈদ: স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমার হাত ধরেই মেয়েরা আর্ন্তজাতিক হকিতে প্রথম অংশগ্রহণ করে। মেয়েদের ফেডারেশনে রেখে, ভারত থেকে কোচ এনে, দীর্ঘদিন অনুশীলন করিয়ে, এমনকি ভারত থেকে দল এনে অনুশীলন ম্যাচ খেলিয়ে মেয়েদের নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি প্রথম টুর্নামেন্টেই আমরা একটি ম্যাচে জয়লাভ করেছিলাম। আমাদের কিন্তু প্রাপ্তি ছিল। আমরা শূন্য হাতে ফিরে আসিনি। আমার প্রচেষ্টার কারণেই কিন্তু বিকেএসপিতে মেয়েদের যুক্ত করেছে। ইতিমধ্যে আমি মহিলা লিগ নিয়ে আলোচনা করেছি। অচিরেই ২/১ মাসের মাঝে মহিলা লিগ শুরু হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রিমিয়ারের টপ পাঁচটি ক্লাবকে নিয়ে এই লিগ শুরু করব। এতে করে মেয়েদের অর্থনৈতিকভাবে সলভেন্ট হবে। প্রতি বছর লিগ হলে আমরা আর্ন্তজাতিক টূর্নামেন্টের জন্য আমাদের দলও গঠন করতে পারব। কিন্তু একট টূর্নামেন্ট করলাম। টুর্নামেন্ট শেষে তারা আবার চলে গেল তাতে লাভ হবে না। ক্লাবকে অ্যাক্টিভ করতে হবে, জেলাগুলোকে অ্যাক্টিভ করতে হবে। আমি যতদিন আছি, ইনশাল্লাহ চেষ্টা করব এই ইভেন্টটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

ঢাকাপ্রকাশ: দেখা যায় যখনই নির্বাচন আসে, জেলাগুলো থেকে নিয়মিত কাউন্সিলার আসে। কিন্তু অনেক জেলাতেই নিয়মিত লিগই হয় না?

সাঈদ: একজন সংগঠক হিসেবে আমি চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। দেখুন হকি কিন্তু সাধারণ কোনো খেলা না। অনেক ব্যয়বহুল, আপানাকে মানতেই হবে। একটা ফুটবল দিয়ে ২২ জন খেলতে পারে। আপনি যদি ক্রিকেটের কথা চিন্তা করেন, সেখানেও কিন্তু এক সেট দিয়ে খেলা সম্ভব। কিন্তু হকিতে ২২ জনের জন্য ২২টা স্টিক লাগে।

গোলরক্ষকের গিয়ার্সের দাম লক্ষাধিক টাকার উপরে। চাইলেই প্রতি জেলা আয়োজন করতে পারে না। এ ছাড়া, সমান মাঠও লাগে। হকিটা ব্যয়বহুল হয়ে যাওয়ার কারণে জেলাগুলো নিয়মিত আয়োজন করতে পারে না। তারপরও আমার চেষ্টা আছে। আমি মাননীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছি। আমাদের যে ক্রীড়া বান্ধব প্রধানমন্ত্রী আছেন তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট খেলোয়াড় তৈরি করার জন‌ যে ভিশন নিয়ে তিনি কাজ করছেন, আমার মনে হয় আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে স্বার্থক করতে পারব। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট হকি খেলোয়াড় তৈরি করতে পারব।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার অনুপস্থিত কালীন সময়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের কার্যক্রমকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন।

সাঈদ: আমার ব্যক্তিগতভাবে দেখার কিছু নেই। কারও জন্য কিন্তু কোনো কাজ থেমে থাকবে না। কাজ চলবে। ওই সময়টা সুন্দরভাবে ফেডারেশন চলেছে। আমার সঙ্গে সব সময়ই যোগাযোগ ছিল। ফিজিক্যালি উপস্থিত হতে না পারলেও যে সকল পেপার্সে আমার সিগনেচারের প্রয়োজন ছিল, কিংবা যে বিষয়ে সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল আমি অনলাইনে সেগুলো করেছি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার অনুপস্থিতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হয়েছে। ফ্যাঞ্চাইজি লিগকে আপনি হকির এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কতটা সুফল বগে আনবে?

সাঈদ: আমরা সবাই সুন্দরের পূজারি। চাকচিক্যকে আমরা সবাই ভালোবাসি। বাংলাদেশে আমরাই দ্বিতীয় ফেডারেশন যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ করতে পেরেছি। বর্তমান অবস্থাকে বিশ্লেষণ করে, আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চলমান রাখার সর্বাত্নক সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এবং এটা চলমান থাকবে বলে আমি আশা করি।

ঢাকাপ্রকাশ: ফুটবল ও ক্রিকেটে আমরা দেখে থাকি যে তাদের মাদার সংগঠন ফিফা-আইসিসি বেশ ভালো পরিমান টাকা দিয়ে সহায়তা করে থাকে। এ ক্ষেত্রে হকি তাদের মাদার সংগঠনের কাছ থেকে কি পরিমান আর্থিক বা অন্যান্য সহয়তা পেয়ে থাকে।?

সাঈদ: ফিফা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী একটি সংগঠন। তাদের অর্থনৈতিক আয়ের কথা কল্পনাও করা যায় না। ক্রিকেটের সব দেশ কিন্তু আবার ধনী না। আমরা যেহেতু আর্ন্তজাতিক টুর্নামেন্ট করতে পারি, তাই টেলিকাস্ট থেকে আয় করে আমাদের ক্রিকেট বোর্ডও কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী একটা অবস্থানে আছে। এটা তারা নিজেদের যোগ্যতায় পৌঁছেছে। এটা কিন্তু আইসিসি থেকে কোনো বরাদ্দ পাওয়ার মাধ্যমে পৌঁছায়নি। আমাদের যে সংস্থাগুলো রয়েছে এফআইএইচ, এএইচএফ উনারা যে কিঞ্চিৎ বাৎসরিক অনুদান দেন, তার সম্পূর্ণটাই ইন্সট্রুমেন্টে চলে যায়। তা আমরা সারা দেশের হকির বিস্তারে কাজ করি। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের মাদার সংগঠনগুলো স্ট্রং না। সে ক্ষেত্রে এই বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।

ঢাকাপ্রকাশ: হকির মতো একটি ব্যয়বহুল খেলাকে এগিয়ে নিতে সরকারি সহযোগিতা কি আরও বাড়ানো প্রয়োজন?

সাঈদ: প্রত্যোক দেশের হকি সরকারের সাহায্য-সহযোগিতায়ই এগিয়ে যায়। বেশ কিছু দিন আগে উড়িষা রাজ্য সরকার ভারতে হকি ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ৮০০ কোটি রূপির। ইমাজিং, এটা চিন্তা করা যায়, একটা স্টেট হকির উন্নয়নের জন্য এভাবে চুক্তি করেছে। প্রত্যোক দেশই সরকারের তহবিল দিয়ে এগিয়ে যায়। সেভাবেই সারা বিশ্বে হকি এগিয়ে আসছে। আমাদেরও এই ধারাবাহিকতা আছে। সামনে এটি যদি আরও বৃদ্ধি হয়, স্পন্সরের যে সমস্যা রয়েছে, সেই সমস্যাগুলো যদি আমরা শেষ করতে পারি, আর প্রধানমন্ত্রী আমাদের আস্বস্ত করেছেন হকি ফেডারেশনের জন্য তিনি একটা বরাদ্দ করবেন। সেটা যদি আসে, আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কোনো কিছু আটকে থাকবে না। আমাদেরকে আর বলতে হবে না আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। তখন আমরা প্রানবন্তভাবে হকিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

ঢাকাপ্রকাশ: বাংলাদেশ থেকে প্রথম সংগঠক হিসেবে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এটা বাংলাদেশের হকির উন্নয়নে কতটা ভুমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন?

সাঈদ: আমি বাংলাদেশে থেকে সর্বপ্রথম ভোটে এএইচএফের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। আমি এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কাউন্সিলার হিসেবে। আমি ব্যক্তি সাঈদ সেখানে নির্বাচিত হইনি। আমি বিশ্বাসও করি না ব্যক্তি সাঈদের সেখানে কোনো অবস্থান হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ হকি যে সব কাজ করেছে, সেসব বিবেচনা করেই ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। আমি আমার মেধা দিয়ে যতটুকু সম্ভব যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। আমার এখন আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ রয়ে গেছে। আমি এএইচএফ থেকে আম্পায়ার, কোচিং, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট রয়েছে এসব সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবো। সর্বোপরি আমার দেশকে, আমার ৩০ লাখ শহীদের জাতীয় পতাকাকে সম্মানিত করার জন্য, আমার দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করার জন্য যা যা করতে হয়, আমি সেই চেষ্টা করে যাব।

ঢাকাপ্রকাশ: অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অনুশীলনের জন্য ভারতে পাঠাতে একে পর্যায়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। কারণ কী ছিল?

সাঈদ: ওয়ার্ল্ডকাপ কোয়ালিফাই যেহেতু আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট, আমি চেয়েছি ছেলেরা যাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারে। আপনারা জানেন যে ভারতের ভিসা পেতে এখন কতদিন সময় লাগে। কে বা কাহারা আমরা দল পাঠাবো না বলে মনগড়া খবর প্রকাশ করে। আমরা সে ব্যাপারে কোনো কিছু জানিও না। আমরা যখন আমাদের ভিসা হাতে পেয়েছি, ঈদের পরেই আমরা আমাদের দল পাঠিয়ে দিয়েছি। ৭টি ম্যাচ খেলে আমরা ৫টিতে জিতেছি। ২টিতে হেরেছি। পুরোদমে সেখানে আমাদের প্র্যাকটিস ম্যাচ হয়েছে। আমি আসলে হ্যাপি যে প্র্যাকটিস করার জন্য আমরা বাইরে দল পাঠাতে পেরেছি। যেভাবে হোক না কেন, যার হাত ধরেই হোক না কেন, আমরা যে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, এবং আমাদের যে পরিকল্পনা ও ইচ্ছেগুলো রয়েছে সেগুলো ফোকাস করতে পারছি। আমি স্বপ্ন দেখি ওয়ার্ল্ডকাপে কোয়ালিফাই করবে এবং বাংলাদেশের যুবারা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে দেশের মুখকে উজ্জ্বল করে তুলবে।

ঢাকাপ্রকাশ: দল পাঠানোর খরচ কি আপনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে বহন করেছেন, না স্পন্সরের মাধ্যামে?

সাঈদ: এ মুহূর্তে আমাদের হকি ফেডারেশনের সঙ্গে যে দুইট স্পন্সর ছিল তারা তাদের ব্যবসায়িক কারণে এই টুর্নামেন্টে আমাদের সাপোর্ট দিচ্ছে না। আমরা আমাদের নিজস্ব তহবিল থেকে, ব্যক্তিগত তহবিল থেকে, আমাদের কমিটির লোকজন প্রাণবন্তভাবে কাজ করেছে দলকে ভারত পাঠানো নিয়ে।

ঢাকাপ্রকাশ: হকি ফেডারশেনের নির্বাচন সামনে। আপনি কি আগামীতে আবার এই পদে দেখা যাবে?

সাঈদ: এনএসসি যখন তফসিল ঘোষণা করবে তখন সেটা পরবর্তি বিষয়। সেরকম কোনো চিন্তা-ভাবনা আমার এখন নেই। যেহেতু এখানে প্রক্রিয়ার বিষয় আছে, সেগুলো যখন সম্পন্ন হবে, ডিক্লেয়ারেশন আসবে, তখন দেখা যাবে। এ মুহূর্তে আমি টোটালি ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়ে ব্যস্ত আছি। দল কীভাবে সাফল্য নিয়ে আসা যায় সে প্রক্রিয়াতে আমি কাজ করছি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি ফিরে আসার পর ক্লাব, খেলোয়াড় মোট কথা কিছু সংখ্যক বাদ দিলে ম্যাক্সিমাম খুশি হয়েছেন। সবাই চাচ্ছে আপনি যদি আগামীতেও হকি লাভবান হবে?

সাঈদ: এটা আমি বলতে পারব না তারা কি চাচ্ছে। তারা বিশ্লেষন করতে পারেন। তাদের কাছ থেকে আপনারা তথ্য নিতে পারবেন। এখন আমাকে যদি প্রশ্ন করেন সবাই আমাকে পছন্দ করে কি না? ভালো জানে কি না-এর উত্তর দেয়ার মত যোগ্যতা আমার আছে কি না আমি জানি না। আমি কাজ করে যাব। আমি বিশ্বাস করি কাজ করলে সৃষ্ট কর্তা সেই কাজের মূল্যায়ন করেন। সমাজও সেই কাজের মূল্যায়ন করে।

এমপি/এএস

Header Ad

গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত

তথ্য অধিকার আইনের আওতায় গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার (৮ মে) রাজধানীর দারুস সালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘তথ্য অধিকার আইন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য অধিকার আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন সরকার নিশ্চিত করতে চায়। এ আইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে পাশ করা হয়। সরকার নিজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য এ আইন করেছে। তবে যেকোনো একটি আইন সমাজে তৈরি হলে, সে আইন বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে। এ আইনে যারা তথ্য নেবেন বা যারা তথ্য দেবেন দুই পক্ষেরই কিছু বোঝাপড়ার অভাব থাকতে পারে। এ আইন শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী করেছে। কিন্তু সে অস্ত্রের ব্যবহার না অপব্যবহার হবে সেটা বোঝা এবং এ আইনে যাদের কাছে তথ্য চাওয়া হবে তাদের মধ্যে একটি সংস্কৃতিগত রূপান্তর দরকার। তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় জড়তা থাকে। যেগুলো জনসম্পৃক্ত তথ্য, জনগণের যেটা অধিকার সে তথ্য দেয়ার বিষয়টি সরকার নিশ্চিত করতে চায়। গণমাধ্যমের সাংবাদিকদেরও তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে পেশাদার অ্যাপ্রোচ থাকা প্রয়োজন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইনের অধীন যে তথ্য চাওয়ার অধিকার আছে সে বিষয় নিয়ে অনেক সময় যারা তথ্য চাইবেন তাদের পক্ষ থেকেও কিছু ভুল বোঝাবুঝি থাকে। কোনো তথ্য সর্বসাধারণের জন্য এবং কোনো তথ্য গোপন তথ্য সেটার পার্থক্য করতে পারা জরুরি। কিছু তথ্য আছে স্পর্শকাতর যেগুলো গোপন আইনের অধীন রক্ষিত আছে, এগুলো সর্বসাধারণের জন্য নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক, বিটিআরসিসহ এ ধরনের অন্যান্য স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এসব কৌশল বাস্তবায়নের আগপর্যন্ত অনেক সময় গোপন রাখতে হয়। এগুলো প্রকাশ করলে অনেক সময় বৃহত্তর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকতা, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছানো এবং স্পর্শকাতর তথ্য এসবগুলোর মধ্যে ভারসাম্য করতে হয়। সেখানে প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ ও মিথস্ক্রিয়া সব পক্ষের করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছানো ও অপতথ্য মোকাবিলা করতে হবে। তবে সর্বসাধারণের জন্য তথ্য এবং জাতীয় স্বার্থে যেগুলোক পৃথিবীর সব দেশে স্পর্শকাতর ও গোপন তথ্য হিসেবে ধরা হয় সেগুলোর মধ্যে পার্থক্য নিরূপণের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আমরা সরকার ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে চাই। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অঙ্গীকার।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইনকে আমরা আরও প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা চাই, সাংবাদিকরা যেন এ আইন ব্যবহার করে আরও ক্ষমতাপ্রাপ্ত হোন, এ আইনের পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারেন এবং তার উপযোগিতা আমরা সমাজে পাই। একইসঙ্গে এ আইনের আমরা দায়িত্বশীল ব্যবহার দেখতে চাই। যাদের এ আইনের অধীনে তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে যেন তথ্য চাওয়া হলে সেটি দেওয়া হয়। জনগণের পক্ষ থেকে যখন গণমাধ্যম তথ্য চাইবে, সে তথ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক তথ্য যত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা হবে, ততো গুজব বা অপপ্রচার হওয়ার সুযোগ কম হবে।

তিনি আরও বলেন, যে তথ্য জনগণের বলে তথ্য অধিকার আইন নিশ্চিত করছে, সেই তথ্য গণমাধ্যমকে দিতে হবে। এ তথ্যগুলো যত দ্রুততার সঙ্গে সহজলভ্য করা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ এ ধরনের অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানের জন্য তত ভালো। আমাদের সবার এ মানসিকতা তৈরি করা দরকার যে, সঠিক তথ্য যত দ্রুত জনগণের কাছে চলে আসবে- এটা আমাদের জন্য মঙ্গল।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার চায় তথ্য অধিকার আইনের আওতায় যারা তথ্য দেবেন না, তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে যেন কোনো ধরনের জড়তা বা মানসিক বাধা না থাকে। সরকার আরও চায় সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দ্রুততম সময়ের মধ্যে তথ্য সহজলভ্য করুক। আর যারা তথ্য চাইবেন আমরা চাই তথ্য অধিকার আইন তারা সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই আইন ব্যবহারের সক্ষমতা তৈরি হোক সেটাও আমরা চাই; যাতে এ আইনের অপব্যবহার কেউ না করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য দেওয়া প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য সহজলভ্য করা হবে।

তিনি আরও যোগ করেন, অপসংবাদিকতা হলে তার সবচেয়ে বড় শিকার হয় পেশাদার সাংবাদিকরা। অপপ্রচার হলে পেশাদার সাংবাদিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সব আইনেই কিছু অসৎ ব্যক্তি অপব্যবহারের সুযোগ নিতে চায়। সেটা আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে; কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) ব্যবহার করে কোনো সাংবাদিকতার চর্চা আটকে দেওয়ার সুযোগ নেই। সিএসএ পেশাদার সাংবাদিকতাকে সুরক্ষা দেবে।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. খুরশীদ আলম।

দুই দিনের ঢাকা সফরে এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা দুই দিনের সফরে ঢাকা এসেছেন। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিশেষ ফ্লাইটে তিনি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর এ‌টি দি‌ল্লির কোনো প্রতি‌নি‌ধির প্রথম ঢাকা সফর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাঠানো দিল্লি সফরের আমন্ত্রণপত্র তুলে দেবেন। ওই দিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা ঢাকা সফরের সময় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারত আগামী জুন মাসের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের বিষয়টি মোটামুটি চূড়ান্ত করেছিল। এখন প্রধানমন্ত্রীর ওই সফর পিছিয়ে জুলাইয়ে আয়োজন করতে চাইছে ভারত। ঢাকা সফরের সময় বিনয় কোয়াত্রা এটি বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরতে পারেন।

ছেলে-পুত্রবধূর অপমান সইতে না পেরে বৃদ্ধ মা-বাবার বিষপান

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের গুরুদাসপুরে ছেলের ওপর অভিমান করে মা-বাবার এক সঙ্গে বিষ পানের ঘটনা ঘটেছে। স্বজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষপানে গুরুতর অসুস্থ বাবা-মা হলেন- মো. আলম শেখ (৬০) ও নাজমা বেগম (৫০)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলম শেখ বলেন, আমার দুই মেয়ে এক ছেলে। ছেলে সবুজ শেখকে সব জমি-জমা লিখে দিয়েছি। ছেলে কথা দিয়েছিল সংসারের সকল দায়িত্ব নেবে এবং আমার সব ঋণ পরিশোধ করবে। কিন্তু জমি লিখে নেওয়ার পর ছেলে কথা রাখেনি। এদিকে ঋণের কারণে পাওনাদারদের অপমান-অপদস্থ সহ্য করতে হচ্ছে। পাশাপাশি ছেলে ও ছেলের বউ এর দুর্ব্যবহার তো রয়েছেই। তাই অতিষ্ঠ হয়ে স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে বিষপান করেছেন বলে জানান তিনি।

মা-বাবার বিষপানে আত্মহত্যাচেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে ছেলে সবুজ শেখ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. স্নিগ্ধা আক্তার জানান, বিষপান করে দুজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে আলম শেখের স্ত্রী নাজমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
দুই দিনের ঢাকা সফরে এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
ছেলে-পুত্রবধূর অপমান সইতে না পেরে বৃদ্ধ মা-বাবার বিষপান
৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ হতে পারে আগামীকাল
জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট: প্রধানমন্ত্রী
ফের আলিয়া ভাটের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস!
‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক সিরাজ গ্রেপ্তার, দুই দিনের রিমান্ডে
এক লাফে ডলারের দাম বাড়ল ৭ টাকা
আজ বিশ্ব গাধা দিবস, পালন করা হয় যেভাবে...
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩০-৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসি
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাইকার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
বগুড়ায় ব্যালট পেপার বাইরে দেওয়ায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীর এজেন্ট আটক
জাতীয় দলে ফিরলেন সাকিব-মুস্তাফিজ-সৌম্য
ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল
মাদারীপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ, আহত ১০
দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে অনুসন্ধান চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভোট কারচুপির অভিযোগে ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভোট বর্জন
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুপক্ষের মারামারি, আহত ৫০
নওগাঁর ভোট কেন্দ্রগুলোতে নেই ভোটার উপস্থিতি