বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৭ ভাদ্র ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আর্জেন্টিনার বিদায়, অলিম্পিক ফুটবলের সেমিফাইনালে ফ্রান্স

আর্জেন্টিনার বিদায়, অলিম্পিক ফুটবলের সেমিফাইনালে ফ্রান্স। ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপ হারের মধুর এক প্রতিশোধই যেন অর্ধযুগ পেরিয়ে এসে নিজেদের মাটিতে নিল ফ্রান্স। প্যারিস অলিম্পিকের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। স্টেড মাটমুট আটলান্টিক স্টেডিয়ামে আলবিসেলেস্তেদের ১-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন মাতেতা।

শুক্রবার (২ আগস্ট) মাতমুট আটলান্টিকে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালে পুরো ম্যাচ জুড়ে অবশ্য আধিপত্য দেখিয়েছে আর্জেন্টিনাই। বল দখলেই হোক কিংবা লক্ষ্যে শট নেওয়া, সব দিকেই এগিয়ে ছিল হাভিয়ের মাসচেরানোর শিষ্যরা। কাঙ্ক্ষিত গোলটাই তারা কেবল পায়নি।

খেলার শুরুতেই গোল হজম করে আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচের ৫ মিনিটে মাইকেল ওলিসের ক্রসে হেডে বল জালে জড়ান ফিলিপ্পে মাতেতা। শেষ পর্যন্ত ওই একটি গোলই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়। ৭০ শতাংশ বল দখলে রেখেও সেই ক্ষতি আর পুষিয়ে নিতে পারেনি ২০০৪ ও ২০০৮ সালের স্বর্ণজয়ীরা।

উল্টো ৮৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার আনন্দে মেতেছিল ফ্রান্স। ওলিসের বাঁ পায়ের শট লক্ষ্যভেদ হলে উল্লাসে ফেটে পড়ে বোর্দোর গ্যালারি। কিন্তু ভিএআর চেকিংয়ের পর গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি।

পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনা শট নিয়েছিল ১৬টি, বিপরীতে ফ্রান্স নিয়েছিল ১০টি শট। আর লক্ষ্যেও আর্জেন্টাইনদের শট ছিল চারটি। বিপরীতে স্বাগতিকরা লক্ষ্যে শট নিতে পেরেছিল মাত্র দুটি।

আর্জেন্টাইনদের সামনে অভেদ্য এক প্রাচীরই হয়ে উঠেছিলেন ফরাসি গোলরক্ষক গুইলাউমো রেস্তেস। দারুণ দক্ষতায় তাদের চারবারের চেষ্টা চমৎকার সেভে নস্যাৎ করে দেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। সেই হতাশা পরিণত হয়েছিল ক্ষোভে। ম্যাচ শেষে হট্টগোল বাঁধিয়ে বসেন দুই দলের খেলোয়াড়রা।

এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে প্যারাগুয়েকে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে মিশর। সেমিফাইনালে তারা খেলবে স্বাগতিক ফ্রান্সের বিপক্ষে। কোয়ার্টার ফাইনালে মিশরীয়রা ৭১ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে গোল শোধ করে তারা। ১-১ এ সমতা ছিল অতিরিক্ত সময়েও। টাইব্রেকারে প্যারাগুয়ে দ্বিতীয় শট জালে জড়াতে ব্যর্থ হলেও মিশর পাঁচ শটের সবগুলো গোলে পরিণত করতে সক্ষম হয়।

Header Ad

দিল্লি হয়ে ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

ফাইল ছবি

ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক মাস পেড়িয়েছি। দেশের চলমান নান সংকট পাশাপাশি রাষ্ট্র সংস্কারের পর্বতসমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যস্ত শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এদিকে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা চলছে প্রতিবেশী ভারতেও। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চাপ সামলাতে ব্যস্ত সময় পার করছে মোদি সরকার। এমনই একটা পরিস্থিতিতে এই দুই দেশ সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে ৭ দিনের এ সফর।

মঙ্গলবার (১০ সে‌প্টেস্বর) মা‌র্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ের মুখপা‌ত্রের কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এ তথ্য জা‌নি‌য়ে‌ছে।

বিজ্ঞ‌প্তি‌তে জানা‌নো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ১০-১৬ সেপ্টেম্বর ভারত ও বাংলাদেশ সফর করবেন। এ সফ‌রে অংশীদারদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রচারে সহায়তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত কর‌বেন লু।

এদিকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ডোনাল্ড লুসহ মা‌র্কিন উচ্চপর্যা‌য়ের ওই প্রতি‌নি‌ধিদল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নে কীভা‌বে বাংলা‌দেশ‌কে সহায়তা করা যায়, সে‌টি নি‌য়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা কর‌বেন।

ব্রিটিশ প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় উচ্চপর্যায়ের এই দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তর ও ইউএসএইডের কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সংলাপে বাংলাদেশের আর্থিক ও মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, সফরকালে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

মা‌র্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ের মুখপা‌ত্রের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভারতের নয়াদিল্লি সফরকালে ডোনাল্ড লু দুই দেশের বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত ইন্ডিয়া আইডিয়াস সামিটে অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া, উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং নারীদের অর্থনৈতিক সুরক্ষায় দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরবেন। তাছাড়া, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক

ফাইল ছবি

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হককে সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার একটি আদালত এ আদেশ দেন।

কোটা আন্দোলনের সময় রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গত ৩ সেপ্টেম্বর শহীদুল হককে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরেরদিন সকালে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান শহীদুল হক। তিনি ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে নৌকা প্রতীকে লড়তে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন শহীদুল হক। পরে অবশ্য দলীয় মনোনয়ন পাননি তিনি।

টেন্ডার ছাড়াই ওরাকলকে ২০৭ কোটি টাকার কাজ দেন পলক

ছবি: সংগৃহীত

কোনো রকম দরপত্র আহ্বান না করেই ২০২১ সালে জাতীয় ডাটা সেন্টারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ওরাকলকে ২০৭ কোটি টাকার বিনিময়ে ক্লাউড সেবার দায়িত্ব দিয়েছিল সরকার।অভিযোগ উঠেছে, এতে সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের হস্তক্ষেপ করে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন।

দৈনিক একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০৭ কোটি টাকার বিনিময়ে তিন বছর ক্লাউড সেবা দেওয়ার কথা ওরাকলের। তবে রহস্যজনক কারণে চুক্তি স্বাক্ষরের আড়াই বছর পর ক্লাউড সেবা চালু করে ওরাকল।

ওই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এর বিনিময়ে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন পলক। তারচেয়ে প্রভাবশালী একটি পক্ষও সেই টাকার ভাগ পেয়েছিল। পুরো প্রক্রিয়ার পরিকল্পনাকারী ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) তৎকালীন পরিচালক তারিক এম বরকতউল্লাহ। পলকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ইকরামুল হক এই লেনদেনের সহযোগী ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২০ সালের দিকে সরকারি সংস্থাগুলোর উপাত্ত সংরক্ষণে সরকারের একটি কেন্দ্রীয় ক্লাউড সেবা ব্যবস্থার প্রয়োজন দেখা দেয়। এর আগে সংস্থাগুলো নিজেদের মতো অর্থ খরচ করে ক্লাউড সেবা নিত। সেই সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ কেন্দ্রীয়ভাবে ক্লাউড ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা নেয়। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল ক্লাউড ব্যবস্থা তৈরি করে সরকারি সংস্থাগুলোকে ভাড়ায় দিয়ে অর্থ উপার্জন এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়। এমন একটি ক্লাউড সেবার প্রস্তাব সে সময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) অধীন জাতীয় ডাটা সেন্টারকে (এনডিসি) দেয় ওরাকল। তবে বিসিসির তৎকালীন পরিচালক তারিক এম বরকতউল্লাহ সেই প্রস্তাব ঘুরিয়ে দেন বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) দিকে।

সূত্র বলছে, পলককে প্রভাবিত করে ডাটা সেন্টারে ওরাকলের ক্লাউড ব্যবস্থা স্থাপনের মূল ‘মাস্টারমাইন্ড’ এই তারিক বরকতউল্লাহ। প্রস্তাবের সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটির সদস্যরা এই ক্লাউড সেবার বিরুদ্ধে মত দিয়েছিলেন। শুধু তারিক বরকতউল্লাহ ওই কমিটির প্রতিবেদনে এককভাবে ভেটো দেন।

পরবর্তী সময়ে পলকের সরাসরি হস্তক্ষেপে ওরাকলের সঙ্গে বিডিসিসিএল ‘ডেডিকেটেড রিজিওনাল ক্লাউড’ স্থাপনে চুক্তিবদ্ধ হয়। এই ক্লাউড থেকে তিন বছরের সেবা নিতে মোট ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বছরে যথাক্রমে ৩০, ৬০ এবং ৯০ লাখ ডলার পরিশোধ করার কথা বিডিসিসিএলের। বিদ্যুৎ খাতের কুইক রেন্টালের সঙ্গে তুলনা করলে ওরাকলের সঙ্গে বিডিসিসিএলের এই অসম চুক্তি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

অনুসন্ধান বলছে, কোনোরকম প্রতিযোগিতামূলক অথবা আন্তর্জাতিক টেন্ডার ছাড়াই ‘ডিরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথড (ডিপিএম)’-এ ওরাকলকে কাজটি দিয়েছেন পলক। তবে ৪৯ কোটি টাকা মূল্যের বেশি দরপত্র একনেকে পাস করিয়ে নেওয়ার নিয়মও ওরাকলের ক্ষেত্রে কৌশলে এড়িয়েছেন পলক। প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিডিসিসিএলের সরাসরি ক্রয়ক্ষমতার সুযোগ নিয়েছেন তিনি। এজন্যই এনডিসির বদলে বিডিসিসিএলের মাধ্যমে ক্লাউড স্থাপনের পক্ষপাতী ছিলেন তারিক বরকতউল্লাহ। তবুও বিডিসিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের অন্তত তিন সদস্য এই প্রস্তাবের মৌখিক বিরোধিতা করেছিলেন বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।

একটি সূত্রের ভাষ্য, ক্লাউড হয়তো প্রয়োজন ছিল; কিন্তু এমন সেবা দেয় সেরকম আরও প্রতিষ্ঠান ছিল। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা যেত।

সেই সময়কার পর্ষদের আরেক সদস্য বলেন, প্রতিমন্ত্রী পলক বোর্ডসভায় উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করছিলেন যে, ওরাকলের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে দেরি হচ্ছিল কেন। কয়েকজন মৌখিকভাবে ওরাকল ক্লাউডের বিরোধিতা করি। সবশেষে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর ওরাকলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করে বিডিসিসিএল। চুক্তি স্বাক্ষরকালে অন্যদের মধ্যে তারিক বরকতউল্লাহও ছিলেন। অবশ্য গত মে মাসে অর্থাৎ চুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় আড়াই বছর পর এই ক্লাউড চালু করে ওরাকল। গত ৬ মে সালমান এফ রহমানের উপস্থিতিতে পাঁচতারকা হোটেলে বেশ জাঁকজমকভাবে এর উদ্বোধন হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর আর কার্যক্রম শুরুর মাঝের সময় নিয়ে পাওয়া যায় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। চুক্তির পর থেকেই ওরাকলের সিঙ্গাপুর ক্লাউডে উপাত্ত সংরক্ষণ শুরু করে বিডিসিসিএল। এক বছরের সেবার জন্য ওরাকলকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এই লেনদেনের ৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকার (ডলারের দাম ১১৫ টাকা হিসেবে) একটি অর্ডার ডকুমেন্ট রয়েছে কালবেলার কাছে।

সেখানে দেখা যায়, ভিন্ন কোনো টেন্ডার বা চুক্তি না করে, পূর্বের চুক্তি মূলেই ওরাকল সিঙ্গাপুর থেকে সেবা নেওয়ার নামে ওই অর্থ পরিশোধ করা হয়। উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, পলক যখন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল ডাটা সিঙ্গাপুরে রাখছিলেন, তখনই ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২২’ নামে একটি আইনের খসড়াও করছিল তার অধীন আইসিটি বিভাগ। সেই খসড়ার অন্যতম বিষয় ছিল বাংলাদেশের ডিজিটাল উপাত্ত বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যেই সংরক্ষণ করা। অর্থাৎ একদিকে তথ্য স্থানীয়করণের আইন তৈরি আর অন্যদিকে নিজেই তথ্য দেশের বাইরে পাঠাচ্ছিলেন পলক।

এসব কর্মকাণ্ডের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ওরাকলের বাংলাদেশে ক্লাউড স্থাপন শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী। সিঙ্গাপুর থেকে উপাত্ত দেশে ফিরিয়ে আনলেই উপাত্ত সুরক্ষা আইন পাস করতেন তিনি। তবে ওরাকলের যন্ত্রাংশ আমদানিবিষয়ক জটিলতায় বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয়।

এই যন্ত্র আমদানিতেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন পলক। ওরাকলের ক্লাউড বসবে গাজীপুরের হাইটেক পার্কে অবস্থিত বিডিসিসিএল ডাটা সেন্টারে। নিয়ম অনুযায়ী, হাইটেক পার্কের বিনিয়োগকারীরা বিনাশুল্কে যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারে। পলকের পরামর্শে ওরাকল কাস্টমসকে ফাঁকি দিয়ে বিনাশুল্কে ক্লাউড যন্ত্রাংশ খালাসের চেষ্টা করে। তবে বিষয়টি ধরা পড়ায় কাস্টমস যন্ত্রাংশগুলোর খালাস আটকে দেয়। এ ঘটনার কারণেই রাজস্ব বোর্ডের তখনকার চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয় পলকের।

পরে মোটা অঙ্কের রাজস্ব দিয়েই যন্ত্রাংশ খালাস করে ওরাকল। এজন্য পলক নিজের কমিশনে কিছুটা ছাড় দিয়েছিলেন বলেও বিডিসিসিএলে প্রচলিত রয়েছে। আর পলকের পক্ষে এসব লেনদেন দেখভাল করতেন তার এক সময়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ইকরামুল হক। বিশ্বস্ততার পুরস্কারস্বরূপ, ১৬ হাজার টাকার বেতন স্কেলের ইকরামকে সরাসরি ৫০ হাজার টাকা বেতন স্কেলে বিডিসিসিএলের ব্যবস্থাপক (লজিস্টিকস) পদে বসান পলক। উদ্দেশ্য ছিল আস্থাভাজন ইকরামের মাধ্যমে বিডিসিসিএল আর ওরাকলের মধ্যকার লেনদেন থেকে শেয়ার বুঝে নিতে নিজের লোককে বসানো।

এ বিষয়ে ওরাকলের বক্তব্য জানতে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান রুবাবা দৌলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনসংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি জনসংযোগ শাখার সংশ্লিষ্টদের মোবাইল নম্বর ও ইমেইল ঠিকানা পাঠাবেন বললেও পরে আর সাড়া দেননি।

সর্বশেষ সংবাদ

দিল্লি হয়ে ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক
টেন্ডার ছাড়াই ওরাকলকে ২০৭ কোটি টাকার কাজ দেন পলক
সেন্টমার্টিনে যাত্রীবাহী ট্রলারে মিয়ানমার থেকে গুলি
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৩৪ জন
প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছেন শেখ হাসিনা: ড. ইউনূস
৩ বছরে ৫৫০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন তিতাসের সাবেক এমডি হারুন!
চট্টগ্রামে নতুন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম
সালমান এফ রহমান ও এস আলমের শেয়ার কারসাজি তদন্তে কমিটি গঠন
আইডিয়ালের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে গেল ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা
পাওনা ৮০ কোটি ডলার চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিলেন গৌতম আদানি
ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা
জেনে নিন ফেসবুক পোস্টের রিচ কমার কারণ ও তা বাড়ানোর কৌশল
মণিপুরে কারফিউ জারি, ৫ দিনের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ
২৫ জন ডিসির সবাই ছিল ছাত্রলীগের: রিজভী
শিবলী রুবাইয়াত ও তার সহযোগী ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে গণঅভ্যুত্থানের দ্বারপ্রান্তে মণিপুর
৩২,৬৬৬ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা, নামাজের সময় বন্ধ থাকবে বাদ্যযন্ত্র: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুর্গাপূজায় স্বেচ্ছাসেবক হতে চায় মাদ্রাসা ছাত্ররা: ধর্ম উপদেষ্টা