শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাক্ষাৎকার

প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট হকি খেলোয়াড় তৈরি করতে চান সাঈদ

ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণ কেন্দ্র পল্টন ময়দান। এক সময় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম নিয়ে যখন ফুটবল ও ক্রিকেটের মধ্যে কাড়াকাড়ি চলেছে, তখন মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম এককভাবে হকির জন্য বরাদ্দ। কিন্তু এ রকম একটি স্টেডিয়াম পেয়েও হকিতে প্রাণচাঞ্চল্য নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। লিগ হয়ে পড়ে অনিয়মিত। অনেক বিলম্বে সেখানে ফিরে আসে প্রাণচাঞ্চল্য। আর এটি সম্ভব হয়েছে ২০১৯ সালে হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মুমিনুল হক সাঈদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসার পর। কিন্তু মাঝে তিনি বেশ কিছু দিন সময় দিতে না পারায় আবার ঝিমিয়ে পড়েছিল। এরই মাঝে তিনি বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আবার ফিরে আসাতে, ফিরে আসতে শুরু করেছে হকির সেই প্রাণচাঞ্চল্য।

হকিতে আবার ফিরে আসার পর অনূর্ধ্ব-১৯ হকি দল বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে যাওয়ার আগে ভারত পাঠিয়ে অনুশীলন ও ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করেছেন। মেয়েদের হকি লিগ শুরু করতে যাচ্ছেন সহসাই। দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাবগুলকে নিজেরে পকেটের টাকা দিয়ে লিগ খেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে তৈরি করতে চান স্মার্ট হকি খেলোয়াড়। সামনে আবার হকি ফেডারেশনের নির্বাচন। হকি সংশ্লিষ্ট অধিকাংশই চান তিনি যেন আবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে আসেন। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি হকির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি ফিরে আসাতে হকিতে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?

সাঈদ: একজন সংগঠকের দক্ষতা তার সংগঠনিক পরিচয় বহন করে। আমি একজন সংগঠক হিসেবে শুধু হকি নয়, বেশ কিছু ইভেন্টের সঙ্গে জড়িত আছি। আমি যেখানে যখন যে দায়িত্ব পেয়েছি, চেষ্টা করেছি আমার মেধা সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সেটিকে উজ্জীবিত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমি মনে করি এটি আমার দক্ষতা। আজকের এই প্রাণপাঞ্চল্য বলেন আর উৎসাহ-উদ্দীপনা বলেন আমি আমার সংগঠনিত অভিজ্ঞতা-দক্ষতা থেকে এটি করতে পেরেছি বলে মনে করি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি যখন প্রথম নির্বাচিত হয়ে হকি ফেডারেশনে আসেন, তখনো দেখা গিয়েছিল একই রকম প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। তাহলে এটা কি বলা যায় হকি আপনার উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে?

সাঈদ: আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর হকিতে নতুন উদ্যোমে, নতুন করে যে কাজ শুরু হয়েছিল, তা এখনো আছে।সামনের দিনেও এই বিষয়গুলো অব্যাহত থাকবে। আমি এসে ফিজিক্যালি চেষ্টা করছি। ক্লাবগুলোর যে দাবি দাওয়ার বিষয় ছিল, জেলা-বিভাগের যে দাবি দাওয়ার বিষয়গুলো ছিল, তারা আশা করে থাকে তা পূরণের। আমি অবস্থান বিশ্লেষন করেই সেগুলো শুনেছি,পর্যলোচনা করেছি। তাদের আশ্বস্ত করেছি। কিন্তু আবার জাগরণে মতোই হকি মাঠে গড়াচ্ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি না থাকার সময় হকি আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল। এই সমস্যা এখন কি কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন?

সাঈদ: আসলে এটিকে অস্বীকার করার উপায় নেই ‘মানি ইজ সেকেন্ড গড’ কিংবা আমি-আপনি কেউ এটি বাদ দিয়ে চলতে পারব? পৃথিবীতে অর্থটাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হয়। এখানে ফিন্যান্সিয়াল বিষয়টা আপনাকে দেখতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে চেয়ার দখল করে বসে থাকলেতো চলবে না। আপনাকে পকেটের অর্থ খরচ করতে হবে। কোথাও যাতে কোনো কিছু আটকে না থাকে, সে চেষ্টা করতে হবে।

আসলে গার্জেনের উপর সব কিছু ডিপেন্ড করে। করোনাকালীণ সময়ে আমার ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে, আমার শারীরিক অসুস্থার কারণে, ফ্যামিলের মেম্বারদের অসুস্থার কারণে মাঝখানে বেশ কিছুদিন আমি সময় দিতে পারিনি। সে সময় আসলে অভিভাবক না থাকার কারণ, অর্থ না থাকার কারণে সব কিছু মন্থর গতিতে এগোচ্ছিল। আমি এসে যতটুকু পেরেছি, সেখান থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ হকি লিগ শেষ হয়েছে। শোনা যাচ্ছে এই সব ক্লাবগুলোকে আপনি ব্যক্তিগত অনুদান দিয়ে মাঠে নামানোর ব্যবস্থা করেছেন?

সাঈদ: ক্লাবগুলোর অর্থনৈতিক যে সমস্যা আছে তা আমি আন্তরিকতা দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করেছি। আমাদের দুভার্গ্য যে বর্তমান অর্থনীতি বিশ্লেষণ করলে লোকজন ডোনেট করত। এখন আর ক্লাবগুলোকে কেউ ডোনেশন করতে চায় না। জেলাগুলোতে কিছু বরাদ্দ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে থাকলেও ক্লাবগুলো জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। এ জন্য অনেক ক্লাব প্রতিকুল অবস্থায় রয়েছে। সেজন্য ক্লাবগুলোর কিছু দাবি-দাওয়া থাকে। কিছু সমস্যা থাকে। আমি আন্তরিকতা দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমার বন্ধুদের, আমার কমিটির সদস্যদের সাহায্য নিয়ে সেসব সমস্যা পূরণ করে হকিকে মাঠে রাখার জন্য।

ঢাকাপ্রকাশ: প্রিমিয়ার লিগ নিয়মিত হচ্ছে না। এটা নিয়মিত করার উদ্যোগ নেবেন কি?

সাঈদ: প্রিমিয়ার লিগ আমার সর্বোচ্চ আসর। কিন্তু আমি যদি তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তৈরি না করি, আমি যদি পাইওনিয়ার লিগ না করে, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগ লিগ না করে, শুধু প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে বসে থাকি, তাহলে জাতীয়ভাবে কোনোকিছু হবে না। আপনি যদি জাতীয় দলের খেলোযাড়দের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, পাইপ লাইনে খেলোয়াড় না থাকে. তাহলে তারা আপনার উপর চেপে বসবে। তারা যা বলবে তাই হবে। আপনাকে সবদিক নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে দেশের হকি এগিয়ে যাবে। এটি ঠিক প্রিমিয়ার লিগ সর্বোচ্চ। দেখা যাচ্ছে একটা বছর প্রিমিয়ার লিগ হয়েছে, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ লিগ হলো না। আপনি যদি ফুল লিগ শেষ করতে না পারেন, পরের লিগটা শুরু করতে পারছেন না। করোনার সময় আমাদের একটা গ্যাপ পড়ে গিয়েছিল। এই কারণে নিয়মিত হয়নি। আমি আস্বস্থ করতে পারি। নেক্সট ইয়ার থেকে প্রিমিয়ার লিগ প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হবে। ইয়ারলি যে ক্যালেন্ডার করেছি। সে অনুযায়ী হকিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মেয়েদের হকিতে প্রাণচাঞ্চল দেখা গিয়েছিল। আপনার অনুপস্থিতকালীন তা আবার ঝিমিয়ে পড়ে। মেয়েদের হকিটা আসলে এখন কী পর্যায়ে আছে?

সাঈদ: স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমার হাত ধরেই মেয়েরা আর্ন্তজাতিক হকিতে প্রথম অংশগ্রহণ করে। মেয়েদের ফেডারেশনে রেখে, ভারত থেকে কোচ এনে, দীর্ঘদিন অনুশীলন করিয়ে, এমনকি ভারত থেকে দল এনে অনুশীলন ম্যাচ খেলিয়ে মেয়েদের নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি প্রথম টুর্নামেন্টেই আমরা একটি ম্যাচে জয়লাভ করেছিলাম। আমাদের কিন্তু প্রাপ্তি ছিল। আমরা শূন্য হাতে ফিরে আসিনি। আমার প্রচেষ্টার কারণেই কিন্তু বিকেএসপিতে মেয়েদের যুক্ত করেছে। ইতিমধ্যে আমি মহিলা লিগ নিয়ে আলোচনা করেছি। অচিরেই ২/১ মাসের মাঝে মহিলা লিগ শুরু হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রিমিয়ারের টপ পাঁচটি ক্লাবকে নিয়ে এই লিগ শুরু করব। এতে করে মেয়েদের অর্থনৈতিকভাবে সলভেন্ট হবে। প্রতি বছর লিগ হলে আমরা আর্ন্তজাতিক টূর্নামেন্টের জন্য আমাদের দলও গঠন করতে পারব। কিন্তু একট টূর্নামেন্ট করলাম। টুর্নামেন্ট শেষে তারা আবার চলে গেল তাতে লাভ হবে না। ক্লাবকে অ্যাক্টিভ করতে হবে, জেলাগুলোকে অ্যাক্টিভ করতে হবে। আমি যতদিন আছি, ইনশাল্লাহ চেষ্টা করব এই ইভেন্টটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

ঢাকাপ্রকাশ: দেখা যায় যখনই নির্বাচন আসে, জেলাগুলো থেকে নিয়মিত কাউন্সিলার আসে। কিন্তু অনেক জেলাতেই নিয়মিত লিগই হয় না?

সাঈদ: একজন সংগঠক হিসেবে আমি চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। দেখুন হকি কিন্তু সাধারণ কোনো খেলা না। অনেক ব্যয়বহুল, আপানাকে মানতেই হবে। একটা ফুটবল দিয়ে ২২ জন খেলতে পারে। আপনি যদি ক্রিকেটের কথা চিন্তা করেন, সেখানেও কিন্তু এক সেট দিয়ে খেলা সম্ভব। কিন্তু হকিতে ২২ জনের জন্য ২২টা স্টিক লাগে।

গোলরক্ষকের গিয়ার্সের দাম লক্ষাধিক টাকার উপরে। চাইলেই প্রতি জেলা আয়োজন করতে পারে না। এ ছাড়া, সমান মাঠও লাগে। হকিটা ব্যয়বহুল হয়ে যাওয়ার কারণে জেলাগুলো নিয়মিত আয়োজন করতে পারে না। তারপরও আমার চেষ্টা আছে। আমি মাননীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছি। আমাদের যে ক্রীড়া বান্ধব প্রধানমন্ত্রী আছেন তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট খেলোয়াড় তৈরি করার জন‌ যে ভিশন নিয়ে তিনি কাজ করছেন, আমার মনে হয় আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে স্বার্থক করতে পারব। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট হকি খেলোয়াড় তৈরি করতে পারব।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার অনুপস্থিত কালীন সময়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের কার্যক্রমকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন।

সাঈদ: আমার ব্যক্তিগতভাবে দেখার কিছু নেই। কারও জন্য কিন্তু কোনো কাজ থেমে থাকবে না। কাজ চলবে। ওই সময়টা সুন্দরভাবে ফেডারেশন চলেছে। আমার সঙ্গে সব সময়ই যোগাযোগ ছিল। ফিজিক্যালি উপস্থিত হতে না পারলেও যে সকল পেপার্সে আমার সিগনেচারের প্রয়োজন ছিল, কিংবা যে বিষয়ে সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল আমি অনলাইনে সেগুলো করেছি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার অনুপস্থিতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হয়েছে। ফ্যাঞ্চাইজি লিগকে আপনি হকির এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কতটা সুফল বগে আনবে?

সাঈদ: আমরা সবাই সুন্দরের পূজারি। চাকচিক্যকে আমরা সবাই ভালোবাসি। বাংলাদেশে আমরাই দ্বিতীয় ফেডারেশন যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ করতে পেরেছি। বর্তমান অবস্থাকে বিশ্লেষণ করে, আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চলমান রাখার সর্বাত্নক সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এবং এটা চলমান থাকবে বলে আমি আশা করি।

ঢাকাপ্রকাশ: ফুটবল ও ক্রিকেটে আমরা দেখে থাকি যে তাদের মাদার সংগঠন ফিফা-আইসিসি বেশ ভালো পরিমান টাকা দিয়ে সহায়তা করে থাকে। এ ক্ষেত্রে হকি তাদের মাদার সংগঠনের কাছ থেকে কি পরিমান আর্থিক বা অন্যান্য সহয়তা পেয়ে থাকে।?

সাঈদ: ফিফা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী একটি সংগঠন। তাদের অর্থনৈতিক আয়ের কথা কল্পনাও করা যায় না। ক্রিকেটের সব দেশ কিন্তু আবার ধনী না। আমরা যেহেতু আর্ন্তজাতিক টুর্নামেন্ট করতে পারি, তাই টেলিকাস্ট থেকে আয় করে আমাদের ক্রিকেট বোর্ডও কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী একটা অবস্থানে আছে। এটা তারা নিজেদের যোগ্যতায় পৌঁছেছে। এটা কিন্তু আইসিসি থেকে কোনো বরাদ্দ পাওয়ার মাধ্যমে পৌঁছায়নি। আমাদের যে সংস্থাগুলো রয়েছে এফআইএইচ, এএইচএফ উনারা যে কিঞ্চিৎ বাৎসরিক অনুদান দেন, তার সম্পূর্ণটাই ইন্সট্রুমেন্টে চলে যায়। তা আমরা সারা দেশের হকির বিস্তারে কাজ করি। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের মাদার সংগঠনগুলো স্ট্রং না। সে ক্ষেত্রে এই বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।

ঢাকাপ্রকাশ: হকির মতো একটি ব্যয়বহুল খেলাকে এগিয়ে নিতে সরকারি সহযোগিতা কি আরও বাড়ানো প্রয়োজন?

সাঈদ: প্রত্যোক দেশের হকি সরকারের সাহায্য-সহযোগিতায়ই এগিয়ে যায়। বেশ কিছু দিন আগে উড়িষা রাজ্য সরকার ভারতে হকি ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ৮০০ কোটি রূপির। ইমাজিং, এটা চিন্তা করা যায়, একটা স্টেট হকির উন্নয়নের জন্য এভাবে চুক্তি করেছে। প্রত্যোক দেশই সরকারের তহবিল দিয়ে এগিয়ে যায়। সেভাবেই সারা বিশ্বে হকি এগিয়ে আসছে। আমাদেরও এই ধারাবাহিকতা আছে। সামনে এটি যদি আরও বৃদ্ধি হয়, স্পন্সরের যে সমস্যা রয়েছে, সেই সমস্যাগুলো যদি আমরা শেষ করতে পারি, আর প্রধানমন্ত্রী আমাদের আস্বস্ত করেছেন হকি ফেডারেশনের জন্য তিনি একটা বরাদ্দ করবেন। সেটা যদি আসে, আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কোনো কিছু আটকে থাকবে না। আমাদেরকে আর বলতে হবে না আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। তখন আমরা প্রানবন্তভাবে হকিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

ঢাকাপ্রকাশ: বাংলাদেশ থেকে প্রথম সংগঠক হিসেবে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এটা বাংলাদেশের হকির উন্নয়নে কতটা ভুমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন?

সাঈদ: আমি বাংলাদেশে থেকে সর্বপ্রথম ভোটে এএইচএফের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। আমি এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কাউন্সিলার হিসেবে। আমি ব্যক্তি সাঈদ সেখানে নির্বাচিত হইনি। আমি বিশ্বাসও করি না ব্যক্তি সাঈদের সেখানে কোনো অবস্থান হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ হকি যে সব কাজ করেছে, সেসব বিবেচনা করেই ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। আমি আমার মেধা দিয়ে যতটুকু সম্ভব যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। আমার এখন আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ রয়ে গেছে। আমি এএইচএফ থেকে আম্পায়ার, কোচিং, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট রয়েছে এসব সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবো। সর্বোপরি আমার দেশকে, আমার ৩০ লাখ শহীদের জাতীয় পতাকাকে সম্মানিত করার জন্য, আমার দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করার জন্য যা যা করতে হয়, আমি সেই চেষ্টা করে যাব।

ঢাকাপ্রকাশ: অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অনুশীলনের জন্য ভারতে পাঠাতে একে পর্যায়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। কারণ কী ছিল?

সাঈদ: ওয়ার্ল্ডকাপ কোয়ালিফাই যেহেতু আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট, আমি চেয়েছি ছেলেরা যাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারে। আপনারা জানেন যে ভারতের ভিসা পেতে এখন কতদিন সময় লাগে। কে বা কাহারা আমরা দল পাঠাবো না বলে মনগড়া খবর প্রকাশ করে। আমরা সে ব্যাপারে কোনো কিছু জানিও না। আমরা যখন আমাদের ভিসা হাতে পেয়েছি, ঈদের পরেই আমরা আমাদের দল পাঠিয়ে দিয়েছি। ৭টি ম্যাচ খেলে আমরা ৫টিতে জিতেছি। ২টিতে হেরেছি। পুরোদমে সেখানে আমাদের প্র্যাকটিস ম্যাচ হয়েছে। আমি আসলে হ্যাপি যে প্র্যাকটিস করার জন্য আমরা বাইরে দল পাঠাতে পেরেছি। যেভাবে হোক না কেন, যার হাত ধরেই হোক না কেন, আমরা যে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, এবং আমাদের যে পরিকল্পনা ও ইচ্ছেগুলো রয়েছে সেগুলো ফোকাস করতে পারছি। আমি স্বপ্ন দেখি ওয়ার্ল্ডকাপে কোয়ালিফাই করবে এবং বাংলাদেশের যুবারা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে দেশের মুখকে উজ্জ্বল করে তুলবে।

ঢাকাপ্রকাশ: দল পাঠানোর খরচ কি আপনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে বহন করেছেন, না স্পন্সরের মাধ্যামে?

সাঈদ: এ মুহূর্তে আমাদের হকি ফেডারেশনের সঙ্গে যে দুইট স্পন্সর ছিল তারা তাদের ব্যবসায়িক কারণে এই টুর্নামেন্টে আমাদের সাপোর্ট দিচ্ছে না। আমরা আমাদের নিজস্ব তহবিল থেকে, ব্যক্তিগত তহবিল থেকে, আমাদের কমিটির লোকজন প্রাণবন্তভাবে কাজ করেছে দলকে ভারত পাঠানো নিয়ে।

ঢাকাপ্রকাশ: হকি ফেডারশেনের নির্বাচন সামনে। আপনি কি আগামীতে আবার এই পদে দেখা যাবে?

সাঈদ: এনএসসি যখন তফসিল ঘোষণা করবে তখন সেটা পরবর্তি বিষয়। সেরকম কোনো চিন্তা-ভাবনা আমার এখন নেই। যেহেতু এখানে প্রক্রিয়ার বিষয় আছে, সেগুলো যখন সম্পন্ন হবে, ডিক্লেয়ারেশন আসবে, তখন দেখা যাবে। এ মুহূর্তে আমি টোটালি ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়ে ব্যস্ত আছি। দল কীভাবে সাফল্য নিয়ে আসা যায় সে প্রক্রিয়াতে আমি কাজ করছি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি ফিরে আসার পর ক্লাব, খেলোয়াড় মোট কথা কিছু সংখ্যক বাদ দিলে ম্যাক্সিমাম খুশি হয়েছেন। সবাই চাচ্ছে আপনি যদি আগামীতেও হকি লাভবান হবে?

সাঈদ: এটা আমি বলতে পারব না তারা কি চাচ্ছে। তারা বিশ্লেষন করতে পারেন। তাদের কাছ থেকে আপনারা তথ্য নিতে পারবেন। এখন আমাকে যদি প্রশ্ন করেন সবাই আমাকে পছন্দ করে কি না? ভালো জানে কি না-এর উত্তর দেয়ার মত যোগ্যতা আমার আছে কি না আমি জানি না। আমি কাজ করে যাব। আমি বিশ্বাস করি কাজ করলে সৃষ্ট কর্তা সেই কাজের মূল্যায়ন করেন। সমাজও সেই কাজের মূল্যায়ন করে।

এমপি/এএস

Header Ad

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নির্মাণাধীন ভবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিরাপত্তা বেষ্টুনীবিহীন একটি ভবনে কাজ গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে বাবুল মিয়া বাবু (৫৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার মাইজবাড়ী এলাকার গুটু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ভূঞাপুর পৌর শহরের ফসলআন্দি এলাকায় সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুলের তিন তলা ভবনের নিচের একটি ড্রেনে পড়ে গিয়ে তিনি মারা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহেদুজ্জামান পলাশ জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাসায় কাজ করছিলেন ওই নির্মাণ শ্রমিক। কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা ফসকে ভবনের চার তলা ছাদ থেকে নিচের একটি ড্রেনে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তার সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন এই ভবনের কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল না। নির্মাণ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে আসছিলেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় এর আগেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, থানা পুলিশকে না জানিয়ে কৌশলে ভবনের মালিক জুয়েল হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিয়ে যায়।

ভবন মালিক জুয়েল বলেন, নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সাথে সমঝোতা হয়েছে। পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুণ্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু

দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের থাকা দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এর আগে, সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বিরামপুর-হাকিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ডাঙ্গাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে হাকিমপুর - বিরামপুর উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের টিএন্ডটি মোড় এলাকায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের ধীরাজ কুমার ছেলে ধীমান কুমার ঘোষ (৩০) ও একই উপজেলার দাউদপুর এলাকার আনারুলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫)।

হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে হাকিমপুর থেকে দুই বন্ধু বিরামপুর যাবার পথে হাকিমপুর উপজেলার শেষ সীমানায় গরু বোঝাই ভটভটির সাথে মোটরসাইকেল ধাক্কা খেয়ে পাকা রাস্তায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়।

নিহত ধীমান কুমার ঘোষ এর মামা হাকিমপুর হিলি পৌরসভার বাসিন্দা স্বপন কুমার বলেন, আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মোবাইল ফোনে আমাকে ভাগিনা ধীমান কুমার বলেন, মামা আমি জরুরি কাজে হিলি আসছিলাম তাই আপনার সাথে দেখা করতে পারলাম না। এর কিছুক্ষণ পরে দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই এবং হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগিনা মারা গেছে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. দুলাল হোসেন জানান, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গরুবাহী ভটভটি জব্দ করে থানায় এবং নিহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ভটভটি চালক পলাতক রয়েছে।

এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় মালবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার দিনাজপুর -ঢাকা মহাসড়কের ঘোড়াঘাট টিএনটি মিশন মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ট্রাকচালক গোলাম রাব্বি (৪৫)। সে জয়পুরহাট জেলা সদরের আমদই এলাকার মমতাজের ছেলে। তার সহযোগী রেজোয়ান ইসলাম (২৮) একই এলাকার চৌমুহনীর বাসিন্দা।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-২০৬৬৪৯) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই ট্রাকের (ঝিনাইদহ-ট-১১১৬৪৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা সকালে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ২ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি।’

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সা-আদ আস সামস বলেন, ‘সকালে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২ জন রোগীকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উপজেলার টিএনটি মোড় এলাকায় ভুট্টা ও সারবোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা ভুট্টাবোঝাই ট্রাকটিকে দিনাজপুর শহরমুখী সারবোঝাই একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভুট্টাবোঝাই ট্রাকের চালক ও সহকারীর মৃত্যু হয়। ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত, আটক ১
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ভেতরে আগুন
৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভাঙল, জানা গেল বৃষ্টির তারিখ
ফিলিস্তিনি মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটি আর বেঁচে নেই
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শ্রীময়ী, দুশ্চিন্তায় কাঞ্চন মল্লিক
প্রথমবার এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করলো ছেলে
রেকর্ড তাপপ্রবাহের জন্য সরকার দায়ী: রিজভী
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, জনজীবনে অস্বস্তি
বিএনপির আরও ৭৫ নেতা বহিষ্কার
প্রেমিকার আত্মহত্যা, শোক সইতে না পেরে প্রেমিকও বেছে নিলেন সে পথ
দুই বিভাগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত