শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাংলাদেশের মেয়েদের আফসোসের হার

বোলিংয়ের এই উচ্ছ্বাস শেষ পর্যন্ত থাকেনি ব্যাটিং ব্যর্থতায়

এত কাছে, তবু কত দূরে। উইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের জন্য নিগার সুলতানাদের প্রয়োজন মাত্র ১৪১ রান। এবারের মেয়েদের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আগের তিন ম্যাচের দিকে দৃষ্টি ফেরালে এই রান অতিক্রম করা অসম্ভব কিছু নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার ২০৭ রানের জবাব দিতে নেমে ১৭৫ রান, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ২৭ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রান এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ী হওয়া ম্যাচে ৭ উইকেটে ২৩৪ রান। কিন্তু এবার উইন্ডিজকে হাতের মুঠোয় পেয়েও বোতল বন্দি করতে পারলো না বাংলার মেয়েরা। বের হয়ে গেছে ম্যাচ। পাওয়া হয়নি মেয়েদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে টানা দ্বিতীয় জয়। ৩ বল বাকি থাকতেই ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে নিশ্চিত জয়ী হওয়া ম্যাচ হাতছাড়া হয়। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও এভাবে জয়ী হওয়া ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছিল বাংলাদেশের।

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েদের ব্যাটিংটাই ছিল আশা জাগানিয়া। কিন্তু সেই তারাই এবার হতাশ করলেন। আগের তিন ম্যাচের সফল উদ্বোধনী জুটি এবার শুরুতেই ব্যর্থ হলেও শারমিন (১৭), ফারজানা (২৩) নিগারের (২৫) ব্যাটে ছিল লক্ষ্য পূরণের পথে। কিন্তু মিডল অর্ডারের একটা মিনি ধস বাংলাদেশকে কক্ষচ্যুত করে দেয়। ২ উইকেটে ৬০ রান থেকে ৫ উইকেটে ৬০ রান। এরপর ৮৫ রানে নেই ৭ উইকেট। বাংলাদেশের জয় তখন হাতের মুঠো থেকে বের হয়ে দূর আকাশের তারা হয়ে গেছে। কিন্তু নাহিদা আক্তার যেন সেই তারাকে আবার হাতের মুঠোয় ভরতে ছিলেন বদ্ধ পরিকর।

বোলিংয়ের এই উচ্ছ্বাস শেষ পর্যন্ত থাকেনি ব্যাটিং ব্যর্থতায়

আট নম্বারে ব্যাট করতে নেমে সালমা, জাহানার ও ফরিয়া তৃষ্ণাকে নিয়ে তিনি অসাধ্য সাদনের দিকে ছুটেছিলেন। সালমাকে (২৩) নিয়ে অষ্টম উইকেট জুটিতে ২৫, জাহানারাকে নিয়ে (৮) নবম উইকেট জুটিতে ১২ ও শেষ উইকেট জুটিতে ফারিয়াকে (০) নিয়ে ১৪ রান যোগ করেন। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮ রানের। প্রথম ৩ বলে (একটি ছিল ডট বল) তিনি ৩ রান নেন। কিন্তু স্ট্রাইক পেয়ে ফারিয়া আর নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। স্টিফেনি টেলরের বলে বোল্ড হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিভি পর্দায় ভেসে উঠে বাংলার বাঘিনিদের মাথায় হাত উঠার দৃশ্য। চাখে-মুখে রাজ্যের বিষ্ময় এই ম্যাচও হেরে গেলাম। ম্যাথিউস ১৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচ সেরা। টেলর ও ফ্লেচার ২৯ রান করে দিয়ে নেন ৩টি করে উইকেট।

দুই দলের ইনিংসে একটা মিল ছিল। উইইন্ডিজের ৭০ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাকিরা মিলে যোগ করেছিলেন আরো ৭০ রান। বাংলাদেশের ৭ উইকেট পড়েছিল ৮৫ রানে। বাকিরা মিলে ৫১ রান যোগ করে ম্যাচকে জমিয়ে তুলেছিলেন।

এর আগে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে টস জিতে যে উদ্দেশ্য নিয়ে অধিনায়ক নিগার সুলতানা বোলারদের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন, তার সেই লক্ষ্য পূরণ যথাযথভাবেই করেন তারা। পিচকে উইন্ডিজের ব্যটসম্যানদের জন্য বিচরনভুমি হয়ে উঠতে দেয়নি। মেতে উঠেন রান না দেওয়ার কৃপণতায়। ফলে উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। মাত্র ৪ জন ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করেন। এর মাঝে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৩ রান করেন ক্যাম্পবল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল ওপেনার হাইলি ম্যাথিউসের ১৮। ১৭ রান করে করেন আরেক ওপেনার ডেন্দ্রা ডট্টিন ও লোয়ার অর্ডারে ফ্লেচার। গোটা ইনিংসে কোনো ছক্কা হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। বাউন্ডারি ছিল মাত্র ১২টি। এর মাঝে ইনিংসের এক পর্যায়ে ১২ ওভার ৩ বল থেকে ৩৩ ওভার অর্থ্যাৎ ২০ ওভার ৪ বল পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেননি উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা।

বোলিংয়ের এই উচ্ছ্বাস শেষ পর্যন্ত থাকেনি ব্যাটিং ব্যর্থতায়

উইন্ডিজের শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি। ২৯ রান আসে দুই ওপেনারের ব্যাট থেকে। ডেন্দ্রা ডটিনকে ১৮ রানে জাহানারা ফিরিয়ে দেয়ার পরই শুরু হয় তাদের উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিল। এরপর নাহিদা-সালমার তোপে পড়ার সঙ্গে দুইটি রান আউটে মেরুদন্ড ভেঙে পড়ে উইন্ডিজের। ৭০ রানে হারায় ৭ উইকেট। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখার পাশাপাশি ক্যাম্পবল হাল ধরে দলের ভান্ডারে কিছু রান জমা করার চেষ্টা করেন। সেখানে তিনি সফলও হন। তাকে কেউ আউট করতে পারেনি। ১০৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৩ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। অষ্টম ও নবম উইকেট জুটিতে তিনি ফ্লেচারকে নিয়ে ৩২ ও ৩৮ রানের জুটি গড়লে উইন্ডিজ অলআউট না হয়ে দলের সংগ্রহকে ১৪০ পর্যন্ত নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে তাদের জয়ে রাখে বড় ভুমিকা।

অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৭ জন বোলার ব্যবহার করেন। ৪ জনই রান দিয়েছেন ওভার প্রতি তিনের অনেক কম। সবচেয়ে বেশি কৃপণতা দেখান রুমানা ওভার প্রতি ১ দশমিক ৮৩ করে রান দিয়ে। জাহানারা ও ফারিয়া তৃষ্ণা ওভার প্রতি তিনের উপরে রান দেন। শুধুমাত্র রিতু মনি ওভার প্রতি ৫ করে রান দেন মাত্র ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৫ রান দিয়ে।

বাংলাদেশের বোলারদের মাঝে ১০ ওভারের কোটা পূরণ করেন সালমা খাতুন ও নাহিদা আক্তার। দুই জনই ২৩ রান করে দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন। আগের ম্যাচের সেরা বোলার ফাহিমা খাতুন কোনো উইকেট না পেলেও ৮ ওভারে ১৯ রান দেন।

এমপি/এসএ/

Header Ad

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ওমরাহ পালনে বিদেশিদের জন্য ভিসা ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করেছে সৌদি আরব। এখন থেকে যেকোনো ধরনের ভিসায় সৌদি আরব গেলেই বিদেশিরা ওমরাহ পালনের অনুমতি পাবেন।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, যেকোনো দেশ থেকে এবং যেকোনো ভিসায় সৌদি আরবে আগতরা এখন থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম ও ই-ভিসাসহ সব ভিসাধারী ব্যক্তিরা এ সুযোগ পাবেন। এছাড়া ওমরাহ পালনের অনুমতি ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ের জন্য ‘নুসুক’ অ্যাপ ব্যবহার করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের ইবাদত সহজ করতে ‘ডিজিটাল ব্যাগ’ চালু করেছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, এই ব্যাগ প্রোগ্রাম হজ ও ওমরাহযাত্রীদের জীবনমান সহজ করবে। তাদের হজ ও ওমরাহ পালন সহজ করবে। মুসল্লিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে এর মাধ্যমে। বিশেষ করে কখন তারা কোন বিধান পালন করবে, সে বিষয়ে সতর্ক করা হবে।

নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু

নিহত জাওহার আমিন লাদেন। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের বড়াইগ্রামে মামাতো বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জাওহার আমিন লাদেন (১৮) নামে আরও এক কলেজছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন প্রাণ হারালেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ এ চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়

নিহত জাওহার বড়াইগ্রামের গোপালপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে।

জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে যায় তিন ভাই। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে বের হন তারা। পথে বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজনই গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামাতো ভাই আকিব হাসান (১৫) ও খায়রুল বাশার ছাগির (১৭) মারা যায়। বুধবার রাতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেক ভাই জাওহারের মৃত্যু হয়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার ধামানিয়াপাড়া গ্রামে মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিন মামাতো-ফুফাতো ভাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনই মারা গেছেন।

জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপরই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চক্রটি এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কয়েকশ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে দুইজন ঢাবি শিক্ষার্থী ও তিনজন পরীক্ষার্থী।

ডিবি জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে বসে এ পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করতেন তারা। পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হতো উত্তরপত্র।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাবি শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন (২৬) ও সুজন চন্দ্র রায় (২৫) এবং পরীক্ষার্থী মনিষ গাইন (৩৯), পংকজ গাইন (৩০) ও লাভলী মণ্ডল (৩০)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ডিবিপ্রধান বলেন, গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২১ জেলার সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এ পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

এ ঘটনায় দুই জেলায় আলাদাভাবে মামলা করে সংশ্লিষ্টরা। রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তিনি জানান, কীভাবে এবং কখন তার মোবাইলে উত্তরপত্র এসেছে। মাদারীপুরে গ্রেপ্তার হওয়া পরীক্ষার্থীদের বেশিরভাগই জামিনে বের হয়ে যান। ঘটনাটি তদন্তের জন্য মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলমের অনুরোধে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগ তদন্তে নামে।

মাঠে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্রকে। তারা দুজনেই ঢাবির জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

তারা গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, পরীক্ষার আগেই তারা প্রশ্ন সমাধানের জন্য পেয়েছেন। এ প্রশ্ন সমাধানের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতির্ময় গাইনের চাচা অসিম গাইনের মাধ্যমে।

প্রশ্ন প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তাদের দিয়ে প্রশ্ন সমাধান করান অসিম। এ প্রস্তাবে জ্যোতির্ময় ও সুজনসহ সাতজন ঢাবির জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময়গুহ ঠাকুরতা ভবনের ২২৪ রুমে বসে তারা প্রশ্নের সমাধান করে পাঠান। অসিম তার ভাতিজা জ্যোতির্ময় গাইনকে প্রশ্ন সামাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, তিনি পরীক্ষার দুই থেকে তিন মাস আগেই পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। বিশেষ করে যাদের চাকরির বয়স শেষের পথে, এমন পরীক্ষার্থীদের টার্গেট করতেন। তাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি করতেন।

পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই প্রশ্নের উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন অসিম গাইন। তাদের সমাধান করে দেওয়া প্রশ্নের মধ্যে ৭২ থেকে ৭৫টিই মিলেছে।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, আমাদের তদন্তে এখন পর্যন্ত যে প্রমাণ পেয়েছি, তাতে এ চক্রের হোতা অসিম গাইন। তার বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। তিনি আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। তিনি অল্পদিনে কয়েকশ’ কোটি টাকা আয় করেছেন। এ টাকা দিয়ে তার গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকা অসিমের মানবপাচার, হুন্ডি ব্যবসা ও ডিশের ব্যবসা রয়েছে। যেখানে তিনি প্রশ্ন ফাঁস করে আয় করা টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তাকে গ্রেপ্তার করলে কীভাবে প্রশ্নগুলো পান, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারব।

এ ঘটনায় দুজনকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। যারা প্রশ্নের সমাধান করেছেন, আদালতে তারাও স্বীকার করেছেন। যারা প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন, তারাও স্বীকার করেছেন। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের পরীক্ষা বাতিলের অনুরোধ জানানো হবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন বলেন, আমরা এ মামলার তদন্তে নেমে যা যা পেয়েছি সবকিছুই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন পরীক্ষা বাতিল করবেন না-কি বহাল রাখবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী
অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়