অনলাইনে কোনো কিছু ডিলিট হয় না?

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:১৮ পিএম | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৫ এএম


অনলাইনে কোনো কিছু ডিলিট হয় না?

বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, তাদের ডিজিটাল জীবনে যে, তারা ইন্টারনেটে তাদের দেওয়া পোস্টগুলো ডিলিট করে দিতে পারেন। তারা পছন্দের যেকোনো সার্ভিসে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং ম্যাসেজগুলো পরিষ্কার করতে পারেন। তবে তাদের এই মনের আনন্দকে এই সপ্তাহে একটি টেকনোলজি শুনানি প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

পাইটার সি জাটকো, যিনি ‘মার্জ’ নামে বহুল পরিচিত, টুইটারের সাবেক সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান, মার্কিন সিনেটের একটি কমিটিকে বলেছেন মঙ্গলবার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিশ্বস্তভাবে যে ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টগুলো ক্যানসেল করেছেন সেই তথ্যগুলোকে তারা মুছে দিতে পারে না। আকস্মিকভাবে প্রথম ফাঁসকারী হিসেবে একটি শুনানীর বিশদ বিবরণের সময় তিনি এই তথ্যটি দিয়েছেন।

সেই সংবাদটি প্রথম প্রকাশ করেছে সিএনএন আর গেল মাসে ছাপিয়েছে দি ওয়াশিংটন পোস্ট।

মার্জ সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিতে টুইটারে তথ্য নিরাপত্তা বিষয়ে স্বাক্ষ্যদানের সময় বলেছেন, টুইটার বিশ্বস্তভাবে ব্যবহারকারীদের তথ্যগুলো ডিলিট বা মুছে ফেলতে পারে না কোনো, কোনো ক্ষেত্রে। এর কারণ হলো, তারা তথ্য অনুসরণের পথটি শেষ পর্যন্ত হারিয়ে ফেলে।

মার্জের এই অভিযোগগুলোর বিপক্ষে টুইটার ব্যাপকভাবে প্রতিরোধ করেছে। বলেছে, তার ফাঁস করা বিষয়গুলোতে রঙ মাখানো হচ্ছে ও কম্পানির বিষয়ে একটি মিথ্যা বিবরণ প্রদান করছেন তিনি।

সিএনএনের এই বিষয়ের প্রশ্নগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি সাড়া দিয়েছে। তারা বলেছেন, তাদের একটি ডিলিট কর্মপ্রক্রিয়া আছে এবং নিজস্ব কর্মধারায় তারা একটি জায়গা থেকে কাজ করেন। তবে সাধারণত তারা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন কী না এই বিষয়ে বলেননি।

যখন মার্জের অভিযোগগুলো সবাইকে আশ্চর্য করে চলেছে, সান্ড্রা ম্যাটসের কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে বেশিরভাগ সময় আমরা আমাদের তথ্যগুলো অনলাইনে শেয়ার করি। বলেছিলেন, ‘এটি খুব সামান্য শব্দ করে। তবে যখন আপনি সেখানে তথ্য রাখবেন, কখনো আশা করবেন না এই তথ্যগুলো আর ব্যক্তিগত থাকবে।’ ম্যাটস একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গবেষক ও কলম্বিয়া বিজনেস স্কুলের একজন অধ্যাপক।

‘ইন্টারনেট থেকে কোনোকিছু প্রত্যাহার করতে রিসেট বাটনে আঘাত করা হলেও সেটি প্রায় অসম্ভব’, তিনি বলেছেন। আমাদের তথ্যগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজি ধরলেও এবং আমাদের সেটি ডিলিট করার ক্ষমতা আছে বলে আত্মবিশ্বাস থাকলেও এ বিষয়ে কোনোদিনও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এর আগে কোনো শুনানি হয়নি।

এই বিষয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন সবাই মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের ‘রো ভার্সেস ওয়েড’ মামলায় উল্টো রায় দেওয়ার ফলে জুন মাসে। এখন সেখানে এই ধরণের ইতিহাসগুলো নিয়ে আলাপ ও কার্যক্রমের সম্ভাব্যতা তৈরি হয়েছে।

এমনও বলা হয়েছে, লোকেশন ডাটা, এসএমএস বা টেক্সট ম্যাসেজসহ আরো অনেকগুলো সুবিধা কাজ করে সেই মানুষগুলোকে শাস্তি দেওয়ার জন্য, যারা অনলাইনে তথ্যগুলো বাতিল করে দেওয়ার সুযোগগুলোর তথ্য জানতে চান।

এর মধ্যে জুলাই মাসে ফেসবুকের মাতৃপ্রতিষ্ঠান মেটা কঠোর নিরাপত্তা গ্রহণের দিকে ধাবিত হয়েছে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ম্যাসেজ পাঠানো এবং নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের একজন কিশোর ও তার মায়ের বিপক্ষে একটি বেআইনি কাজের মামলা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যবহার করায়। তবে সেখানে কোনো ইঙ্গিত ছিল না যে, কোনো একটি ম্যাসেজ আগে ডিলিট করা হয়েছিল কী না।

ফলে ম্যাসেজ ডিলিটের সাধারণ ব্যবহারকারীদের সুবিধার প্রশ্নটি সামনে চলে এসেছে।

টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির একজন অধ্যাপক ও সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ের গবেষক রবি সেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অন্যান্য গ্রুপগুলোকে এই বিষয়ে আরেক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট বা বিশেষ ক্ষেত্রে ঠিক ধরণের টুলগুলো ব্যবহার করার সুযোগ থাকলে এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হলে কোনো, কোনো ক্ষেত্রে ডিলিট করা তথ্যগুলো উদ্ধার করা যায়।’ তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘অনেক মানুষ জানেন না তাদের তথ্যটি কোথায় গিয়ে থামে সেই প্রক্রিয়াটিই। যেকোনো পোস্ট সেটি একটি ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কমেন্ট বা ডিলিট করা ম্যাসেজ সাধারণত ব্যবহারকারীর ডিভাইসে সেইভ হয়ে যায়। থাকে সেভাবে গ্রহণকারীর ডিভাইসে এবং কম্পানিটির সার্ভারে, যাদের প্ল্যাটফর্ম আপনি ব্যবহার করেন। আদর্শগতভাবে যে ব্যবহারকারী কনটেন্টটি তৈরি করলেন, তিনি যদি সেটি ডিলিট করেন, তাহলে এই তিনটি স্থান থেকে সেটি চলে যাবার কথা। তবে সাধারণত তত সহজে সেটি হয় না। আপনি যদি কম্পানিটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন এবং তাদের সার্ভারগুলো থেকে আপনার তথ্যটি ডিলিট করতে বলেন, তাহলে সেটি অবশ্যই ঘটতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যায় না।’

ফলে আপনার অনলাইন তথ্যকে নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো যে প্রাথমিক অ্যাপসগুলো ব্যবহার করা, যারা একের পর এক তথ্যকে জোড়া লাগানোর কাজ করে বা তথ্যভিত্তিক অ্যাপস হিসেবে ব্যবহৃত হয়-এই কথাটি বলেছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তারা আরো বলেছেন, আরেকটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ক্লাউড ব্যাকআপ সেটিংসকে ম্যানেজ করা। তাতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলো কোনো জায়গায় ব্যবহার করা হবে না নিশ্চিত করা।

মার্জ বলেছেন, ‘তবে যখন কোনো একজন ব্যবহারকারীর সব ধরণের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাই শেষ সীমায় এসে পৌঁছায়, আপনি কোনো কিছু অনলাইনে দিলে তখন আসলে আপনার নিয়ন্ত্রণ হারালেন। এখন টুইটার এখন পোস্টগুলোকে ডিলিট করে বা আপনি ফেসবুক থেকে ডিলিট করলেন, এর মধ্যেই কোনো একজন কোথাও আপনার পোস্টটি কপি করলেন হয়ে যেতে পারে।’

ম্যাটস এজন্য সুপারিশ করেছেন, মানুষকে বড় টেকনোলজিভিত্তিক প্লাটফর্মগুলোতে কোনো কিছু শেয়ার করার সময় আরো বেশি মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে। তিনি মনে করেন, অনলাইনে মোটের ওপর সতর্কভাবে চলতে হবে। শেষে বলেছেন, ‘কেবল ধারণা করা যায় যে, আপনি সেখানে যা কিছু রাখলেন, অন্যের দ্বারা ব্যবহার হতে পারে, অনন্তকাল সেখানে থাকতে পারে।’

(সিএনএন অবলম্বনে)


খালেদা জিয়াকে নিয়ে তুরস্কের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ

০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২১ এএম


খালেদা জিয়াকে নিয়ে তুরস্কের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া । ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে তুরস্কের গণমাধ্যম। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি ‘বিরোধীদলীয় নেতাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরোধীদলীয় নেত্রী ও দুইবারের প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

প্রতিবেদনে চিকিৎসকদের বরাতে বলা হয়, গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার একটি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীনে রয়েছেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ফরোয়ার্ড করা আপিলকে ‘না’ জানিয়ে বলেছেন, মন্ত্রণালয় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তাকে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দিতে পারে না।‌ সরকারের আইনগত অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। সব কাজ আইনি কাঠামো অনুযায়ী করতে হবে। আইনকে বাইপাস করা, যে কোনো ক্ষেত্রেই একটি খারাপ উদাহরণ তৈরি করে।

প্রতিবেদনে বলা আরও বলা হয়, ৭৮ বয়সী বেগম জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং উচ্চ লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

প্রতিবেদনে গত শনিবার ভয়েস অব আমেরিকায় প্রচারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন নেওয়ার আগে খালেদা জিয়াকে অবশ্যই কারাগারে ফিরে যেতে হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, জিয়ার দল অবশ্য তার বিরুদ্ধে আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান করেছে এবং খালেদা জিয়াকে তার অবস্থা গুরুতর উল্লেখ করে অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড লিভার ট্রান্সপ্লান্টের সুপারিশ করেছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে বিদেশে একটি উন্নত মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো দরকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রী দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। কোভিড মহামারি চলাকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ, বর্তমান সরকার তাকে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাড়িতে থাকা এবং দেশ ছেড়া যাবে না এই দুই শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়।

 


রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৯ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২০ এএম


রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভারতের মেঘালয় রাজ্য। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩।

গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনবার দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৫৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে টাঙ্গাইলে।

এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত–মিয়ানমার সীমান্ত। এ ছাড়া ৯ সেপ্টেম্বর আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসামের কাছাড় এলাকা।

আগস্ট মাসে দুই দফায় বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে একটি অনুভূত হয় ২৯ আগস্ট। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট। এর আগে ১৪ আগস্ট আরেকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তবর্তী সিলেটের কানাইঘাট এলাকায়।


কোভিড-১৯ টিকার জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই বিজ্ঞানী

০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২২ এএম


কোভিড-১৯ টিকার জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই বিজ্ঞানী
নোবেল পুরস্কারজয়ী কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইজম্যান

চিকিৎসাবিজ্ঞানে অবদান রাখায় এ বছর নোবেল পুরস্কার জিতলেন কাতালিন ক্যারিকো ও ড্র ওয়াইজম্যান। সুইডেনের নোবেল অ্যাসেমব্লি অ্যাট ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউট সোমবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে তাদের নাম ঘোষণা করে।

নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, নিউক্লিওসাইড বেজ মডিফিকেশন সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইজম্যানকে। তাদের এ আবিষ্কারের ওপর ভর করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর এমআরএনএ টিকা উদ্ভাবন করা হয়।

১৯০১ সাল থেকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এ যাবত ১২ জন নারী চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন।

চিকিৎসায় সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হরেন ফ্রেডরিক জি. ব্যান্টিং। তিনি ইনসুলিন আবিষ্কারের জন্য ১৯২৩ সালে নোবেল পেয়েছিলেন। চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি বয়সী নোবেলজয়ীর নাম পেটন রৌস। তিনি ৮৭ বছর বয়সে এ পুরস্কার পান।

সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। ১৮৯৫ সালে এক উইলে ‘মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবায় অবদান রাখা’ ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার নিবেদিত করেছেন তিনি।

নোবেল পুরস্কারের মধ্যে চিকিৎসাশাস্ত্রের পুরস্কারটি সোমবার সুইডেনের স্টকহোমে ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে পদার্থবিজ্ঞানের পুরস্কার। বুধবার রসায়ন ও বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে সাহিত্যের পুরস্কার।

আগামী শুক্রবার অসলো থেকে ঘোষণা করা হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত নোবেল শান্তি পুরস্কার। আর অর্থনীতির পুরস্কারটি ঘোষণা করা হবে ৯ অক্টোবর।


বিভাগ : সারাবিশ্ব

বিষয় : নোবেলজয়ী


অনুসরণ করুন