স্যামসাং বদলে দিল যেভাবে

১১ নভেম্বর ২০২২, ১২:৫৭ পিএম | আপডেট: ২৬ মে ২০২৩, ০৯:৫৬ এএম


স্যামসাং বদলে দিল যেভাবে

বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ও দামী স্মার্টফোনগুলোর একটি দক্ষিণ কোরিয়ান ব্র্যান্ড ‘স্যামসাং’। বদলে দিয়েছে মোবাইলের ইতিহাস, প্রযুক্তিতে যাপন। আগামীর বিশ্বকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে নিয়ে আসতে নিত্যনতুন উদ্ভাবনও করে যাচ্ছে। স্যামসাংয়ের সেরা ১০ আবিষ্কার নিয়ে লিখেছেন আসিফুল হক চৌধুরী।

১. অ্যামোলেড ডিসপ্লে: স্মার্টফোনের বড় স্ক্রিনের ডিসপ্লে ব্যবহারের সুযোগ সবার জন্য সহজলভ্য করেছে অ্যামোলেড ডিসপ্লে। স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে স্যামসাং-ই প্রথম স্মার্ট ডিভাইসে ডিসপ্লেটি ব্যবহার করেছে। ডিসপ্লেকে আরো আধুনিক করতে কাজ করে যাচ্ছে মোবাইল কম্পানিটি।

২. এস পেন: ২০১১ সালে আবার প্রথম স্যামসাং গ্যালাক্সি নোটের সঙ্গে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির কলম ‘এস পেন’ এসেছে। তাতে স্মার্ট ফোনটি ব্যবহারকারীদের যারা ডিজিটাল ডিভাইসেও অ্যানালগের ছোঁয়াকে ধরে রাখতে চান, তাদের এই সেটে ব্যাগে নোটবুক-কলম নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেল। শুরু হলো কলমে ফোনস্ক্রিনে মনের কথা ও চিন্তার লিখিত প্রকাশ।

৩. স্যামসাং নক্স : আমাদের প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী মোবাইলটিতে ব্যক্তিগত, পেশাগতসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য সংরক্ষণ করি। নিরাপত্তাও হতে হয় স্বস্তিময়। ফলে স্যামসাং নিয়ে এসেছে স্মার্টফোনের জন্য অফিশিয়াল নিরাপত্তা বলয় ‘স্যামসাং নক্স’। মোবাইল থেকে অনাকাংখিত উপায়ে যেকোনো তথ্য পাচার বা ভাইরাসের আক্রমণ সরানো গেল।

৪. আইপি ৬৮ : যেকোনো ব্র্যান্ডের যেকোনো স্মার্টফোন, তা সে যতোই দামীই হোক, হাত ফস্কে বা অন্য কোনো অসাবধানতায় একবার পানিতে পড়ালেই নিশ্চিতভাবে আয়ু ফুরায়। ২০১৭ সালে আবার প্রথম ‘স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৭’ মোবাইলে সর্বোচ্চ মাত্রার ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রুফ প্রযুক্তি ‘আইপি ৬৮’ ব্যবহার করলো। ফলে মোবাইলটিতে পানি ও ধূলোবালু নিয়ে আর কোনো সমস্যা হয় না।

৫. স্যামসাং পে: অনেকেই নগদ অর্থ ও কার্ডের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে জীবনকে সহজ ও নিরাপদ করতে চান। টাকা সঙ্গে, সঙ্গে অনলাইনে লেনদেনের জন্য ২০১৫ সালে স্যামসাং স্মার্টফোনে নিয়ে এলো ‘স্যামসাং পে’। ফলে মোবাইলেই এলো টাকা।

৬. প্রথম ডুয়েল পিক্সেল সেন্সর: স্যামসাং সবসময় দামী ক্রেতাদের সর্বাধুনিক ক্যামেরা সুবিধা দিতে কাজ করে চলেছে। স্মার্টফোনে বিশ্বের ‘প্রথম ডুয়েল পিক্সেল সেন্সর’ও তাদের তৈরি। ডিএসএলআর ক্যামেরার সুবিধা আছে।

৭. ওয়ান ইউ আই : ব্যবহারকারীদের অনন্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে ‘ইউজার ইন্টারফেস’ হিসেবে ২০১৮ সালে এনেছে ‘স্যামসাং ওয়ান ইউআই’। অন্যদের চেয়ে সহজ, স্বাচ্ছন্দ্যময়, নিরাপদ ও ব্যবহারবান্ধব।

৮. ফোল্ডেবল স্মার্টফোন : স্মাটফোনকে আবার আগের যুগেও ফিরিয়ে নিয়েছে স্যামসাং স্মার্টলি। ২০১৯ সালে ‘স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড’ আনলেন তারা। বিশ্বে ফোল্ডেবল স্মার্টফোন যুগের সূচনা হলো। স্যামসাংয়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি স্মার্টফোনটিতে স্বাচ্ছন্দ্য আরো নিশ্চিত করতে ‘মাল্টি-অ্যাকটিভ উইন্ডো’ আছে।

৯. এআই পাওয়ার্ড ইরেজার : ২০২১ সালে স্যামসাং উদ্ভাবনী এই প্রযুক্তিটি প্রথম নিয়ে এলো। যেকোনো ছবির অনাকাংখিত বস্তু ও অংশ মুছে দেওয়া যায়। এজন্য স্যামসাং রেখেছে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)’। আরো অনন্যতা হলো-এআই পাওয়ার্ড ইরেজার কন্ঠস্বর ব্যবহার করেও করা যায়।

১০. রিসাইকেল ব্র্যান্ড : টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্যও বিশ্বে কাজ করে চলেছে স্যামসাং। তাদের স্মার্টফোনগুলোর উপাদানগুলো রিসাইকেল করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। প্লাস্টিক ও কাগজের ব্যবহার কমিয়ে আনতেও কাজ করে চলেছেন তারা।

ওএফএস।