শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ফোন ট্র্যাকিং বুঝার উপায়, যেসব উপায়ে বন্ধ করবেন

ছবি সংগৃহিত

আপনার স্মার্টফোনটি দিয়ে আপনাকে নানা উপায়ে ট্র্যাক করা সম্ভব। তবে আপনি যদি এ বিষয়ে খেয়াল রাখেন তাহলে এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারবেন।

সারাদিনে কাজ, ব্যবসা-সম্পর্কিত কিংবা ব্যক্তিগত নানা কারণে আমরা ফোনের ব্যবহার করে থাকি। তবে ফোনে আমাদের সারাদিনের কর্মকাণ্ড যে সব সময় ব্যক্তিগত থাকে না, সেটা সব সময় বোঝাও যায় না।

কারও ফোন যেভাবে ট্র্যাক করা হতে পারে এমন ৩টি ভিন্ন উপায় সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হবে। কিন্তু তার আগে আসুন দেখে নেওয়া যাক কারা, কীভাবে আপনার ফোন ট্র্যাক করতে পারে।

কী কী উপায়ে আপনার ফোন ট্র্যাকিং হতে পারে?

ফোন ট্র্যাকিং অনেক অপ্রত্যাশিত উপায়ে হতে পারে। আপনার ব্যবহৃত ডিভাইসটিতে কারও প্রবেশের অধিকার থাকলে সহজেই সেই ব্যক্তি আপনার ফোনে লোকেশন-ট্র্যাকিং ফিচারটি সক্রিয় করতে পারবে। আর অন্য কোনো ব্যক্তি ট্র্যাকিং চালু করেছেন কি না সেটা ডিভাইসের মালিক বুঝতেও পারবেন না। এতে করে অনেক অ্যাপ এবং ফোন অপারেটিং সিস্টেমের লোকেশন-ট্র্যাকিং ফিচার মানুষের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এ ছাড়া আপনার কর্মক্ষেত্র বা নিয়োগকর্তা দ্বারাও আপনার ফোনের ব্যবহার ট্র্যাকড হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে আপনার ডিভাইসটি কোম্পানি থেকে ইস্যু করা থাকে। এমনকি আপনার স্মার্টফোনটি যদি একটি করপোরেট নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, সেক্ষেত্রেও আপনাকে ট্র্যাকিং সম্ভব৷

এর বাইরে অনেক অ্যাপ এবং ফোন পরিষেবাতে রয়েছে বিল্ট-ইন ট্র্যাকিং ফিচার। এই ফিচারগুলো কখনো কখনো বেশ কাজের এবং প্রয়োজনীয়। যেমন, অ্যান্ড্রয়েড তার ব্যবহারকারীদের বর্তমান অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে কাছাকাছি এলাকাগুলো সম্পর্কে তথ্য দেখায়। যেন তারা সেই এলাকা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারে। এ ছাড়া অনেকেই জানেন না, বিভিন্ন অ্যাপ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের ট্র্যাক করে থাকে।

২০১৯ সালে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি তদন্তে ২৫০টি আইফোন অ্যাপ পরীক্ষা করা হয়। যেখানে দেখা হয় যে পণ্য বা পরিষেবাগুলো ব্যবহারকারীদের ট্র্যাক করেছে কি না। ফলাফলে দেখা যায়, তাদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে।

যোগাযোগ পরিষেবা প্রদানকারী বা সিম কোম্পানিও ফোন ট্র্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত। কারণ প্রতিটি ফোনই কোম্পানির মালিকানাধীন সেল টাওয়ারে ব্যক্তিগতভাবে শনাক্তযোগ্য তথ্য পাঠায়। যদিও এটি সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি প্রয়োজনীয় অংশ। কারণ ফোন কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই আপনার অবস্থান যাচাই করতে হবে। এ ছাড়া আপনি যে তাদের একজন গ্রাহক তা নিশ্চিত করতে হবে৷ তবে আপনার পরিচয় গোপন রেখে এই যাচাইকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য এখনো গবেষণা চলমান।

আপনার ফোন ট্র্যাক করা হচ্ছে কি না বুঝবেন কীভাবে?

অনেকে ফোন ট্র্যাকিংয়ের কিছু লক্ষণ শনাক্ত করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ তারা লক্ষ্য করতে পারেন, ডিভাইসটি ধীর হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কর্মক্ষমতায় অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন দেখা যায়। তবে ট্র্যাকিং করা হলে তা সব সময় এত সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় না।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে, আপনি বিভিন্ন কোড ডায়াল করে দেখতে পারেন। যেগুলো ফোন ট্র্যাকিং করা হলে সম্ভাব্য কিছু প্রতিক্রিয়া দেখাবে। যেমন: *#61# লিখে ডায়াল করলে ইনকামিং কলগুলো অন্য কোনো নম্বরে ফরওয়ার্ড করা হয় কি না তা জানাবে। একইভাবে *#62# ডায়াল করে আপনি দেখতে পারবেন যে, কোনো ডাইভারশন সফ্টওয়্যার বিভিন্ন কল এবং টেক্সটকে আপনার কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয় কিনা।

কীভাবে আপনার ফোনকে ট্র্যাক করা থেকে বাঁচাবেন?

ফোন ট্র্যাকিং হ্রাস করার কাজটি আপনি যা ভাবছেন তার চেয়েও সহজ। তবে যদি আপনি সেগুলো সম্পর্কে জানেন।

ফ্লাইট মোড চালু এবং জিপিএস লোকেশন সেটিংস নিষ্ক্রিয় করা

ফোনের অ্যারোপ্লেন মোড ফিচারটি চালু করলে তা সেলুলার এবং ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কগুলোর সেই সংযোগগুলোকে বাধা দেয়, যেগুলো ট্র্যাকিংয়ে সাহায্য করে। প্রথমে ফ্লাইট মোড নির্বাচন করুন। তারপর আপনার ফোনের জিপিএস বা লোকেশন ফিচারটির অবস্থা পরীক্ষা করুন৷ ফ্লাইট মোড চালু করার পর প্রায়শই লোকেশন সেটিংস স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তবে এটি বন্ধ হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভালো।

কিন্তু এই ফিচারগুলো বন্ধ করলে আপনি কল বা মোবাইল ডেটার জন্য আপনার ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে ট্র্যাকিং বন্ধ করার জন্য এটি একটি দ্রুত উপায়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য এটি আদর্শ নয়।

অপারেটিং সিস্টেম সেটিংসের দিকে মনোযোগ দিন

যারা অ্যাপভিত্তিক ট্র্যাকিং সম্পর্কে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন। তারা অপারেটিং সিস্টেম বা ওএস-ভিত্তিক সেটিংস থেকে এটিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন।

অ্যাপলের আইওএস-এর সাম্প্রতিক সংস্করণগুলো সব ধরনের অ্যাপ কিংবা পৃথক অ্যাপের ক্ষেত্রে ট্র্যাকিং বন্ধ করার সুযোগ দিয়ে থাকে।

গুগলও সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েডের জন্য প্রাইভেসি স্যান্ডবক্স নামে অনুরূপ একটি ফিচারের ঘোষণা করেছে। এটি থার্ড পার্টির কাছে ব্যক্তিগত ডেটা স্থানান্তর সীমিত করে আনে। এ ছাড়া এটি সব অ্যাপে ট্র্যাকিং কার্যক্রম চলার অনুমতি দেয় না।

গোপনীয়তা-কেন্দ্রিক ব্রাউজার নির্বাচন করুন

ওয়েব ব্রাউজার হিসেবে বেশিরভাগ মানুষ গুগল ক্রোমকে তাদের পছন্দের শীর্ষে রাখে। তবে অনেকে বুঝতে পারে না যে এটি ব্যবহারকারীদের অনলাইন কার্যকলাপ ট্র্যাক করে থাকে। কিন্তু আপনি চাইলে বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে গুগলের ট্র্যাকিং ফিচারগুলো বন্ধ করতে পারবেন।

আরেকটি বিকল্প হল, এমন একটি ব্রাউজার ব্যবহার করা যা আপনাকে কম ট্র্যাক করে কিংবা একেবারেই ট্র্যাক করে না। এই ব্রাউজারগুলি অনুসন্ধানের সময় আপনাকে পার্সোনালাইজড ফলাফল দেবে না। যা ট্র্যাকারযুক্ত ব্রাউজারগুলো আপনাকে দিয়ে থাকে। তবে এই ব্রাউজারগুলো অবশ্যই আপনাকে গোপনীয়তা সম্পর্কে আরও বেশি মানসিক শান্তি প্রদান করবে।

পরিশেষে

ট্র্যাকিং থেকে বাঁচতে প্রথমে উপরের ৩টি পরামর্শের দিকে নজর দিতে পারেন। তবে এগুলোর পাশাপাশি কীভাবে এবং কখন ট্র্যাক করা হয় সে সম্পর্কে আরও সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করুন। উদাহরণ স্বরূপ, কর্মস্থল থেকে কোনো ডিভাইস প্রদানের পূর্বে চুক্তিপত্র বা অনুরূপ নথিগুলো ভালো করে লক্ষ্য করুন। সেখানে আপনার বস আপনার ফোনের কার্যকলাপ ট্র্যাক করতে পারবেন কি না তা উল্লেখ থাকতে পারে।

Header Ad

অপরাধটা কী করেছি, দেশবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনাদের কাছে আমি বিচার চাই, অপরাধটা কী করেছি? মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছি। এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ আর কেউ যেন এই দেশে চালাতে না পারে, সে জন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কি এটাই অপরাধ যে আমি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছি। আর সেই জায়গাগুলোতেই হামলা করতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে ২০০৮ সালের বাংলাদেশ আর ২০২৪ এর বাংলাদেশ তো এক নয়। দেশের মানুষের জীবনমান তো উন্নত হয়েছে। আমাদের অর্থনীতি আজ কত ওপরে উঠে গিয়েছিল। মনে হলো এটা আর কিছু নয়, অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ পঙ্গু করে দিয়ে দেশকে ভিক্ষুকের জাতি করে দেওয়ার জন্যই এ ষড়যন্ত্র। সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুঃখজনক।

শেখ হাসিনা বলেন, দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যখন দেশকে একটা জায়গায় নিয়ে এলাম। আজ দেখি যে প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষকে সেবা দেয় সেখানে জ্বালাও-পোড়াও।

জনগণের সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ মেট্রোরেলে মানুষ কত অল্প সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারতো, আবার ফিরতে পারতো। সেই স্টেশনগুলো পুড়িয়ে এখন ট্রাফিক জ্যাম, মানুষের কষ্ট। আমি তো কষ্ট লাঘব করেছি। কিন্তু যারা এভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষকে আবার কষ্টে ফেলে দিলো তাদের বিচার এ দেশের মানুষকেই করতে হবে। আমি সবার সহযোগিতা চাই।

সাম্প্রতিক সংঘাতে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির দায়-দায়িত্ব কার এমন প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, কোটা তো আমি বাতিলই করে দিয়েছি। আমি আহ্বান করেছিলাম, বলেছিলাম একটু ধৈর্য ধরো। হাইকোর্টে শুনানি হবে, হাইকোর্ট যে রায় দেন। না তারপরেও এ আন্দোলন, আজ এতগুলো মানুষের জীবনের ক্ষতি হলো, এতগুলো পরিবারের ক্ষতি হলো। এর দায়দায়িত্ব কাদের?

সংঘাতে যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আবেগাপ্লুত শেখ হাসিনা বলেন, আর এভাবে মায়ের কোল খালি হোক এটা আমি চাই না। কারণ আমি তো বাবা-মা সব হারিয়েছি, আমি তো জানি হারাবার ব্যথা কত কষ্টের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বজন হারানোর কষ্ট বুকে নিয়েই তো ফিরে এসেছি এ দেশের মানুষের জন্য। এখানে আমার তো কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আমি তো ছেলে-মেয়ের জন্যও কিছু করিনি। শুধু তাদের লেখাপড়া, নিজেরাই চাকরি করেছে, নিজেরাই লেখাপড়া করেছে, আমি কতটুকু করতে পেরেছি। কিন্তু আমি দেশের মানুষের জন্য করেছি।’

‘আজ অন্তত মানুষের ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা, চিকিৎসার ব্যবস্থা, তাদের কাজের ব্যবস্থা। সবই তো করে দিচ্ছিলাম। যখন আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি তখনই এ তাণ্ডব।’

আহতদের সুচিকিৎসা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা পা হারিয়েছেন, হাত হারিয়েছেন, আমরা কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করে দেবো। যাতে তারা আবার সুস্থ মানুষের মতো চলতে পারে, নিজের কাজ করতে পারে।’

বিভিন্ন দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ আর তার ফলাফল আজ এ অবস্থা। সব দাবি মেনে নেওয়ার পরেও শাটডাউন শেষ হয় না। সম্পূর্ণ দাবিই মেনে নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘একটা মানলে আরেকটা, আরেকটা মানলে আরও একটা। এর ফল আজকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সব দিকে ছারখার। আর আজ কত মানুষ জীবন হারালো। কতগুলো মানুষ পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে।’ ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটও এ রকম তাণ্ডব চালিয়েছিল।

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সংঘাতে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। আহতদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রীকে আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়। আহতদের তিনি যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

নিটোর পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী শামীম উজ্জামান আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

আন্দোলনকারীদের ৮ দফার যৌক্তিক দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রী মেনে নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত

একটি মহল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ছাত্র আন্দোলনের নেতারা নতুন যে ৮ দফা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তার মধ্যে যৌক্তিক দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে মেনে নেওয়া হবে।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে গত কয়েকদিনে দুর্বৃত্তদের হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

এক‌টি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমে গুজব ছ‌ড়ি‌য়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রা‌ন্ত করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গি ও দুষ্কৃতকারীরা যারা সারা দেশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে, নরসিংদীর কারাগারসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র লুট করেছে; তাদের চিহ্নিত করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আক্রমণকারীদের প্রধান আক্রোশই ছিল পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের প্রতি। স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে যে পুলিশ তাদের ওপর নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। আমাদের দেশপ্রেমিক বিজিবির ওপরও হামলা করা হয়েছে। আমাদের র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি যখন একত্রে পারছিল না তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছি। খুব শিগগিরই আমরা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাব।

তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, ছাত্রদের মিসগাইড করে যে ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে, অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে; আমাদের ছাত্রলীগের অনেকেই শাহাদাত বরণ করেছে। তিনজন পুলিশ মারা গেছেন। একজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এদিকে বর্তমানে এক‌টি মহল সোশ্যাল মি‌ডিয়ার মাধ‌্যমে গুজব ছ‌ড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রা‌ন্ত করছে। সাংবাদিকদের দায়িত্ব এইসব গুজব থেকে দেশকে রক্ষা করা।

কোটা আ‌ন্দোল‌নের সন্বয়কারী তিনজ‌ন‌কে নিরাপত্ত‌া হেফজ‌তে রাখা হ‌য়ে‌ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কারা তা‌দের আক্রমণ কর‌তে চায় সে বিষ‌য়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত ক‌রে ব‌্যবস্থা নেয়া হ‌বে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হক, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আমরা ইন্টারনেট বন্ধ করিনি, বন্ধ হয়ে গেছে: প্রতিমন্ত্রী পলক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি, নাশকতাকারীদের হামলার ডাটা সেন্টার পুড়িয়ে ফেলায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

পলক বলেন, শিগগিরই মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হবে। রোববার সকাল ৯টায় আমরা এমটবের সঙ্গে বৈঠক করব। বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হবে। আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করিনি। ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছিল তিনটি ডেটা সেন্টার ও শত শত কিলোমিটার তার পুড়িয়ে দেওয়ার কারণে। এজন্য শুধু টেলিকম খাতে ৫০০ কোটি টাকা এবং সব মিলিয়ে শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৮ জুলাইয়ের মোবাইল অপারেটরদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকার উত্তরা, রামপুরা, মোহাম্মাদপুর, যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ নতুন সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া ডাক বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। তাই ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।

অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে আঘাত আসায় এখনো কিছু ক্যাশ সার্ভার মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো দুই চার দিনের মধ্যে টেলিযোগাযোগ পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।

আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ইন্টারনেট এখন আমাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু দুর্বৃত্তদের হামলায় মহাখালীতে সার্ভার ও তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল। এই সেবা এখন ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে।

ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান এবং অন্যান্যরা।

সর্বশেষ সংবাদ

অপরাধটা কী করেছি, দেশবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
আন্দোলনকারীদের ৮ দফার যৌক্তিক দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রী মেনে নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আমরা ইন্টারনেট বন্ধ করিনি, বন্ধ হয়ে গেছে: প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সরকার পতনের দাবি নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়কারীকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় ২২ বাংলাদেশিসহ ৫৯ অভিবাসী আটক
দেশবিরোধী জামায়াত, বিএনপি, ইউনূস গঙকে রুখে দিতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
অলিম্পিক ইতিহাসে ভিন্নধর্মী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপহার দিল ফ্রান্স
ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে কারাগারে আশ্রয় ফিলিস্তিনিদের
ইসরায়েল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের, চাপে নেতানিয়াহু
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন আজ
বাংলাদেশে নতুন নির্বাচনের দাবি ড. ইউনূসের
জালিমদের ব্যাপারে ইসলাম যা বলে
ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক
আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট
'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'
‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল