রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দেশের বাজারে সেরা ১০ ক্যামেরা ফোন

স্মার্টফোনে ক্যামেরা একটি অপরিহার্য ফিচার। ছবি তোলা যাদের শখ তাদের প্রথম আকর্ষণ ক্যামেরা ফোন। ক্যামেরা থাকলেও ভালো রেজুলেশন ও সঠিক ইমেজ সেন্সরের ক্যামেরা সব ফোনে ব্যবহার করা হয় না। সাধারণত যেসকল ফোন ক্যামেরাকে প্রাধান্য দিয়ে বানানো হয় সেসকল ফোনে ভালো ক্যামেরা সেন্সর দেওয়া হয়। তাই এসকল ফোনের মূল্য তুলনামূলক বেশি হয়। ক্যামেরা ফোনের অন্যান্য কাজের গতি বেশিও হতে পারে, কমও হতে পারে। এর ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, নাও হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে কেবল ক্যামেরাই প্রাধান্য পাবে।

দেশের বাজারে শাওমি, স্যামসাংসহ বেশ কয়েকটি ফোনেই সবচেয়ে বেশি ১০৮ মেগাপিক্সেলের ইমেজ সেন্সর আছে। দেখে নেওয়া যাক দেশের বাজারের সেরা ১০ ক্যামেরা ফোনগুলো।

১. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি ওয়ান আল্ট্রা:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৪ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১০৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৪.৯ অ্যাপারচার ও ২৪০ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ৭২ মিলিমিটার টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৩ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২১। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

২. স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট টুয়েন্টি আল্ট্রা:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১০৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৩ অ্যাপারচার ও ১২০ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৩ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২০। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

৩. হুয়াওয়ে পি ফোরটি প্রো:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৯ অ্যাপারচার ও ২৩ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৫০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৩.৪ অ্যাপারচার ও ১২৫ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ১.৮ অ্যাপারচার ও ১৮ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১৩২। এই ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে লেইকার লেন্স। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।

৪. ভিভো এক্স সেভেন্টি প্রো:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৫০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৩.৪ অ্যাপারচার ও ১২৫ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২ অ্যাপারচার ও ৫০ মিলিমিটার টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২০। এই ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে কার্ল জেসিসের লেন্স। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৭৩ হাজার টাকা।

৫. ভিভো এক্স সিক্সটি প্রো:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ৫০ মিলিমিটার টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১৩ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১৩ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২০। এই ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে কার্ল জেসিসের লেন্স। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৭০ হাজার টাকা।

৬. ওয়ানপ্লাস এইট টি:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৭ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৪ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১৬ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার মনোক্রোম লেন্সের ২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১৬ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১১১। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৬০ হাজার টাকা।

৭. স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সেভেন্টি টু:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৬৪ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার টেলিফটো ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.২ অ্যাপারচার আল্ট্রাওয়াইড লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০৫। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৪৬ হাজার টাকা।

৮. শাওমি ইলেভেন এক্স:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ৫০ মিলিমিটার ম্যাক্রো লেন্সের ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ২০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০৩। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৪৩ হাজার টাকা।

৯. অপ্পো রিনো সিক্স:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৭ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৬৪ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০৭। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৩৩ হাজার টাকা।

১০. অপ্পো রিনো ফাইভ:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৭ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৬৪ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০০। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৩৩ হাজার টাকা।

/এএস

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা

আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা বিবেচনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। শনিবার (১০ মে) রাতে এক জরুরি বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনীও অনুমোদিত হয়েছে, যার আওতায় এখন থেকে ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন কিংবা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।

বৈঠক-পরবর্তী বিবৃতিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর নেতাদের বিচার চলমান থাকা পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দলটির সব ধরনের কার্যক্রম—অফলাইন ও অনলাইন উভয় ক্ষেত্রেই—সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে বলেও জানানো হয়। এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগেই ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়। জননিরাপত্তা বিঘ্ন, সহিংসতা, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সংগঠনটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি জোরালো হয়। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির দাবির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত আরও জোরালো ভিত্তি পায়।

Header Ad
Header Ad

আমরা ফ্লাই করার ২০ মিনিট পর এয়ারপোর্টে মিসাইল পড়ে: রিশাদ

রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে গিয়ে ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের তরুণ দুই ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। যুদ্ধাবস্থার মধ্যে ফেঁসে গিয়ে আতঙ্কিত অবস্থায় ছিলেন তারা।

শনিবার (১০ মে) বিকেলে দেশে ফিরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন।

তিনি জানান, ‘আমরা ফ্লাই করার ২০ মিনিট পরই পাকিস্তানের বিমানবন্দরে মিসাইল পড়ে। পুরো ফ্লাইটের সবাই শকে ছিল। এমন ঘটনা জীবনে প্রথম দেখলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘উৎকণ্ঠা ছিল অবশ্যই। কিন্তু বিসিবি ও পিসিবির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আমাদের মানসিকভাবে অনেক শক্ত থাকতে সাহায্য করেছে। বিদেশি খেলোয়াড়রাও খুব নার্ভাস হয়ে পড়েছিল।’

পরিবারের উৎকণ্ঠা, নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা—সব মিলিয়ে কঠিন সময় কেটেছে বলে জানান রিশাদ। তবে নিরাপদে দেশে ফিরে আসায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। একইসঙ্গে দেশবাসীকেও ধন্যবাদ জানান পাশে থাকার জন্য।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তান জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় আবারও পিএসএল মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

রিশাদ জানালেন, ‘পিএসএল যদি আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়া হয়, তবে আমি আবারও লাহোর কালান্দার্সের সঙ্গে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করব।’

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: এক ঘণ্টার মধ্যে কাশ্মীরে আবারও ড্রোন হামলা

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা উত্তেজনা ও সংঘর্ষের পর আজ (১০ মে) শনিবার উভয় দেশই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তবে, যুদ্ধবিরতির মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ভারতশাসিত কাশ্মীরের শ্রীনগর ও অন্যান্য অঞ্চলে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে।

শনিবার (১০ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ ঘটনার পর জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের কিছু এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার পর এই হামলা সংঘটিত হয়, যা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতব্যাপী আলোচনার পর, আমি আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি যে ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণাঙ্গ এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।”

যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও, ভারত পাকিস্তানের ক্রমাগত ড্রোন হামলা মোকাবেলা করে চলেছে। তবে, ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা এই হুমকিগুলির বেশিরভাগই নিরপেক্ষ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৭ মে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী শিবিরগুলিকে লক্ষ্য করে ভারতের কঠোর প্রতিশোধমূলক হামলা - 'অপারেশন সিন্দুর' - শুরু হওয়ার পর উত্তেজনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অভিযানটি ছিল ২২শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার সরাসরি প্রতিক্রিয়া, যেখানে ২৬ জন মানুষ, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক, পাকিস্তান-সমর্থিত হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা
আমরা ফ্লাই করার ২০ মিনিট পর এয়ারপোর্টে মিসাইল পড়ে: রিশাদ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: এক ঘণ্টার মধ্যে কাশ্মীরে আবারও ড্রোন হামলা
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিবৃতি
সিগারেটের দাম বাড়ানোর দাবি তরুণ চিকিৎসকদের
বেনাপোলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু
শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব বিটু ও সাবেক এমপি শামীমা গ্রেপ্তার
জনগণ আর পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না: তারেক রহমান
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে এক ঘণ্টা সময় দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিরতির তথ্য নিশ্চিত করলো ভারত-পাকিস্তান, সামরিক অভিযান বন্ধ
জাতীয় পার্টি কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়: জিএম কাদের
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক
আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করলেন শর্মিলা রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমান
ভারত-পাকিস্তান ‘যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে: ট্রাম্প
মুন্সীগঞ্জে লঞ্চে ২ তরুণীকে বেল্ট দিয়ে পেটানো সেই যুবক আটক
চট্টগ্রামে বিএনপির তারুণ্য সমাবেশে উপস্থিত তামিম ইকবাল
শীর্ষ সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোদির জরুরি বৈঠক
টানা দ্বিতীয়বার স্কাই স্পোর্টসের সেরা একাদশে হামজা চৌধুরী
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ইস্যু: আযম খান
সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক