টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, চাপ পড়েছে সৈকত ও হোটেলগুলোতে

ছবি: সংগৃহীত
মহান মে দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটির সংযোগে তিন দিনের টানা ছুটিতে ভিড় উপচে পড়েছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ছুটির সুবিধা কাজে লাগিয়ে হাজারো পর্যটক ছুটে এসেছেন বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে। সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী থেকে শুরু করে ইনানী ও পাটুয়ারটেক পর্যন্ত প্রতিটি পয়েন্টে দেখা গেছে মানুষের ঢল।
তপ্ত রোদ আর প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেও পর্যটকের উচ্ছ্বাসে মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের বালিয়াড়ি ও সাগর তীর। পরিবারের সদস্য, বন্ধু কিংবা সঙ্গী নিয়ে আগত ভ্রমণপিপাসুরা সাগরের নীল জলে স্নান করে আনন্দ উপভোগ করছেন।
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়ানো হয়েছে লাইফগার্ড সদস্য ও ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা। সি সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার ওসমান গনি জানিয়েছেন, সাগরে স্নান করতে নামার সময় সবাইকে নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
পর্যটকের ঢলে জমজমাট হয়ে উঠেছে হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউসগুলো। হোটেল দি স্যান্ডি বিচের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুর রহমান বলেন, টানা ছুটিতে পর্যটক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়িকভাবে সবাই লাভবান হচ্ছেন। এ সময়ে খুশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকরাও।
আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, শুক্রবার কক্সবাজারে এক লাখের বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে এবং এই ধারা শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি সহায়তার জন্য সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।
এই উৎসবমুখর পরিবেশে টানা ছুটির কক্সবাজার যেন হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের পর্যটন প্রাণকেন্দ্র।
