রবিবার, ৮ জুন ২০২৫ | ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

অগ্নিঝরা ৭ মার্চ স্বাধীনতার চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা

বাঙালি জাতির স্বাধীনতার ইতিহাসে এমন কিছু ভিত্তিসূচক তারিখ ও মাস আছে, যা আলোকোজ্জ্বল। মার্চ এমনই এক মাস, যা ইতিহাসের উজ্জ্বল রশ্মি বিকিরণ করে। ঐতিহ্যগতভাবে এ মাসের শুরু থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে দৈনিকগুলোতে লেখা পত্রস্থ হয়। এ শুধু প্রথা নয়, প্রয়োজন। কারণ, ইতিহসের চর্চা জরুরি। তবে এসব রচনা নতুন প্রজন্মের কতজন পড়ে, কতজন হৃদয়ঙ্গম করে, আমার তা জানা নেই। আমি নিজেও লিখি, বহুকাল ধরেই ইতিহাসের ঘটনাবলি লিখি। আমি ঐতিহাসিক নই, স্বাধীনতার জাতীয় ইতিহাসের একটি পর্যায়ের প্রত্যক্ষদর্শী ও অংশগ্রহণকারী মাত্র। সে কারণে চোখে দেখা সময়ের স্মৃতিচারণা করি এবং সেই সময়ের পূর্বাপর পরিপ্রেক্ষিত জানার চেষ্টা করি।

পাকিস্তান রাষ্ট্রের শুরু থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর চলতে থাকে নতুন মাত্রার শোষণ। অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামরিক ও ধর্মকেন্দ্রিক সেই শাসন-শোষণ পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিকে নতুন চেতনায় জাগরূক করে। বাংলা ভাষার প্রথম আত্মানুসন্ধান ঘটে ১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, যখন পাকিস্তান গণপরিষদের বৈঠকে ইংরেজি ও উর্দুকে দেশের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। পাকিস্তান সৃষ্টির মাত্র এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বাংলা ভাষাকে বাদ দিয়ে সংখ্যালঘিষ্ঠ মানুষের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার এই জবরদস্তির বিরুদ্ধে প্রথম সরব প্রতিবাদ করেন বাঙালি গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।

তিনি উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে জোরালো দাবি তোলেন। এই ঘটনা বাঙালি গণমানসে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এরপর পাকিস্তানের রাষ্ট্রপিতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকার মাটিতে এসে উর্দুকে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করলে বৃহত্তর আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। বাঙালি ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। ঘটে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তপাত। এসব প্রতিবাদী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির ভাষাভিত্তিক জাতীয়তার উন্মেষ ঘটে। সেই উন্মেষ বৃহত্তর গণবিক্ষোভের জন্ম দেয় এবং ক্রমান্বয়ে অপ্রতিরুদ্ধ জাতিসত্তার বিকাশ ঘটায়।

কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্রের নিত্য শোষণ-বঞ্চনার পরও বাঙালি তার আত্মসম্মান ও মর্যাদার সংগ্রাম থেকে কখনো পিছপা হয়নি। তারা শুরু করে রাহুমুক্তির আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের আইয়ুববিরোধী শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান এবং সব শেষে ছাত্রসমাজের ঐতিহাসিক ১১ দফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাঙালির জাতীয়তাবাদী চেতনার ব্যাপক উন্মেষ ঘটে। এই গণ-আন্দোলনের তীব্রতায় পাকিস্তানের ‘লৌহমানব’ বলে চিহ্নিত ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের পতন ঘটে। জাতীয় চেতনা ও মননের সর্বোত্তম প্রতিফলন ঘটে ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ঘোষণায়-‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, যা ছিল কার্যত স্বাধীনতার ঘোষণা। ১৯৭০ সালে যুক্ত পাকিস্তানের প্রথম ও শেষ সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে পূর্ব পাকিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে থাকে। পাকিস্তানি স্বৈরশাসকরা গণরায় মেনে নিতে অস্বীকার করেন। ফলে গণমানুষের আন্দোলন দ্রুত সশস্ত্র আন্দোলনের পথে ধাবিত হয়। এরপর রক্তাক্ত নানা পথপরিক্রমায় সামরিক ও ধর্মকেন্দ্রিক শাসন-শোষণের পিঞ্জর ভেঙে স্বাধীনতার পথ উন্মুক্ত হয়।

১৯৭১ সালের মার্চ মাসের শুরু থেকেই বিস্ময়করভাবে জেগে ওঠে পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তান। ১ মার্চ আকস্মিকভাবে পাকিস্তান জাতীয় সংসদের বৈঠক স্থগিত করেন সামরিক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। ফলে গোটা পূর্ব পাকিস্তান বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলাভবনের সামনে ছাত্রসমাজ উত্তোলন করে বাংলাদেশের নতুন পতাকা। গোটা বাংলা মিছিলে মিছিলে ভরে ওঠে। ৩ মার্চ ঢাকার পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ইশতেহার। এরপর আসে জাতীয় ইতিহাসের অগ্নিঝরা মার্চের ৭ তারিখ, যেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, সেদিনের রমনা রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক এক ভাষণে জাতির সামনে উপস্থাপন করেন স্বাধীনতার চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা। সেই নির্দেশনা শুধু একজন সুদক্ষ রাজনীতিবিদের ছিল না, ছিল দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সর্বাধিনায়ক ও রাষ্ট্রনায়কের। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালির অবিসংবাদী নেতা পাকিস্তানের সামরিক জান্তাকে শেষবারের মতো সতর্ক করেন, ঐতিহাসিক এক অসহযোগ আন্দোলনের সূত্রপাত করেন, এমনকি জাতিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দেন। এই মার্চেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালি বিক্ষোভকারীদের ওপর যত্রতত্র গুলি চালাতে থাকে। এরপরও গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু দেশের সামরিক প্রেসিডেন্ট ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে আলোচনা বন্ধ করেননি। মার্চের ১৫ তারিখ থেকে শুরু হওয়া সেই আলোচনা ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর একটি প্রতারণামূলক কৌশল।

বাঙালি নিধন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আলোচনা অসমাপ্ত রেখে ২৫ মার্চ গোপনে দেশের পশ্চিম অংশে চলে যান ইয়াহিয়া খান। ওই রাতেই ঢাকার বুকে নৃশংস গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। শান্তিপূর্ণ পথে বাঙালির ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সব পথ যখন বন্ধ হয়ে যায়, সামরিক শাসকরা যখন নির্বাচনী রায় সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে রাতের অন্ধকারে বর্বরতম গণহত্যা শুরু করেন, বাঙালির অবিসংবাদী নেতাকে যখন তারা বন্দী করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যান, ঠিক তার আগে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

এই মার্চ মাসেই শুরু হয় ইতিহাসের সর্ববৃহৎ গণদেশত্যাগ। পাকিস্তানি সেনাদের নির্বিচার-নিষ্ঠুরতা থেকে বাঁচতে মানুষ দলে দলে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম ও মেঘালয়ের মাটিতে পাড়ি দিতে থাকে। সেই গণদেশত্যাগ এমনই সুবিশাল হয় যে সর্বমোট এক কোটি মানুষ-হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-নির্বিশেষে ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশ রাষ্ট্র স্বাধীনতার পাঁচ দশক অতিক্রম করেছে। আমরা যাঁরা সেই ইতিহাসের প্রত্যক্ষদর্শী, একই সঙ্গে একাত্তরের সৈনিক, তারা সবাই বয়োজ্যেষ্ঠ হয়েছি। কিন্তু অগ্নিঝরা মার্চ তার গৌরব নিয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। একের পর এক নতুন প্রজন্ম এসেছে। তারা তাদের জাতির স্বাধীনতা সংরক্ষণে ইতিহাসের দিকে তাকাক, শ্রদ্ধাভরে অগ্নিঝরা মার্চের দিকে তাকাক, তাকাক সেই মার্চের দিকে, যে মার্চ গোটা জাতিকে একত্র করে স্বাধীন-সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিল।

এ লেখায় আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি রাষ্ট্রপিতাকে, যিনি তাঁর জীবনের সবটুকু সামর্থ্য দিয়ে বাঙালির জাতীয় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের পত্তন করেছিলেন। প্রত্যাশা, নতুন প্রজন্ম তাদের জাতীয় ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আজ ও আগামীর বাংলাদেশকে সব শোষণ-অবিচারের অবসান করবে। ১৯৭৫-পরবর্তী দুর্ভাগ্যজনক সময়ে, বিশেষত সামরিক ও আধাসামরিক রাষ্ট্রযন্ত্রের জাঁতাকলে নতুন প্রজন্মের একটি অংশ বিকৃত ইতিহাস পাঠ করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস নিজেই তার আপন সত্তা খুঁজে নিতে সক্ষম। আমরা যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের মানুষ, তাঁদের জন্য সেই জাগরণ অতীব আনন্দের। নতুনের এই উপলব্ধি ৩০ লাখ শহীদের রক্তরঞ্জিত বাংলাদেশকে স্বমহিমায় এগিয়ে নেবে, তারা বাংলাদেশ রক্ষা করবে-এই আমাদের প্রত্যাশা।

আমরা যখন অগ্নিঝরা মার্চ ও স্বাধীনতার ইতিহাসের কথা বলি, তখন স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় স্বাধীনতার শত্রু-মিত্রের চেহারাগুলো ভেসে ওঠে। বিশেষ করে ভেসে ওঠে সেসব ঘাতক, যুদ্ধাপরাধী ও ঘৃণ্য মানবতাবিরোধীদের মুখ, যারা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর পক্ষ ধারণ করে সেদিন নির্বিচারে গণহত্যা, নারী নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগ করেছিল আপন জনগোষ্ঠীর ওপর। ভাবতে বিস্মিত হতে হয় যে এসব ঘৃণ্য অপরাধ তারা করেছিল আবার পবিত্র ধর্মের নামে, পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার নামে!

আমার বিশ্বাস, বাঙালির নতুন প্রজন্ম আজ যতটা জেগে উঠেছে, তার চেয়েও বেশি জেগে উঠবে আগামী দিনে। তারা স্বাধীনতা ও প্রগতিবিরোধী মহলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। নবতারুণ্যের এই জাগরণ আমাদের আশান্বিত করে। এক সময় এক আরোপিত মনোজাগতিক আধিপত্যের কাছে জাতি আত্মসমর্পণ করেছিল। হয়তো করতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু মাঘের কনকনে শীত শেষে গাঝাড়া দিয়ে, মাথা তুলে নবতারুণ্য জাতিকে নববসন্তে রাঙিয়ে দিয়েছে। পিঞ্জর থেকে বেরিয়ে আসার দুয়ার খুলে দিয়েছে।

স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে নবতারুণ্য তাদের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে দিয়েছে গোটা বাংলাদেশে। এ তো ইতিহাসেরই ফিরে আসা। নবপ্রজন্মের হাতে বিকশিত হোক সত্য ও সুন্দর। যে বাংলাদেশ প্রবীণরা পাকিস্তানের পিঞ্জর থেকে ছিনিয়ে এনেছিল, সেই বাংলাদেশ আমাদের নবীনদের হাতে নিরাপদ হোক। এর চেয়ে বড় প্রশান্তি আর কী হতে পারে?

হারুন হাবীব, মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও কলামিস্ট

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তান-তুরস্ক-চীনের অদৃশ্য জোটে চাপে ভারত

ছবি: সংগৃহীত

নয়াদিল্লি যখন অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ও সামরিক পুনর্গঠনে মনোযোগ দিচ্ছে, তখন সমুদ্রপথে ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন এক সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। বিশ্লেষকদের মতে, ২০৪০ সালের মধ্যেই ভারতকে মোকাবিলা করতে হতে পারে চীন, তুরস্ক ও পাকিস্তানঘনিষ্ঠ এক ‘কার্যত নৌ জোট’-এর।

তিনটি দেশ যদিও কোনো আনুষ্ঠানিক সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ নয়, তবে সামরিক, প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সহযোগিতায় তারা একে অপরের পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করছে। সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিদুঁর’ মহড়ার সময় এই বাস্তবতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যেখানে ভারতের সন্দেহ, পাকিস্তানের সঙ্গে নেপথ্যে তুরস্ক ও চীনও সক্রিয় ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতের যেকোনো যুদ্ধেই ভারতকে একা লড়তে হতে পারে, আর প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াতে পারে বহুজাতিক সমন্বিত বাহিনী। ফলে শুধু সামরিক ভারসাম্য নয়, কূটনৈতিক কৌশলেও চাপে পড়তে পারে নয়াদিল্লি।

চীনের নৌবাহিনী ২০৪০ সালের মধ্যে ছয়টি বিমানবাহী রণতরী, শতাধিক ডুবোজাহাজ ও শতাধিক যুদ্ধজাহাজ নিয়ে সমুদ্রজয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দর কার্যত একটি সামরিক ঘাঁটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। তুরস্কও আধুনিক ডুবোজাহাজ, সশস্ত্র ড্রোন ও যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে জোর দিচ্ছে এবং এসব প্রযুক্তি পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতও নিজেদের শক্তি বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হয়েছে। ২০৪০ সালের মধ্যে তিনটি কেরিয়ার ব্যাটল গ্রুপ, ২০০টি যুদ্ধজাহাজ ও আধুনিক ডুবোজাহাজ ফ্লিট গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে নয়াদিল্লি। তবে একে বাস্তবে রূপ দিতে হলে আরও দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে—মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

নয়াদিল্লির আশঙ্কা, যথাযথ প্রস্তুতি না থাকলে পাকিস্তান-তুরস্ক-চীনের সম্ভাব্য জোট সমুদ্রের নিচে ভারতের কৌশলগত অবস্থান ডুবিয়ে দিতে পারে।

Header Ad
Header Ad

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নয়: ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৬ জুন) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মস্কোর আচরণই নির্ধারণ করবে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী অবস্থান।

ট্রাম্প জানান, রাশিয়া যদি রক্তপাত বন্ধে উদ্যোগ না নেয় এবং যুদ্ধবিরতির পথে না আসে, তবে পরিস্থিতি ভিন্নভাবে বিবেচনা করবেন তিনি।

এর আগে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত একটি বিল মার্কিন সিনেটে পাস হলেও, তা কার্যকরের জন্য প্রয়োজন প্রেসিডেন্টের অনুমোদন।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট এবং বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে খোলামেলা দ্বন্দ্বে জড়াতে চাইছেন না ট্রাম্প। এতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক প্রভাব হ্রাস পেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে কোরবানির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে রাজধানীজুড়ে। তবে এরই মাঝে আলোচনায় এসেছে কোরবানির মাংসের বাজারদর—যেখানে ৯৫০ থেকে ১১০০ টাকা খরচে প্রস্তুত হওয়া মাংসই বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬০০-৬৫০ টাকায়!

ঈদের নামাজ শেষে সকাল থেকেই রাজধানীর অলিগলি, গ্যারেজ ও খোলা জায়গায় পশু কোরবানি দেন নগরবাসী। দুপুরের দিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে কোরবানির কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। তবে বিকেল হতেই দৃশ্যপট পাল্টায়। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড, উত্তর বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও, সূত্রাপুর, ও জুরাইন রেলগেটসহ বেশ কিছু এলাকায় গড়ে ওঠে অস্থায়ী মাংসের বাজার।

মুলত গরিব, অসহায় ও ভিক্ষুকরা বিভিন্ন বাসা থেকে যে মাংস সংগ্রহ করেন, সেটাই বিক্রি করছেন এসব স্থানে। এ সুযোগে মৌসুমি কিছু ব্যবসায়ীও যুক্ত হয়েছেন। রামপুরা বাজারের এক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী জানান, ‘‘আসল মাংস কিনতে গেলে কেজিতে ৭৫০ টাকা লাগে। এখন কম দামে সংগ্রহ করে কাবাব বা হালিম তৈরিতে কাজে লাগাবো।’’

বিকেল চারটার দিকে রামপুরা বাজারের সামনে দেখা যায়, অনেকে পলিথিন ব্যাগে ৮-১০ কেজি করে মাংস এনে বিক্রি করছেন। এক বিক্রেতা বলেন, “রান্না করে খাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। তাই কিছুটা বিক্রি করে সংসার চালাই।”

তবে এখানেই উঠছে প্রশ্ন—এসব মাংস কতটা নিরাপদ? বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা, সংরক্ষণহীন পরিবেশে রাখা এবং ভ্যাপসা গরমে বিক্রি হওয়া এই মাংসের গুণগত মান নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট উদ্বেগ।

বিশেষ করে যখন এসব মাংস পরবর্তীতে রাস্তায় বিক্রি হওয়া হালিম, কাবাব বা অন্যান্য খাদ্যপণ্যে ব্যবহৃত হয়, তখন জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির আশঙ্কা আরও বাড়ে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তান-তুরস্ক-চীনের অদৃশ্য জোটে চাপে ভারত
রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নয়: ট্রাম্প
রাজধানীতে কোরবানির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়
ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ ড্রোন ও মিসাইল হামলা
আরাফাতের ময়দানে হজের সময় সন্তানের জন্ম দিলেন টোগোর নারী
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২৬ জন, মোট মৃত্যু ২৩
রাজধানীতে কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে আহত ৭৭ জন
ঈদ মৌসুমে টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টির পূর্বাভাস, সতর্ক থাকতে বলছে আবহাওয়া অফিস
ঈদের দিন গাজায় ৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত
পাকিস্তানের নেতৃত্ব খুবই শক্তিশালী : ট্রাম্প
ঢাকায় দেড় ঘণ্টায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি, ঈদের আনন্দে ব্যাঘাত নেই
কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
নগরজুড়ে কোরবানির পশু জবাই, পরিচ্ছন্নতায় প্রস্তুত ২০ হাজারের বেশি কর্মী
ঈদের দিন বন্ধ মেট্রোরেল, কাল থেকে ফের চলবে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ
কাশ্মীর হামলায় ভারতকে সমর্থন চীন-ইরানের, পাকিস্তানের ওপর বাড়ছে কূটনৈতিক চাপ
দেশকে গণতান্ত্রিক ধারা থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে: ইশরাক হোসেন
লা লিগার সেরা রাফিনিয়া, অনূর্ধ্ব-২৩ বিভাগে ইয়ামাল
ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে জাতির জন্য ভালো হবে: মির্জা ফখরুল
ঈদের দিনেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, ঝরল ৪২ প্রাণ