সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মানবাধিকার পরিস্থিতি অতীতের তুলনায় নিঃসন্দেহে ভালো

মানবাধিকার পরিস্থিতি সার্বিকভাবে বলাটা কিন্তু কঠিন ব্যাপার। এখানে আমাকে মানবাধিকার পরিস্থিতিকে দুটো ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। একটি হচ্ছে রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার, অপরটি হচ্ছে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, চুক্তি বা সামাজিক অধিকার। এই ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতি কী রকম।

একটি কথা বোধহয় সব তর্কের অতীত। সেটি হচ্ছে যে, বাংলাদেশ নানাভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইন্ডিকেটরে বিশ্বের অনেক দেশকে পেছনে ফেলে ও দ্রুততম গতিতে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে চলছে। সেই দিক থেকে যদি চারপাশে তাকাই আমরা কিন্তু স্বাভাবিক চোখেও দেখতে পাব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটছে দেশে। নাগরিকরা আগের তুলনায় অনেক ভালো আছেন দেশে— এটা কিন্তু দৃশ্যমান এখন।

তবে আমরা জানি যে, আমাদের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে আমরা হয়ত যতটা সফলতা অর্জন করতে চেয়েছিলাম বা প্রত্যাশা করেছিলাম হয়ত সেখানে কিছুটা ঘাটতি থাকতে পারে। বিশেষ করে আমার মনে হয়— সাধারণ মানুষ তা অনেক সময় প্রশাসন কর্তৃক হয়রানির শিকার হয়। যে প্রশাসন হতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অনেক সময় হতে পারে আমাদের বেসামরিক প্রশাসন সিভিলাইজেশনের। সেটা আমাদের জেলা পর্যায়, উপজেলা পর্যায় বা গ্রাম পর্যায়ে হয়ে থাকে। আমরা কিন্তু যে সত্যটা বাংলাদেশের জন্মের সময় জেনেছি, যে সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তা হচ্ছে জনগণের সেবক। এই সেবক কথাটার যথার্থতার প্রমাণ সব সময় পাই— এমনটা নয়। আমাদের এই ক্ষেত্রে তারা যদি সত্যিকার অর্থেই জনগণের সেবক হিসেবে তাদের ভূমিকা পালন করতে পারতেন তাহলে হয়ত নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ক্ষেত্রেও আমরা আরও বেশি অগ্রগতি সাধন করতে সক্ষম হতাম। তবে গোটা বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় নিঃসন্দেহে অনেকটা ভালো।

বিশ্বব্যাপী কিন্তু মানবাধিকারে যে ঝড় অতীতে লক্ষ্য করেছি সে ঝড়টা কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব তাদের মেরু হিসেবে পালন করতে চায়। বিশ্ব রাজনীতিতে এ কারণে কিন্তু ঝড়টার স্থিতি থেমে গেছে কিন্তু মানবাধিকার আন্দোলনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজকে আফগানিস্থানে যে অবস্থা, আজকে সিরিয়াতে যে অবস্থা, আজকে ইয়েমেনে যে অবস্থা, আজকে মিয়ানমারের যে অবস্থা সব কিছুর পেছনে খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, পেছনের শক্তি তাদের ভেতরে প্রতিযোগিতা। একটি অশুভ প্রতিযোগিতার কারণে এ রাষ্ট্র ব্যাপ্তি জনগণ নিপীড়িত ও নির্যাতিত হচ্ছেন এবং আমার মনে হয় চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। সেই তুলনায় উন্নয়নশীল বিশ্বে আমরা যে আচরণ করেছি, আমরা মনে করি উন্নত বিশ্ব যদি মানবাধিকারের প্রতি সত্যিকার অর্থে অনুগত প্রকাশ করত, শতভাগ মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করে যেতেন, তাহলে বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও অনেক উন্নতি লাভ করতে সক্ষম হতো। আজকে কিন্তু মানবাধিকার একটা বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে আমাদের এই ক্লাইমেট চেঞ্জ বা পরিবেশে যে পরিবর্তনটি ঘটছে এটার পেছনে দায়ি কিন্তু বিশ্বের উন্নত দেশগুলো। আজকে যদি দেখি যে, বাংলাদেশের অনেক অংশ সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাবে। মালদ্বীপ নামক দেশটি হয়ত ভবিষ্যতে সাগরের নিচে তলিয়ে যাবে। এই সম্ভাবনা দেশটি পেছনে ভূমিকা পালন করেছে আমরা নই, মালদ্বীপের জনগণ নয় এর মূল ভূমিকা পালন করেছে পশ্চিমা রাষ্ট্রসমূহ— যারা তাদের উন্নয়নের জন্য পরিবেশের দিকে কখনোই ভ্রুক্ষেপ করেন নি। এখন এদের ক্ষতিপূরণ আমাদের দিতে হচ্ছে। সেই তুলনায় আমি বলবো যে মানবাধিকার পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক বেশি তূলনামূলক একটি বিপদের মুখে রয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে মানুষ যতটা সজাগ ছিল, পৃথিবীব্যাপী যে জোরদার আন্দোলন ছিল, আন্দোলন অনেক দুর্বল হয়ে গেছে।

আমি বলব যে, আমাদের আন্তঃরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা স্পর্শকাতর বিষয় কিন্তু আমাদের জন্য অতি গুরুত্ব বিষয়ে অবতরণ করেছেন এই প্রশ্নের মাধ্যমে। আমরা জানি আমাদের বাংলাদেশে যারা নিরীহ জনগণ তাদের নিরীহ অর্থে বলব যে তারা কিন্তু সন্ত্রাসী নয়। তাদের হাতে কিন্তু অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করে না। তারা কিন্তু সন্ত্রাসী আক্রমণ করে না। হয়ত তারা হবে নিতান্তই দরিদ্র মানুষ, তাই হয়ত ক’টা শাড়ি বা দ্রব্য আনতেই পারে। পাসপোর্ট ভিসা নেই, আমি কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে সীমান্তের ওপারে চলে যাচ্ছি। এই অপরাধ একজন মানুষ হয়ত করতেই পারে।

আমি নিশ্চিত হয়ে একটা কথা বলতে পারি যে, যখন দুটো রাষ্ট্রের মধ্যে এরকম পরস্পর বর্ডার থাকে, যেখানে ইসরাইল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ দালান আমি করে দেয়নি। সেখানে যদি বর্ডার থাকে উভয় পক্ষ থেকে আনাগোনা হয়ে থাকে এটা হচ্ছে বাস্তবতা। যে মানুষ মানুষের পরস্পরের সাথে কথা বলবে, তারা মিলিত হবে, তারা আত্মীয় সম্পর্ক হবে এমনটি তারা দেখা করতে চাইবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই অপরাধের জন্য আপনি একজন মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারেন না। এটাই আমি বলব বড় মাপের মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমার প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র তাদের কাছ থেকে কিন্তু এরকম আচরণ প্রত্যাশা করি না।

আমার মনে পড়ছে যে, যখন আমি মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্বে ছিলাম তখন ১৩ বছরের একটা ছোট মেয়ে ফেলানী। সেই ফেলানীর মৃতদেহ আমরা দেখেছি, কুড়িগ্রামে কাঁটাতারের বেড়ার উপরে কয়েক ঘণ্টা ঝুলে ছিল। এর চেয়ে বড়, অধিকতম, নিষ্ঠুরতম, বেদনাদায়ক আর কোনো ছবি কখনো আপনি খুঁজে পাবেন না। তখনো কিন্তু আমরা দেখেছি যে ভারত কিন্তু ফেলানীর হত্যার ব্যাপারে নির্বিকার থাকতে চেয়েছিল এবং প্রথম অবস্থায় তারা যে তাকে গুলি করেছে সেই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স জওয়ানকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে তারা কিন্তু প্রস্তুত ছিল না। আমার মনে আছে তখন আমি ভারতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রধান সাবেক বিচারপতি বালাকৃষ্ণ এর কাছে একটি চিঠি লিখেছিলাম এবং আমি সেই চিঠিতে বলেছিলাম আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে যে কেন ভারতে এ আচরণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন , মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এখানে উচিত হবে মানবাধিকার কমিশনকে এগিয়ে এসে বিচারের ব্যবস্থা করা। আমি অনেকটা সন্তুষ্ট হয়েছিলাম যে, আমার চিঠিটা পাবার পরেই বালাকৃষ্ণ সশরীরে পশ্চিমবঙ্গে যান। বিএসএফের সঙ্গে বসেন এবং পরবর্তীতে বিএসএফের জওয়ানের বিরুদ্ধে একটি মামলা রজ্জু হয়। যদিও আমরা বিচারে কাঙ্খিত ফল লাভ করিনি অর্থাৎ যে বিচারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে এই পদক্ষেপ টুকু পেয়েছে এই ব্যাপারে কিন্তু আমাদের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম সে উদ্যোগের কারণে এ কাজটি করতে সফল হয়েছিলাম। এ ধরনের সীমান্তবর্তী নির্যাতন হত্যা করা, তাদের প্রাণকেড়ে নেওয়া এটা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি অপ্রত্যাশিত এবং আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে আমরা কখনোই এরকম আচরণ আশা করি না।

এখানে আমি একটি কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, যদি কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস না করে, যদি কেউ এখন পর্যন্ত আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে সম্বোধন করতে দ্বিধা বোধ করে, বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দ্বিধা বোধ করেন, আমার তো মনে হয় সে রকম ব্যক্তির পেশা বা তার কোনো রকম কাজ করার অধিকার এ রাষ্ট্রে থাকা উচিত বলে আমি মনে করি না। আমি বিশ্বাস করি— কোনো স্বাধীনতাই কিন্তু লাইসেন্স নয়, যেমন ইচ্ছে তেমন কিন্তু করতে পারি না।

মানবাধিকার তো আসলে বিশাল একটি ভুবন। সেই ভুবনে কোনো ব্যক্তির একার পক্ষে বা কোনো সংগঠনের একার পক্ষে কিন্তু সব কিছু করা সম্ভব নয়। একটা সমন্বিত প্রচেষ্টার দরকার এবং এই প্রচেষ্টা অব্যাহত এবং এটি চলতে থাকবে। কেননা মানবাধিকারের কিন্তু এমন কোনো লক্ষ্য নেই যে আমি সেই লক্ষ্য পৌঁছে গেছি আর মানবাধিকার আন্দোলন শেষ হয়ে গেল; আর কোনো কিছু প্রয়োজন নেই। ব্যাপারটা কিন্তু এমনটা নয়। ঠিক যেমন আমাদের চাহিদা যেমনটি শেষ নেই, ঠিক তেমনি একটি মানুষের জীবনের যে মানদণ্ড সেই মানদণ্ড উঁচুতে আরও উন্নত করতে পারি এবং যেটা ইংরেজিতে বলা হয় স্কাই ইজ দ্য লিমিট। আকাশ হচ্ছে আমার সেই সীমানা যে আকাশ পর্যন্ত আমাকে যেতে হবে। এখন যদি সেটি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি কিন্তু যে মানবাধিকার সর্ব ক্ষেত্রে বিচরণ করছেন তা কিন্তু নয়। আমি একটা ছোট ক্ষেত্রকে নির্বাচন করে নিয়েছি। সেটা হচ্ছে—মানবাধিকার সুরক্ষা, দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের দেশে আইনের জ্ঞানসম্পন্ন কিছু যোগ্য মানুষের দরকার বলে আমি মনে করি।

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান: সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

আরএ/

Header Ad

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী, যাবেন আপিলে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে উচ্চ আদালতের এমন নির্দেশে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

হাইকোর্টের আদেশ আপিল বিভাগে নিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি। এ সময় সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নির্দেশনা নিয়ে আসতে হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার কোনো কারণ নেই।

প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আসলে দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা নয়। প্রাথমিকের ক্লাস যে সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সেই সময়ের মধ্যে ঝুঁকি না থাকায় সেটা খোলা রেখেছে তারা।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তিনি বলেন, স্কুল গরমের জন্য বিপজ্জনক, আর মাঠ-ঘাট নয়? যারা অসুস্থ হয়েছেন, তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাকি অন্যত্র ছিলেন, তাও দেখার বিষয়।

এর আগে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর ছুটি ঘোষণা নির্বাহী এখতিয়ার। কদিন ছুটি থাকবে বা থাকবে না এটা একটা বিশেষায়িত বিষয়। এটা উচ্চ আদালতের এখতিয়ার নয়।

যুবদল সভাপতি টুকুকে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল

সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণের প্রতিবাদে নয়া পল্টনে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণের প্রতিবাদে নয়া পল্টনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে যুবদল।

যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই অবৈধ হাসিনা সরকার তপ্ত প্রবাহের ন্যায় এক বিষাক্ত চেম্বারে দেশের জনগণকে নিপীড়ন– নির্যাতন করে যাচ্ছে তার ধারাবাহিকতায় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুন্না এক বছর কারান্তরীণ রাখা হয়েছে এখন সভাপতি টুকুকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। নির্বিঘ্ন কারার জন্য দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত পুলিশ ও আজ্ঞাবহ আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া থেকে যুবদল নেতৃবৃন্দকে বিরত রাখা যাবে না; বরং এতে নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের আকাঙ্ক্ষা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই মুক্ত করে আনা হবে। এই অবৈধ সরকারের কাছে মুক্তির দাবি জানানো হবে না।

যুবদলের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি রুহুল আমিন আকিল, দিপু চৌধুরী, দুলাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, বিল্লাল হোসেন তারেক, সহ সাধারণ সম্পাদক আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, মাসুদ, প্রচার সম্পাদক করিম সরকার, সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মেহেবুব মাসুম শান্ত, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, মাহফুজুর রহমান মাহাফুজ রহমান, ফারুক, সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, মোরশেদ আলম ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের নেতৃবৃন্দ।

নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ ছাড়ালো ৪০.২ ডিগ্রি

নওগাঁয় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০.২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস। যা জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) নওগাঁর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের তথ্য মতে, আজ জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাতাসের আর্দ্রতা ২৫ শতাংশে পৌঁছেছে। আকাশ পরিষ্কার থাকায় রোদ এর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী কয়েকদিন জেলায় বৃষ্টির কোনো আগাম বার্তা নেই। দেশে যেহেতু হিট-এলার্ট চলছে তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় ভালো।

এদিকে তীব্র তাপদাহে বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তাপমাত্রা বেশি থাকায় দৈনন্দিন কাজ করতে তাদের ব্যাঘাত ঘটছে। অনেক স্থানে কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছে তারা। জেলায় বর্তমানে ধান কাটাই মাড়াই এর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

জেলা শহর ও আশপাশে ঘুরে জনগণের চরম অস্বস্তি ভাব চোখে পড়েছে। শহরের কেডির মোড়, মুক্তির মোড় বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে তপ্ত দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। গরমে স্কুল করা প্রসঙ্গে তারা বলেন, যত গরমই পড়ুক। আমাদের পড়াশোনা করতেই হবে। বাড়ি থেকে বোতলে করে পানি নিয়ে এসেছি। বেশি বেশি পানি খাচ্ছি।

বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের টেলি প্রিন্ট অপারেটর আরমান হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আগামী আরও দু-দিন এ ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করবে। তাপমাত্রাও বাড়তে পারে। এরই মধ্যে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই।

নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে মানুষের শরীরে একটা প্রভাব পড়েছে। এতে করে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বর হচ্ছে।

পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রচণ্ড গরমে প্রয়োজন ছাড়া রোদে বা ঘরের বাহিরে না যাওয়া। বাহিরের খাবার না খাওয়া। বিশুদ্ধ পানি খাওয়া ও বেশি করে তরল জাতীয় খাবারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চাদের শরীর ঘেমে গেলে তা মুছে দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

সর্বশেষ সংবাদ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী, যাবেন আপিলে
যুবদল সভাপতি টুকুকে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল
নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ ছাড়ালো ৪০.২ ডিগ্রি
জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশী ১৫ শিক্ষার্থী
স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ধর্ষণ মামলায় আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন
ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা
নারী আম্পায়ার নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
যুদ্ধ করতে চায় না ইসরায়েলি সেনারা, বিপাকে নেতানিয়াহু
এবার ঝিনাইদহ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম
থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
কারা বিক্রি করছে ফুটপাত, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
এখনো উদ্ধার হয়নি লেকে ডুবে যাওয়া সেই শিশু
রাত ১১ টার পর চা-বিড়ির দোকান বন্ধের নির্দেশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার অভিযোগ উপাচার্যের বিরুদ্ধে
সোনাইমুড়ীতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান, আজ থেকে খনন
আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার