মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দিনব্যাপী নানা আয়োজনে ঢাবিতে ইরানি নববর্ষ উদযাপন

দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ইরানি নওরোজ ও বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের কালাচারাল সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে নববর্ষ উদযাপিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে নওরোজের বিশেষ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা তুলে ধরেন; সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে ছিল নওরোজ পরিচিতি, ফারসি ও বাংলা সংগীত, নাটিকা, হাফত সিন, কবিতা আবৃত্তি, ছোটগল্প ও শাহনামেখানি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং ঢাকাস্থ ইরানি রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইরানি কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়েদ রেজা মির মোহাম্মাদি।

বক্তারা ইরানি নওরোজের সঙ্গে বাংলা নববর্ষের সাযুজ্যতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি ইরান। দেশটির ভাষা হলো ফারসি। পৃথিবীর সুমিষ্টতম ভাষা। প্রেম, লালিত্য, মাধুর্য, কাব্য-সাহিত্য ও দর্শনের ভাষা হিসেবে ফারসি বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। পারস্যের সাহিত্য মানবিকতা, মূল্যবোধ ও সমৃদ্ধতার দিক থেকে গোটা পৃথিবীতে এক অনন্য উচ্চতায় সমাসীন। দেশটির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঈর্ষণীয়; নওরোজ বা নববর্ষ পারস্যের বা ইরানের সবচাইতে বড় জাতীয় উৎসবের নাম। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও নওরোজের কদর তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি। সমগ্র জাতি বিশেষ উদ্দীপনায়, ব্যাপক আগ্রহভরে নওরোজ পালন করে থাকে এবং নওরোজের অনুষ্ঠানমালা হৃদয় দিয়ে উপভোগ করে থাকে।

তারা আরও বলেন, বাঙালির নববর্ষের আচার-অনুষ্ঠানের মতো সেখানে নেই কোনো ফতোয়ার থাবা, নওরোজকে বিতর্কিত করবার, অথবা প্রশ্নবিদ্ধ করবারও নেই কোনো অপপ্রয়াস। বাদশাহ জামশিদের আমলে শুরু হয়ে পরবর্তীতে ইসলামি আচার-রীতির সংযোজনের মাধ্যমে এই নওরোজ পরিণত হয় এক পরিশীলিত, উপভোগ্য উৎসবে যেখানে জাতীয় চেতনায় শাণিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয় গোটা ইরানি জাতি।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং ইরান দূতাবাসের কালাচারাল সেন্টারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে জাতিসংঘের ইউনিসেফ ২১ মার্চ নওরোজের দিনটিকে ‘বৈশ্বিক ঐতিহ্যিক উত্তরাধিকার’ হিসেবে ঘোষণা করে। ইউনিসেফ কর্তৃক এ ঘোষণার পর ইরান সরকারের ব্যবস্থাপনা ও আতিথ্যে বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে নওরোজ উৎসব পালিত হচ্ছে।

এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

রাবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে অরিত্র নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে ছাত্রদল ও যুবদলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সোমবার (১২ মে) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, “ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে থানায় হস্তান্তর করেছে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তার ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল। তবে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে দুই শিক্ষার্থী প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় কয়েকজন ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায় এবং এক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। পরে জানা যায়, তাকে মতিহার থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

অপহৃত শিক্ষার্থীর নাম অরিত্র এবং তিনি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করি। ফুটেজে দেখা গেছে, কয়েকজন মিলে একজন শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ নিশ্চিত করে জানায়, তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা দাবি করছেন, অরিত্র ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং দ্রুত সমাধানে কাজ করছে।”

তবে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

Header Ad
Header Ad

কেন থামাল ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ, রহস্য ফাঁস করলেন ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও সংঘর্ষ থামানোর নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত চাপই মূল ভূমিকা রেখেছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার (১২ মে) রাতে হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, তিনি দুই দেশের নেতাদের সরাসরি বার্তা দিয়ে জানান, যদি তারা যুদ্ধ বন্ধ না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করবে। তার এই সতর্কবার্তার পরপরই ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়।

ট্রাম্প বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছিলাম—সংঘর্ষ চলতে থাকলে তাদের সঙ্গে আর কোনো বাণিজ্য হবে না। আমরা তাদের বলেছি, 'আপনারা এটা বন্ধ করুন, তাহলে আমরা বাণিজ্য করবো। যদি না করেন, তাহলে আমরা পিছিয়ে যাবো।’ আমি এই বার্তাটি সরাসরি দিয়েছি।”

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, তার দেওয়া কড়া বার্তার ফলেই দুই দেশের মধ্যে ভয়াবহ একটি যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

“ভারত ও পাকিস্তান—দুই দেশেই পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। পরিস্থিতি এমন হয়ে উঠেছিল যে কেউই থামতে চাইছিল না। কিন্তু আমরা মধ্যস্থতায় নেমে যুদ্ধ থামিয়েছি,” বলেন তিনি।

বক্তৃতার একপর্যায়ে ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, “আমি বাণিজ্যিক কৌশলকে যেভাবে ব্যবহার করি, অন্য কেউ তা পারে না। এই ঘটনাটিও তারই প্রমাণ।”

এই বক্তব্য দেন ঠিক তখনই, যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ট্রাম্পের দাবি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের কৌশলগত হস্তক্ষেপ একদিকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখতে পারে, অন্যদিকে এটি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ওয়াশিংটনের প্রভাবও তুলে ধরে।

তবে ভারত বা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো আসেনি।

Header Ad
Header Ad

মধ্যরাতে এনবিআর ভেঙে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ বিভাগ চালু

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে নতুন করে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ নামে দুটি পৃথক বিভাগ গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১২ মে) দিবাগত মধ্যরাতে কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে জারি করা হয় বহুল আলোচিত ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এনবিআর আর আগের কাঠামোয় থাকবে না। এর পরিবর্তে কর সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ, তদারকি ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে রাজস্ব নীতি বিভাগ, আর রাজস্ব সংগ্রহ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ এবং আদায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করবে। অপরদিকে, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে থাকবে মাঠপর্যায়ে কর আদায় এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের মূল দায়িত্ব।

এই অধ্যাদেশ জারিতে বিসিএস (আয়কর) ও (কাস্টমস) ক্যাডার কর্মকর্তাদের সুপারিশ ও মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক কাঠামোতে প্রশাসন ক্যাডারের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারদের কিছু পদ অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে।

এ সিদ্ধান্তকে ঘিরে প্রশাসন ও রাজস্ব ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার, আবার অনেকেই একে হঠকারী ও অপরিকল্পিত পদক্ষেপ বলেও অভিহিত করছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এমন একটি মৌলিক ও প্রভাবশালী পরিবর্তন রাতারাতি ও গোপনীয়ভাবে কার্যকর করাটা নীতিগত স্বচ্ছতার অভাবকেই তুলে ধরে। রাজস্ব আদায়ে কী ধরনের ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তা সময়ই বলে দেবে।

সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ
কেন থামাল ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ, রহস্য ফাঁস করলেন ট্রাম্প
মধ্যরাতে এনবিআর ভেঙে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ বিভাগ চালু
চোখের চিকিৎসায় ব্যাংকক গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
কাতারের বিমান উপহার প্রস্তাব ‘ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ’: ডোনাল্ড ট্রাম্প
মিয়ানমারে স্কুলে জান্তার বিমান হামলায় ১৭ শিক্ষার্থী নিহত, আহত ২০
রাজধানীতে গ্রেপ্তার সাবেক এমপি ও সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, নিয়েছেন শপথ
জাতির উদ্দেশে মোদির ২২ মিনিটের ভাষণ: কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঢাবিতে প্রথম ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’ ২২ জুন
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: নির্বাচন কমিশন
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ব্রাজিলের হেড কোচ হচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি
৮৪ বছর পর নাৎসি ইতিহাসের গোপন দলিল মিলল আর্জেন্টিনায়
যমজ সন্তানের মা হয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড, বাবার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা
শাহবাগ-যমুনার সামনে বসে যা তা বলা যাবে না: এ্যানি চৌধুরী
পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র‍্যাব পুনর্গঠনে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন
চুয়াডাঙ্গায় কিশোর রিশাদকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক পলাতক
কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ ভারতই করেছে, পাকিস্তান করেনি’
টাঙ্গাইলে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত