রবিবার, ১২ মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নির্বাচন ঘিরে বিদেশি হস্তক্ষেপ: ঢাবির ৮২৫ শিক্ষকের বিবৃতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি আন্তর্জাতিক মহলের অযাচিত হস্তক্ষেপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শতাধিক শিক্ষক। বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে একমত পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২৫ শিক্ষক স্বাক্ষর করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আসন্ন ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের আইন অনুসারে নির্বাচন কমিশন অচিরেই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক করার সব ধরনের উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। গত ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহকে সংলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানালে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৬টি রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশগ্রহণ করে।

‘বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশগ্রহণ না করে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী বিধিব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার প্রাক্কালে একটি দেশের রাষ্ট্রদূত সব ধরনের শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে সে দেশের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ৩টি রাজনৈতিক দলকে নিঃশর্ত সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি বিতরণ করেছেন বলে জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইতোপূর্বে সরকারকে পদত্যাগের এক দফা শর্ত জুড়ে দিয়ে বিএনপি-জামায়াতই শর্তহীন সংলাপের দাবিকে নাকচ করেছে। রাষ্ট্রদূতের পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তকারীদের ওপর ‘ভিসানীতি’ প্রয়োগের পুরোনো হুমকি ব্যক্ত করা হয়েছে।

বিবৃতিদাতারা আরও বলেন, স্মরণযোগ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন সরকার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের পক্ষাবলম্বন করে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গণহত্যায় সহযোগিতা করেছিল। একই ধারাবাহিকতায় তাদের নীতি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিকে রসদ জুগিয়ে চলেছে। বিএনপি-জামায়াতের সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে জনসমর্থন না পেলেও ওই দেশের রাষ্ট্রদূতের পক্ষপাতমূলক আচরণে উৎসাহিত হয়ে তারা আন্দোলনের নামে সহিংসতা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়াস পাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির নামে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, শিল্প-কলকারখানা ভাঙচুর, পুলিশ ও সাধারণ পথচারী হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর ও ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করলেও তথাকথিত মানবধিকার ও গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা রাষ্ট্রটি এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি; নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তকারীদের ওপর ভিসানীতিও প্রয়োগ করেনি। এ রাষ্ট্রটি কথায় কথায় মানবাধিকারের কথা বললেও বিশ্বজনমতকে উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনিদের বিপক্ষে নারী-শিশুসহ গণহত্যায় নগ্নভাবে ইসরায়েলিদের পক্ষাবলম্বন করেছে।

‘তারা গণতন্ত্রের নামে আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। এবার তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্রমাগ্রসরমান বাংলাদেশ রাষ্ট্র যেটি তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, তার উন্নয়নের ধারাকে পশ্চাদ্গামী করার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির অপতৎপরতায় রসদ জোগাচ্ছে।’

বিবৃতিদতে আরও বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর অসত্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘ মানবধিকার হাইকমিশন প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রতিবাদ’ শিরোনামের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এ ধরনের পদক্ষেপ মানুষ-হত্যা, ভাঙচুর, সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে যারা তৎপর রয়েছে তাদের উৎসাহিত করবে বলে আমরা মনে করি।

এতে বলা হয়, সহিংসতা সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক দল ও উগ্র ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে সংলাপের কথা বলে সময়ক্ষেপণ করে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টির অপতৎপরতায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতি সম্মান জানিয়ে অবাধ-সুষ্ঠুও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে সবাইকে আহ্বান জানাই।

Header Ad

আজ বিশ্ব মা দিবস

ফাইল ছবি

মা ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এই ছোট্ট শব্দটিই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা- প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মা নামের ওই মমতাময়ী নারীর আঁচল। আজ পৃথিবীর সেই সকল মমতাময়ীর সম্মানে বিশ্ব মা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী বিশেষ মর্যাদায় পালিত হয় দিনটি।

আসলে মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি মায়েরই সন্তানের ভালোবাসা প্রাপ্য প্রতিদিনই। তবুও দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, নিজের সব স্বাদ-আহ্লাদ সন্তানের নামে করে দেন যে মা, তার সম্মানে আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই আজকের দিনটি।

মায়ের সঙ্গে সন্তানের আত্মিক বন্ধন জন্ম-জন্মান্তরের। অটুট এ বন্ধনের প্রাগাঢ় আবেগে তাড়িত হয়ে যুগে যুগে রচিত হয়েছে বহু গান, কবিতা, গল্প, আর উপন্যাস। সৃষ্টি হয়েছে বহু কালজয়ী শিল্পকর্ম। বাংলা সাহিত্যেও মাকে নিয়ে অসংখ্য কবিতা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মনে পড়া’, শামসুর রাহমানের ‘কখনো আমার মাকে’, হুমায়ুন আজাদের ‘আমাদের মা’, আল মাহমুদের ‘নোলক’, কালিদাসের ‘মাতৃভক্তি’ এমনই কিছু কালজয়ী বন্দনা।

পৃথিবীর সকল যুগের সকল ধর্মে মা সম্মান রাখা হয়েছে সবচেয়ে উঁচুতে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভধারণ করে। তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার শোকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শোকরিয়া আদায় করো।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৪)।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষায় ‘মা’ ডাকের শব্দগুলোর মধ্যেও আছে উচ্চারণগত অদ্ভূত এক মিল। সবগুলো শব্দের শুরুই ‘এম’ অথবা ‘ম’বর্ণটি দিয়ে। জার্মান ভাষায় ‘মাট্টার’, ওলন্দাজ ভাষায় ‘ময়েদার’, ইতালিয়ান ভাষায় ‘মাদর’, চীনা ভাষায় ‘মামা’, প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় ‘মাত’, সোয়াহিলি ভাষায় ‘মামা’ এবং আফ্রিকান, হিন্দি ও বাংলা ভাষায় ‘মা’।

কীভাবে এই সাদৃশ্য ঘটল তা আজও এক বিরাট রহস্য। তবে ভাষাবিদ রোমান জ্যাকবসন এর পেছনে যুক্তি দেখিয়েছেন যে, শিশুরা যখন তার মায়ের দুধ পান করে, তখন তারা তাদের মুখভর্তি অবস্থায় কিছু শব্দ করে। সেই শব্দগুলো নাক দিয়ে বের হয় বলে উচ্চারণগুলো অনেকটা ‘ম’-এর মতো শোনা যায়। তাই প্রায় সব ভাষায়ই ‘মা’ ডাকে ব্যবহৃত শব্দগুলো ‘ম’ বা ‘এম’ দিয়ে শুরু হয়।

‘মা’ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘মম’, যা পূর্বে ব্যবহৃত শব্দ ‘মাম্মা’র পরিবর্তিত রূপ। ধারণা করা হয়, ইংরেজি শব্দ মাম্মা এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘মাম্মা’ থেকে। যা ‘স্তন’ বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। এই শব্দ থেকে ‘ম্যামেল’ উত্পত্তি। যা কিনা স্তন্যপায়ী প্রাণীর ইংরেজি প্রতিশব্দ।

জানা যায়, মা দিবসের সূচনা হয়েছিল প্রাচীন গ্রীসে। সেখানে প্রচলিত ছিল মাতৃরূপী দেবী সিবেল ও দেবী জুনোর আরাধনা। এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে প্রচলিত ছিল মাদারিং সানডের মতো বেশ কয়েকটি আচার-অনুষ্ঠান। সবসময় মায়েদের সম্মানে মাদারিং সানডে পালিত হতো নির্দিষ্ট একটি রোববার।

তবে বর্তমানে প্রচলিত মা দিবসের সূচনা হয় ১৯০৮ সালে। গত শতাব্দীর শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবলেন। নিজের সেই মহৎ ভাবনা বাস্তবায়নের আগেই ১৯০৫ সালের ৯ মে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মায়েদের জন্য উত্সর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।

এরপর থেকেই মে মাসের দ্বিতীয় রোববার আন্তর্জাতিক মা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো এবার রোববার (১২ মে) আমাদের দেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস। সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকেও বিশ্ব মা দিবস ২০২৪ উদযাপন করতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এতে জেলা পর্যায়ে উপপরিচালকদের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, আবাসিক বা অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ডে-কেয়ার কর্মকর্তাদেরও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি উদযাপন করতে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দিবসটি উদযাপন করতে জেলা, উপজেলা, আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ডে-কেয়ার সেন্টারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে বাজেট পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

 

বিয়ের ৪ মাসেই সন্তান প্রসব করেলেন নববধূ

ফাইল ছবি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ের ৪ মাসেই ১০ মাসের সন্তান প্রসব করেলেন এক নববধূ। শনিবার (১১ মে) এ সংবাদ প্রকাশ্যে আসে। উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের শাকছিপাড়া নাজিম উদ্দিন বেপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার গ্রামের জনৈক যুবকের ওই বাড়ির যুবতীর সাথে ৪ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর ওই নববধূ স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে যায়। সেখানে গেল ৩০ এপ্রিল তার পেট ব্যথা দেখা দিলে হাজীগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১ লা মে কন্যাসন্তান প্রসব করেন তিনি। পরে সন্তান প্রসবের খবর স্বামীর বাড়িতে পৌঁছায়।

ওই নববধূর বোন জানান, আমার স্বামী নওহাটা ফকির বাড়ির ফারুকের ছেলে কাউসার যৌতুকের দাবিতে তাকে অত্যাচার করত। এ ঘটনায় মামলা চলমান রয়েছে। আর এই সুযোগে তার আপন ছোট বোনের সঙ্গে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় কাউসার।

এ বিষয়ে ওই নববধূ বলেন, “বিভিন্ন সময়ে তার বড় বোনের স্বামী কাউসার সুযোগ বুঝে মুখ চাপা দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো। এখন এ ঘটনার কারণে যদি স্বামী তাকে না নেয়, তাহলে সে ছাড়াছাড়ি মেনে নেবেন।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কাউসারের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের শাকছিপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য এম এ খালেক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নববধূর স্বামী এসে বিষয়টি আমাকে জানিয়ে গেছে।

রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, রাতভর উত্তেজনার পর শান্ত

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে এ সংঘর্ষ চলে রাত ৩টা পর্যন্ত। অবশেষে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এসেছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান পরিচালনা করে। তবে সেখান থেকে কোনো ধরনের অস্ত্র পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধক্ষ্য ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

তিনি বলেন, আমরা হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে হলে প্রবেশ করেছিলাম। আমরা চেষ্টা করেছি সবার রুমে তল্লাশি করার। এছাড়াও আমরা যে রুমগুলোতে সন্দেহ করেছিলাম অস্ত্র থাকতে পারে সেগুলোতে তল্লাশি করি কিন্তু কোনো অস্ত্র পাইনি। ভাঙা ইট বা চেয়ারের ভাঙা হাতল পেয়েছি। কিছু শিক্ষার্থীর রুমে তালা লাগানো ছিল, আমরা ধারণা করছি তারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ডাইনিংয়ের ছাদ দিয়ে তারা হল ত্যাগ করেছে। হলে বর্তমানে কোনো বহিরাগত নেই। আমরা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আজ রাতে হলেই অবস্থান করব।

এদিকে পরিস্থিতি পরবর্তীতে যেন খারাপ না হয় সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করছি। যদি মনে হয় পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে পারে তাহলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, এমন ঘটনা দুঃখজনক। দুই গ্রুপের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি বিষয়টি সমাধান করার। আমরা দুই পক্ষেরই সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে সব সময় সতর্ক। তারপরেও একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিছু ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া হয়েছে। তবে হলের মধ্যে যখন আমরা গেলাম তখন এ ধরনের কোনো নমুনা পাইনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

পরবর্তীতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তীতে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেব। অভিযোগটি যে কেউ করতে পারে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রদের জন্য যেটা ভালো হয় সেটা করব।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ডিসি মধুসূদন রায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন স্বাভাবিক এবং পড়াশোনার পরিবেশ বজায় থাকে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন নির্ভয়ে পড়াশোনা করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ চাইলেই সহজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি কোনো সহযোগিতা লাগে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। আজকের ঘটনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

আজ বিশ্ব মা দিবস
বিয়ের ৪ মাসেই সন্তান প্রসব করেলেন নববধূ
রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, রাতভর উত্তেজনার পর শান্ত
এসএসসির ফল প্রকাশ আজ, যেভাবে জানবেন
ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি মিলবে যে কয়দিন
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা, একদিনে দুই শতাধিক মৃত্যু
রংপুর মেডিকেলের আইসিইউ ইউনিটে আগুন
আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল
পতঞ্জলি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতের যোগগুরু বাবা রামদেব
রাত ১টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের ‍পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা আগামীকাল
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন 'অড সিগনেচার'-এর পিয়াল
অর্থনীতি চাঙা করতে গাঁজা চাষ বৈধ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে ‘বিসিএস প্রস্তুতি’ বন্ধ হচ্ছে
বিদেশিদের এনআইডি করতে লাগবে না দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত
স্প্যান বসানো শেষ, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর উদ্বোধন
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ