শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিল দাবি ঢাবি শিক্ষকদের

ছবি: সংগৃহীত

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বজনীন পেনশন-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে এর প্রত্যাহারের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ডাকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

এই কর্মসূচি আগামীকাল বৃহস্পতিবার (সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা) পর্যন্ত চলবে। তবে চলমান পরীক্ষাগুলো এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

এ সময় বক্তারা বলেন, দাবি আদায়ে ২৭ তারিখ পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও যদি জারিকৃত পেনশন বাতিল করা না হয় তাহলে ১ জুলাই থেকে পূর্ণ কর্মবিরতি ও সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার হুঁশিয়ারি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা অবস্থান নেন। এ সময় প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন বক্তব্য দেন শিক্ষক নেতারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, আমাদের দাবি যৌক্তিক। দীর্ঘদিন ধরে যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্যে আন্দোলন করে আসছি। ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আগামী ৩০ তারিখে আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করব। তখন আমাদের কোনো হলের প্রভোস্ট হলে যাবেন না, কোনো বিভাগের চেয়ারম্যান বিভাগে যাবেন না, ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা ইনস্টিটিউটে যাবেন না। এমনকি যেসব শিক্ষক প্রশাসনিক দায়িত্বে আছেন, তারাও কোনো দায়িত্ব পালন করবেন না।

তিনি বলেন, এটা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। সরকার ‘সেবক’ নামে আরেকটা স্কিম যে চালু করবে আগামী বছর থেকে, সেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের কী কী সুবিধা আছে, তার ব্যাখ্যা নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, চাকরি শেষে পেনশনের টাকা দিয়ে আমরা কী করি? হয়তো একটা জমি কেনার চেষ্টা অথবা একটা বাড়ি কেনার চেষ্টা করি। সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্যে অর্থ ব্যয় করি। তাহলে সেই জায়গা কেটেকুটে আপনারা আমাদের আরো স্বল্প বেতনে, স্বল্প পেনশনে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। এই অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? প্রশ্ন রাখেন তিনি।

জিনাত হুদা বলেন, এটি মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ, মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সুতরাং এই ধরনের সংবিধান পরিপন্থি, যেটিকে সর্বজনীন নাম দিয়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কোনো কোনো মহল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ তা মেনে নেবে না।

Header Ad
Header Ad

সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পৃথিবীকে বদলাতে সব জাতিকে ভূমিকা রাখতে হবে। অংশগ্রহণ করতে হবে সবাইকে। ধ্বংসের আগে সঠিক পথ ধরতে হবে আমাদের।

তিনি বলেন, বিষণ্ণ বিশ্ব নয়, একটি সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে সাভারের জিরাবোতে অবস্থিত সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে দুদিনব্যাপী ১৫তম সোশ্যাল বিজনেস ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক ব্যবসা দিবস একটি পারিবারিক পুনর্মিলন। বিগত সরকারের আপত্তি ছিল এই দিবস পালনে। ৫ আগস্টের পর প্রথম এ দিবস পালন করতে পারলো বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সামাজিক ব্যবসা একমাত্র উপায়। এ বছরের প্রতিপাদ্য—‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সবচেয়ে কার্যকর পথ হলো সামাজিক ব্যবসা।’

বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসহ নানা খাতে বৈষম্য ও সীমাবদ্ধতা দূর করে একটি টেকসই, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক মূল্যবোধের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এই আয়োজন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে কোনো শিক্ষা সিস্টেম তৈরি করতে হবে স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে। স্বপ্ন দেখা শেখানোই প্রথম কাজ হবে শিক্ষা সিস্টেমের। গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন সভ্যতা গড়তে সহায়তা করবে।

তার ভাষায়, স্বপ্ন না দেখলে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। স্বপ্ন দেখতে হবে। বিষণ্ন বিশ্ব তৈরি করতে চাই না, সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চাই। নতুন সভ্যতা গড়তে চাই। সেটা আমরা পারব।

উল্লেখ্য, দুদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন ও আটটি ব্রেকআউট সেশন থাকবে। দু’দিনের এ আয়োজনে ২৫টিরও বেশি দেশ থেকে ১৮০ জনেরও অধিক বিদেশিসহ সহস্রাধিক অংশগ্রহণ করেছেন।

Header Ad
Header Ad

উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিঙ্গাপুরগামী একটি ফ্লাইটেরর ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। ২৫০০ ফিট উড্ডয়নের পর ফ্লাইটটি ঢাকায় আসার সিদ্ধান্ত নেয়।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে বিমানের বিজি ৫৮৪ ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাহমুদুল হাসান মাসুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। বিমানে মোট ১৫৪ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। সব যাত্রী ও ক্রু নিরাপদ ও সুস্থ রয়েছেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমানের ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় ৮ টা ৩৮ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের পরপরই, প্রায় ২৫০০ ফিট উচ্চতায় পৌঁছালে বিমানের ক্যাপ্টেন ইঞ্জিন-সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানিয়ে ঢাকায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে বিমানটি বাংলাদেশ সময় ৮ টা ৫৯ মিনিটে সম্পূর্ণ নিরাপদে অবতরণ করে এবং বিমানবন্দরের বে- ১৪ নম্বরে পার্ক করা হয়।

সম্ভাব্য বার্ড স্ট্রাইক ভেবে অবতরণের পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রানওয়ের পরিদর্শন করেন। তবে সেখানে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তু বা পাখির চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

বিমানবন্দর জানায়, কারিগরি পর্যালোচনা শেষে পরবর্তী ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

 

Header Ad
Header Ad

সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন

ছবি: সংগৃহীত

স্ট্রোক করা মাকে নিয়ে হাসপাতালে যান আনিসা আহমেদ নামে এক এইচএসসি শিক্ষার্থী। এজন্য পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেরি হওয়ায় বসতে পারেননি পরীক্ষায়। তার পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।

শুক্রক্রবার (২৭ জুন) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় তা জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)। অসুস্থ মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেরি হওয়ায় প্রথম দিনের এইচএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রের এক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা না দিতে পারার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।

এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার বলেন, মানবিক বিবেচনায় ওই শিক্ষার্থীর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত আইন ও বিধির আলোকে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তার এ দুঃসময়ে আমরাও সমব্যথী। এ পরীক্ষার্থীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন
দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে
হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ