শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

শিক্ষার্থীকে পরকীয়ার প্রস্তাব ঢাবি শিক্ষকের

‘আপনার স্বামী আর্মিতে, আমার স্ত্রীও ডাক্তার’

ছবি: সংগৃহীত

নারী কেলেঙ্কারি, পরকীয়া, শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, কুৎসা রটানো, অপেশাদার আচরণসহ নানা অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যাংকিং এন্ড ইনসুরেন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খালেদ বিন আমিরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তাকে শিক্ষকতার পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে আন্দোলনে রয়েছেন বিভাগটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া স্মারকলিপির দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের।

স্মারকলিপিতে বিভাগটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছে, শিক্ষক খালেদ বিন আমির বিশ্ববিদ্যালয় বহির্ভূত নারী কেলেঙ্কারি, অনুষদের অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, অযাচিত কটূক্তি, বিভাগের নারী সহকর্মীর নামে ছাত্রদের সামনে কটূক্তি, সহকর্মীদের নামে কুৎসা রটানো, পাঠদানে অপারগতা, অপেশাদার আচরণ করেছেন। ইতোমধ্যে এই বিষয়ক যথেষ্ট প্রমাণাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব অপরাধের দায়ে শিক্ষকতার পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা বিভাগে অভিযোগ প্রমানাদিসহ ২৭ আগস্ট স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। এর আগে ২৫ আগস্ট বিভাগকে ৩ কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য, কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারপর ২৮ আগস্ট থেকে অভিযুক্তের পদত্যাগের দাবিতে আমরা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিই।

‘‘আমরা এই কর্মসূচি ২ দিন পালন করি। এরপর ৩১ আগস্ট পুনরায় অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা বিভাগ ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেই। ওইদিন আমরা বিভাগ থেকে কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না সেই মর্মে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। তখন সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টর। তারা ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযোগগুলো নিয়ে কাজ করার আশ্বাস দেন। তবে ৭ দিন পার হয়ে গেলেও তার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলে তারা ফের আন্দোলন করবেন বলে জানিয়েছে।’’

বিভাগটির সাবেক এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার প্রমাণাদি গণমাধ্যমকে দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

পরকীয়ার প্রস্তাবে ওই ছাত্রীকে খালেদ বিন আমির তখন বলেছিলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক থাকাকালীন তিনি আমার সাথে এবং অন্যান্য অনেক সিনিয়রদের সাথে একই কাজ করেছিলেন। সেজন্য আমার তাঁকে ব্লক করতে হয়েছিল। ‘‘তিনি বলতেন—আপনার স্বামী তো আর্মি তে, ওরা তো টাইম দিতে পারে না, আমার বউও ডাক্তার, আমাকে টাইম দিতে পার না।’’ তিনি প্রায় সরাসরি আমাকে পরকীয়া এবং সাক্ষাতের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অসহ্য লোক একটা।’

বিভাগ তথ্য বলছে, শিক্ষার্থীদের অশালীন মন্তব্য করে বিব্রত করাই যেন ঢাবির এই শিক্ষকের কাজ। বিশেষত নারী শিক্ষার্থীদের তার কাছে বিব্রত হতে হয় ব্যাপকভাবে।

এ নিয়ে নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বিভাগটির এক ছাত্রী বলেন, একদিন খালেদ বিন আমির স্যার অনলাইনে বিজনেস ম্যাথের এক ক্লাসে শিক্ষার্থীদেরকে ক্যামেরা অন করতে বলেন। একেবারে ভোরে ক্লাস হওয়াতে শিক্ষার্থীরা অপ্রস্তুত থাকায় অনেকেই ক্যামেরা অন করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ড. আমির মন্তব্য করে বসেন, ‘তোরা কীভাবে ক্যামেরা অন করবি, তোরা তো কম্বলের নিচে নগ্ন হয়ে শুয়ে থাকিস।’ ফলে সেই দিনের ক্লাসে অধিকাংশ নারী শিক্ষার্থী লিভ নিতে বাধ্য হন।

এছাড়া তার কবল থেকে রক্ষা পায়নি ধর্মীয় কারণে পর্দা করা নারী শিক্ষার্থীরাও। পর্দা করে আসা এক নারী শিক্ষার্থীকে তিনি বলেন, পর্দা করছেন কিন্তু আপনার বয়ফ্রেন্ড কি জানে? আপনি কি বয়ফ্রেন্ডকে দেখানোর জন্য পর্দা করেছেন! আমি তো জানি টিএসসি তে আপনারা পর্দাও করেন। আবার বয়ফ্রেন্ডের সাথে কি কি যেন করেন। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী একজন।

এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র বলেন, খালেদ বিন আমির স্যার তো ওনার ওয়াইফ নিয়েও বাজে মন্তব্য করতে পিছপা হননি। উনি উনার স্ত্রীকে নিয়েও ক্লাসে বাজে মন্তব্য করেন। উনি বলেন, উনার ওয়াইফ নাকি অনেক বোরিং। তার চাইতে ওনার এক্স গার্লফ্রেন্ড অনেক ভালো ছিল। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ব্যবহার এবং ফেল করানোর ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি মাসের ১ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা তার চাকুরিচ্যুতির দাবিতে ব্যাপক মিছিল এবং শোডাউন করে।

বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলে আমরা চেয়ারম্যানকে অবগত করব সমাধান করার জন্য। চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করতে না পারলে ডিন মহোদয়কে আমরা জানাবো। সেখানে আমরা একটা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করব, সেখানে থাকবে আইন বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্য। এর পরেও না হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের নিকট স্মারকলিপি হস্তান্তর করবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকিং এন্ড ইনসুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাসিনা শেখ বলেন, আমরা শিক্ষকরা সবাই মিলে ছাত্রদের বক্তব্য শুনেছি। তাদের বুঝিয়েছি যে বিভাগীয় পর্যায়ে একজন শিক্ষকের ‘পদত্যাগ’ আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। শিক্ষার্থীরা তখন সহায়ক নথিসহ আমাদের আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠায়। আমরা আমাদের সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটিতে আলোচনা করেছি এবং মাননীয় ভিসি স্যারের কাছে পাঠিয়েছি।

যা হোক, প্রক্টর স্যারের নির্দেশে, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে আরেকটি বৈঠকের ব্যবস্থা করেছি যেখানে আমাদের অনুষদের ডিন স্যার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ স্যার আমাদের শিক্ষকদের সামনে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠনের আশা নিয়ে সভা শেষ হয়। অবশেষে, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে একটি কমিটি গঠন করা হয় যাতে এই ধরনের তদন্তের সময় শিক্ষককে কোনো একাডেমিক বা প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হয়—জানান অধ্যাপক ড. হাসিনা শেখ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক খালিদ বিন আমিরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

Header Ad
Header Ad

প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান

ছবি: সংগৃহীত

‘প্রত্যেকটা জেলায় শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য যেমন হাসপাতাল আছে তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সিনেমা হল থাকা দরকার। সুস্থ বিনোদন থাকলে মানুষ নেশা, হানাহানি ও মব জাস্টিস থেকে দূরে থাকবে। আমাদের যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান দরকার তেমনি বিনোদনের জন্য সিনেমা হল দরকার।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘উৎসব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী শেষে কথাগুলো বলছিলেন নন্দিত অভিনেতা জাহিদ হাসান।

‘উৎসব’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। শুটিংয়ের বহুদিন পেরিয়ে গেলেও জাহাঙ্গীর চরিত্রের মধ্যে থেকে এখনো বের হতে পারেননি বলেন জানালেন এই অভিনেতা।

 

ছবি: সংগৃহীত

জাহিদ হাসান বলেন, ‘এখনো আমি এই চরিত্রটার মধ্যে ডুবে আছি। সিনেমার আমার চরিত্রের নাম জাহাঙ্গীর। আসলে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে জাহাঙ্গীর লুকিয়ে আছে। কারণ, আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের মাঝে হিরোইজম আছে, ভিলেন আছে। আছে উপলব্ধি করার ক্ষমতা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের সেই রিয়েলাইজেশনের সময়টা আছে। কখন মৃত্যু হয় আমরা জানি না। এই রিয়েলাইজ যদি আমাদের মধ্যে থাকে তাহলে আজ আমরা যারা জাহাঙ্গীরের মত আছি, কাল আমরা ভালো হয়ে যাবো।’

ঈদের সিনেমা মানেই এখন যেন অ্যাকশন অথবা থ্রিলার। গত কয়েক বছরে ঈদে বাজিমাত করা সিনেমাগুলোর দিকে তাকালে এমনটাই মনে হতে পারে। সেসব থেকে বেরিয়ে হাস্যরস পরিবার এবং সম্পর্কের গল্পে এবার ঈদে বাজিমাত করেছে ‘উৎসব’। এই সফলতার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করলেন প্রত্যেক শিল্পীর সততাকে।

জাহিদ হাসানের কথায়, ‘প্রডাক্টশন বয় থেকে শুরু করে এই সিনেমার সঙ্গে আমরা যারা যুক্ত ছিলাম তারা প্রত্যেকেই অনেক সৎ ছিলাম। অভিনয় নিয়ে কোনো অসৎ অবস্থার মধ্যে আমরা যাইনি। এটাই মনে হয় আমাদের সফলতার বড় বিষয়। এই সিনেমার প্রত্যেকটি দৃশ্যের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে।’

করোনা মহামারির পর অভিনয়ে খুব একটা দেখা যায়নি জাহিদ হাসানকে। নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে খুব একটা কথা হয়নি তার। কারোনার পর ‘উৎসব’-ই তার প্রথম সিনেমা। তার ভাষ্য, ‘করোনার পর খুব একটা অভিনয় করা হয়নি। আমাকে অভিনয়ে নেওয়া বা না নেওয়াটা নির্মাতাদের দায়িত্ব। বলতে গেলে গত কয়েকবছর সেভাবে সুযোগও আসেনি। ‘উৎসব’ সিনেমার মধ্যে সেই সুযোগটা এলো। অভিনয় করলাম। দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝেছি অন্তত ফেল করিনি।’

 

ছবি: সংগৃহীত

সিনেমার হলের সংখ্যা কম হওয়ায় দেশের সিনেমা সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছচ্ছে না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন জাহিদ হাসান। সেইসঙ্গে জেলা প্রশাসকদের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।

জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমার বাড়ি সিরাজগঞ্জ। আমার বোন ফোন করে বললেন এখানে তো সিনেমা হলে নেই। তাই আমরা সিনেমা দেখতে পারছি না। এই কথা শুনে কষ্ট পেয়েছি। এটা সত্য সিরাজগঞ্জের মত দেশের অনেক বড় শহরে সিনেমা হল নেই। জেলা প্রশাসকসহ দায়িত্বশীল পর্যায়ে যারা আছে তাদের সবাইকে অনুরোধ করবো তারা যেন প্রত্যেকটি জেলায় সিনেমা হলের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়ে তার বাস্তবায়ন করেন।’

তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ সিনেমায়ি জাহিদ হাসান ছাড়াও অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আয়মান।

 

Header Ad
Header Ad

দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি

ছবি: সংগৃহীত

উদ্ভূত যুদ্ধ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ইরানে বসবাসরত প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের প্রথম দলটি (২৮ জন) সড়কপথে ইরান থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা করে দেশটির সীমান্তে পৌঁছেছে। পাকিস্তান সরকারের সহযোগিতায় তারা সীমান্ত থেকে শিগগিরই করাচি পৌঁছাবেন। সেখান থেকে বিমানে করে বাংলাদেশ ফিরে আসবেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, ইরানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক অন্য বাংলাদেশিদের ফেরত আসার বিষয়ে তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। দূতাবাস ইরানে অবস্থিত বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে।

উল্লেখ্য, এই যুদ্ধ পরিস্থিতির শুরুতেই দূতাবাসের সঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিকদের যোগাযোগের সুবিধার্থে দূতাবাস দুটি হটলাইন নম্বর চালু করে। হটলাইন নাম্বারগুলোর হোয়াটসঅ্যাপে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ দূতাবাস, তেহরানের হটলাইন নম্বর: +৯৮৯৯০৮৫৭৭৭৩৬৮, +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঢাকাস্থ কার্যালয়ের হটলাইন নম্বর: +৮৮০১৭১২০১২৮৪৭

Header Ad
Header Ad

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

যদিও সাক্ষাৎটি ‘সৌজন্য’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এর আগে, ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ওই বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, যদি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়, তাহলে ২০২৬ সালের পবিত্র রমজানের আগের সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। তবে সে লক্ষ্যে বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এদিকে, আগাম নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে স্থানীয় সরকার, বিশেষ করে সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচন চায় কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এই প্রেক্ষাপটেই সিইসির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকে নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য আলোচনার সূচনা হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।

যদিও বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবুও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগাম ভোটের সম্ভাবনা ঘিরে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে
হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
নীরবতা ভেঙে খামেনি বললেন, ইরান ‘বিজয়’ অর্জন করেছে (ভিডিও)
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই: প্রেস সচিব
রংপুরে দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার
৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন ডিএসসিসি প্রশাসক, পেলেন অভ্যর্থনা
ভেঙেই গেল জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা কেটি পেরির সংসার!