শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ | ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

তৃতীয় প্রান্তিকে ওয়ালটনের ব্যবসায় সুবাতাস

পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে।

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও ভূ-রাজনৈতিক সংকটসহ নানান নেতিবাচক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও ওয়ালটনের ব্যবসায় সুবাতাস বইছে। চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি ২০২৩ - মার্চ ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

বুধবার (১৯ এপ্রিল, ২০২৩) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় উক্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (তৃতীয় প্রান্তিক) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৮ দশমিক ২৫ টাকা। এই সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২২৪.৫৭ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়ন সহ ৩২৭.৮৪ টাকা।

তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭৩.৭০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৫০.৪৯ গুণ বেশি। এ ছাড়া, চলতি হিসাব বছরের ৩য় প্রান্তিকে কোম্পানির সার্বিক ঋণের পরিমাণ কমেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (তৃতীয় প্রান্তিক) কোম্পানিটির মজুদপণ্যের উপর অধিকতর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং রিসিভেবলস্ এর উন্নতি করার সঙ্গে কোম্পানির সকল খরচ এর উপর পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং সম্পদের সঠিক ব্যবহারের ফলে উল্লেখযোগ্য হারে নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) বৃদ্ধি পেয়েছে।

অধিকন্তু সরবরাহকারী ও অন্যান্যদের পেমেন্ট কার্যকারী মূলধন থেকে বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমায় ইতিবাচক এনওসিএফপিএস অর্জন সম্ভব হয়েছে ।

এদিকে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২২ - মার্চ ২০২৩) কোম্পানির পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২১.০৩ শতাংশ, যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিলো ১৮.৬৭ শতাংশ। এই সময়ে বিক্রয় এবং ঋণের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৪.৭৯ এবং ১৫.৮০ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিলো যথাক্রমে ২.৭৯ এবং ৩.৪২ শতাংশ।

এই সময়ে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় কোম্পানিটি ৩৯২.৭৪ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যা পূর্বের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিলো মাত্র ৪৪.১৮ কোটি টাকা।
তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয় হয়েছে ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিলো মাত্র ১৪৯.৬০ কোটি টাকা। যার ফলে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (তৃতীয় প্রান্তিক) কোম্পানির কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৬.১১ শতাংশ।

এ বিষয়ে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা মহামারি, মহামারি পরবর্তী অবস্থা এবং সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয় ভূ-রাজনৈতিক সংকটের ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানিসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়। এতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়।

এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি এবং পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, টালমাটাল বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মূল্যহ্রাসের কারণে কাঁচামাল ও খুচরা যন্ত্রাংশের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু নানান উদ্ভাবনী পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়ায় বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দাসহ সকল প্রতিকূলতার মধ্যেও মুনাফার ধারা ধরে রেখেছে ওয়ালটন।

যেহেতু বিশ্বব্যাপী অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং দুটি ঈদকে কেন্দ্র করে দেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি অনেকগুণ বেড়ে যায়, সেহেতু চতুর্থ প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

ঢাবি উপাচার্যের দাপ্তরিক ফোন হ্যাকড, বিকাশে চাওয়া হচ্ছে টাকা

অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের দাপ্তরিক মোবাইল নম্বর হ্যাক করে হ্যাকাররা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্নজনের কাছে বিকাশে টাকা দাবি করেছে। শনিবার (২৪ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমেদ।

তিনি জানান, হ্যাকিংয়ের বিষয়টি জানার পরপরই নম্বরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)কে অবহিত করা হয়েছে।

হ্যাক হওয়া নম্বরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সময় থেকে দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। পরে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল এবং বর্তমানে অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান একই নম্বরটি দাপ্তরিক যোগাযোগে ব্যবহার করছিলেন।

শনিবার দুপুরে হ্যাকার ওই নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে একাধিক ব্যক্তিকে ‘জরুরি প্রয়োজন’ উল্লেখ করে ১৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। বার্তায় বলা হয়, “বিকাশে ১৫ হাজার টাকা হবে? আমার আর্জেন্ট লাগবে। এখন পাঠিয়ে দেওয়া যাবে?” আরেকটি বার্তায় লেখা ছিল, “আমি কালকে ব্যাংক থেকে তুলে দিয়ে দিব, সমস্যা নেই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রতিবেদকসহ বেশ কয়েকজন এই ধরনের বার্তা পেয়েছেন। তবে অনেকে সন্দেহজনক বার্তা পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

প্রক্টর বলেন, “এটি একটি গুরুতর বিষয়। উপাচার্য স্যারের দাপ্তরিক নম্বর হ্যাক করে প্রতারণার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা আইনি সহায়তা চেয়েছি। নম্বরটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে উপাচার্যের ব্যক্তিগত নম্বর নিরাপদ আছে।”

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে মিটার রিডিংয়ের ব্যাপক গড়মিল, প্রমাণ পেল দুদক

টাঙ্গাইলে বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে মিটার রিডিংয়ের ব্যাপক গড়মিলের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

মিটার রিডিং না দেখেই বিদ্যুৎ বিল করা ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসায় নানা ভোগান্তি আর হতাশ হয়ে পড়েছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ভুক্তভোগী ডিজিটাল বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। এমন ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের গড়মিলের নানা অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু কতিপয় কিছু মিটার রিডারদের এই ভূতুড়ে বিল ও অনিয়ম বন্ধে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাননি অসংখ্য ভুক্তভোগী গ্রাহক।

শুধু তাই নয়, বিল সংশোধন করতে গেলেও পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তি আর বিলম্বনায় । গ্রাহকদের অভিযোগ সময়ের বিল সময়ে না করে মিটার রিডিং না দেখেই বিল করছে মিটার রিডার। এছাড়াও গ্রাহকদের থেকে বাড়তি সুবিধাও নেন রিডাররা। ফলে বছরের পর বছর এমন ভূতুড়ে বিল দিচ্ছে তারা।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিল ও মিটার রিডিংয়ের সঙ্গে মিল না থাকায় তার প্রতিকার চেয়ে জেলার ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামের ভুক্তভোগী আলতাফ হোসেন নামে এক বিদ্যুৎ গ্রাহক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আলতাফ হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (২৪ মে) দিনব্যাপি উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে গিয়ে ভুক্তভোগীসহ অন্যান্য গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলের কাগজ ও মিটার রিডিং সরেজমিনে দেখে টাঙ্গাইলের দুদক। পরে বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে মিটার রিডিংয়ের গড়মিলের সত্যতা পান তারা।

অভিযোগকারী আলতাফ হোসেন বলেন, মিটার রিডিংয়ের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলের মিল নেই। প্রতি মাসেই অতিরিক্ত বিলের ঘানি টানতে হচ্ছে। মিটার রিডিংম্যান কোমল ও জাহিদকে বললেও তারা মিটার না দেখেই ভুয়া বিল করে। এনিয়ে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি। পরে বাধ্য হয়ে ভূতুড়ে বিলের প্রতিকার চেয়ে দুদকে অভিযোগ করি।

এসময় আরও শতাধিক গ্রাহক তাদের এমন সমস্যা নিয়ে দুদকের কাছে ভূতুড়ে বিলের কাগজ নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগ তুলে ধরে। ভুক্তভোগীরা বলেন, কোমল ও জাহিদ মিটারগুলো দেখভালের দায়িত্বে। তাদের টাকা দিলে বিল কমিয়ে দেয় আর টাকা না দিলে পরের মাসে অতিরিক্ত বিল করে। বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার ব্যাপারে কথা বলেও তাদের কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না।

একই গ্রামের রায়হান মাস্টার নামে আরেক ভুক্তভোগী জানান, মিটার রিডিংয়ের সঙ্গে বিলের কয়েকশো ইউনিটের গড়মিল রয়েছে। প্রতিমাসেই অতিরিক্ত বিল প্রদান করে আসছি। মিটার রিডারদের বার বার মিটার দেখে বিল করতে বললেও তারা মিটার না দেখেই মনগড়া অতিরিক্ত ইউনিট বেশি লিখে বিল করে। শুধু আমি একা নই, জিগাতলা গ্রামের প্রতিটা ডিজিটাল মিটারের বিদ্যুৎ গ্রাহক এমন ভূতুড়ে বিলের শিকার।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম বলেন, ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ গ্রাহকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভূঞাপুরের জিগাতলা গ্রামের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে শনিবার দিনব্যাপি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মিটার রিডিং ও বিদ্যুৎ বিলের কাগজের গড়মিলের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিউবো) খন্দকার কামরুজ্জামান বলেন, একজন গ্রাহকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা দুদক অভিযানে আসে। যেগুলো মিটারে সমস্যা সেগুলো পরিবর্তন করে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে এবং মিটার পাঠক বা রিডারের বিরুদ্ধে কোনো বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সঠিকভাবে পেলে অফিসিয়ালভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের তথ্যমতে ভূঞাপুরে প্রায় ৫৩ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। তারমধ্যে প্রিপেইড মিটার রয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার এবং ডিজিটাল মিটার (পুরাতন) রয়েছে প্রায় ১৯ হাজার। এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল, কালিহাতী ও গোপালপুর উপজেলার আংশিক কিছু এলাকাজুড়ে ভূঞাপুরের বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণের আওতায় এই ৪টি উপজেলার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টা নয়, বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ চায় বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায় না, বরং উপদেষ্টা পরিষদের বিতর্কিত তিন সদস্যের অপসারণ চায় দলটি—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার (২৪ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, “আমরা কখনোই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করিনি, এখনো তা চাই না। আমরা বরং তাঁর কাছ থেকে একটি সুস্পষ্ট নির্বাচন রোডম্যাপ চাই, যাতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।”

তিনি আরও জানান, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে উপদেষ্টা পরিষদে যারা বিতর্কিত ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে দলটি একটি লিখিত বক্তব্যও প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দিয়েছে।

বিএনপি নেতা বলেন, “নির্বাচনের বিলম্ব মানে স্বৈরাচারের ফেরার সম্ভাবনা বাড়ানো। তাই অবিলম্বে নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে। আমরা চাই সংস্কার চলুক, আর সে সংস্কার বিএনপি ক্ষমতায় এলেও অব্যাহত থাকবে।”

আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা কারও প্রতি প্রতিশোধে বিশ্বাস করি না, তবে আইনের শাসনের পক্ষে। যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে—কিন্তু সেটা হতে হবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে।”

প্রসঙ্গত, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ড. ইউনূসের পদত্যাগ সম্ভাবনা নিয়ে যে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে, তার পটভূমিতে বিএনপি এই বৈঠকে বসে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান এবং সালাহউদ্দিন আহমদ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাবি উপাচার্যের দাপ্তরিক ফোন হ্যাকড, বিকাশে চাওয়া হচ্ছে টাকা
টাঙ্গাইলে বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে মিটার রিডিংয়ের ব্যাপক গড়মিল, প্রমাণ পেল দুদক
প্রধান উপদেষ্টা নয়, বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ চায় বিএনপি
একনেকে ১১ হাজার ৮৫১ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন
বিয়ের পর আমার ভাগ্য খুলে গেছে: মেহজাবীন
দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত
পুলিশকে হুমকি দিয়েছে নুর: পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন
বিরামপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার
সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে ট্রাম্প প্রশাসনের আদেশ জারি
সালমানের বাংলোতে ঢুকতে লাগবে পরিচয়পত্র, ছাড় পাবেন না তারকারাও
ড. ইউনূস জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের নাটক মঞ্চস্থ করছেন: রুমিন ফারহানা
রোববার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সর্বদলীয় বৈঠক
লন্ডনে সালমান এফ রহমানের ছেলে ও ভাতিজার ১৪৭৯ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ (ভিডিও)
বিয়ের অল্পদিনের মধ্যেই বিচ্ছেদ, রাগে ঘটককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বিনিয়োগকারীরা নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে: আমীর খসরু
বলিউড অভিনেতা মুকুল দেব মারা গেছেন
ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক শুভমান গিল
বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান ও পরিবারের ৩৮ ব্যাংক হিসাব জব্দ
ঈদে আসছে নতুন নোট, থাকছেনা কোনো ব্যক্তির ছবি: গভর্নর
প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না