বুধবার, ৮ মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

রাত হলেই অনিরাপদ হয়ে ওঠে রমনা পার্ক

রাত হলে অনিরাপদ হয়ে ওঠে রাজধানীর রমনা পার্ক। সন্ধ্যার পর এখানে রাত্রে বেশ নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এখানে যারা চলাফেরা করে ও বিনোদনের আশায় ঘুরতে আসে তারা অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। অভিযোগ আছে- সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই এটি মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের আখড়া হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। সেই সঙ্গে রাতের বেলায় চলে ভাসমান যৌনকর্মী ও হিজড়াদের বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ। চলাচলকারীদের দাবি রাতে অনেক সময় যানবাহন পাওয়া যায় না। হেঁটে গন্তব্যে যেতে হয়। কিন্তু রমনা পার্ক এলাকায় এলে হিজড়াদের যন্ত্রণা এবং মাদক সেবনকারীদের দেখা যায়। যার কারণে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তার অভাবে থাকে।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, নিরাপত্তার অভাবে অপরাধীদের দখলে এই রমনা পার্ক। সাধারণত রমনা পার্ক ব্যবহার করেন মানুষ বিনোদনের জায়গায় হিসেবে এবং অনেকে শরীর চর্চা হিসেবে এটি ব্যবহার করেন। রাজধানীতে বিনোদনের জন্য নেই পর্যাপ্ত পার্ক ও শরীরচর্চা কেন্দ্র। যার কারণে এটাকে খোলা ও পরিবেশসম্মত স্থান মনে করেন অনেকেই। রমনা পার্কে গিয়ে বিনোদনের খোরাক মিটিয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ।

সম্প্রতি সরেজমিনে সন্ধ্যার পর রমনা পার্ক ঘুরে দেখা যায়, এটি মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের অপরাধের একটি স্থান হয়ে উঠেছে। এখানে নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। সব অলিগলি যেন অপরাধীদের দখলে। মানুষের চলাচল করতে অনেকটা ভয়ে রয়েছেন। অনেকেই এ সমস্ত কারণে পরিবার নিয়ে রমনা পার্কে ঘুরতে যান না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানা ও শাহবাগ থানার অধীনে পড়েছে এই রমনা পার্ক। যদিও প্রতিনিয়তই এই পার্কের আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দেন। দিনের বেলায় ভালো পরিবেশ থাকলেও রাতের বেলায় ভয়ংকর রূপ ধারণ করে এটি।

দেখা যায়, এই পার্কে সন্ধ্যা নামলেই বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। ভাসমান যৌনকর্মী ও হিজড়াদের আখড়ায় পরিণত হয়। বেড়ে যায় হিজড়াদের চলাচল। রয়েছে চুরি-ছিনতাইকারীদের উৎপাত। ফলে এসব স্থান দিয়ে রাতের বেলা পথচারী ও সাধারণদের একপ্রকার ভয়ের মধ্যে থেকেই চলাচল করতে হয়।

রমনা পার্কে পরিবার নিয়ে সকাল বেলায় প্রতিদিন আসেন জয়নাল আবেদীন। জয়নাল আবেদীন বলেন, একসময় এই পার্কে অনেক সময় কাটিয়েছি। এখন এটি আমাদের জন্য ব্যবহারের অনুপযুক্ত মনে হচ্ছে। আমার বাসার কাছে এটা, পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি কিন্তু বাইরের পরিবেশ একেবারেই ভালো না। মাদক সেবনকারীরা মদ-গাঁজা-ফেনসিডিল-ইয়াবাসহ অনেক কিছু এখানে সেবন করেন যা দেখার কেউ নেই। আগে প্রতিদিন অফিস শেষ করে সন্ধ্যার পরে আসতাম এখন সকাল বেলায় এসে ঘুরে যায়।

প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে আরিফ ও শাওন দুই বন্ধু মিলে রমনা পার্কে এসে গল্প করেন এবং আড্ডা দেন।‌ আরিফ ও শাওনের অভিযোগ রমনা পার্কের পরিবেশ একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। আনসার সদস্যদের সামনেও মাদক সেবনকারীরা মাদক সেবন করছে এবং অনেক মাদক ব্যবসায়ীরা ভেতরে প্রবেশ করে তাদের কাস্টমারকে মাদক দিচ্ছে। এটা অনেকটা প্রকাশ্যেও। তাদের অভিযোগ, রমনা পার্কে যদিও সিসি ক্যামেরা রয়েছে তাহলে কেন এসব মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের প্রশাসনের লোকজন ধরছেন না।

মহাখালী থেকে মাঝে মাঝে রমনা পার্কে ঘুরতে আসেন কাজী রফিক উদ্দিন। কাজী রফিক উদ্দিন বলেন, মাঝে মাঝে ছুটির দিনে রমনা পার্কে ঘুরতে আসি। সন্ধ্যার পর অনেক সময় বসে থাকি। কিন্তু এখন বসে থাকার কোন অবস্থা নেই। মাদক ব্যবসায়ী, সেবনকারী, হিজড়াসহ অনেক যৌনকর্মীরা এসে বিরক্ত করে। ‌

কাজী রফিকের দাবি, প্রকাশ্যে নিরাপত্তা কর্মীদের সামনে এরা ঘুরে বেড়ায়। তারা কিছু বলে না এবং অনেক জায়গায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে পুলিশ সেগুলো নিয়ে কেন পদক্ষেপ নেয় না? রমনা পার্কে সাধারণ মানুষ বিনোদন নিতে আসেন কেউ পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসেন তাহলে আমাদের সেফটি কোথায়? অবিলম্বে রমনা পার্ক সাধারণ মানুষের জন্য উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

তিন মাস আগে রমনা পার্কে ঘুরতে এসে আমার মোবাইল ফোন হারিয়েছি এমনটি অভিযোগ করে মো. রায়হান বলেন, রমনা পার্কে নিরাপত্তাহীনতায় বিনোদনের আশায় আসা মানুষ। এখানে চুরি ছিনতাই ও প্রতারণাসহ প্রকাশ্যে বেশ কিছু অপরাধ হয়। মোটামুটি এ বিষয়টি সবাই জানে কিন্তু এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখেছি বলে আমার মনে হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, রমনা পার্কে যারা বসেন সবাই নেশাখোর, প্রতারক, যৌনকর্মী বা বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত এটা ঢালাওভাবে বলা ঠিক না। তবে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ আছে। তা ছাড়া এই পার্কে গিয়ে অনেকে মাদক বিক্রি ও সেবন করছে- এমন অভিযোগ আগেও ছিল এখনো আলোচনা হচ্ছে। তবে এই পার্কের বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের পুলিশ কাজ করছে। আমরা এর আগে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অনেক অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন আরেক কর্মকর্তা বলেন, রমনা পার্ক গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে এটাকে তারা দেখভাল করেন। তাদের নিজস্ব আনসার সদস্য রয়েছেন। তারা অনেক সময় পুলিশের সহযোগিতা চান এবং পুলিশ তাদের যথাযথ সহযোগিতা করে থাকেন। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি যদি এ সমস্ত অভিযোগের বিষয়ে আমাদের কাছে কিছু বলেন তাহলে আমরা অবশ্যই এসব অপরাধ দমন করতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সাধারণ মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দে রমনা পার্কে চলাফেরা করতে পারে সেজন্য তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করব।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নিয়তি রায় বলেন, রমনা পার্ক সম্পর্কে অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে ডিএমপির সদর দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে। যদি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে পুলিশকে জানালে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তা ছাড়া এখান থেকে যদি কেউ প্রতারণার শিকার হন অথবা চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের শিকার হন তাহলে থানা পুলিশের সহযোগিতা নিন আশা করি ফল পাবেন।

কেএম/এসএন

Header Ad

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেও ২০০৭ সালের ৭ মে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে এলে বিমানবন্দরেই মেরে ফেলা হবে, এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালের ৭ মে সব বাধা উপেক্ষা করে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অনির্ধারিত এই আলোচনার সূত্রপাত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে উত্থাপিত এ আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের দিনটা (৭ মে) আমার জীবনের অনন্য দিন, কারণ আমি সেদিন দেশে ফিরে এসেছিলাম শত বাধা অতিক্রম করে। আমাকে সেই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক উপদেষ্টাও ফোনে বলেছিল আপনি আসবেন না, আপনি বাইরে থাকেন, যা যা লাগে করব। আবার কেউ কেউ ধমকও দিয়েছিল। এ কথা বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে ফিরলে ওই এয়ারপোর্টেই মেরে ফেলে দেবে। আমি বলেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ, আমি নিজের দেশের মাটিতেই তো কিন্তু আমি আসব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল এয়ারলাইন্সকে নিষেধ করা হয়েছিল, আমাকে বোর্ডিং পাস যেন না দেওয়া হয়। আমেরিকায় তিন ঘণ্টা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে লন্ডন পর্যন্ত আসি। লন্ডনে যেদিন আমি বিমানে উঠতে যাব উঠতে দেওয়া হয়নি। সে দিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেভাবেই হোক আমি দেশে ফিরব। এমনকি আমি যখন এয়ারপোর্টে রওনা হই, তখন অনেকে আমাকে ফোনে বলেছে আপনি আসবেন না, আসলে আপনাকে মেরে ফেলে দেবে। আমি পরোয়া করিনি। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী ভাইদের প্রতি।

শেখ হাসিনা বলেন, তখন বলা হয়েছিল যে কেউ যেন এয়ারপোর্ট না যায়। এমনকি আমার দলের ভেতর থেকেও। তখন দলের যিনি সেক্রেটারি ছিলেন তিনি সবাইকে বলে দিয়েছিলেন এয়ারপোর্টে গেলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। আর আমাদের নেতা-কর্মী কেউ রাস্তায় থাকতে পারবে না। আমি শুধু একটাই মেসেজ দিয়েছিলাম সবাই থাকবে। আমরা গেরিলা যুদ্ধ করেছি, সবাই থাকবা, তবে ঘাসের সঙ্গে থাকবা, আমি বলেছিলাম আমার প্লেনটা না নামা পর্যন্ত, আমি দরজা খুলে না বের হওয়া পর্যন্ত তোমরা বের হবে না।

তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, আমি গাড়িতে উঠলে আমাকে একটা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি ড্রাইভারকে বলেছিলাম যেদিকে মানুষ যাচ্ছে সেদিকে যাবা, ফ্লাইওভারের উপরে উঠবা না। হাজার হাজার মানুষ তখন রাস্তায়। আমার দলের কিছু লোকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুধু সংবর্ধনা নয় আমাকে নিরাপত্তাও দিয়েছে নেতা-কর্মীরা।

তিনি আরও বলেন, সেই সময় কালে ভদ্রে দুই এক জন আমার কাছে আসতে পারত। সাবিনা ইয়াসমিন অসুস্থ, আমি গেরিলা কায়দায় বেরিয়ে গিয়েছিলাম। পুলিশের চোখ এড়িয়ে আমি হাসপাতালে যাই। সেদিন সেখানে আমি খুব কড়া কথা বলি, আমি বলেছিলাম সে সময় দেশ চালাচ্ছে কে? পরের দিন সকালে পুলিশ এসে হাজির। আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে সংসদ ভবনের এক পরিত্যক্ত নোংরা ভবনে। সেখানেই আমাকে বন্দি করে রাখা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু এই দিন নয়, ৮৩ সালেও এরশাদ সাহেব আমাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল ৩০ হেয়ার রোডে লাল দালানে। সেখান থেকে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে। এরশাদ সাহেব আমাকে আরও কয়েকবার গ্রেপ্তার করে। আমি মতিয়া আপা, সাহারা আপা (এখন নেই) আমাদের তিনজনকে এক সঙ্গে নিয়ে কন্ট্রোল রুমে সারা রাত বসিয়ে রাখে। শুধু তাই নয়, বার বার গ্রেপ্তার সরাসরি গুলি বোমা গ্রেনেড সব কিছু অতিক্রম করে আজকে এখানে এসে জনগণের সেবা করতে পারছি। এখন আমি শুধু দাঁড়িয়েছি, বাংলাদেশের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানাতে, দলের নেতা-কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে।

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর

স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! শুধু তাই নয়। স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করেন স্ত্রী।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে। যদিও অভিযুক্ত মহিলার অভিযোগ, স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করেন। তিনি প্রতিবাদ করলে স্বামী তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। যার জেরে নিজের প্রাণ বাঁচাতেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে পুলিসের কাছে দাবি করেছেন অভিযুক্ত স্ত্রী। খবর: জি ২৪ ঘণ্টা

তবে পুলিশ এই ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগে ২৮ বছরের ওই স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। পুরো ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। নির্যাতিত স্বামী বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তার অভিযোগ, অভিযুক্ত মেহের জাহান ২৯ এপ্রিল দুধে নেশার সামগ্রী মিশিয়ে স্বামীকে সেই দুধ পান করতে বাধ্য করেন। এরপর স্বামী বেহুঁশ হয়ে পড়লে স্বামীর হাত-পা বেঁধে তার সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। শুধু তাই নয় সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তার সারা শরীর পুড়িয়ে দেয়। এমনকি গোপনাঙ্গেও ছ্যাঁকা দেয়। গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ।

জানা গেছে, গত নভেম্বরের ১৭ তারিখ সেওহারা থানা এলাকার সাফিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা মেহের জাহানকে বিয়ে করেন মান্নান। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি। স্বামীর অভিযোগ, বিয়ের কয়েকদিন পর তিনি দেখতে পান যে তার স্ত্রী মদ্যপ এবং ধূমপান করেন। তিনি বাধা দিলে স্ত্রী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।

পাল্টা মেহের জাহানেরও অভিযোগ, স্বামী মান্নান তার উপরে নির্যাতন চালান বিবাদের সময়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্র হস্তান্তর করছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (৭ মে) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে এ পরিচয়পত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি।

এদিন দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্রটি হস্তান্তর করেন।

এসময় সচিব কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। পর্যায়ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, এটি মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের অনন্য স্বীকৃতি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণে সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর
বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ির মানে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’: দেবপ্রিয়
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন
বন্ধুদের আড্ডায় রাসেল ভাইপারের ছোবল, প্রাণ গেল রাবি শিক্ষার্থীর
সিক্স-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির জাপান, গতি ফাইভ-জি’র চেয়ে ২০ গুণ
হ্যাটট্রিক জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তৃতীয় বিয়ের আলোচনার মধ্যে ‘তুফান’ নিয়ে হাজির শাকিব খান
ডেঙ্গুতে আমার মা মারা গেছেন, আর কেউ যেন মারা না যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিনেমায় আসছেন সোহেল চৌধুরী–দিতির কন্যা লামিয়া
৬ মাসের মধ্যে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু : মন্ত্রী
টানা পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন
ডামি ও প্রতারণার উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই : রিজভী
কারওয়ান বাজারে হঠাৎ প্রাইভেটকারে আগুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে লাগবে ডোপ টেস্ট
ম্যাডোনার কনসার্টে হাজির ১৬ লাখ দর্শক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেল যেসব সংবাদমাধ্যম