
বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য জোরদারে তাগিদ
২১ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৭ পিএম | আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩, ০৯:২৩ এএম

বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও জোরদারের তাগিদ দিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং ভারত চেম্বার অব কমার্স (বিসিসি)।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বিসিসি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই বিষয়ে আলোকপাত করেন দুই প্রতিষ্ঠানের নেতারা।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, উত্তর আমেরিকা এবং আসিয়ানভুক্ত দেশসহ অন্যান্য জোটগুলো আঞ্চলিক বাণিজ্য শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। সেখানে সার্কভুক্ত দেশগুলো এখনো বেশ পিছিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জিটুজি (গভার্নমেন্ট টু গভার্নমেন্ট) সম্পর্ক অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। আমাদের এখন বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) কার্যক্রম আরও এগিয়ে নিতে হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, পদ্মাসেতু রেল সংযোগ এবং বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ভারতের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, আধুনিকায়ন এবং যান্ত্রিকীকরণে জোর দিয়েছে। ভারত বিশ্বের অন্যতম একটি কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী দেশ। বাংলাদেশের বাজার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ভারতের কৃষি যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারীরা এদেশে কারখানা স্থাপন করতে পারে।
এ সময় ভারত চেম্বারের প্রেসিডেন্ট এন.জি. খইতান বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, ভারত বাংলাদেশ সবসময়ে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র, গত দশ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে পড়ার মত, ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা সব সময়েই বাংলাদেশের এই উন্নয়নের সহযোগী হতে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল শক্তি হলো গ্রামীণ অর্থনীতি। প্রতিবেশি দেশ দুটির ভোক্তা বাজার, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতিতে যখন এত মিল রয়েছে, তখন আমাদের উচিত নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিন হেলালী, পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী, ভারত চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নরেশ পাচিশিয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজকুমার আগারওয়ালসহ অন্যান্যরা।
জেডএ/এমএমএ/