মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ: সিপিডি

করোনার ধকল সামলে না উঠেতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট এখন আর স্বল্পমেয়াদি নয় উল্লেখ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, এই সংকট মধ্যমেয়ািদ থেকে দীর্ঘমেয়াদি হত পারে।

তিনি বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদি উদ্যোগ নিয়ে এই সমস্যা সমাধান হবে না। দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ, রপ্তানি ছাড়া সব ক্ষেত্রে চাপ রয়েছে। রিজার্ভ অনেক কমে গেছে।’

রবিবার (২৪ জুলাই) ধানমন্ডিতে সিপিডি অফিসের সম্মেলন কক্ষে ‘সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জঃ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় এসব কথা বলেন তিনি।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতি শক্তিশালীকরণে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, রাজস্ব আহরণ, ঋণখেলাপি, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তার বৃদ্ধির দিকে আরও নজর দিতে হবে সরকারকে।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক চাপ দেখা দিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আমদানি ব্যয় মেটাতে ৪ মাসের পর্যায়ে নেমে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমদানি ব্যয় মেটাতে মুদ্রার সরবরাহ শৃঙ্খলায় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অনেক চাপ দেখা দিয়েছে। আটা-ময়দার দাম ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে এক বছরের ব্যবধানে।’

‘ডালে ৪০ শতাংশ, সয়াবিন তেলে ৩১ শতাংশ ও ডিমের হালিতে বেড়েছে ২৩ শতাংশ বেড়েছে। এরফলে মূল্যস্ফীতি সাড়ে সাত শতাংশ ছাড়িয়েছে। প্রকৃত মূল্যস্ফীতি আরও বেশি। সম্প্রতি আইএমএফ বলেছে, ২০২৩ সালেও অর্থনৈতিক সংকট থাকতে পারে। শ্রীলঙ্কার অবস্থা বেশি খারাপ হয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা ভালো হলেও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে।’

ফাহমিদা বলেন, ‘করোনায় দরিদ্ররা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই তাদের সহায়তা দিতে হবে। রপ্তানির তুলনায় আমদানি অনেক বেড়েছে। এ জন্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। নিত্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে রিজার্ভ কমে ৩৯ বিলিয়নে নেমে গেছে। যা দিয়ে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। তাই যে করে হোক রিজার্ভ বাড়াতে হবে। এ জন্য রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের দিকে নজর দিতে হবে।’

আলোচনা সভায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির যে অবস্থা তাতে বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তাই বর্তমান অবস্থায় ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। সুখে নেই। অস্বস্তিতে রয়েছে। দোকান, খাবার দোকানের বেচা-বিক্রি কমে গেছে। সংকটকালীন সময় মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যুতে সাশ্রয়ী হতে উৎপাদন যাতে কোনোক্রমেই বিঘ্ন না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, এটা হলে রপ্তানি কমে যাবে। এর ফলে ডলারের মূল্য কমতে শুরু করবে।’

তিনি আরও বলেন, সরকার যেই মাত্র লোডশেডিং শুরু করেছে অনেকে চার্জার লাইট ও ফ্যানের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ২ থেকে ৩ শতাংশ ব্যবসায়ীরা এভাবে লাভের জন্য বিক্রি করছে। আমরা তাদের সমর্থন করি না।’

বুয়েটের অধ্যাপক ম তামিম বলেন, ২০০৭ সালের দিকে দ্রুত বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৩ থেকে ৫ বছরে সীমাবন্ধ রাখার কথা ছিলো কিন্তু ১২ বছর পরও বর্তমানে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের জন্য বড় সমস্যা। তাই বিশ্ব সংকটের প্রভাব পড়েছে। এটা বড় সমস্যা। বিদেশি বিনিয়োগ আনা হয়নি। এটা বড় ঝুঁকিতে পড়েছে দেশ। আবার ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থা্পনও ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ, জ্বালানির দাম বেশি। এতবেশি দাম বাড়বে কেউ কখনো কল্পনা করতে পারেনি। তাই গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকে যেতে পরিকল্পনা করে চিন্তা করতে হবে। আমদানিকৃত কয়লা থেকে সরে আসতে হবে।’

সভায় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাণিজ্যের নামে ৮০ শতাংশ ওভারভয়েসিং-ইনভয়েসিং হয়ে টাকা পাচার হচ্ছে। গত ১০ বছরে ৬০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। এই অর্থ পাচারের পথ বন্ধ করতে হবে। আন্ডারভয়েসিং, ওভারভয়েসিং এর নামে জিরো টলারেন্স অবলম্বন করতে হবে।’

অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলারের দাম বাড়াতে হচ্ছে। যা আগে করা হয়নি। টাকার মান আগে অবমূল্যায়ন করা না হলেও সম্প্রতি তা ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ২০ শতাংশ অবমূল্যায়ন করা হলে বাজারে ৩৩ শতাংশ পণ্যের উপর প্রভাব পড়বে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে রিজার্ভেও প্রভাব পড়েছে। আগের চেয়ে তা কমে যাচ্ছে। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাচ্ছে। তাই আমদানি থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায়ে নজরদারি খরবদারিতে নজর দিতে হবে।’

পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে স্বার্থের দ্বন্দ্বভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছে। লৌহ ত্রিভুজ মাত্রিক উন্নয়ন দর্শনে আটকে গেছে দেশ। সার্বিক প্রেক্ষিতে সামষ্টিক অর্থনীতিতে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। তিনটা অবিচার দেখা দিয়েছে। করোনার পরে নতুনভাবে দারিদ্র বেড়ে গেছে। এসডিজি অর্জনে পুষ্টির ঘাটতি, যা দুঃচিন্তার বিষয় হচ্ছে ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ড্রফ আউট। এই তিন খাতে সুস্পষ্ট অবিচারের চেহারা দেখা দিয়েছে।’

জেডএ/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

ভারতে বাড়ছে করোনা শনাক্ত, পুরোনো আতঙ্কে শঙ্কায় চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস আবারও ভয় ধরাচ্ছে ভারতসহ এশিয়ার একাধিক দেশে। সম্প্রতি হংকং ও সিঙ্গাপুরে করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে, যার প্রভাব এবার ভারতেও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ভারতজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে সক্রিয় কোভিড কেসের সংখ্যা ২৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ১২ মে থেকে ভারতে নতুন করে ১৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে কেরালা, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু রাজ্যে। কেরালায় গত সপ্তাহে নতুন করে ৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ৪৪ জন এবং তামিলনাড়ুতে ৩৪ জন।

মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। বর্তমানে সেখানে মোট ৫৬ জন কোভিড পজিটিভ রয়েছেন। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে একজন ৫৯ বছর বয়সী ক্যানসার আক্রান্ত নারী এবং অন্যজন ১৪ বছর বয়সী কিডনি রোগে আক্রান্ত কিশোরী। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের মৃত্যু সরাসরি করোনার কারণে হয়নি, তবে তারা দুজনই কোভিড পজিটিভ ছিলেন।

এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাদের মৃত্যুসনদে কেন কোভিড সংক্রান্ত কোনো উল্লেখ নেই। বিশেষ করে ৫৯ বছরের ওই নারীর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে মুম্বাইয়ের ভোইওয়াডা শ্মশানে সরকারি প্রোটোকল মেনে দাহ করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাত্র দুইজন পরিবারের সদস্য। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাবেক কর্পোরেটর অনিল কোকিল।

করোনার নতুন এই উত্থান ফের মানুষকে মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০২০ থেকে ২০২২ সালের ভয়াবহ দিনগুলোর কথা। যখন কোভিড-১৯ মহামারিতে ভারতের স্বাস্থ্যব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছিল, অর্থনীতি ছিল চরম চাপে, এবং সাধারণ মানুষ ছিল চরম আতঙ্কে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রশ্ন উঠছে — আবার কি সেই ভয়াবহ সময় ফিরে আসছে?

সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে। প্রশাসন দুই জায়গায়ই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ভারতের সঙ্গে এই দুই অঞ্চলের যোগাযোগ থাকায় নয়াদিল্লিতেও বেড়েছে উদ্বেগ।

তবে এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কিংবা কোনো রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন কোনো স্বাস্থ্য নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। চিকিৎসক মহলও এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। কেউ কেউ সাবধানতার পরামর্শ দিচ্ছেন, আবার কেউ মনে করছেন আতঙ্ক না ছড়িয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করাই শ্রেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা এখনো পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। তাই সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এখনো জরুরি। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তথ্যসূত্র: এবিপি নিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রথমবার ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রথমবার ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল কুমার বিশ্বাস ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দুটি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, টি.আর ২২২/২০২২ ও টি.আর ০১/২০২৪ মামলায় সাক্ষ্য দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাদিয়া মা-আরিজ। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালীন পোস্টমর্টেম ও চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) আবেদনের পর আদালত ভার্চুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি দেন। পরে ডাক্তার সাদিয়া মা-আরিজকে ভিডিও মাধ্যমে যুক্ত করা হয়।

সাক্ষ্য গ্রহণের সময় মামলার আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, আর আসামিপক্ষে জেরা করেন অ্যাডভোকেট মো. আফজালুল হক ও অ্যাডভোকেট মো. আত্তাব আলী।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ভার্চুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণের নির্দেশনা অনুসারে বিচারকাজ পরিচালিত হয়। চুয়াডাঙ্গার জেলা আদালতে এই প্রথম ভার্চুয়াল সাক্ষ্য গ্রহণের নজির স্থাপিত হলো, যা আইনি ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচন না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

দেশে নিরপেক্ষ ও দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্বচ্ছতা দেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে স্থবির করে দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারাচ্ছেন।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘নীতি সংস্কার ও আগামীর জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের উদাহরণ টেনে আমীর খসরু বলেন, “গত ১০ মাসেও সরকার দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারেনি। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের সবারই এক প্রশ্ন—নির্বাচন কবে হবে? নির্বাচন না হলে কেউ বিনিয়োগ করবে না।”

তিনি আরও বলেন, “অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে কোনো অর্থনীতি টেকসই হতে পারে না। এই বাস্তবতা সরকার অনুধাবন করতে পারছে না।”

বিএনপি নেতা বলেন, “বর্তমান সরকার দেশের সামনে কোনো নির্বাচনী রোডম্যাপ দিচ্ছে না। বরং নানা ইস্যু তৈরি করে সময়ক্ষেপণ করছে। অথচ নির্বাচনই এখন দেশের স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির প্রধান চাবিকাঠি।”

তিনি মনে করেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক পথে ফিরিয়ে আনা।”

সরকারের বাজেট প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আমীর খসরু।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনীতির প্রতিটি খাতে ভুল তথ্য-উপাত্ত দিয়ে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এতে জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত হবে।”

মিয়ানমারকে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, “এটি একটি স্পর্শকাতর ও কূটনৈতিক বিষয়। এই সরকার এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাখে না। এসব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।”

বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার স্বল্প সময়ের জন্য গঠিত। তাদের জনগণের ম্যান্ডেট নেই। জনগণের পালস বোঝার ক্ষমতাও তাদের নেই।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে বাড়ছে করোনা শনাক্ত, পুরোনো আতঙ্কে শঙ্কায় চিকিৎসকরা
চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রথমবার ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য গ্রহণ
নির্বাচন না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না: আমীর খসরু
ইশরাক-তাবিথদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছাত্রনেতাদের বাসা ভাড়া দিয়েছি: নুরুল হক
হঠাৎ জাপান ছাড়ার হিড়িক, জাপান সফর বাতিল করেছেন অনেকেই
অভিনেতা চঞ্চলের সঙ্গে ছবি, ক্ষমা চাইলেন ইশরাক হোসেন
গোটা গাজা দখলের ঘোষণা নেতানিয়াহুর, ব্যাপক স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
ক্ষমা চাইতে হাসনাতকে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম কুমিল্লা জেলা বিএনপির
সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
দাবি আদায় করবো, না-হয় মাটির নিচে শায়িত হবো: ইশরাক
১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে সরকার: প্রেস সচিব
বিরামপুরে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
যমুনায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ!
একযোগে ১৭ পুলিশ সুপারকে বদলি, ১০ জন পেলেন অতিরিক্ত ডিআইজির দায়িত্ব
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা এনসিপির প্রধান কর্তব্য: নাহিদ ইসলাম
আদমদীঘিতে চলন্ত ট্রেনের দরজা দিয়ে বাবাকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ছেলের (ভিডিও)
ভারতের আম নিল না আমেরিকা, বিমানবন্দরে পচছে কোটি কোটি টাকার আম!
বদলে গেলো নাম, ধানমন্ডি ২৭ এখন 'শহীদ ফারহান ফাইয়াজ' সড়ক
ফার্স্ট সিকিউরিটি থেকে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, এস আলমসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নির্বাচনের দাবিতে ফের মাঠে নামার হুঁশিয়ারি ১২ দলীয় জোটের