মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ফাগুনের আগুন নিয়ে হাজির বসন্তের দূত

ফাগুনের আগুন নিয়ে প্রকৃতিতে হাজির বসন্তের দূত। ঋতুরাজ মানে শুকনো ঝরা পাতার খেলা আর ফোটা ফুলের মেলা। পঞ্জিকার পাতায় এখনো শীতের কয়েকটা দিনে থাকলেও প্রকৃতি গাইছে অন্য সুর। মাঝ মাঘের সকালেই বেজে উঠছে দক্ষিণার সুর। শীতের কানে কানে পৌঁছে দিচ্ছে বাসন্তী প্রকৃতির মন্ত্র। ফুলকি ছড়াতে শুরু করেছে পলাশের আগুন। বসে নেই শিমুলও। রাঙিয়ে তুলেছে শাখা-প্রশাখা।

মাঘ মাস শেষ হতে এখনো বাকি ১২ দিন। উত্তরের বাতাস বিদায় মাগছে। শুরু হয়েছে দখিণার গুঞ্জন। প্রকৃতিতে ফাগুন লেগেছে। গ্রামাঞ্চলে ক্ষণে ক্ষণে ধ্বনিত হচ্ছে কোকিলের কুহুতান। ঘরছাড়া সুরে মাতোয়ারা পাখিরাও। বনে-বাদাড়ে সংগীত-জলসার আয়োজনে ব্যস্ত তারাও।

আড়মোড়া ভেঙে নতুন সাজে সেজেছে প্রকৃতি। পাতা ঝরার মর্মর ভেদ করে গাছে গাছে দেখা দিয়েছে সবুজ পাতা, কলি ও নানা রঙের ফুল। বাগানে বাগানে মধুকরদের সম্মিলন। ফুলে ফুলে সজ্জিত প্রকৃতি পাখিদের কিচিরমিচির জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তা।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নওগাঁ শহরের বিজিবি ক্যাম্প সড়কে গিয়ে দেখা যায়, ছোটযমুনা নদীর বিজিবি সেতুসংলগ্ন রাস্তার ধারের নতুন কুড়ি ও ফুলে রাঙা হয়ে উঠেছে শিমুল গাছটি। রাস্তার ধারে শিমুল গাছে প্রকৃতির আদরমাখা স্পর্শে জেগে উঠেছে। শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে প্রকৃতি ফিরে পেতে চলছে ফুল, ফল ও রঙের এক অপরূপ সমারোহ, আগমনী বার্তা ছড়াচ্ছে বসন্তের। শিমুলের হাসিতে বনে লেগেছে লাল রঙের ছোয়া। নানান পাখির মিষ্টি কিচিরমিচির মাতাল করতে আসছে ঋতুরাজ বসন্ত সবুজ-শ্যামল বাংলায়।

শুধু কি ফুল? ফলের গাছগুলোও ফরে উঠেছে মুকুলে। সেই সঙ্গে আম, লিচু ও জাম গাছগুলো হয়ে উঠেছে ফুলেল। সদর উপজেলার জেলা পরিষদ পার্ক, নওগাঁ সরকারি শিশু পরিবার ভবনের সামনে পলাশ গাছগুলো নতুন কুঁড়ি ও ফুলে ভরে উঠেছে। অনাবিল আনন্দ ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে প্রকৃতি। ইট-কাঠের এই যুগে আগাম বসন্তে প্রকৃতি যেন তার সব সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে। নতুন কুঁড়িতে ছেয়ে গেছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ফলদ বাগানের বৃক্ষরাজি।

নওগাঁ সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনায়েতুস সাকলাইন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘পলাশ-শিমুলসহ বেশ কিছু ফুল ফাল্গুন-চৈত্র মাসে ফুটে। তবে এমন নয় যে একেবারে ফাল্গুনেই ফুটে। শীতের শেষে আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী ফুলগুলোর গঠন পরিবেশ চলে আসে। অঞ্চলভেদে ফুল ফোটার সময়ে ভিন্নতা দেখা দেয় কিছু আগে পরে। তবে পলাশ-শিমুল ফুলগুলোর প্রাচুর্য থাকে বসন্তকালে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈষিক দূষণ আর জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ফলে ধীরে ধীরে প্রতিটি ঋতুই হারাচ্ছে তার নিজস্ব বৈচিত্র্য আর সৌন্দর্য। প্রকৃতিকে স্বরূপ ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজন পরিবেশ দূষণ রোধ ও ব্যাপকভাবে বৃক্ষ রোপণ করা।’

এসএন

Header Ad
Header Ad

রাবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে অরিত্র নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে ছাত্রদল ও যুবদলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সোমবার (১২ মে) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, “ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে থানায় হস্তান্তর করেছে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তার ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল। তবে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে দুই শিক্ষার্থী প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় কয়েকজন ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায় এবং এক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। পরে জানা যায়, তাকে মতিহার থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

অপহৃত শিক্ষার্থীর নাম অরিত্র এবং তিনি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করি। ফুটেজে দেখা গেছে, কয়েকজন মিলে একজন শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ নিশ্চিত করে জানায়, তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা দাবি করছেন, অরিত্র ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং দ্রুত সমাধানে কাজ করছে।”

ঘটনাটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

Header Ad
Header Ad

কেন থামাল ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ, রহস্য ফাঁস করলেন ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও সংঘর্ষ থামানোর নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত চাপই মূল ভূমিকা রেখেছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার (১২ মে) রাতে হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, তিনি দুই দেশের নেতাদের সরাসরি বার্তা দিয়ে জানান, যদি তারা যুদ্ধ বন্ধ না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করবে। তার এই সতর্কবার্তার পরপরই ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়।

ট্রাম্প বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছিলাম—সংঘর্ষ চলতে থাকলে তাদের সঙ্গে আর কোনো বাণিজ্য হবে না। আমরা তাদের বলেছি, 'আপনারা এটা বন্ধ করুন, তাহলে আমরা বাণিজ্য করবো। যদি না করেন, তাহলে আমরা পিছিয়ে যাবো।’ আমি এই বার্তাটি সরাসরি দিয়েছি।”

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, তার দেওয়া কড়া বার্তার ফলেই দুই দেশের মধ্যে ভয়াবহ একটি যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

“ভারত ও পাকিস্তান—দুই দেশেই পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। পরিস্থিতি এমন হয়ে উঠেছিল যে কেউই থামতে চাইছিল না। কিন্তু আমরা মধ্যস্থতায় নেমে যুদ্ধ থামিয়েছি,” বলেন তিনি।

বক্তৃতার একপর্যায়ে ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, “আমি বাণিজ্যিক কৌশলকে যেভাবে ব্যবহার করি, অন্য কেউ তা পারে না। এই ঘটনাটিও তারই প্রমাণ।”

এই বক্তব্য দেন ঠিক তখনই, যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ট্রাম্পের দাবি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের কৌশলগত হস্তক্ষেপ একদিকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখতে পারে, অন্যদিকে এটি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ওয়াশিংটনের প্রভাবও তুলে ধরে।

তবে ভারত বা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো আসেনি।

Header Ad
Header Ad

মধ্যরাতে এনবিআর ভেঙে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ বিভাগ চালু

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে নতুন করে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ নামে দুটি পৃথক বিভাগ গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১২ মে) দিবাগত মধ্যরাতে কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে জারি করা হয় বহুল আলোচিত ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এনবিআর আর আগের কাঠামোয় থাকবে না। এর পরিবর্তে কর সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ, তদারকি ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে রাজস্ব নীতি বিভাগ, আর রাজস্ব সংগ্রহ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ এবং আদায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করবে। অপরদিকে, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে থাকবে মাঠপর্যায়ে কর আদায় এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের মূল দায়িত্ব।

এই অধ্যাদেশ জারিতে বিসিএস (আয়কর) ও (কাস্টমস) ক্যাডার কর্মকর্তাদের সুপারিশ ও মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক কাঠামোতে প্রশাসন ক্যাডারের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারদের কিছু পদ অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে।

এ সিদ্ধান্তকে ঘিরে প্রশাসন ও রাজস্ব ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার, আবার অনেকেই একে হঠকারী ও অপরিকল্পিত পদক্ষেপ বলেও অভিহিত করছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এমন একটি মৌলিক ও প্রভাবশালী পরিবর্তন রাতারাতি ও গোপনীয়ভাবে কার্যকর করাটা নীতিগত স্বচ্ছতার অভাবকেই তুলে ধরে। রাজস্ব আদায়ে কী ধরনের ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তা সময়ই বলে দেবে।

সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ
কেন থামাল ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ, রহস্য ফাঁস করলেন ট্রাম্প
মধ্যরাতে এনবিআর ভেঙে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ বিভাগ চালু
চোখের চিকিৎসায় ব্যাংকক গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
কাতারের বিমান উপহার প্রস্তাব ‘ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ’: ডোনাল্ড ট্রাম্প
মিয়ানমারে স্কুলে জান্তার বিমান হামলায় ১৭ শিক্ষার্থী নিহত, আহত ২০
রাজধানীতে গ্রেপ্তার সাবেক এমপি ও সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়, নিয়েছেন শপথ
জাতির উদ্দেশে মোদির ২২ মিনিটের ভাষণ: কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঢাবিতে প্রথম ‘পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স’ ২২ জুন
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: নির্বাচন কমিশন
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ব্রাজিলের হেড কোচ হচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি
৮৪ বছর পর নাৎসি ইতিহাসের গোপন দলিল মিলল আর্জেন্টিনায়
যমজ সন্তানের মা হয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড, বাবার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা
শাহবাগ-যমুনার সামনে বসে যা তা বলা যাবে না: এ্যানি চৌধুরী
পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র‍্যাব পুনর্গঠনে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন
চুয়াডাঙ্গায় কিশোর রিশাদকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক পলাতক
কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ ভারতই করেছে, পাকিস্তান করেনি’
টাঙ্গাইলে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত