বাধা পেরিয়ে ছুটে চলছে ওরা

২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১২:১৭ পিএম | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:২৭ পিএম


বাধা পেরিয়ে ছুটে চলছে ওরা

সাইকেল চালিয়ে দলবেঁধে নিয়মিত স্কুলে আসা-যাওয়া করছে শতাধিক ছাত্রী। এতে একদিকে সময়মতো শ্রেণিতে উপস্থিত হতে পারছে, অন্যদিকে অভিভাবকের বাড়তি খরচও সাশ্রয় হচ্ছে। সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে এলাকার বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, নারী নির্যাতনসহ সমাজ থেকে সকল প্রকার কুসংস্কার দূর করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছে ওরা। এ চিত্র নড়াইল শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের।

জানা যায়, ১৯৮৩ সালে স্থাপিত গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় তিনশত যার মধ্যে ছাত্রী রয়েছে ১৪৩ জন। বিদ্যালয়টি নড়াইল সদর ও যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় এলাকাটি অনেকটা অবহেলিত এবং অধিকাংশ রাস্তাঘাট কাঁচা। আশেপাশের প্রায় ১১টি গ্রামের শিক্ষার্থীদের ৫/৭ কিলোমিটার দূর থেকে নিয়মিত এই বিদ্যালয়ে আসতে হয়। ৪/৫ বছর আগে শুধু ছেলেরা সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাতায়াত করলেও মেয়েদের ভ্যানে ও পায়ে হেঁটে স্কুলে আসা যাওয়া করতে হতো। দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের যৌথ প্রয়াসে মেয়েদের সাইকেল কিনে দেওয়া হয়। চার বছর আগে প্রথমে হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্রী সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাতায়াত শুরু করলেও ধীরে ধীরে এই এর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে শতাধিক ছাত্রী নিয়মিত সাইকেলে নিয়ে যাতায়াত করে এবং তাদের বান্ধবীদেরও সাইকেলের পেছনে বসিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। বর্তমানে তাদের সাইকেল রাখার জন্য বিদ্যালয়ে রয়েছে গ্যারেজের ব্যবস্থা।

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ঝুমা গুপ্ত বলে, বাবার কাছ থেকেই সাইকেল চালোনা শিখেছে। সাইকেল চালানোর মাধ্যমে স্কুলে আসা যাওয়া অনেক সহজ হয়। আগে যখন সাইকেল ছিল না তখন যাতায়াতে অর্থ ও বেশি সময় ব্যয় হয়েছে। কিন্তু সাইকেল চালানো শেখার পর সে অনেক সহজে স্কুলে আসতে পারে। হেঁটে আসার সময় রাস্তাঘাটে আগে ছেলেরা বিরক্ত করলেও এখন আর তারা সে সুযোগ পায় না। মেয়ে হয়ে সাইকেল চালানো নিয়ে কেউ মন্দ কথা বললে সেটাকে কানেই নেয় না এই শিক্ষার্থী।

নবম শ্রেণির ছাত্রী অনন্যা সিংহ জানায়, প্রায় চার বছর ধরে সে সাইকেল চালাচ্ছে। বাড়ি থেকে স্কুল প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় স্কুলে আসতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় ও গাড়ি না পাওয়া এবং বখাটেদের উত্ত্যক্তের সমস্যাসহ নানা বিড়ম্বনায় পড়তেন তিনি। এসব সমস্যার সমাধান হিসেবে তাই সাইকেলকে বেছে নেওয়া। সাইকেল চালানো নিয়ে প্রতিবেশীদের নানা কথা শুনতে হয়েছে। তবে অনন্যার বাবা-মা প্রতবেশীদের কথা না শুনে মেয়েকে সমর্থন দিয়েছেন। সবক্ষেত্রেই নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসতে কোন বাঁধা মনে করেন না অনন্যা।

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রাবন্তী হালদার জানায়, তার বাড়ি থেক ৫ কিলোমিটার দূরে স্কুল। পরিবারের উৎসাহে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করছে সে।

সাইকেল চালিয়ে ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসার ব্যাপারটি কেমনভাবে দেখে ছাত্ররা? তা জানতে কথা হয় ওই বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রের সঙ্গে। তারা বলেন, প্রতিদিন তাদের স্কুলে মেয়েরা সাইকেল চালিয়ে আসে। ছাত্রীদের আসার দৃশ্য দেখতেও সুন্দর লাগে। তাদের দেখাদেখি আরও অনেকই সাইকেল চালোনায় উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। চলার পথে ছাত্রীরা কোনো বিপদে পড়লে সাহায্য করে ছাত্ররা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ছেলে ও মেয়েদের সমানভাবে দেখা হয়। তাই সাইকেল নিয়ে স্কুলে আসতে ছাত্রীদের এখন সময় কম লাগছে, অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে এবং নিয়মিত ও সময়মত শ্রেণিতে উপস্থিত হতে পারছে। মেয়েদের সাইকেল চালানোকে আগে অনেকেই আড়চোখে দেখলেও এখন সবাই পজিটিভ ভাবেই দেখছে। সারাদেশেই ছেলে-মেয়ে উভয়ের সাইকেলের ব্যবহার বাড়ানো উচিত বলেও তিনি মনে করেন।

জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মৌসুমি রাণী মজুমদার বলেন, প্রত্যন্ত এলাকার মেয়েরা যে নিজেরা সাইকেল চালিয়ে আসা-যাওয়া করছে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তাদের এই সাহসী মনোভাব পরবর্তীতে তাদের কর্মক্ষেত্রেও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

এসএন


এবার কন্যাসন্তানের বাবা হতে চান লিওনেল মেসি

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৭ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৫ পিএম


এবার কন্যাসন্তানের বাবা হতে চান লিওনেল মেসি

ফুটবল ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন লিওনেল মেসি। যে শিরোপা নিয়ে তার সবচেয়ে বেশি আক্ষেপ ছিল সেটাও গত বছর কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে পূর্ণ করেছেন। তাই ফুটবল থেকে আর চাওয়ার কিছু নেই রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকার। বিশ্বকাপ জয়ের পর এমন কথা বেশ কয়েকবার বলেছেন তিনি। এবার নিজের এক সুপ্ত বাসনার কথা প্রকাশ করেছেন এলএমটেন।


সম্প্রতি আর্জেন্টাইনভিত্তিক ‘ওলগা’ নামক এক ইউটিউব চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মেসি। সেখানে কন্যাসন্তানের বাবা হওয়ার মনোবাসনার কথা জানিয়েছেন ইন্টার মায়ামি তারকা। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির খেলাধুলাবিষয়ক গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস।


স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গে মেসির সম্পর্কের শুরু বাল্যকালেই। দীর্ঘদিন ধরেই সংসার করলেও ২০১৭ সালে বিয়ের পিড়িতে বসেন তারা। লিওনেল মেসি ও স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর   তিন পুত্র- থিয়াগো, মাতেও এবং চিরো। এবার চতুর্থ সন্তান নেয়ার পরিকল্পনা করছেন মেসি ও আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো দম্পতি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি এবার কন্যা সন্তানের প্রত্যাশা করছে। 


ইএসপিএনের সংবাদকর্মী ও বিখ্যাত স্ট্রিমার মিগু গ্রানাদোসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা আরেকটি বাচ্চা নিতে চাই। আমরা সে চেষ্টাটা এখনো শুরু করিনি। তবে আশায় আছি, সেটি কন্যা সন্তান হবে।’


১৯৮৭ সালের ২৪শে জুন হোর্হে মেসি এবং সেলিয়া মারিয়া দম্পতির ঘর আলোকিত করে জন্ম নেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার জানালেন, শৈশবে মা-বাবার থেকে প্রাপ্ত মূল্যবোধ নিজের সন্তানদের ওপরও প্রয়োগ করেন তিনি।
মেসি বলেন, ‘ছোটবেলায় আমাকে যা যা শেখানো হয়েছে, সেসব মূল্যবোধ আমি নিজের সন্তানদের মধ্যে প্রয়োগ করার চেষ্টা করি। আমি একজন ভালো বাবা। কারণ আমার মা-বাবা ভালো ছিলেন। আর আামি কোথায় বেড়ে উঠেছি, সেখানকার মূল্যবোধগুলোও গুরুত্বপূর্ণ।’

স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর প্রশংসা করে মেসি বলেন, ‘সে দুর্দান্ত। মোটামুটি ২৪ ঘণ্টাই সন্তানদের সঙ্গে কাটায়। মাঝেমধ্যেই দীর্ঘ সময়ের জন্য বাইরে থাকতে হয়- সফর, ম্যাচ, প্রাক্-মৌসুম, জাতীয় দল। কখনো কখনো মাসের পর মাস বাইরে থাকতে হয়। তখন সে সারাদিনই সন্তানদের সামলায়।’


নিজের তিন ছেলেদের নিয়ে মেসি বলেন, ‘থিয়াগো কথা বলতে পছন্দ করে। আন্তোনেল্লাকেই (রোকুজ্জো) সে সব বলে। মাতেও সবকিছু বলে দেবে। বকবক করতেই থাকে। কিন্তু চিরো সে তুলনায় একটু চুপচাপ। ওরা টোস্ট ও চকলেটমিশ্রিত দুধই বেশি খায়।’

গত জুলাইয়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন লিওনেল মেসি। পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস শুরু করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। মার্কিন মুলুকে নিজের ‘ডেইলি রুটিন’ জানিয়ে মেসি বলেন, ‘আমরা সকাল ৭টার দিকে ঘুম থেকে উঠে নাশতা করি। তখন ছেলেরাও উঠে পড়ে। কখনো কখনো আমি তাদের স্কুলে নিয়ে যাই। কখনো আবার নিয়ে যেতে পারি না।অনুশীলন থেকে বেলা ১টা নাগাদ ফিরে কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর ঘুম থেকে উঠে বাচ্চাদের (স্কুল থেকে) নিয়ে এসে আবারও অনুশীলনে যাই।’


দুবাইয়ে বিশ্বের প্রথম সাগরতলে মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৫ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৫ পিএম


দুবাইয়ে বিশ্বের প্রথম সাগরতলে মসজিদ  নির্মাণ করা হচ্ছে
ছবি সংগৃহিত

পর্যটনশিল্পে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন দেশটির শাসকেরা। এবার ধর্মীয় পর্যটনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সাগরতলে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। ৫ কোটি ৫০ লাখ আমিরাতি দিরহাম ব্যয়ে দুবাইয়ের সমুদ্র উপকূলে এ মসজিদ নির্মিত হবে, যা বাংলাদেশি টাকায় ১৬৪ কোটির বেশি।

পানির তলদেশে বিশ্বের প্রথম ভাসমান মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে দুবাই। তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটির পানির ওপরে দুই তলায় থাকবে বসার জায়গা ও একটি কফিশপ আর পানির নিচে থাকবে নামাজের ব্যবস্থা।

ধর্মীয় পর্যটন প্রকল্প সম্পর্কে এক ব্রিফিংয়ে এ মসজিদ নির্মাণ পরিকল্পনার ঘোষণা দেয় দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ। সংস্থাটির কর্মকর্তা আহমেদ আল মনসুরি খালিজ টাইমসকে বলেছেন, শিগগিরই এ মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

মসজিদটির ঠিক কোথায় নির্মাণ করা হবে, তা এখনো জানানো হয়নি। তবে আহমেদ আল মনসুরি বলেন, এটি সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার কাছাকাছি নির্মাণ করা হবে। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সেতুর মাধ্যমে সেখানে মুসল্লিরা যেতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, সব ধর্মের মানুষই এই মসজিদ পরিদর্শন করতে পারবে। তবে তাদের অবশ্যই শালিন ও ইসলামি রীতিনীতি মেনে চলতে হবে।

২০২৪ সালের মধ্যেই মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এটি হবে তিন তলা বিশিষ্ট। প্রথম তলা থাকতে পানির মধ্যে। এটি নামাজের জন্য নির্ধারিত থাকবে। দ্বিতীয় তলা হবে হলের জন্য নির্ধারিত এবং তৃতীয় তলা ইসলামিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ৫০ থেকে ৭৫ জন ধর্মীয় ব্যক্তি এখানে একসঙ্গে থাকতে পারবেন। এমন সুবিধাও রাখা হচ্ছে।

মসজিদটিতে কুরআনিক এক্সিবিশনের আয়োজন করা হবে। শেখ মাখতুম বিন রশিদ আর মাখতুম থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের বিতরণকৃত কুরআনগুলো এখানে সজ্জিত থাকবে।

সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ল্যান্ডমার্ক প্রজেক্টের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময়ে এখানে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স এন্ড চ্যারিটেবল বিভাগের পরিচালক ড. হামাদ আল শেখ আহমেদ আল সাইবানি। এছাড়া অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 


বিভাগ : সারাবিশ্ব

বিষয় : ইসলাম



এবার যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হতে পারে সিগারেট

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৪ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৫ পিএম


এবার যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হতে পারে সিগারেট
ছবি সংগৃহিত

দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধূমপানমুক্ত রাখতে নিউজিল্যান্ডের মতো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সরকরের এমন পদক্ষেপের ফলে পরবর্তী প্রজন্মের আর কেউ ‍সিগারেট কিনতে পারবে না। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

গত বছরের ডিসেম্বরে ধূমপানমুক্ত দেশ গড়ার মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন আইন প্রণয়নের ঘোষণা দেয় নিউজিল্যান্ড সরকার। এ আইন প্রণীত হলে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্মগ্রহণকারী কেউ সিগারেট কিনতে পারবে না। ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে সে দেশে আর ধূমপায়ী থাকবে না।

ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ধূমপান মুক্ত দেশ হতে চাই। এ জন্য আমরা আরও বেশি লোককে উত্সাহিত করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে বিনামূল্যে ভ্যাপ কিট দেওয়া হবে। এ ছাড়া গর্ভবতী নারীদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে ভাউচার স্কিম দেওয়া সহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আগামী বছর যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোক্তাকেন্দ্রিক নীতিমালার অংশ হিসেবে এসব পদক্ষেপের কথা ভাবছে সুনাক সরকার।

যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে এতদিন শিশুদের বিনামূল্যে ভ্যাপের নমুনা দিয়ে আসছিল খুচরা বিক্রেতারা। তবে গত মে মাসে ই-সিগারেটের ব্যবহার বন্ধে এসব ফাঁকফোকর বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার।

এছাড়া গত জুলাই মাসে পরিবেশগত ও স্বাস্থ্য উভয় ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে একক-ব্যবহারযোগ্য ভ্যাপ বিক্রি নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারেরর প্রতি আহ্বান জানায় ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের কাউন্সিলগুলো।

অনুসরণ করুন