শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

দৃষ্টিনন্দন কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া শাহী ও পাটিকাবাড়ী শাহী মসজিদ

ঐতিহ্যবাহী ‘ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ’ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া বাজারের উত্তরে পুরাতন মুসলমান জমিদার শাহ্ সুফি আদারী মিয়া’র চৌধুরী বাড়িতে অবস্থিত। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কের লক্ষীপুর বাসষ্টপ থেকে ১৫ কিলোমিটার বা বিত্তিপাড়া থেকে ৯ কিলোমিটার পশ্চিমে দৃষ্টিনন্দন এই শাহী মসজিদটি অবস্থিত। এই মসজিদে কোনো শিলালিপি পাওয়া যায়নি, সে কারণে এর সঠিক নির্মাণকাল সম্পর্কে জানা যায় না।

ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ তিন গম্বুজবিশিষ্ট আয়তাকার ভূমি পরিকল্পনাবিশিষ্ট। গম্বুজের মধ্যে মেহরাবে, মসজিদের ভেতরের দেয়ালে শিউলী, গাঁদা, পদ্ম প্রভৃতি ফুল, ফুলের সাজি বা ফুলদানি, লতাপাতা দ্বারা অঙ্কিত। ফুলদানিগুলোর আকার ইরানি ফুলদানির আকৃতি বিশিষ্ট। চিত্রগুলির জ্যামিতিক ত্রিকোণ অঙ্কনে মুঘল স্থাপত্যকলার সঙ্গে বাঙালি স্থাপত্যকলার অপূর্ব সমাবেশ ঘটেছে। উত্তর-দক্ষিণে পরিমিতি ৪৬.৮ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১৫ ফুট।

মসজিদে নামাজের জন্য দুই কাতারে ৩০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন এবং মসজিদঘরের পশ্চিম দেওয়ালে তিনটি মেহরাব রয়েছে যাদের রূপ-নকশা তিন রকম। মেহরাব তিনটির মধ্যে মাঝখানের কেন্দ্রীয় মেহরাব কিছুটা বড় আকৃতির যার মাপ উচ্চতায় ৮ দশমিক ২১ ফুট এবং প্রশস্তে ৪ দশমিক ৬৭ ফুট। মসজিদের উত্তর-দক্ষিণে বড় জানালা আকৃতির আদলে ভেন্টিলেশন প্রাচীর রয়েছে যা মসজিদের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক বলে গবেষকরা মনে করেন এবং এরূপ আকৃতি ‘খিলান করা জানালা’ নামেও পরিচিত।

মসজিদের চার কোণায় চারটি বড় মিনার রয়েছে। সম্মুখের প্রশস্ত চত্বরের বেষ্টনীর দুই প্রান্তে এবং প্রবেশ পথের দুই দিকেও মিনার আছে। ক্ষুদ্রাকৃতির টালি, ইট ও চুন-সুরকির গাঁথুনি এবং দেওয়ালের বেড় ৩ ফুট। পশ্চিম ও পূর্ব দেয়ালের পুরুত্ব ৩ দশমিক ১০ ফুট এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালের ৩ দশমিক ৩৩ ফুট। পূর্ব-পশ্চিমে উলম্বভাবে স্থাপিত দু’টি খিলানের ওপরে তিনটি গম্বুজের সাহায্যে মসজিদঘরের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মসজিদের পূর্ব দেওয়ালে সম্মুখে তিনটি দরজা রয়েছে। কেন্দ্রীয় বা মধ্যবর্তী প্রবেশদ্বারটি, পাশ্ববর্তী দরজা দুটি অপেক্ষা কিছুটা উঁচু, এটির উচ্চতা ৬ দশমিক ৩৩ ফুট এবং প্রশস্ত ৩ দশমিক ৪২ ফুট।

মূল মসজিদ ঘরের পূর্বদিকে আয়তকার ‘সাহন’ রয়েছে। এর পরিমিতি পূর্ব-পশ্চিমে ৫৪ দশমিক ৪২ ফুট এবং উত্তর-দক্ষিণে ৫২ দশমিক ২ ফুট। উঁচু প্রবেশদ্বারের মূল ফটক এবং এর দুই পার্শ্বে কোণায় গম্বুজসহ মধ্যম গোলাকৃতি দুটি মিনার রয়েছে যা পুরো মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। লোকচক্ষুর অন্তরালে একটি নিভৃত পল্লীতে মুঘল আমলে (শাসনকাল ১৫২৬-১৮৫৭) নির্মিত এই মসজিদটি কুষ্টিয়া তথা বাংলাদেশের একটি মূল্যবান স্থাপত্যশৈলী। ঝাউদিয়ার এই মসজিদটির ভিতরে মুঘল শিল্পকলার অপূর্ব নিদর্শন ও কারুকার্যে শোভিত রয়েছে- যা বাংলাদেশের মসজিদ স্থাপত্যশিল্পের নান্দনিক শিল্পের উদাহরণ। অনেক স্থানেই এমন অপূর্ব কারুকার্য শোভিত মসজিদ খুব কমই দেখা যায়। মুঘল আমলে নির্মিত মসজিদগুলির মধ্যে বাংলাদেশে যে কয়েকটি সৌন্দর্যে চমৎকার তার মধ্যে ঢাকার তারা মসজিদটির সঙ্গে ঝাউদিয়া শাহী মসজিদের তুলনা করা যায়। জমিদারের বংশীয় উত্তরসূরি হাসান আলী চৌধুরী তৎকালীন চেয়ারম্যান থাকাকালীন ১৯৬২ সালে মসজিদের বারান্দার উপর সুপ্রশস্ত ছাদ নির্মাণ করেন। কিন্তু মসজিদের পুরাকীর্তির মৌলিক সৌন্দর্য রক্ষার জন্যে প্রত্নতত্ত বিভাগ ১৯৭৯ সালে ছাদটি ভেঙে আগের অবস্থায় নিয়ে আসে। ১৯৮০ সালের দিকে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত বিভাগ এই ঐতিহ্যবাহী শাহী মসজিদ সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং এখানে একজন কর্মচারী নিযুক্ত করে। প্রতি শুক্রবার এই মসজিদে জুম্মার নামায আদায় হয় এবং মান্নাত-সদ্কা-দান এসবের প্রাণি সম্প্রদানসহ নানা উদ্দেশে টাকা-পয়সা-সমমূল্যের উপঢৌকন দেবার জন্য প্রচুর সংখ্যক মুসলমানসহ অন্য ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। এ ছাড়া, এখানে শুক্রবার আরও শিরনি দেওয়ার জন্য শত শত লোকের আগমন ঘটে। পর্যটন মৌসুমে নানা শ্রেণির পর্যটকের সমাগমে মুখরিত হয়ে থাকে মসজিদের সম্মুখের প্রশস্ত বারান্দা ও চত্বর।

সুফি আদারী চৌধুরী মুঘল সম্রাট শাহজাহানের (শাসনকাল ১৫৯২-১৬৬৬) রাজত্বকালে ও তৎপরবর্তী এ অঞ্চলের জমিদার ছিলেন। মসজিদের অনতিদূরেই রয়েছে তার মাজার। তিনি মুঘলদের দানকৃত লাখেরাজ সম্পত্তির জমিদারি ভোগ করতেন। এলাকায় তিনি একজন বিশিষ্ট ইসলাম প্রচারক ও কামেল পীর নামেও পরিচিত। যার কারণে মুঘল বাদশাহ’র সন্তুষ্টি লাভে সমর্থ হন এবং বাদশার আর্থিক আনুকূল্য ও কারিগরি সহায়তায় তিনি এই অপূর্ব নিদর্শণ নির্মাণ করতে সফল হন। মসজিদ নির্মাণের সম্পূর্ণ জমি-জায়গা ও মাজার চত্বর পীর সাহেবের নিজস্ব মালিকানার ভূমি বলে স্বীকৃত আছে। কুষ্টিয়া অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি বিষয়ে কুমুদনাথ মল্লিক লিখিত (শ্রীমোহিত রায় সম্পাদিত) ‘নদীয়া-কাহিনিতে এই মসজিদের নির্মাণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে: ‘মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা শাহ সুফি সৈয়দ আহাম্মদ আলী বা সুফি আদারী মিয়া চৌধুরী। তিনি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের দানভাজন ছিলেন। মসজিদের পাশেই তার মাজার। তিনি কামেল ফকির রূপে খ্যাত হন।’ চৌধুরী পরিবার থেকেও জানা যায়, মসজিদটি অষ্টাদশ শতকে নির্মিত হয়েছে। তিনি সুদূর ইরাক হতে ভারত, ভারত থেকে ঝাউদিয়া এসে ইসলাম প্রচার শুরু করেন এবং মসজিদটি নির্মাণ করেন। তিনি এ অঞ্চলে একজন প্রজা দরদি জমিদার ও দরবেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তার পিতা শাহ আজিজুর রহমান দিল্লীর বাদশাহের নিকট থেকে কিছু ভূ-সম্পত্তি লাভ করেন বলেও জানা যায়।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পশ্চিম প্রান্তে হালসা রেল স্টেশনের দক্ষিণে নিকটবর্তী পাটিকাবাড়ী গ্রামে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি প্রাচীন ‘পাটিকাবাড়ী শাহী মসজিদ’ ছিল যা বিলুপ্ত হয়ে এখন ‘পাটিকাবাড়ী খামারপাড়া জামে মসজিদ’ নামে পরিচিত। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে (১৬৫৮-১৭০৭) ঝাউদিয়ার শাহ সুফি সৈয়দ আহাম্মেদ আলী (আদারী মিয়া চৌধুরী) তার কাছারি সংলগ্ন চৌধুরী বাড়িতে মুঘল স্থাপত্যশৈলীতে নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন এই ক্ষুদ্র মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। ইতিহাসের পাতা থেকে খুব সামান্যই এই মসজিদটি সম্পর্কে জানা যায়, মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৩৩ ফুট এবং প্রস্থ ১৩ ফুট। মসজিদের উপরে সমান তিনটি গম্বুজ, চার কোণায় চারটি এবং মাঝের দরজার দুই পার্শ্বে দুটি পিলারের উপরে দুটি ছোট মিনার ছিলো। ছোট ছোট টেরাকোটার রূপ-নকশা সম্বলিত ইট, চুন ও সুরকির গাঁথুনি এর দেওয়ালের বেড় ৩ ফুট। মসজিদটিতে দুই কাতারে ১৬ জন নামাজ আদায় করতে পারতেন। মসজিদটির ভেতরে এবং বাইরের দেওয়ালে লতাপাতা, ফুল অঙ্কিত ছিল; যা অযত্ন অবহেলায় বিনষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে এই প্রাচীন মুঘল শিল্পকলার নিদর্শনটি পড়ে ছিল। ঝাউদিয়ার চৌধুরীদের তৈরি এই মসজিদটিরও পূর্ব দিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণে একটি করে দুটি দরজা ছিল; তবে পশ্চিমেও একটি দরজা ছিল কিন্তু তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ঝাউদিয়া শাহী মসজিদের মতো এত সুন্দর না হলেও এর প্রাচীনত্ব সমসাময়িক। কিন্তু ভগ্নদশা সহজেই চোখে পড়লে ১৯১৫ সালে আকবর আলী চৌধুরী মসজিদটি সংস্কার করেছিলেন বলে জানা যায়। মসজিদের পাশেই চৌধুরীদের খননকৃত পুকুর রয়েছে।

মসজিদের সম্মুখে দুই খণ্ড বড় আকারের কালো পাথর ছিল-যা এলাকাবাসী পবিত্র মনে করত। বড় আক্ষেপ ও পরিতাপের বিষয় এই যে, এখানে মসজিদের প্রাচীন ঐতিহ্য স্থাপনা ভেঙে শেষ স্মৃতি ও পবিত্রতার নিদর্শনস্বরূপ দুইখানা দূর্লভ কালোপাথরের একখানা কিছুদিন আগেও ছিল বর্তমানে এখন আর নেই! পাথর দুটি চুরি হয়ে যায় বলে জনশ্রুতি আছে। নির্বোধের মতো ধুলিস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠাতার নাম নিশানা সবকিছু। দাপটে ভূস্বামীদের কাছে ইতিহাস ঐতিহ্যের নির্মম পরাজয়! আরও পরিতাপের বিষয় এলাকার যে কয়েকজন শিক্ষিত মুরুব্বি ও যুব সম্প্রদায় ছিলেন, তারা কেউই ইসলামী মহান ঐত্যিহ্যের গুরুত্ব অনুধাবন করেননি, বাধাও দেননি! গবেষক মনে করেন, এই টেরাকোটা সজ্জিত মসজিদটি অবশ্যই সংরক্ষণ করা যেত, কারণ একই চৌধুরী জমিদারের হাতে তৈরি ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ যদি সংরক্ষণ করা যায় তবে এটাও সম্ভব ছিল।

ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন: ইতিহাস গবেষক

 

Header Ad

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বিপথগামী একদল সেনা কর্মকর্তা নির্মম বুলেটের আঘাতে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতকগোষ্ঠী।

বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অন্ধকার। ঠিক তেমনি এক ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে যেন নেতৃত্ব না যায়, সেজন্য নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সামরিক শাসকগোষ্ঠী।

পরে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে শেখ হাসিনা ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা দেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’, ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছায় স্বাগতম’ ইত্যাদি স্লোগান।

দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।

সেদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় আকাশে যখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি দেখা যায় তখন সব নিয়ন্ত্রণ আর অনুরোধ আবেদন অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমান বন্দরের ভেতরে ঢুকে পড়ে। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। জনতা একেবারেই বিমানের কাছে চলে যায়। বহু চেষ্টার পর জনতার স্রোতকে কিছুটা সরিয়ে ট্রাকটি ককপিটের দরজার একেবারে সামনে নেওয়া হয়। এসময় শেখ হাসিনা ভেতর থেকে জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন।

বেলা ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা বিমান থেকে সিঁড়ি দিয়ে ট্রাকে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে শেখ হাসিনার শেরেবাংলা নগরে এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। এসময় ঝড় বৃষ্টিতে নগরজীবন প্রায় বিপন্ন। রাস্তাঘাট, স্বাভাবিক জীবন যখন ব্যাহত তখন সেখানে অপেক্ষায় কয়েক লাখ মানুষ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন।

১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দ অশ্রুতে অবগাহন করে শেরেবাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেলসহ সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭৫’র ১৫ আগস্টের পর যখন ঘাতক গোষ্ঠী প্রিয় মাতৃভূমিকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলেছিল জাতীয় জীবন, তখন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল শ্রাবণের বারিধারার মতো পাহাড় সমান বাঁধা জয়ের অনন্ত অনুপ্রেরণা। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অশ্রু-বারিসিক্ত জন্মভূমিতে সঙ্কটজয়ের বীজ রোপিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত অগ্নিশপথের রৌদ্রালোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল বাঙালি জাতি।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ ১৭ মে সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়, বিকেল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জাতীয় নেতা ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা বক্তব্য রাখবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

এছাড়া মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি চালাতে নতুন বিধিমালা

ছবি: সংগৃহীত

গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন দেওয়ার এখতিয়ার শিক্ষা বোর্ডের। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও ব্যবস্থা নেওয়ার তেমন সুযোগ ছিল না এই শিক্ষা বোর্ডেরই। ফলে দুর্নীতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেমে এসেছিল সর্বনাশ।

এ বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নতুন জারি করা বিধিমালায় গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির ওপর শিক্ষা বোর্ডের কর্তৃত্ব অনেক বেশি রাখা হয়েছে। কমিটির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও স্বার্থহানির প্রমাণ মিললে কারণ দর্শানো ছাড়াই এই কমিটি ভেঙে দিতে পারবে শিক্ষা বোর্ড, যা আগের বিধিমালায় ছিল না। এছাড়া বোর্ড প্রয়োজন মনে করলে বিশেষ পরিস্থিতিতে কমিটি দুই বছরের জন্য গঠন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারবে।

সম্প্রতি এই বিধিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে ২০০৯ সালে জারি করা বিধিমালার আলোকে চলছিল। যদিও ঐ বিধিমালায় বেশি কিছু সংশোধনী আনা হয়েছিল। নতুন বিধিমালা জারির ফলে ২০০৯ সালের বিধিমালা অকার্যকর হয়ে যায়।

নতুন জারি করা বিধিমালা অনুযায়ী, গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির কিংবা সভাপতির বিরুদ্ধে কোনো আর্থিক অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ, গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে শিক্ষা বোর্ড বিশেষ পরিস্থিতি কমিটি গঠন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারবে।

এছাড়া ভর্তি, অতিরিক্ত ভর্তি, ফরম পূরণ এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম প্রমাণিত হলে এবং প্রতিষ্ঠানের অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে গুণগত শিক্ষাদানে অন্তরায় মনে হলেও বিশেষ কমিটি গঠন করতে পারবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, বিশেষ কমিটি সাধারণ কমিটির মতো দুই বছর হবে। তিনি জানান, আমি আশা করছি এই বিধিমালা বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, ‘শিক্ষা বোর্ড, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গভর্নিং বডি, ম্যানেজিং কমিটি, নির্বাহী কমিটি, অ্যাডহক কমিটি বা বিশেষ পরিস্থিতি কমিটির যে কোনো বিষয় অনুসন্ধান করিতে কিংবা কোনো অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করিতে এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র তলব করতে পারবে।’

এই প্রবিধানমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন, সরকার বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক জারিকৃত কোনো নির্দেশনা অমান্যকরণ, অদক্ষতা, আর্থিক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থহানি বা অনুরূপ অন্য কোনো কারণ প্রমাণ হলে শিক্ষা বোর্ড যে কোনো সময় গভর্নিং বডি, ম্যানেজিং কমিটি, নির্বাহী কমিটি, অ্যাডহক কমিটি বা বিশেষ পরিস্থিতি কমিটি বাতিল করতে পারবে।

এছাড়া সভাপতির বা কোনো সদস্যের কোনো কর্মকাণ্ড বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিংবা শিক্ষার্থীদের স্বার্থ পরিপন্থি হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বা দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের আবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বা সংশ্লিষ্ট কমিটির কোনো সদস্য শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর সুযোগ রাখা হয়েছে নতুন বিধিমালায়।

নতুন বিধিমালা আরো উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। বর্তমান বিধিমালায় সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে এইচএসসি উত্তীর্ণ। আগে এই পদে কোনো যোগ্যতা নির্ধারিত ছিল না। এ কারণে স্কুলের গণ্ডি পেরোয়নি এমন ব্যক্তিরাও উচ্চ মাধ্যমিকের বা মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ‘সভাপতি’ হতে পারতেন।

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল পরিচালনা কমিটির শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিগ্রি পাস। আর মাধ্যমিক ও কলেজ পরিচালনার জন্য সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ না থাকায় বিষয় নিয়ে সমালোচনা চলছিল। এ বিষয়টি আমলে নিয়ে গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এইচএসসি পাশ নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া নতুন বিধিমালায় সভাপতি হওয়ার মেয়াদ নির্ধারণ করে দেওয়া আছে।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি একই প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে পরপর দুই বারের বেশি সভাপতি, শিক্ষক প্রতিনিধি বা অভিভাবক প্রতিনিধি হতে পারবেন না। তবে এক মেয়াদ বিরতি দিয়ে পুনরায় নির্বাচন করতে পারবেন। এক জন ব্যক্তি দুটি কলেজের গভর্নিং বডি এবং দুটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিসহ মোট চারটির বেশি পদে সভাপতি থাকতে পারবেন না।

গভর্নিং বডির সভাপতি মনোনয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানপ্রধান স্থানীয় সংসদ সদস্যের পরামর্শক্রমে সভাপতির জন্য তিন ব্যক্তির নাম বোর্ডে পাঠাবেন। তবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হবে নির্বাচনের মাধ্যমে।

এদিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারই সব ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। এ কারণে গভর্নিং বডির প্রভাব কমিয়ে শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা প্রশাসনের হাতে আরো নিয়ন্ত্রণ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

প্রেমের বিয়ে, স্ত্রীকে হত্যার পর হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী!

নুরী বেগম ও তার স্বামী রাকিব মিয়া। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

প্রেমের সম্পর্কে এক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন নুরী বেগম (১৮) ও রাকিব মিয়া (২১)। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই রাকিব তার স্ত্রী নুরীর উপর প্রায়ই অমানবিক নির্যাতন ও মারধর করতো। আর এই নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেলেন তার স্ত্রী নুরী বেগম।

শুধু তাই নয়, নির্যাতন করে মেরে ফেলার পর হাসপাতালে নিয়ে আসেন নিজেই। পরে সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে সেই হাসপাতালে মৃত স্ত্রী নুরীর মরদেহ ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় রাকিব। এমন ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পৌর শহরের হাট বৈরান এলাকায়।

এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে রাকিব মিয়াকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তার স্ত্রী নূরী বেগম উপজেলার সূতি লাঙ্গল জোড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে এবং অভিযুক্ত রাকিব হাটবৈরিয়ান গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

নুরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১ বছর আগে রাকিবের সাথে নূরী বেগমের প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ের সম্পর্কে গড়ায়। বিয়ের পর থেকেই রাকিব নূরী বেগমের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে রাকিব নুরী বেগমকে মারধর করে। এতে নুরী বেগম জ্ঞান হারালে রাকিব নিজেই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে, রাকিব পালিয়ে যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সারোয়ার হোসেন খাঁন সোহেল ঢাকাপ্রকাশকে জানান, মৃত অবস্থায় নুরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে রাকিব নামে এক যুবক। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণার সাথে সাথেই রাকিব পালিয়ে যায়। মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা যায়।

নূরীর বড় বোন মল্লিকা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত রাকিব তার বোনের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। এমনকি তাদের সাথে মোবাইল ফোনেও কথা বলতে বাঁধা দিত। আমি রাকিবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ ঘটনায় গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব ঢাকাপ্রকাশকে জানান, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নুরী বেগমের স্বামী রাকিব মিয়াকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি চালাতে নতুন বিধিমালা
প্রেমের বিয়ে, স্ত্রীকে হত্যার পর হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী!
শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: রাষ্ট্রপতি
সুস্থ থাকতে বিশ্বনবি (সা.) যে দোয়া পড়তেন
৪ বছর পর পেলেন স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি, যেভাবে মৃত্যু হবে তরুণীর
পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আলোচিত ‘শরীফ-শরীফার গল্প’
মিঠা পানির ঝিনুকে উৎপাদিত মুক্তার তৈরি গহনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর
ক্রিকেট ছাড়লে আপনারা আমাকে আর দেখবেন না: কোহলি
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন কাদের মির্জা!
চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
কাক পোশাকে ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ভাবনা
সাবেক এমপি পাপুলের শ্যালিকা ও দুই কর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ধানমন্ডিতে ছিনতাই হওয়া ফোন উদ্ধার হলো ভারতের গুজরাট থেকে
এক শতাংশ ভোটার এলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য: ইসি হাবিব
তীব্র তাপপ্রবাহে কিশোরগঞ্জে এক বিদ্যালয়ের ২৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ
ফোর্বসের ‘অনূর্ধ্ব ৩০’ সেরা উদ্যোক্তার তালিকায় ৯ বাংলাদেশি
যে কারণে জয়কে থাপড়াতে চাইলেন মিষ্টি জান্নাত
২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন
প্রথমবারের মতো দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন