বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

স্প্লিন্টারের যন্ত্রণা এখনো তাড়িয়ে বেড়ায়: সাঈদ খোকন

আজ (রবিবার) একুশে আগস্ট। প্রায় দেড় যুগ আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার উদ্দেশে চালানো হয়েছিল ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে চালানো সেই গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারান আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানসহ ২৪ জন।

আর স্প্লিন্টারের ক্ষত নিয়ে অনেকেই দুঃসহ যন্ত্রণা আর সেদিনের সেই ভয়ংকর হামলার স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছেন আজও। অনেকে হয়েছেন স্বজন হারিয়ে বাকরুদ্ধ। তাদেরই একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। যিনি নিজে আহত হয়েছে। হারিয়েছেন প্রিয় বাবাকেও।

ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সেই দিনের সেই ভয়াবহতার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।

ঢাকাপ্রকাশ: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় আপনি তো ঘটনাস্থলে ছিলেন। সে দিনের সেই ভয়াল হামলা নিয়ে আপনার স্মৃতিকথা জানতে চাই?

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন: তৎকালীন সময়ে ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। তৎকালীন সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দেশে জঙ্গিবাদের চরম উত্থান ঘটে। একের পর এক বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলা ঘটনা ঘটছিল। এমনি একটি সময়ে ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাই কমিশনারের উপর বোমা হামলা চালানো হয় সিলেট হযরত শাহজালাল (রা.) মাজারে।

এ ছাড়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এ সমস্ত বোমা হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সে সময় আমার প্রয়াত পিতা মোহাম্মদ হানিফ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। আমি ছিলাম সাংগঠনিক সম্পাদক। সেদিন সেই সমাবেশের প্রাম্ভিক পর্যায়ে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সমাবেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করি এবং আমি সঞ্চালনা শুরু করি। অল্প কিছুক্ষণ পর আরেকজনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে আমি পুরনো ঢাকায় চলে যাই। পুরনো ঢাকার একটি বিশাল মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে সমাবেশ স্থলে আনার জন্য সেখানে যাই। পুরনো ঢাকা থেকে হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটিয়ে বিশাল মিছিল নিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হই। মিছিল আসার পর আমি সেখানে সবাইকে অবস্থান করিয়ে দিয়ে দিকে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাই। ট্রাকের মঞ্চে যে কাঠের সিঁড়ি করা হয়েছিল আমি সেই সিঁড়ির পাশে ছিলাম। আমাদের দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী আমার ঠিক দুই তিন হাত পেছনেই ছিলেন। আমার প্রয়াত পিতা ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ নেত্রীর একেবারেই কাছাকাছি ছিলেন। জাতীয় নেতারা ছিলেন। সে সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সবার মাঝেই একটা শঙ্কা ছিল, কখন কী হয়, কখন কী ঘটে। সারাদেশে তখন একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলছিল। মুখে মুখে প্রচার ছিল যে আওয়ামী লীগের সমাবেশ এবং আমাদের নেত্রীর উপর হামলা চালানো হতে পারে। এরকম একটা কথা চাউড় ছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এমন টানটান অবস্থাতে সমাবেশ যখন শেষ পর্যায়ে নেত্রী বক্তব্য শেষ করেন, তারপর আবার ফটোসেশনের জন্য তিনি ফিরে যান। ঠিক সেই মুহূর্তে প্রথম গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয় আমার খুব কাছাকাছি। প্রথম বোমা বিস্ফোরিত হওয়ার পর মনে হল আমার দুইটা পা জ্বলসে গেছে। আগুন ধরিয়ে দিলে যে রকম অবস্থা ঠিক সেরকম অবস্থায হয়ে যায় আমার দুটো পায়ের। আমি লাফ দিয়ে ট্রাকের উপর পড়ে যাই। তারপর একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরণ হতে থাকে। আমার উপরেও অনেকে পড়ে যায়। এ সময় আমার বাবা নেত্রীকে আগলে ধরে রাখেন। বাবার সারা শরীরে রক্ত ঝরছিল। স্প্রিন্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শরীরের সমস্ত রক্ত নেত্রীর গায়ে গড়িয়ে পড়ছিল। নেত্রী শাড়ি বাবার রক্তে ভিজে গিয়েছিল।

গ্রেনেড হামলা কিছুটা বন্ধ হওয়ার পর আমার পিতা এবং কেন্দ্রীয় নেতারা যারা ছিলেন নেত্রীকে গাড়িতে তুলে দিলেন। আমার উপর অনেক লোকজন পড়া ছিল তারা একে একে নেমে পড়ে। আমার উঠতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। কোনো মতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সিঁড়ি থেকে নেমে যখন পার্টি অফিসের গেটের সামনে আমার বাবাকে দেখি। আমি চিৎকার দিয়ে উঠি। আমার বাবার সারা শরীরে রক্ত। আমার পা দিয়ে রক্ত ঝরছিল। সে সময় বাবাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করি ঠিক তখনই আরও একটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। আমি এবং আমার আব্বা দুজনই মাটিতে লুটিয়ে পড়ি এবং কিছুক্ষণ পর আমাদের কর্মীরা আমাদেরকে উদ্ধার করে যুবলীগের অফিসে নিয়ে আমাদের সেখানে বসান। পার্টি অফিসের সামনে লাশ পড়ে আছে। রক্তে ভিজে আছে সারা রাস্তা। বীভৎস একটা পরিস্থিতি। আমাদের কর্মীরা আমাদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ঢাকাপ্রকাশ: পরবর্তী সময়ে দেখেছি আপনার বাবা আর আপনি একই হাসপাতালে পাশাপাশি বেডে চিকিৎসা নিয়েছেন। সেসময় আপনার বাবার সঙ্গে কোনো কথা হতো?

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন: হ্যাঁ, বাবা-ছেলে একই কেবিনে পাশাপাশি সিটে চিকিৎসা নিচ্ছিলাম। অত্যন্ত মর্মান্তিক, অত্যন্ত বেদনাদায়ক সেই স্মৃতি। যেটা আমাকে আজও তাড়িয়ে বেড়ায়। বাবাকে দেখলাম নেত্রীর প্রতি তার আনুগত্য, ভালোবাসা, কতটা গভীর থাকলে জীবনের মায়া ত্যাগ করে সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে নেত্রীর জন্য জীবন উৎসর্গ করলেন; দেখলাম। এটা আমাদের জন্য শিক্ষণীয়, আমাদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসাবে থেকে যাবে যুগের পর যুগ। নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি আস্থা, যে কোন পরিস্থিতিতে, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে নেত্রী পাশে থাকার যে আদর্শ তিনি আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে আগামী দিনের পথ চলায় এটা থেকে যাবে।

ঢাকাপ্রকাশ: যেহেতু আপনারা পাশাপাশি সিটেই ভর্তি ছিলেন। যখন আপনার জ্ঞান ফিরল তখন আপনার বাবা কি রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো কথা বলেছিলেন?

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন: আমরা অবাক ছিলাম, নির্বাক ছিলাম। একটা দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এই ধরনের বর্বর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ কোনো মানুষ চালাতে পারে বা কোনো গোষ্ঠী চালাতে পারে-এটা আমাদের জন্য অনেকটা বিস্ময়কর ছিল। কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে পারে-এটা আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য ছিল। এই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা, এই ঘটনা ঘটতে পারে, এমন একটি আশঙ্কা আমার বাবার হয়তো বা ছিল। তিনি ঘটনার দুদিন আগে আমাকে ডেকে বিষয়টি অবহিত করবার জন্য সুধাসদনে পাঠান। আমি আমাদের নেত্রীর কাছে বিষয়টি অবহিত করি। এ রকম ঘটনা সত্যি বিস্ময়কর। জঙ্গিবাদ একটি দেশের জন্য কতটা ক্ষতির কারণ হতে পারে, রাজনীতির জন্য কতটা ক্ষতির কারণ হতে পারে, একটি রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন উগ্র চিন্তায় উগ্র ভাবনায় মেতে ওঠে, সে দেশের কী পরিণতি হয় সেটা আমরা দেখেছি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কি মনে করেন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্যই কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠী এটা করেছে?

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন: এটাতো অবশ্যই। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে শূন্য করবার লক্ষ্য নিয়ে এই হত্যাযজ্ঞটি চালানো হয়েছিল। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশে, খুন করার উদ্দেশে এভাবে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে খুন করার জন্য, হত্যা করার জন্যই গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়েছিল। এদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে যদি শূন্য করা যায়, এদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে যদি ধ্বংস করে দেওয়া যায়, তাহলে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য তাদের অবশ্যই ছিল। যে লক্ষ্যে তারা যেতে চেয়েছিল। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি সেদিন আল্লাহ নেত্রীকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন। আমার পিতা হয়তো উসিলা ছিল তিনি তার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে নেত্রীর প্রাণ বাঁচিয়েছেন সেদিন।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি বলেছেন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার কি হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন বা বিচারে সন্তুষ্টু কি না?

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন: ইতোমধ্যে যে রায়টা ঘোষণা হয়েছে। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে আহত। আমার পায়ে এখনো স্প্লিন্টার আছে। আমার বাম পায়ে এখনো সমস্যা হয়। মাঝে মাঝেই বাম পায়ে সমস্যা হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে আহত আক্রান্ত, আমি আক্রান্ত পরিবারের একজন সদস্য। আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি। এই গ্রেনেড হামলার অসংখ্য স্প্লিন্টারের কারণে আমার বাবার চিকিৎসা আমরা করাতে পারেনি, ধীরে ধীরে তিনি পৃথিবী থেকে চলে যান। আমি একজন আহত ভুক্তভোগী এবং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য হিসেবে বলব, যে বিচার হয়েছে সেটার অবশ্যই পুনর্বিবেচনা হওয়া উচিত। এবং এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে যিনি চিহ্নিত হয়েছেন তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমি আমি মনে করি তার সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া উচিত এবং দ্রুত এই বিচারের রায় কার্যকর করে এ ধরনের ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার দৃষ্টান্ত দ্রুত স্থাপন করা উচিত।

ঢাকাপ্রকাশ: আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য আপনার বাবা যেভাবে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। আগামীতে সেই আনুগত্য থাকবে কি না?

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন: শুধু আমি নই, আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীর জন্য মোহাম্মদ হানিফ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। সেই দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে সকল দুর্যোগে প্রাণপ্রিয় নেত্রীর সঙ্গে থাকা, পাশে থাকা এবং সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রস্তুত থেকে বর্তমানে যে ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে সেটা থেকে আমাদেরকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। সেটা থেকে আমাদেরকে মুক্ত হতে হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন: আপনার মাধ্যমে ঢাকাপ্রকাশ-এর সবাইকে ধন্যবাদ।


এনএইচবি/এমএমএ/

আজকের সেহরির শেষ সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

নওগাঁয় পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহষ্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টায় নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা শহরের মুক্তির মোড়ে এ মানববন্ধন করে।

মানববন্ধনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিফাত হোসেন, আরমান মন্ডল, বরকত মোল্লা, শাকিল, আরিফ, রিয়া, তামান্নাসহ অন্যান্যরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন- ১৯ মে থেকে শুরু হবে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। যেখানে রুটিনে প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে একদিন করে ছুটি রয়েছে। অথচ যেকোনো পরীক্ষা নিতে দেড় থেকে দুই মাস সময় বরাদ্দ থাকে। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত পরীক্ষা শেষ করতে চাচ্ছে। সেশনজট কমানোর নামে শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির মুখে ফেলে দিতে চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই দ্রুত পরীক্ষার প্রকাশিত রুটিন পেছানোসহ প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ দিন করে ছুটির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

গুলি করে মারা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপটিকে

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপ। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলের রেইনফরেস্টে পাঁচ সপ্তাহ আগে ২৬ ফুট লম্বা ভয়ংকর এক সাপের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা। যার মাথা ছিল মানুষের মত। আর দেহ ছিল বড় বাসের টায়ারের মত। এই সাপটিকে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ বলে উল্লেখ করেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের একটি দল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ডিজনি+ সিরিজ ‘পোল টু পোল উইথ উইল স্মিথ’-এর দৃশ্য ধারণ করার সময় আমাজনের ভেতর দৈত্যাকার সাপটিকে খুঁজে পেয়েছিলেন। আনা জুলিয়া নামের প্রায় ২০০ কেজি ওজনের এই সাপটিকে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলের দুর্গম ফোরমোসো নদীতে সাঁতার কাটতে দেখা যায়। সাপটি এতটাই বড় ছিল যে এটি মাথা মানুষের মাথার সমান ছিল।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপগ্রিন অ্যানাকোন্ডা। ছবি: সংগৃহীত

 

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাপটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ডাচ বিজ্ঞানী প্রফেসর ফ্রিক ভঙ্ক, যিনি সাপটিকে খুঁজে পেতে সহায়তা করেছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, সাপটির মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে এখনো তদন্ত চলছে।

সাপটির মৃত্যুর কথা ইন্সটাগ্রামে নিজেই জানিয়েছেন প্রফেসর ফ্রিক ভঙ্ক। তিনি ইন্সটাগ্রামে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) লিখেছেন, অন্তত দুঃখ ও ভারাক্রান্ত মন নিয়ে জানাচ্ছি বিশালাকৃতির গ্রিন অ্যানাকোন্ডা, যেটির সঙ্গে আমি সাঁতার কেটেছিলাম, এ সপ্তাহের শেষ দিকে সেটিকে নদীতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। খুবই শক্তিশালী প্রাণী, একটি লড়াকু, যেটি নদীতে কয়েক দশক সাঁতার কেটেছে।

প্রফেসর ভাঙ্ক আরও লিখেছেন, যতদূর আমরা জানি, সাপটি খুবই সুস্থ ছিল এবং জীবনের সবচেয়ে ভালো সময়ে ছিল। সামনের বছরগুলোতে সাপটি নিজের বংশধরের খুব ভালো যত্ন নিতে পারত। যেহেতু এ ধরনের সাপ খুব বেশি নেই ফলে তার মৃত্যুটি জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি বড় ধাক্কা।

গুলির মাধ্যমে সাপটিকে হত্যার যে গুঞ্জন উঠেছে সেটি নিয়েও কথা বলেছেন প্রফেসর ভাঙ্ক। তিনি জানিয়েছেন, এখনো মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ডাচ বিজ্ঞানী বলেছেন, মৃত্যুর কারণ এখন তদন্ত করা হচ্ছে। সবকিছুই বিবেচনা করা হচ্ছে। সাপটির মৃত্যু প্রাকৃতিক কারণেও হতে পারে। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট

 

দুঃসময় অতিক্রম করছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল

ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

দেশের মানুষ দুঃসময় অতিক্রম করছে উল্লেখ করে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। একটা দুঃসময় অতিক্রম করছি। এসময়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে এ ইফতালের আয়োজন করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। একটা দুঃসময় অতিক্রম করছি। ফ্যাসিবাদী শক্তি সমস্ত জাতির ওপর চেপে ধরে বসে আছে। আমাদের সকল আশা আকাঙ্ক্ষাগুলো ব্যর্থ করে দিয়ে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেছি।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এক দফার আন্দোলনে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে সম্মিলিত করে। আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য কাজ করছি। সে আন্দোলনে বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাআল্লাহ্।

অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, ১৮ কোটি মানুষের দেশে মানুষ আজ মজলুম। পুরো দেশের মানুষ আজ জুলুমের শিকার। লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাআল্লাহ্।

এতে জামায়াত নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত সেলিম, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ মাহমুদ চৌধুরী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, গণঅধিকার পরিষদ একাংশের আহ্বায়ক মশিউজ্জামান, জাগপার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব মুহাম্মদ আবু হানিফ, গণঅধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক, যুগ্ম-মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান খোকন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
গুলি করে মারা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপটিকে
দুঃসময় অতিক্রম করছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল
মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক কারাগারে
বাংলাদেশ থেকে আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম হলেন যারা
বাংলাদেশে আসছেন সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম
চট্টগ্রামে ফিশিং বোটে আগুন, দগ্ধ ৪
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ৪ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৮৯ শতাংশই ফেল
ভারত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার!
৮ বছর পর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা
‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা তুলব, এটুক অন্যায় করবোই’
প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে শরফুদ্দৌলা
পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর
কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক
শিগগিরই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানো হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়িতে কাঁথাও বানায় না: রিজভী
ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা