বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

"বিজয়ের হাসি"

আর কয়েকদিন পর স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ । এবারের পত্রিকার স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ সংখ্যায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কী লেখা যায় তাই ভাবছি এমন সময় উজ্জ্বল এসে হাজির। এই নির্জন এরিয়ার আমার একমাত্র বন্ধু উজ্জ্বল । আমাকে চিন্তিত দেখে সে বলল, “খানিকটা চিন্তিত বলে মনে হচ্ছে?”

আমি বললাম, “চিন্তিত তো বটেই। এবার স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ সংখ্যায় কী লিখবো তা খুঁজে পাচ্ছি না। এদিকে স্বাধীনতা দিবসেরও বেশি দেরি নেই।”

উজ্জ্বল মৃদু হেসে বলল, “এতো চিন্তার কিছু নেই বন্ধু। আমাদের গ্রামে চলো। সেখানে রহমান নামে একজন চাচা রয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা। এবার বিজয় দিবসে না হয় ওনার গল্পটাই লিখবে।”

উজ্জ্বলের প্রস্তাবটা আমার মনে ধরলো। গতো কয়েক বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখছি বিশেষ সংখ্যায় কিন্তু কখনো কোনো মুক্তিযোদ্ধার নিজের গল্প লিখিনি। এবার ভিন্ন কিছু করতে পারবো ভেবে মনে মনে বেশ আনন্দিত হলাম।

পরদিনই সাথে করে ডায়েরি নিয়ে আমি আর উজ্জ্বল বেরিয়ে পরলাম গ্রামের উদ্দেশ্যে। উজ্জ্বলদের গ্রামের নাম হেমায়েতপুর। শহর থেকে ৩০ কি.মি. দক্ষিণে। বড়জোর বাসে করে এক ঘন্টা লাগবে পোঁছাতে।

গ্রামে পৌঁছে প্রথমে উজ্জ্বল বাড়ি গেলাম। সেখানে দুপুরের খাওয়া সেড়ে বেরিয়ে পরলাম রহমান চাচার বাড়ির উদ্দেশ্যে।

গ্রামের উত্তর দিকে রহমান চাচার বাড়ি। আমাদের দেখে ওনি আনন্দিত হলেন। বাড়ির উঠোনে চেয়ার পেতে বসার ব্যবস্থা করে দিলেন। চাচা যখন শুনলেন আমরা ওনার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে এসেছি তখন তিনি অবাক হলেন। বিস্মিত হয়ে খানিক্ষণ আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকার পর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,”আজকের প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রায় ভুলতে বসেছে। অথচ কতটা গৌরবময় আমাদের ইতিহাস। তোমরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আগ্রহী দেখে অনেক খুশি হলাম, বাবা।”

আমি বললাম, “এক সাথে সবাই তো আর ভুলতে পারে না। কেউ না কেউ নিশ্চই মনে রাখে। চাচা আপনার গল্পটা বলুন এবার। কী করে যোগ দিলেন মুক্তিযুদ্ধে?”

রহমান চাচা কিছুক্ষণ চুপ করে মাটির দিকে তাকিয়ে রইলেন। এরপর বলতে লাগলেন, “আমার মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার গল্পটা ভিন্ন। তখন সবেমাত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেলো পাক বাহিনী। রেডিওতে মাঝেমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের দু-একটা হামলার কথা শোনা যাচ্ছিল। কিছুদিন পর আমাদের এই হেমায়েতপুরে পাকবাহিনীরা ক্যাম্প করে। মাঝেমধ্যে গ্রামে এসে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আবার চলে যেত। আমরা যুবকরা প্রায় সময় লুকিয়ে থাকতাম। কারণ পাকবাহিনী যুবকদেরই বেশি ধরে নিয়ে যেত। একদিন গ্রামের মোড়ের দোকানের সামনে বসে সকলে মিলে রেডিওতে খবর শুনছি এমন সময় দেখি শওকত হন্তদন্ত হয়ে কোথাও ছুটে যাচ্ছে। আমাদের গ্রামেরই ছেলে ছিল শওকত। কিছুটা হাবলা প্রকৃতির। আমরা তাকে থামিয়ে যখন জানতে চাইলাম এভাবে হন্তদন্ত হয়ে কোথায় যাচ্ছে তখম সে জানাল সে নাকি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে যাচ্ছে। পাকবাহিনীদের এ দেশে কোনোমতেই থাকতে দেওয়া যাবে না। এ দেশ শুধুই আমাদের। ওর কথা শুনে আমরা সকলেই হাসতে লাগলাম। হাসতে হাসতে একজন বলল, তুই যে হাবলা তা জানতাম কিন্তু এতটা হাবলা তা জানতাম না। কোথায় সশস্ত্র আর্মি আর কোথায় তুই। সশস্ত্র আর্মির বিরুদ্ধে কী দিয়ে যুদ্ধ করবি? মুক্তিযুদ্ধে গেলে নির্ঘাত মারা পড়বি।

এ কথা শুনে শওকত কঠিন গলায় যা বলেছিল তাই-ই শেষ পর্যন্ত আমাকে একজন মুক্তিযোদ্ধা বানালো। সে বলল, আরে, আমি তো যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা যাব, আর তোরা? তোরা তো এখনই মারা গিয়েছিস। আরে বেটা শোন, আমার অস্ত্র নেই তো কী হয়েছে? এই চওড়া বুকটা তো আছে। পাক আর্মির সামনে বুক পেতে দিয়ে গুলি খেয়ে অন্তত ওদের কয়েকটা বুলেট তো কমাতে পারবো। নিজের দেশের জন্য লড়তে এর থেকে বেশি কী লাগে?

শওকতের কথায় আমরা সবাই নির্বাক হয়ে গেলাম। যে ছেলেটা কিছুই করতে পারতো না আজ সেই হাবলা ছেলে দেশের জন্য নিজের প্রাণ দিতেও দ্বিধাবোধ করছে না!

এর কয়েকদিন পর আমিসহ গ্রামের আরও কয়েকজন মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল প্রথমে হেমায়েতপুরকে শত্রুমুক্ত করা। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা একদিন হেমায়েতপুর পাক আর্মির ক্যাম্পে আক্রমণ করলাম। সেই আক্রমণে শওকতও আমাদের সাথে ছিল। গোলাগুলির এক পর্যায়ে আমাদের বুলেট শেষ হয়ে এলো। আমরা পিছ পা হচ্ছি এমন সময় গ্রেনেড হাতে শওকত ক্যাম্পের মধ্যখানে চলে গেলো। আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই ক্যাম্পে প্রচন্ড আওয়াজে গ্রেনেড বিস্ফোরণ করলো। ঠিক তার পর মুহুর্তেই শত্রুপক্ষের কয়েকটা বুলেট এসে শওকত বুক ঝাঝরা করে দিল। আমি কোনো মতে গিয়ে তাকে ক্যাম্পের বাইরে নিয়ে আসি। গুলি লাগা সত্তেও শওকতের মুখে বিজয়ের হাসি ছিল। মারা যাওয়ার আগে সে আমাকে বলল, বলেছিলাম না, শত্রু পক্ষের কয়েকটা বুলেট কমাবো? এই দেখ, আমার এই চওড়া বুকে ওদের ১০ টা বুলেট রয়েছে। আমি ওদের ১০ টা বুলেট কমাতে পেরেছি। আমার বুকটা আরেকটু চওড়া হলে ভালো হতো রে। তখন দশটার জায়গায় ১৫ টা বুলেট কমাতে পারতাম ওদের।

এ কথা বলেই সে মারা যায়। সেদিনের পর থেকে প্রায়ই শওকতের কথাগুলো আমার কানে বাজতো। এরপর অনেক অপারেশনে গিয়েছি, অনেকবার মৃত্যুর মুখে পড়েছি কিন্তু কখনো সামান্যতম পিছ পা হয়নি। শওকত আমার মধ্যে যে সাহসের বীজ বপন করে দিয়ে গিয়েছিল সেটাই শেষ পর্যন্ত আমাকে লড়তে উৎসাহ যুগিয়েছে।”

রহমান চাচার কথা শেষ হতেই দেখলাম ওনার চোখ দুটো ছলছল করছে। কখন যে আমারও চোখ ভিজে গিয়েছে তা টের পাইনি। কতটা বীরত্বের সাথেই না লড়েছে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা। এগুলো যেন রুপকথাকেও হার মানায়। বিদায় নেওয়ার আগে চাচা আমাদের শওকতের কবর দেখাতে নিয়ে গেলেন। শওকতের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে অন্যরকম শিহরণ বয়ে গেল পুরো শরীরে। আমি এ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রয়েছি এমন এক বীর সন্তানের কবরের সামনে, যে শত্রুপক্ষের বুলেট কমাতে নিজের বুক পেতে দিয়েছিল নিশ্চিত মৃত্যুর কোলে

সাগরিয়া,বুড়িরচর,হাতিয়া,নোয়াখালী।

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে বেড়েছে গরমের তীব্রতা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলে গত তিন দিনে জেলায় তাপমাত্রার উর্ধ্বমুখী প্রবণতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এতে তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে-খাওয়া নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। এছাড়াও হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এবং উচ্চ রক্ত চাপজনিত রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

টাঙ্গাইল আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দিনে ২ বার অর্থাৎ বিকাল ৩টা ও সন্ধ্যা ৬ টায় আবহাওয়ার পরিমাপ নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ৩৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে ২২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২১ এপ্রিল (সোমবার) টাঙ্গাইলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তিন দিনে টানা প্রায় ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক বলছেন না আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।

তবে, আগামী কয়েকদিন টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ২৫ এপ্রিলের পর কিছু কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে- যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করতে পারে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, এটা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপ প্রবাহেরই প্রভাব। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে এখন একটি গ্রীষ্মকালীন উচ্চচাপ বলয় কাজ করছে। ফলে দিনের বেলায় সূর্যের তীব্রতা বাড়ছে এবং তাপমাত্রাও দ্রুত ঊর্ধ্বগামী।

সরেজমিনে টাঙ্গাইল শহর এবং আশপাশের উপজেলাগুলোতে বুধবার গরমে জনজীবনে স্থবিরতা লক্ষ্য করা গেছে। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল অনেকটাই কম ছিল। যারা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন তাদের অধিকাংশই মাথায় কাপড় বা ছাতা ব্যবহার করছেন। প্রচণ্ড গরমে রিকশাচালক, দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষজন সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দিনমজুর শফিকুল ইসলাম, মাজহার মিয়া, রিকশা চালক আয়েন উদ্দিন, রহিম বক্স, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক আজমীর জামান, আব্দুল মজিদ, রাফসান মাহমুদ সহ অনেকেই জানান, গত দুইদিন ধরে এমন গরম পড়ছে যে দুপুরের পর কাজ করতে পারেন না। শরীর ঝিম ঝিম করে- ঘামে কাপড় ভিজে যায়। কিন্তু না খাটলে তো পরিবারের মুখে আহার তুলে দেওয়া হবেনা। তাই কষ্ট হলেও পরিশ্রম করছেন।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খায়রুল হাসান জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে হাসপাতালগুলোতে তাপজনিত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এরমধ্যে হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগী রয়েছে। এসব সমস্যা নিয়ে বর্তমানে সমস্যা প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।

তিনি জানান, গরম থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতোমধ্যে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছে। এই সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান করা, সরাসরি রোদে না যাওয়া, হালকা ও সুতির কাপড় পরিধান করা এবং শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।

টাঙ্গাইল আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. জামাল উদ্দিন জানান, বর্তমানে দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কিছুটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে টাঙ্গাইলে তৎক্ষণাৎ স্বস্তির আশা করা যাচ্ছে না।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্কুলের শিশুদের এই গরম থেকে রক্ষা করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্রগুলোতে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্র সচিবদেরকে তাদের বিষয়ে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সরকার সরিয়ে না দিলে পদত্যাগ করব না: কুয়েট ভিসি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চলমান উত্তেজনা এবং শিক্ষার্থীদের লাগাতার আমরণ অনশনের মধ্যেও উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ স্পষ্ট জানিয়েছেন, সরকার তাকে পদ থেকে না সরালে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন না।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) কুয়েট চত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার।

তিনি শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। তবে শিক্ষার্থীরা একবাক্যে তা প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দেন—উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ বলেন, “আমাকে সরকার এই পদে নিয়োগ দিয়েছে। এখন যদি সরকার মনে করে আমি এই দায়িত্ব পালনের জন্য যথাযথ নই, তাহলে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। বিষয়টি এখন আমার হাতে নেই।”

ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র গালিব ইফতেখার রাহাত বলেন, “ভিসির পদত্যাগ না হলে আমরা এই অনশন ছাড়ব না—যদি মরে যাই, তবুও না।” তিনি জানান, অনশনে অংশ নেওয়া অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষের ঘটনায় বহিষ্কৃত ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের মূল দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ—সেটি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি কুয়েট ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে।

এদিকে কুয়েটের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও অনশন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে 'ভুয়া সেনাসদস্য' আটক

আটক আব্দুল কাদের রোমান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে ভুয়া সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে রাস্তায় ছিনতাই করার সময় আব্দুল কাদের রোমান (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে সেনাবাহিনীর ভুয়া পরিচয় পত্র ওয়াকি-টকি, তিনটি মোবাইল, একটি ম্যানিব্যাগ ও একটি চশমা উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা-বিরামপুর আঞ্চলিক সড়কের মাহমুদপুর শান্তিমোড় এলাকায়।

আটক আব্দুল কাদের রোমান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের খিয়ারমামুদপুর এলাকার রফিতুল্লাহ মন্ডলের ছেলে।

বিরামপুর থানার ওসি মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃত যুবক এক সময় আনসার বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।

থানা সূত্রে জানা যায়,গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাটলা-বিরামপুর আঞ্চলিক সড়কের শান্তিমোড় এলাকায় থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান কার্যক্রম চলছিল। এসময় শান্তিমোড় এলাকায় শফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে কয়েকজন যুবক সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে রাস্তার লোকজনদের তল্লাশি করছিলেন। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করেন। তাদের মধ্যে দুজন পালিয়ে গেলেও আব্দুল কাদের রোমানকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর ভুয়া পরিচয়পত্র ও ওয়াকি টকি ব্যবহার করে রাস্তায় ছিনতাইয়ের বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করে।

বিরামপুর থানার ওসি মমতাজুল হক জানান,ভুয়া সেনাবাহিনীর পরিচয়পত্র ও ওয়াকি-টকি ব্যবহার করে ছিনতাইয়ের অভিযোগে আব্দুল কাদের রোমান নামের এক যুবককে আটক করা হলেও অন্য দুই সদস্য পালিয়ে গেছে। আটক যুবকের বিরুদ্ধে মামলাপূর্বক অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে বেড়েছে গরমের তীব্রতা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
সরকার সরিয়ে না দিলে পদত্যাগ করব না: কুয়েট ভিসি
বিরামপুরে ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে 'ভুয়া সেনাসদস্য' আটক
হাসিনাকে যারা খুনি হতে সাহায্য করেছে, তাদেরও বিচার করতে হবে: সারজিস আলম
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুললো আবাসিক হল
কাশ্মীরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, মসজিদে ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু
ইতিহাস গড়ল জিম্বাবুয়ে, ঘরের মাঠে লজ্জার হার বাংলাদেশের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটে প্রথম আব্দুল্লাহ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যা: প্রধান আসামি মেহরাজ গ্রেপ্তার
তুরস্কের ইস্তানবুলে একের পর এক ভূমিকম্প
এবার সেই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন পরীমণি
দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা
আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস
কাশ্মীরের হামলা ‘সাজানো’ দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের
ভাইরাল ভিডিও সমন্বয়ক রুবাইয়ার নয়, দাবি এনসিপি নেতার
স্বৈরাচারের দোসররাই ভাস্কর মানবেন্দ্রর বাড়িতে আগুন দিয়েছে: রিজভী
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে লাগবে না অনুমতি
সিলেট টেস্ট চলাকালে হার্ট অ্যাটাক, বিসিবি কর্মকর্তার মৃত্যু
আমাকে দেখলেই মানুষ বলে ‘শাকিব খানের বউ’: টিকটকার রিমু
ভয়েস অফ আমেরিকা বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা আটকে দিলেন মার্কিন বিচারক