শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

মুক্তিযুদ্ধে ভূত

১৯৭১ সাল। চারদিকে যুদ্ধের দামামা বেধে গেছে। পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ যুদ্ধে যোগ দিচ্ছে। পাকিস্তানের মত প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর সাথে লুঙ্গি গামছা পরে সাধারণ মানুষ যুদ্ধে যোগ দিচ্ছে

অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত বিশাল ক্ষমতাশালী বাহিনীর সাথে ঢাল, বুদ্ধি এবং কৌশলের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। মজি মিয়া ও যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন। তবে তিনি সবার মত না। উনার যুদ্ধে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া একটু ব্যতিক্রম। মজি মিয়া সব সময় ভূত এবং ভূত বিষয়ক বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণা করতে পছন্দ করতেন। তাই তিনি সব সময় ভূত থাকতে পারে বা ভূত আছে বলে পরিচিত এমন জায়গায় সব সময় বিচরণ করতেন। মুক্তিযুদ্ধে যখন প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লুঙ্গি, গামছা নিয়ে যুদ্ধ করে মুক্তিবাহিনী যখন পাখির মত মরে যাচ্ছিল তখন মজি মিয়া ভূত নামানোর পরিকল্পনা করলেন।

অদৃশ শক্তির বিরুদ্ধে আর যাই হোক যুদ্ধে জয় করা সম্ভব হবে না। মজি মিয়ার পরিকল্পনার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, আমেরিকা বাংলাদেশের বিরোদ্ধে সপ্তম নৌযান পাঠিয়েছে। এই নৌযান যদি বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে যুদ্ধে জয়ের আশা একেবারে ছেড়ে দিতে হবে। তাই একমাত্র ভূতকে নামানো ছাড়া বাংলাদেশকে স্বাধীন করা সম্ভব না। মজি মিয়া বিভিন্ন গাছে গাছে, ডালে ডালে ঘুরতে লাগলেন। ভূতদের সাথে বৈঠকে মিলিত হতে লাগলেন। বটগাছ এবং গাবগাছে মজি মিয়া সবচেয়ে বেশি সময় কাঁটাতে লাগলেন। কারণ ঐ সমস্ত গাছেই সবচেয়ে বেশি ভূত নাকি থাকে। সারারাত ভূতদের বোঝাতেন তারা যেন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। কারণ বাংলাদেশটা তাদেরও দেশ। তাদের দেশকে ছাড়খার করে ফেলছে তারা কিছুই করবে না এমন হয় না। তাছাড়া বোমার আঘাতে তাদের বাসস্থানগুলি উড়িয়ে দিচ্ছে। কেউ কেউ হয়ত মারাও যাচ্ছে। সুতরাং তাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়ছে। ভূতদের মত মুরগি, ছাগল. গরুদের যদি শক্তি থাকত তাহলে তাদের তিনি নামিয়ে দিতেন।

মজি মিয়া ভূতদের সেক্টর নামে বার নম্বর সেক্টর খুললেন। বার নম্বর সেক্টরের প্রধান হিসেবে তিনিই দায়িত্ব নিলেন। কারণ উনার মত ভূত বিশেষজ্ঞ খুঁজে পাওয়া এখন কঠিন হবে। তিনি সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নিয়ে পড়লেন মহাবিপদে। ভূতদের কাছ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ভূতদের বললে, তারা বলে তাদের লিডারের কাছ থেকে সংকেত পেতে হবে। তাদের লিডারদের বললে বলে, পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো ভূত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। হঠাৎ করে অংশ নিতে হবে তাই বিলম্ব হচ্ছে। মজি মিয়ার বিলম্ব সহ্য হচ্ছে না। এত মানুষ মারা যাচ্ছে আর উনি একটা সেক্টরের কমান্ডার হয়ে গাছে গাছে ঘুরছেন। মজি মিয়া রাতের বেলায় বটগাছে বসে আছেন। ভূতরা আসার কথা। এখনো আসছে না। তাই তিনি অলস সময় পার করছেন। গাছের নিচ দিয়ে পাকসেনাদের গাড়ি দেখেই তিনি আঁতকে উঠলেন। এমন একটা অভিনয় করলেন যে, তিনি বড় মাপের মুক্তিযুদ্ধা। পাকিস্তানি সেনারাও মজি মিয়াকে ধরে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে গেলেন। মজি মিয়ার আচরণ দেখে সেনারা বুঝতে পারল এই লোক বড়ধরণের মুক্তিযুদ্ধা মানে কমান্ডার টাইপের। সে হয়ত পাকিস্তানিদের বিরোদ্ধে লড়াই করার বড় কোন পরিকল্পনা করছে। সেনারা খোঁজ নিতে লাগলেন। সমগ্র বাংলাদেশে মজি মিয়া নামের বড় কোন মুক্তিযুদ্ধার খোঁজ পেলেন না। কিন্তু মজি মিয়ার কাছ থেকে কথা বের করার জন্য এমন কোন রিমান্ডের আইটেম নেই যা দেখানো হয় নি। গরম ডিম, পানিতে চুবিয়ে রাখা, হাতুরি দিয়ে ছেঁছা দেওয়া, কারেন্টের শট দেওয়া, পাছার নিচে সিগারেটের সেকা দেওয়া। বিভিন্ন ধরণের ডলা দেওয়া ইত্যাদি। তবুও তিনি মুখ খুলছেন না। এমন একটা ভান করছেন যে, তিনি মুখ খুললেই মুক্তিবাহিনীর বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।

পাকিস্তানি সেনারা ভাবছে, মজি মিয়া হয়ত ছদ্মনাম ব্যবহার করছে। তাই তাকে সাধারণ মানুষদের মত না মেরে ক্যাম্পে আঁটকে রাখা হল। মজি মিয়া ভাবতে লাগলেন, তার সেক্টরের অবস্থা কি। যুদ্ধেঅংশ নেয়ার আগেই তিনি ধরা খেয়েছেন। ভূতরা কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সৃষ্টিকর্তাই বলতে পারবে। একটা রেডিও থাকলে ভাল হত। ভূতদের যুদ্ধে অংশ নেওয়ার খবরটি শোন যেত। ভাবতে ভাবতে মনটা খারাপ হয়ে গেল। নিজের মনেই আবার সান্ত¡না খোঁজতে লাগলেন, শেখ সাহেবকে যুদ্ধের আগেই ধরে নিয়ে গেছে। তাই বলে কি যুদ্ধ থেমে আছে। না থেমে নেই। সবাই যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। সুতরাং মজি মিয়ার অনুপস্থিতিতে বার নম্বর সেক্টরটিও সচল থাকবে। কোন না কোন ভূত হয়ত দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করে বিজয়ী হবেন। মজি মিয়ার প্রত্যাশা ভূত ছাড়া যুদ্ধে জয় করা অসম্ভব। কারণ পৃথিবীর অনেক ক্ষমতাশালী দেশই বাংলাদেশের বিরোদ্ধে। কেউ কেউ সরাসরি অংশ নেওয়ারও চেষ্টা করছে। অন্যদিকে বাংলার মানুষ হচ্ছে সহজ সরল। তাদের পাশেও বিভিন্ন রাষ্ট্র এসে দাঁড়িয়েছে। সরাসরি নয় আড়ালে  আড়ালে। 

পাক সেনারা মজি মিয়াকে নিয়ে পড়েছেন মহাবিপদে। উনাকে মেরেও ফেলতে পারছেন না। আবার বাঁচিয়েও রাখতে চাইছেন না। উনার খাপভাব দেখে মনে হয় উনি বড় ধরণের কিছু। খোঁজ নিয়ে উনার সম্পর্কে কিছুই পাওয়া যায় না। মজি মিয়া শুনেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হতে সময় আর বেশি নেই। উনি উৎসাহে নেচে উঠলেন। তার মানে ভূতরা যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। তিনি জানতেন যদি ভূত যুদ্ধে অংশ নেয় তাহলে জয় বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিত। উনি ভাবতে লাগলেন তাহলে উনার সেক্টরটিই সবচেয়ে বেশি কাজ করছে। উনি খুশিতে এমন নাচন নাচতে লাগলেন যে, সমগ্র বন্দীরা উনার সাথে তালে তাল মিলিয়ে নাচতে লাগল। পাকিস্তানি সেনারা দৃশ্যটি দেখে সহ্য করতে পারলেন না। তারা মজি মিয়াকে ক্রসফায়ারে দিয়ে দিলেন। যুদ্ধ শেষ হল। ভূত অংশ নিয়েছে কিনা এটা কেউ বলতে পারবে না। তবে অনেকেই দেখেছে মজি মিয়াকে বিভিন্ন ডালে ডালে ঘুরে বেড়াতে।

আসলে মজি মিয়া ছিলেন একজন পাগল। যুদ্ধ শুরুর দিকেই স্বপরিবারে মজি মিয়ার পরিবার পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নিহত হয়। ছোট্ট একটি মেয়ে ছিল ফুলি নামের। মেয়েটিকে জীবনের চেয়ে ও বেশি পছন্দ করতেন। মেয়েটির গাঁয়ে যখন গুলি লাগে। মজি মিয়া মেয়েটিকে নিয়ে পালাতে লাগলেন। মেয়েটি বলতে লাগল। বাবা, আমাদের এভাবে মারছে কেন? আমরা কি দোষ করেছি। মজি মিয়া বলতে লাগলেন, মারে আমরা কোন দোষ করেনি। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের কথা বলেছি। তাই তাদের মনোকষ্ট হয়েছে। তাদের মনোকষ্ট দূর করার জন্য আমাদের এরকম পাখির মত গুলি করে মারছে। বাবা, আমি কি মরে যাচ্ছি?না মা, তুই মরবি কেন? তুই কোন দোষ করিস নি।দোষ যদি করে থাকে বড়রা করেছে। বড়রা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য করেছে। তাহলে বাবা, আমাদের মারছে কেন? মা, বড়দের ক্ষোভটা ছোটদের উপর দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে। বাবা, তুমি একটা মিথ্যা কথা বলছ। আমি বাবা বাঁচব না। দেখ, মা আমাকে ডাকছে। আমি মায়ের কাছে চলে যাচ্ছি। তোমার জন্য খারাপ লাগছে। তুমি একা কিভাবে থাকবে তা নিয়ে চিন্তা করছি। এরপর থেকেই মজি মিয়া পাগল হয়ে গেলেন। পাগল হওয়ার আগে উনার আগ্রহের জিনিস ছিল ভূত এবং ভূতবিষয়ক। উনি ভূত বিষয়ক কোন ঘটনার সন্ধান পেলেই যে কোন মূল্যে ঐখানে চলে যেতেন।

 

ডিএসএস/

আজকের ইফতারের সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

‘জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কথা হয়নি’

ছবি: সংগৃহীত

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ জাহাজের বিষয়ে মুক্তিপণ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন জাহাজটির মালিক পক্ষ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। এর আগে দেশের কয়েকটি গণমাধ্যম ‘মুক্তিপণ চূড়ান্ত হয়েছে’ বলে খবর প্রচার করেছে।

মিজানুল ইসলাম বলেন, জলদস্যুরা যে তৃতীয়পক্ষ নিয়োগ করেছে, তাদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তবে আমাদের (কবির গ্রুপ) সঙ্গে দর কষাকষি করে মুক্তিপণ চূড়ান্ত হয়নি। যেহেতু মালিক পক্ষের হয়ে আমি গণমাধ্যমে কথা বলছি, তাই দৃঢ়ভাবে বলতে পারি আমি এমন কিছু জানায়নি। আসলে এখনো তারা মুক্তিপণের বিষয়টি সামনে আনেনি। তবে আমরা এমন কিছু হতে পারে ধরে নিয়ে অগ্রিম কিছু পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছি।

তিনি বলেন, ১৩ বছর আগে এমভি জাহান মনিকে যেভাবে দস্যুদের কবল থেকে মুক্ত করা হয়েছিল, সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই তারা এগোচ্ছেন। নাবিকরা মুক্তি পেলে তাদের বিমানযোগে দেশে আনা হবে। এছাড়া জাহাজ ফিরিয়ে আনার জন্য অপর একটি দলকে পাঠানো হবে, সেটিও আগেভাগে ঠিক করে রাখা হয়েছে।

পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্দেশনা অনুসারে কাজ করছে জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বলে, অনেকের মতো আমরাও আশা করছি, ঈদের আগে নাবিকদের ফিরিয়ে আনা যাবে। তবে এটা সম্পূর্ণ জলদস্যুদের হাতে, ওরা না চাইলে আমরা নিজের থেকে কিছু করতে পারবো না।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে অনেকের সঙ্গে আলোচনা চলছে। একই সঙ্গে বিমাকারী প্রতিষ্ঠান প্রোটেকশন অ্যান্ড ইনডেমনিটি (পিঅ্যান্ডআই) এবং ক্রাইসিস টোয়েন্টিফোর জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে কাজ করছে। তবে ঠিক কার সঙ্গে কোথায়, আলোচনা হয়েছে বা হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট করে বলেননি মিজানুল।

তিনি আস্বস্থ্য করেন যে, জলদস্যুরা এখন জাহাজের খাবার তেমন একটা ব্যবহার করছেন না। তারা বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসছেন।

এর আগে, জাহাজে জিম্মি ওয়েলার মোহাম্মদ শামসুদ্দিন তার পরিবারের কাছে ফোন করে জানান, তারা সুস্থ আছেন। তবে, কিছুদিন ধরে জাহাজে এক ইংরেজি জানা লোক যুক্ত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে দস্যুরা জাহাজ মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ দাবি করেছে।

গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।

২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। পরে ওই জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করে দস্যুরা। পরে নানাভাবে দেনদরবার ও দরকষাকষি শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা করে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা আজ

ফাইল ছবি

সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম দুই ধাপে ছয় বিভাগের ৪০ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৯ মার্চ) ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের ২৪ জেলার ৪১৪টি কেন্দ্রে শেষ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে তিন লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন।

সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালের ১৮ জুন।

জানা গেছে, প্রার্থীকে অবশ্যই রঙিন প্রিন্ট করা প্রবেশপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে। কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ তালাবদ্ধ থাকবে এজন্য পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে দেড় ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সতর্কীকরণ ঘণ্টা বাজিয়ে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে তালাবদ্ধ করা হবে। এরপর কোনো প্রার্থীকে প্রবেশ বা বের হতে দেওয়া হবে না। দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া আর কাউকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বা বের হতেও দেওয়া হবে না।

পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনো পরীক্ষার্থী এসব দ্রব্য সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিক তাকে বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পরীক্ষার কক্ষে নিজ আসনে কান খোলা রেখে বসতে হবে প্রার্থীদের। কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তা নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কেন্দ্রের ফটকে প্রার্থীদের দেহতল্লাশি করা হবে। নারী প্রার্থীদের নারী পুলিশ ও পুরুষ প্রার্থীদের পুরুষ পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। প্রার্থীর কাছে কোনো ডিভাইস আছে কি না, তা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শনাক্ত করা হবে।

এদিকে পরীক্ষা ঘিরে শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি হবে। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এতে আরও বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগ বিধিবিধান অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসনবিন্যাস, প্রশ্নপত্র পাঠানো ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়।

এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার রয়েছে। কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

এমতাবস্থায়, দালাল বা প্রতারকচক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন না করা এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোনো প্রকার অসদুপায় অবলম্বনের জন্য কোনো দালালচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করাসহ অনুরোধ করা হলো।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটবর্তী থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর।

সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রী নিহত, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে যাত্রীবাহী একটি বাস সেতু থেকে গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় সবাই মারা গেলেও অদ্ভুদভাবে একটি মেয়ে শিশু বেঁচে গেছে।

পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর পঁয়তাল্লিশ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অবশ্য এই ঘটনায় আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে একমাত্র জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিবিসি বলছে, উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে বাসটি একটি ব্যারিয়ারে ধাক্কা দেওয়ার পর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং পরে এটিতে আগুন ধরে যায়। যাত্রীরা সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী এবং তারা বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোন থেকে মোরিয়া শহরে ইস্টার সার্ভিসে যাচ্ছিলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার পাবলিক ব্রডকাস্টার এসএবিসি জানিয়েছে, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তরে মোকোপানে এবং মার্কেনের মধ্যে মামামতলাকালা পর্বত গিরিপথে একটি সেতু থেকে ছিটকে পড়ে।

উদ্ধার তৎপরতা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলেছে এবং ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিহত কয়েকজনের কাছে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।

পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এবং পরে তিনি ‘মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা’ জানান। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পূর্ণ তদন্ত করবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে আমাদের চিন্তাভাবনা এবং প্রার্থনা আপনার সাথে আছে। আমরা এই ইস্টার উইকএন্ডে আমাদের রাস্তায় আরও বেশি লোক থাকায় আরও বেশি সতর্কতার সাথে সবসময় দায়িত্বশীল ভাবে ড্রাইভিং করার জন্য অনুরোধ করছি।’

অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার খারাপ সড়ক নিরাপত্তার রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সর্বশেষ সংবাদ

‘জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কথা হয়নি’
প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা আজ
সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রী নিহত, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত
ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস নিয়ে অশ্লীল খেলায় মেতেছে ইসরায়েলি সেনারা
যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরোধিতা করায় সাংবাদিকের কারাদণ্ড
বাতিঘরের শ্যুটিংয়ে হিমাচলে শিরোনামহীন ব্যান্ড
যৌনস্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখুন এ সব
গাজায় নিহত আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি
৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু আজ
ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫
দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু: বিশ্বব্যাংক
বরিশালে নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ
নওগাঁয় পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
গুলি করে মারা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপটিকে
দুঃসময় অতিক্রম করছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল
মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক কারাগারে
বাংলাদেশ থেকে আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম হলেন যারা