মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৬ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুক্তিযুদ্ধে ভূত

১৯৭১ সাল। চারদিকে যুদ্ধের দামামা বেধে গেছে। পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ যুদ্ধে যোগ দিচ্ছে। পাকিস্তানের মত প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর সাথে লুঙ্গি গামছা পরে সাধারণ মানুষ যুদ্ধে যোগ দিচ্ছে

অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত বিশাল ক্ষমতাশালী বাহিনীর সাথে ঢাল, বুদ্ধি এবং কৌশলের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। মজি মিয়া ও যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন। তবে তিনি সবার মত না। উনার যুদ্ধে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া একটু ব্যতিক্রম। মজি মিয়া সব সময় ভূত এবং ভূত বিষয়ক বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণা করতে পছন্দ করতেন। তাই তিনি সব সময় ভূত থাকতে পারে বা ভূত আছে বলে পরিচিত এমন জায়গায় সব সময় বিচরণ করতেন। মুক্তিযুদ্ধে যখন প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লুঙ্গি, গামছা নিয়ে যুদ্ধ করে মুক্তিবাহিনী যখন পাখির মত মরে যাচ্ছিল তখন মজি মিয়া ভূত নামানোর পরিকল্পনা করলেন।

অদৃশ শক্তির বিরুদ্ধে আর যাই হোক যুদ্ধে জয় করা সম্ভব হবে না। মজি মিয়ার পরিকল্পনার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, আমেরিকা বাংলাদেশের বিরোদ্ধে সপ্তম নৌযান পাঠিয়েছে। এই নৌযান যদি বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে যুদ্ধে জয়ের আশা একেবারে ছেড়ে দিতে হবে। তাই একমাত্র ভূতকে নামানো ছাড়া বাংলাদেশকে স্বাধীন করা সম্ভব না। মজি মিয়া বিভিন্ন গাছে গাছে, ডালে ডালে ঘুরতে লাগলেন। ভূতদের সাথে বৈঠকে মিলিত হতে লাগলেন। বটগাছ এবং গাবগাছে মজি মিয়া সবচেয়ে বেশি সময় কাঁটাতে লাগলেন। কারণ ঐ সমস্ত গাছেই সবচেয়ে বেশি ভূত নাকি থাকে। সারারাত ভূতদের বোঝাতেন তারা যেন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। কারণ বাংলাদেশটা তাদেরও দেশ। তাদের দেশকে ছাড়খার করে ফেলছে তারা কিছুই করবে না এমন হয় না। তাছাড়া বোমার আঘাতে তাদের বাসস্থানগুলি উড়িয়ে দিচ্ছে। কেউ কেউ হয়ত মারাও যাচ্ছে। সুতরাং তাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়ছে। ভূতদের মত মুরগি, ছাগল. গরুদের যদি শক্তি থাকত তাহলে তাদের তিনি নামিয়ে দিতেন।

মজি মিয়া ভূতদের সেক্টর নামে বার নম্বর সেক্টর খুললেন। বার নম্বর সেক্টরের প্রধান হিসেবে তিনিই দায়িত্ব নিলেন। কারণ উনার মত ভূত বিশেষজ্ঞ খুঁজে পাওয়া এখন কঠিন হবে। তিনি সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নিয়ে পড়লেন মহাবিপদে। ভূতদের কাছ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ভূতদের বললে, তারা বলে তাদের লিডারের কাছ থেকে সংকেত পেতে হবে। তাদের লিডারদের বললে বলে, পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো ভূত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। হঠাৎ করে অংশ নিতে হবে তাই বিলম্ব হচ্ছে। মজি মিয়ার বিলম্ব সহ্য হচ্ছে না। এত মানুষ মারা যাচ্ছে আর উনি একটা সেক্টরের কমান্ডার হয়ে গাছে গাছে ঘুরছেন। মজি মিয়া রাতের বেলায় বটগাছে বসে আছেন। ভূতরা আসার কথা। এখনো আসছে না। তাই তিনি অলস সময় পার করছেন। গাছের নিচ দিয়ে পাকসেনাদের গাড়ি দেখেই তিনি আঁতকে উঠলেন। এমন একটা অভিনয় করলেন যে, তিনি বড় মাপের মুক্তিযুদ্ধা। পাকিস্তানি সেনারাও মজি মিয়াকে ধরে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে গেলেন। মজি মিয়ার আচরণ দেখে সেনারা বুঝতে পারল এই লোক বড়ধরণের মুক্তিযুদ্ধা মানে কমান্ডার টাইপের। সে হয়ত পাকিস্তানিদের বিরোদ্ধে লড়াই করার বড় কোন পরিকল্পনা করছে। সেনারা খোঁজ নিতে লাগলেন। সমগ্র বাংলাদেশে মজি মিয়া নামের বড় কোন মুক্তিযুদ্ধার খোঁজ পেলেন না। কিন্তু মজি মিয়ার কাছ থেকে কথা বের করার জন্য এমন কোন রিমান্ডের আইটেম নেই যা দেখানো হয় নি। গরম ডিম, পানিতে চুবিয়ে রাখা, হাতুরি দিয়ে ছেঁছা দেওয়া, কারেন্টের শট দেওয়া, পাছার নিচে সিগারেটের সেকা দেওয়া। বিভিন্ন ধরণের ডলা দেওয়া ইত্যাদি। তবুও তিনি মুখ খুলছেন না। এমন একটা ভান করছেন যে, তিনি মুখ খুললেই মুক্তিবাহিনীর বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।

পাকিস্তানি সেনারা ভাবছে, মজি মিয়া হয়ত ছদ্মনাম ব্যবহার করছে। তাই তাকে সাধারণ মানুষদের মত না মেরে ক্যাম্পে আঁটকে রাখা হল। মজি মিয়া ভাবতে লাগলেন, তার সেক্টরের অবস্থা কি। যুদ্ধেঅংশ নেয়ার আগেই তিনি ধরা খেয়েছেন। ভূতরা কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সৃষ্টিকর্তাই বলতে পারবে। একটা রেডিও থাকলে ভাল হত। ভূতদের যুদ্ধে অংশ নেওয়ার খবরটি শোন যেত। ভাবতে ভাবতে মনটা খারাপ হয়ে গেল। নিজের মনেই আবার সান্ত¡না খোঁজতে লাগলেন, শেখ সাহেবকে যুদ্ধের আগেই ধরে নিয়ে গেছে। তাই বলে কি যুদ্ধ থেমে আছে। না থেমে নেই। সবাই যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। সুতরাং মজি মিয়ার অনুপস্থিতিতে বার নম্বর সেক্টরটিও সচল থাকবে। কোন না কোন ভূত হয়ত দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করে বিজয়ী হবেন। মজি মিয়ার প্রত্যাশা ভূত ছাড়া যুদ্ধে জয় করা অসম্ভব। কারণ পৃথিবীর অনেক ক্ষমতাশালী দেশই বাংলাদেশের বিরোদ্ধে। কেউ কেউ সরাসরি অংশ নেওয়ারও চেষ্টা করছে। অন্যদিকে বাংলার মানুষ হচ্ছে সহজ সরল। তাদের পাশেও বিভিন্ন রাষ্ট্র এসে দাঁড়িয়েছে। সরাসরি নয় আড়ালে  আড়ালে। 

পাক সেনারা মজি মিয়াকে নিয়ে পড়েছেন মহাবিপদে। উনাকে মেরেও ফেলতে পারছেন না। আবার বাঁচিয়েও রাখতে চাইছেন না। উনার খাপভাব দেখে মনে হয় উনি বড় ধরণের কিছু। খোঁজ নিয়ে উনার সম্পর্কে কিছুই পাওয়া যায় না। মজি মিয়া শুনেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হতে সময় আর বেশি নেই। উনি উৎসাহে নেচে উঠলেন। তার মানে ভূতরা যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। তিনি জানতেন যদি ভূত যুদ্ধে অংশ নেয় তাহলে জয় বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিত। উনি ভাবতে লাগলেন তাহলে উনার সেক্টরটিই সবচেয়ে বেশি কাজ করছে। উনি খুশিতে এমন নাচন নাচতে লাগলেন যে, সমগ্র বন্দীরা উনার সাথে তালে তাল মিলিয়ে নাচতে লাগল। পাকিস্তানি সেনারা দৃশ্যটি দেখে সহ্য করতে পারলেন না। তারা মজি মিয়াকে ক্রসফায়ারে দিয়ে দিলেন। যুদ্ধ শেষ হল। ভূত অংশ নিয়েছে কিনা এটা কেউ বলতে পারবে না। তবে অনেকেই দেখেছে মজি মিয়াকে বিভিন্ন ডালে ডালে ঘুরে বেড়াতে।

আসলে মজি মিয়া ছিলেন একজন পাগল। যুদ্ধ শুরুর দিকেই স্বপরিবারে মজি মিয়ার পরিবার পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নিহত হয়। ছোট্ট একটি মেয়ে ছিল ফুলি নামের। মেয়েটিকে জীবনের চেয়ে ও বেশি পছন্দ করতেন। মেয়েটির গাঁয়ে যখন গুলি লাগে। মজি মিয়া মেয়েটিকে নিয়ে পালাতে লাগলেন। মেয়েটি বলতে লাগল। বাবা, আমাদের এভাবে মারছে কেন? আমরা কি দোষ করেছি। মজি মিয়া বলতে লাগলেন, মারে আমরা কোন দোষ করেনি। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের কথা বলেছি। তাই তাদের মনোকষ্ট হয়েছে। তাদের মনোকষ্ট দূর করার জন্য আমাদের এরকম পাখির মত গুলি করে মারছে। বাবা, আমি কি মরে যাচ্ছি?না মা, তুই মরবি কেন? তুই কোন দোষ করিস নি।দোষ যদি করে থাকে বড়রা করেছে। বড়রা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য করেছে। তাহলে বাবা, আমাদের মারছে কেন? মা, বড়দের ক্ষোভটা ছোটদের উপর দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে। বাবা, তুমি একটা মিথ্যা কথা বলছ। আমি বাবা বাঁচব না। দেখ, মা আমাকে ডাকছে। আমি মায়ের কাছে চলে যাচ্ছি। তোমার জন্য খারাপ লাগছে। তুমি একা কিভাবে থাকবে তা নিয়ে চিন্তা করছি। এরপর থেকেই মজি মিয়া পাগল হয়ে গেলেন। পাগল হওয়ার আগে উনার আগ্রহের জিনিস ছিল ভূত এবং ভূতবিষয়ক। উনি ভূত বিষয়ক কোন ঘটনার সন্ধান পেলেই যে কোন মূল্যে ঐখানে চলে যেতেন।

 

ডিএসএস/

Header Ad

হাফ ভাড়া না নেওয়ায় ৩০ বাস আটকেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ভিআইপি পরিবহনের বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীরা ৩০টি বাস আটক করেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী সাবিত, যিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের ছাত্র, অভিযোগ করেছেন যে তিনি বাসে উঠার পর হাফ ভাড়া নিয়ে বাসের হেল্পারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বাস থেকে নামার সময় হেল্পার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, ফলে তার দুই পা কেটে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিতে হয়।

আহত সাবিত জানান, "আমি আজিমপুর থেকে কলেজে আসার জন্য ভিআইপি বাসে উঠি। নামার সময় হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় তারা আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, যার ফলে আমি পা ও হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হই।"

অপরদিকে, আটক বাস চালকরা জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী কোনো ঘটনার কারণে এসব বাস আটক করা হয়েছে। লিটন নামের এক চালক বলেন, "কোন বাসের সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে সেটা আমি জানি না। তবে, শুনেছি কলেজের এক ছাত্রকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে হেল্পার। তাই আমাদের বাসগুলো আটক করেছে।"

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "আমরা বিষয়টি জেনেছি এবং নিউমার্কেট থানাকে জানিয়েছি। থানার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি দেখছে। তবে শিক্ষার্থীদের নিজেদের হাতে বিচার তুলে নেওয়া উচিত নয়।"

বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে স্থানীয় নিউমার্কেট থানার পুলিশ ও কলেজ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় আটক বাসগুলো নিয়ে যায় মালিকপক্ষ। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।

Header Ad

ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটেছে, ঘোষণা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘকাল ধরে চলমান ভারত ও চীনের সীমান্ত সমস্যা অবশেষে মিটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষও ঘটেছে, কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি উন্নতির পথে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভারতের গণমাধ্যম দ্য হিন্দু এবং আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এএফপির রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) সংক্রান্ত এলাকায় 'টহল বন্দোবস্ত' এবং সেনা মোতায়েনের বিষয়ে যে অচলাবস্থা ছিল, তা সমাধান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। তাঁর এই সফরের প্রেক্ষিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি বলেন, "গত কয়েক সপ্তাহে ভারত ও চীনের কূটনীতিক এবং সামরিক মধ্যস্থতাকারীরা বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনার ফলস্বরূপ, সীমান্তে বিরোধের বিষয়গুলো সমাধান হয়েছে।"

তিনি আরও জানান, দুই দেশ এখন 'পরবর্তী উদ্যোগ' নিতে শুরু করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এই চুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, "২০২০ সালের আগে সীমান্তে যে ধরনের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হত, তা আবারও শুরু হবে।"

যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই চুক্তির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি, তবে জয়শঙ্কর বলেছেন, "২০২০ সালের পরিস্থিতিতে ফিরে গেছি, যার মাধ্যমে আমি বলতে পারি যে চীনের সঙ্গে সীমান্তে বিরোধের অবসান ঘটেছে।"

অতীতে, ভারত সরকার জানিয়েছিল যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি তখনই ফিরে আসবে, যখন চীন তাদের সেনা সরিয়ে নেবে। চীনের সেনা মোতায়েনের জবাবে ভারতও ওই এলাকায় সেনা মোতায়েন করে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রিকস সম্মেলন শুরুর এক দিন আগে এই ঘোষণায় মোদি ও শি জিনপিংয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মোদি ও শি'র দেখা হয়েছে ১৪ বার, কিন্তু ২০২২ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর মাত্র দুইবার তারা সাক্ষাৎ করেছেন।

এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লি জিয়ান জানিয়েছেন, "ভারত-চীন সীমান্তের বিরোধিতাপূর্ণ বিষয়গুলো সমাধানে দুই দেশ একমত হয়েছে।"

Header Ad

টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গেটে তালা দিল গ্রাহকরা

ছবি: সংগৃহীত

টাকা না পাওয়ায় চাঁদপুরের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) শাখায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত ব্যাংকটিতে টাকা উত্তোলনের জন্য গ্রাহকরা জড়ো হন। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধ রাখলে উত্তেজিত গ্রাহকরা প্রবেশদ্বারে তালা লাগিয়ে দেন।

পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়। চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া উপস্থিত হয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

চাঁদপুর জেলা শাখায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ২২ হাজার গ্রাহক রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে ১০০ জন গ্রাহকেরও টাকা দিতে পারছে না ব্যাংক। জেলার অন্যান্য শাখাগুলোর পরিস্থিতিও একই রকম। ব্যাংকের টাকা সংকটের কারণে গ্রাহকরা চাহিদা অনুযায়ী সেবা পাচ্ছেন না, যা তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

সরকার পতনের পর থেকেই ব্যাংকটির লেনদেনে জটিলতা শুরু হয় এবং তা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বর্তমানে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে টাকার সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ঠিকমতো সেবা দিতে পারছে না।

অনেক গ্রাহক জানান, দুই সপ্তাহ ধরে টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে এসে ব্যর্থ হচ্ছেন। প্রতিবারই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের পরবর্তী সপ্তাহে আসার পরামর্শ দেন, কিন্তু টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা হয় না। আজকের দিনেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাংকের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

ব্যাংকের ম্যানেজার মো. মাহবুব আলম জানান, রোববার ও সোমবার সীমিত আকারে লেনদেন চলছিল, তবে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। আজ সম্পূর্ণ লেনদেন বন্ধ থাকায় গ্রাহকরা তালা মেরেছেন। তিনি আরও জানান, প্রধান কার্যালয় থেকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে, যা দিয়ে আপাতত গ্রাহকদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া সম্ভব হবে।

ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, "ব্যাংকে ভিড় জমেছে এবং গ্রাহকরা তাদের টাকা পাচ্ছেন না, এমন খবর পেয়ে আমরা টহল পার্টি পাঠাই। পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে আমি নিজে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে কিছু টাকার ব্যবস্থা করি। আশা করছি, আপাতত গ্রাহকদের শান্ত করা যাবে।"

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাফ ভাড়া না নেওয়ায় ৩০ বাস আটকেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা
ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটেছে, ঘোষণা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গেটে তালা দিল গ্রাহকরা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম
আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলো
বিরামপুরে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
১৭ প্রতিষ্ঠানসহ সালমান পরিবারের নথি তলবে ৭০ সংস্থায় চিঠি
আন্ডারপাসের দাবিতে ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহনের দীর্ঘলাইন
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুলল
এসআই অব্যাহতির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষমা চেয়ে আদালতে ব্যারিস্টার সুমন বললেন, ‘আমি খুব সরি স্যার’
ফেসবুক লাইভে মিথ্যা আতঙ্ক ছড়ালেন সাদিয়া আয়মান
পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
১৬ বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজি করেছেন শাজাহান খান
নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৫৭ বাংলাদেশি
সারদায় পুলিশের ২৫০ ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গনজমায়েতের ডাক
৩৬৯ দিন পর অবশেষে মাঠে ফিরলেন নেইমার