শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫ | ৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

অগ্নিঝরা একাত্তরের দিনগুলি

১৯৭১ সাল। মাসটা ছিল মার্চ। তখন অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র। সারা দেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। মানুষের মনে আতংক । পাকিস্তান সৈন্য এনে মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। কাজ কর্ম থেকে মানুষ বিরত থেকে নিরাপত্তার জন্য বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে।

কি যেন এক জরুরী কাজে আমি সেদিন গিয়েছিলাম আলমডাঙ্গাতে। কাজ হয়নি। ষ্টেশনে ফিরে আসি। ষ্টেশন ফাঁকা। কি যেন এক আতংক বিরাজ করছে। দোকান পাট সব ব্ন্ধ। ট্রেন এসে থামলো আলমডাঙ্গা ষ্টেশনে। বেলা ১১/১২ টার সময়। তারিখটা ছিল সম্ভবত ৮ই মার্চ। ট্রেন যখন চুয়াডাঙ্গা ষ্টেশনে এসে থামে তখন মানুষের মধ্যে ছুটাছুটি করার যেন প্রতিযোগিতা বেড়ে যায়। কি ব্যাপার জিজ্ঞাসা করতেই একজন বলে বাঁচতে যদি চাও পালাও। বড় বাজারে পাকিস্তানের সৈন্য এসে গেছে। যাকে পাচ্ছে তাকে গুলি করছে।

মনটা খারাপ হয়ে যায়। কি করে বাড়ি যাবো। অন্য দশ জনের মত আমিও ছুটতে থাকি। ছুটে ছুটে ক্লান্ত হয়ে যায়। এ গলি ও গলি দিয়ে হাটতে হাটতে এক সময় বাড়িতে পৌছে যায়। বাড়ির সকলে আমার জন্য পথ চেয়ে আছে। সৈন্য আসেনি। দেশে আগুন ধরেছে । ব্ঙ্গবন্ধুুর ভাষণ প্রচারিত হচ্ছে। মানুষ রেডিও ঘিরে ভাষণ শুনছে। -----------আর যদি একটা গুলি চলে আমার মানুষকে হ্ত্যা করা হয়। "

ভাষণ শেষ হতেই সবাই যেন ঘাম মুছতে থাকে। তাহলে দেশে কিছু একটা হচ্ছে। পাকিস্তানের নির্যাতন ও শোষণের হাত থেকে এবার বাঙালিরা মুক্তি পাবে। ২৩ বছরের আন্দোলন ও লড়াইয়ের ফসল এবার অর্জিত হবে। ঘরে ঘরে বীর বাঙালিরা জেগেছে। তখন আমি লেখালেখি না করলেও মনের আবেগে একটি গণমুখী ছড়া লিখেছিলাম "বাঙালিরা জাগলো এবার
শকুনেরা বুঝবে,
দিশেহারা হয়ে ওরা
পালাবার পথ খুঁজবে। "

এরপর যা হবার তা তো হল। নির্বিচারে ও বিনা উস্কাানিতে পাকিস্তানের জঙ্গী বাহিনীরা ২৭মার্চ কালো রাতে রাজার বাগ ঘুমন্ত পুলিশের উপর গুলিবর্ষণ করে। বহু পুলিশ সেদিন শহিদ ও আহত হয়। বাঙালিরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল তারা আর চুপ থাকতে পারে না। তারা মুক্তিযোদ্ধায় নাম লেখায় এবং প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে আশ্রয় নেয়।
তৎকালীন চুয়াডাঙ্গা মহকুমার আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২রা এপ্রিল চুয়াডাঙ্গাকে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়। মতিবাবুর পরিত্যাক্ত ভবনে সচিবালয় গঠন করা হয়। সচিবালয়ের যাবতীয় কার্যাদী পরিচালনার জন্য দক্ষিন পশ্চিম রনাঙ্গনের মনোগ্রামযুক্ত সিল প্রয়োজন হলে বাবু এন এন সাহা প্রনয়ন করেন। পরবর্তীতে সামান্য পরি- বর্তন করে বাবু এন এন সাহা রা্ষ্ট্রীয় মনোগ্রামও প্রনয়ন করেন। যা আজও রাষ্ট্রীয় কার্য্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।

৩ রা এপ্রিল দুপুরে পাকিস্তানি বিমান চুয়াডা্ঙ্গার উপর অবিরাম বোমা বর্ষণ করে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিসেনারা অস্ত্র ধরে। শুরু হয় যুদ্ধ । সাধারণ মানুষ প্রানের ভয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হয়। যুদ্ধের এ সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়, আহত হয় এবং মা বোনেরা সম্ভ্রমহানি হয়।

শুধু কি তাই ঘর বাড়ি অফিস আদালত দোকান পাট সব আগুন দিয়ে জালিয়ে ধবংস করে পাক বাহিনীরা । ঐ সময় ভারতে অবস্থান কালে আমরা অমানষিক কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করি। তবু দেশের প্রতি ভালবাসা তিল মাত্র কম ছিল না। মা চরম অসুখে পরে। অপর দিকে বাবা দেশে ফেরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরে। অবশেষে দেশে ফিরে আসি। এসে যা দেখলাম তা বিভৎস দৃশ্য। মা বাবা কাঁন্নায় ভেঙে পরে। বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল লুঠ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কিছুই পাইনি। যারা দেখেছে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে। একাত্তরের সেই দুর্বিসহ দিনগুলো আজও ভুলিনি। প্রতিটি মুহুর্ত্ত কুরে কুরে খায় আমাদের বিদগ্ধ হৃদয়টাকে। দুঃখটাকে বুঝাবার কোন হৃদয়বান ব্যক্তিকে পাইনি।
স্বাধীনতা কিংবা বিজয় দিবস
যখনই দেশে আসে,
সেদিনের সেই যন্ত্রণাটা
চোখের পাতায় ভাসে।

সেই থেকে আজও দুখটাকে বহন করে বেড়াচ্ছি। বুকের ভেতরে আজও ভয়াবহ ভাবে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। মা
বাবা কেহ আজ বেঁচে নেই। না ফেরার দেশে চলে গেছে। সেখান থেকে হয়তো বাবা মা আশির্বাদ করছে। সমস্ত দুঃখ কষ্টকে ভুলে আসুন সবাই কন্ঠ মিলায়-
আসুন সবাই এদেশটাকে
আমরা গড়ে তুলি,
হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি
সব কিছু আজ ভুলি।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

বাতিল হচ্ছে শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত খসড়ায় এই নেতাদের পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার ৯৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১০ মার্চ এ-সংক্রান্ত কার্যপত্রে (খসড়াসহ অন্যান্য বিষয়) স্বাক্ষর করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- এমএনএ (জাতীয় পরিষদের সদস্য) ও এমপিএ (প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য) হিসেবে নির্বাচিত এই নেতারা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭২ সালে গণপরিষদ গঠিত হলে তাদের সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়। তবে নতুন খসড়া আইনে তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৯৪তম সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ মার্চ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম সংশ্লিষ্ট খসড়ায় স্বাক্ষর করেন। সংশোধনীতে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি আরও চার শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নতুন পরিচয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই চার শ্রেণির মধ্যে রয়েছে—

১. মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে প্রবাসে পেশাজীবী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচার চালানো ও বিশ্বজনমত গঠনে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিরা।
২. মুজিবনগর সরকারের অধীনে কর্মকর্তা, কর্মচারী, দূত ও অন্যান্য সহযোগী।
৩. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, কলাকুশলী ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সাংবাদিকরা।
৪. স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা।

এই খসড়া কার্যকর হলে বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধা তালিকার অন্তত ১০ হাজার ব্যক্তির পরিচয় বদলাতে হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র। যারা এতদিন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছিলেন, তাদের নতুনভাবে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম গণমাধ্যমকে বলেন, 'বীর মুক্তিযোদ্ধা কেবল তারাই থাকবেন, যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। রাজনীতিবিদরা সরাসরি যুদ্ধ করেননি, তাই তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করে নতুন পরিচয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে কোনো মর্যাদা কমানো হয়নি, বরং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আরও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।'

তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, 'আইন বদলে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান পরিবর্তন করা যায় না। এটি অপ্রয়োজনীয় এবং অপচয়মূলক উদ্যোগ। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারীদের স্বীকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। যদি কেউ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকে, তাহলে সেটি যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'

মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি জনযুদ্ধ, কেবল সামরিক যুদ্ধ নয়। এ লড়াইয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ঢালাওভাবে এমএনএ, এমপিএ ও গণপরিষদ সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করা পুনর্বিবেচনা করা উচিত।'

খসড়া আইনে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, 'যারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন, তারাই বীর মুক্তিযোদ্ধা।'

সংশোধনীতে রাজনীতিবিদদের নাম বাদ দেওয়ার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় থাকা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও নার্সদের মুক্তিযোদ্ধার পরিবর্তে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে সীমান্তবর্তী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক ও নার্সদের স্বীকৃতি বহাল রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের স্বীকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, যা ইতিহাসকে বিকৃত করার শামিল। মুক্তিযুদ্ধ একটি পরিকল্পিত সংগ্রাম ছিল, যেখানে রাজনীতিবিদরাই মূল নেতৃত্ব দিয়েছেন।'

মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব বলেন, 'এটি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানজনক সিদ্ধান্ত। মুক্তিযুদ্ধ জাতির ইতিহাসের মীমাংসিত অধ্যায়। এটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা অযৌক্তিক।'

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেন, 'এই সিদ্ধান্ত ভালোভাবে পর্যালোচনা করা দরকার। আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করব।'

মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন যাচাই-বাছাই:

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১৪ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা পুনরায় যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এখন শুধু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করার পরিবর্তে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পরিবর্তনের মাধ্যমে অনেকের স্বীকৃতি বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইন চূড়ান্ত অনুমোদনের পর যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে। এটি কার্যকর হলে বেসামরিক গেজেটে অন্তর্ভুক্ত প্রায় দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধার মধ্যেও অনেকের স্বীকৃতি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমান আইনে মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল, '১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য যে লড়াই হয়েছে, তা মুক্তিযুদ্ধ। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণায় সাড়া দিয়ে যারা অংশ নিয়েছেন, তারা মুক্তিযোদ্ধা।'

কিন্তু নতুন খসড়ায় মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, '১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছেন, তারাই মুক্তিযোদ্ধা।'

এই পরিবর্তনের ফলে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই খসড়া অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এরপর এটি অধ্যাদেশ আকারে প্রকাশের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এই নতুন খসড়া আইনের ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও মর্যাদা সংক্রান্ত ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এটি বাস্তবায়িত হলে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বড় ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

বাইতুল মোকাররমে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার বিচার দাবিতে মিছিল

বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার বিচার দাবি করে শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বাইতুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা। জুমার নামাজ শেষে তারা "নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার" স্লোগানে মুখরিত হয়ে পল্টন মোড়ের দিকে মিছিল করে।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা নানা স্লোগান দিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সময়, বাইতুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর শাখাও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিক্ষোভ মিছিলের জন্য সমাবেশ শুরু করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মসজিদের প্রবেশমুখে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন, এবং নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিজিবি সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়। এছাড়া, মসজিদে প্রবেশের সময় মুসল্লিদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করতে পুলিশ সদস্যদের কাজ করতে দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে আজ বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করা হয়। এর পাশাপাশি, ছাত্রশিবির ও জামায়াতের সদস্যরাও মসজিদ এলাকায় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

হিথ্রো বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড, হাজার হাজার যাত্রী আটকা

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে হিথ্রো বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটিয়েছে একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড। এ ঘটনায়, বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দরটি আজ শুক্রবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে উপকেন্দ্রের আগুনের কারণে বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়, এবং তখন থেকেই উড়োজাহাজ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে আজ ১ হাজার ৩৫১টি ফ্লাইট বন্ধ থাকতে পারে বলে ফ্লাইট রাডার২৪ জানিয়েছে, যদিও সরকারী পরিসংখ্যান এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। প্রতিবছর প্রায় ১৩০০টি ফ্লাইট এই বিমানবন্দর দিয়ে উড্ডয়ন ও অবতরণ করে, এবং গত বছর এখানে ৮ কোটি ৩৯ লাখ যাত্রী ভ্রমণ করেছেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচি ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যাত্রীদের তাদের এয়ারলাইনসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং বিমানবন্দরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের সদস্যরা প্রায় ৭০ জনের একটি দল নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করছে। আগুনের লেলিহান শিখা এবং কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উঠতে দেখা যায়।

এই পরিস্থিতিতে, ১২০টি উড়োজাহাজ হিথ্রোর উদ্দেশে আকাশে রয়েছে, কিন্তু সেগুলোর বেশ কিছু অন্য বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিমানবন্দরটি ২১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে, তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ কবে স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাতিল হচ্ছে শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
বাইতুল মোকাররমে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার বিচার দাবিতে মিছিল
হিথ্রো বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড, হাজার হাজার যাত্রী আটকা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ট্রাম্পের ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে: হোয়াইট হাউস
ওমরাহ থেকে ফিরে অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা বর্ষার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে এক সপ্তাহে ২৪৯ অপরাধী গ্রেপ্তার
ভিজিএফের চালের বস্তায় শেখ হাসিনার নামে স্লোগান; স্থানীয়দের ক্ষোভ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকিরকে সাময়িক বরখাস্ত
ভিনিসিয়ুসের শেষ মুহূর্তের জাদুতে ব্রাজিলের রোমাঞ্চকর জয়
ইউনূস-মোদি বৈঠকের জন্য দিল্লির কাছে ঢাকার চিঠি
কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৫ জন নিহত, তিনদিনে প্রাণ গেল ৬০০ ফিলিস্তিনির
আত্মপ্রকাশ করলো সাবেক সেনা কর্মকর্তা-আমলাদের ‘জনতার দল’
১৯৪ জন উপসচিবকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি
ভোরে মাঠে নামছে ব্রাজিল, যেমন হবে একাদশ
মার্চে রেমিট্যান্সে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ
ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার
হামাসের রকেট হামলায় কাঁপল ইসরাইল, বিমান চলাচল ব্যাহত
কবরস্থানের মালিকানা নিয়ে বিরোধে মারামারি, আ.লীগ নেতার মৃত্যু
চাহালের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি, ৫ কোটি টাকার ভরণপোষণ পেলেন ধনশ্রী