শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

সেই ছেলেটি

১৯৭১ সাল। চট্টগ্রামের পাহাড়তুলি গ্রামের শিশু রাজ। তার মা রোকশানা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করেন, বাবা রহমত আলি একজন সামান্য দিনমুজুর। তার ছোট বোন রহিমা প্রথম শ্রেনীতে পড়ে। রাজ পড়ে নবম শ্রেনীতে।হঠাৎ একদিন তাদের গ্রামের দিকে কারা যেন গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে আসছিলো। তাদের গুলির প্রথম স্বীকার হলো রাজের বাবা রহমত আলি। মাঠ থেকে ফেরার পথে গুলির আঘাতে নদীর ধারে মুখন থুবড়ে পড়ে গেল। তার মা রোকশানা বেগম এইক খবর পেয়ে ছুটে যাচ্ছিলেন কিন্তু পৌছাতে পারলেন না। একটা গুলি এসে লাগলো তার বুকে।মৃত্যুবরণ করলেন তিনি।

বাবা মাকে হারিয়ে ভেঙ্গে পড়লো রাজা। কিন্তু তার বাবা -মাকে কে বা কারা মারলো কিছুই বুঝতে পারলোনা সে। পরেরদিন তার বাবার বন্ধু আবুল চাচাকে জিজ্ঞেস করলো তার বাবা-মাকে করা বা কেন মারল। চাচা বললেন গ্রামে পাকিস্তানি মিলিটারি এসেছে। তারা আমাদেরকে স্বাধীনতা দিতে চাই তাদের বিরুদ্ধে আমরা মাঠে নেমেছি বলে তারা আমাদের ওপর অত্যাচার করছে।যুদ্ধ করতে হবে, দেশকে দস্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। রাজ অবাক হয়ে বলল যুদ্ধ কি চাচা। আবুল হোসেন বলেন যুদ্ধ হচ্ছে লড়াই। পাকিস্তানিরা আমাদের স্বাধীন হতে দিতে চাই না। তারা আমাদের শোষণ করতে চাই। এই বলে চলে গেলেন আবুল হোসেন। রাজ বাবা মাকে হারিয়ে ভেঙ্গে পড়লেও তার মনে জেগে উঠলো এক নতুন স্বপ্ন।। সে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে হঠাৎ দেখলো গ্রামের লোকজন জিনিসপত্র নিয়ে কোথায় চলে যাচ্ছে। সে তার সামিয়া পিসি কে বললো তারা কোথায় যাচ্ছে। পিসি বলল "গ্রামে মিলিটারি এসেছে সবাইকে অনেক মারধোর করেছে তাই গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তোরা আমার সঙ্গে চল।"সামিয়া পিসির ছেলে মেয়ে নেই। রাজের মা তার বাড়িতে কাজ করতো তখন থেকেই তাদের ভাই -বোনকে তিনি খুব ভালোবাসতেন। রাজ হেসে বলল আমি যাব না। দেশের জন্য যুদ্ধ করবো।

পিসি তার ওপর রেগে বলল শোনো ছেলের কথা এইটুকু ছেলে তুই আবার কিসের যুদ্ধ করবি। গ্রামের সবাই চলে যাচ্ছে আর তুই কি-না যুদ্ধ করবি। চল আমার সাথে কিন্তু রাজ বললো না আমি যাবোনা। রাজ কে কিছুতেই নিয়ে যেতে না পেরে পিসি রহিমা কে নিয়ে চলে গেলো। সেইদিন রাতে রাজ তার বন্ধু রবিন,সিয়াম,রাহাত সবাইকে যুদ্ধ করতে হবে বলে রাজি করলো। রাহাতদের বাড়ির রেডিও দিয়ে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনলো,"এইটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।" সকালে তারা মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার শফিকুদ্দিনের সাথে দেখা করে বলল আমরাও যুদ্ধ করবো।কমান্ডার তাদের মানসিকতা দেখে খুশি হলেন।তাদের কে অস্ত্র দেখাশোনার দায়িত্ব দিলেন। কিন্তু রাজ যুদ্ধ করবে অস্ত্র চালানো শিখবে এইসব ভেবে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই কমান্ডার পাশের গ্রামে যেখানে অস্ত্র প্রশিক্ষণ চলছিলো তাদেরকে সেখানে পাঠিয়ে দিলেন। রাজ খুব সহজেই অস্ত্র চালানো শিখে গেল। কমান্ডার প্রধান অনেক খুশি হলেন।

১১মে সে ১০জন মুক্তিযোদ্ধার সাথে যুদ্ধে নেমে পড়ে। সেইদিন রাজ অনেক সাহসিকতার পরিচয় দেখায় শফিকুদ্দিন তাকে কিশোরদেরর ক্যাপ্টেন বানালেন।পরের দিন, ১৫ জন একসাথে মিলে বের হলো যুদ্ধে। তারা একটা গোপন স্থান তৈরি করেছিল। যেখানে ওপরে ছিলো কাঠের পাটাতন এবং মাটির নিচে ঘরের মতো গর্ত। তার সামনে ছিলো উঁচু বন। প্রায় এক হাজার সৈন্য নিয়ে পাকিস্তনিরা হাজির হলো রাজ পিছন থেকে গুলি ছুড়তে থাকে। তারা কয়েকজন করে চার দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রচন্ড গুলির আঘাতে অনেকে নিহত হয় কিন্তু তাদের গুপ্ত স্থান বুঝতে না পারায় চারদিকে গুলি ছুড়তে শুরু করলো। পাকিস্তানিদের তুলনায় তারা অনেক কম থাকায় চারদিকের গুলির তোড় সহ্য করতে না পেরে অনেকেই নিরাপদ স্থানের দিকে চলে গেলো।

রাজকেও সবাই যেতে বললো কিন্তু সে যেতে রাজি হলো না। অসীম সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ চালিয়ে গেলো। কিন্তু শত শত অস্ত্রকে একটা অস্ত্র দিয়ে দমিয়ে রাখা সম্ভব না। এইটা বুঝেও পিছু সরে যাই নি সে। কিছুক্ষণ পর একটা গ্রেনেড এসে লাগলো তার বুকে। মুখ থুবড়ে পড়লো মাটিতে। কাঠের পাটাতনের মুখ খোলা ছিলো গড়িয়ে পড়লো গর্তে। তার বন্ধুরা তাকে ধরাধরি করে সরিয়ে নিয়ে গেলো। ঝর ঝর করে রক্ত ঝরছিলো। মৃত্যুশয্যায় তার মুখ দিয়ে একটি শব্দ ভেসে আসছিলো বাংলাদেশ, স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন নিয়ে ঝরে গেলো একটা প্রাণ। পৃথিবীর বুক থেকে বিদায় নিলো সেই ছেলেটি।

 নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ, রাজশাহী

 

ডিএসএস/ 

আজকের ইফতারের সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

রাস্তা থেকে ৩০০ ফুট খাদে পড়ল গাড়ি, নিহত ১০

ছবি: সংগৃহীত

শ্রীনগর-জম্মু মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি যান খাদে পড়ে ১০ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাত দেড়টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং গাড়িটি রামবান জেলার ‘ব্যাটারি চেশমা’ নামক স্থানে ৩০০ ফুট একটি খাদে পড়ে যায়।

হতাহতরা অভিবাসী শ্রমিক এবং তারা শ্রীনগরে যাচ্ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে, মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীরা এবং পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

হতাহতের এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। নিহতদের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এক্সে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, রামবনে দুর্ভাগ্যজনক সড়ক দুর্ঘটনার খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত, যাতে মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছে। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আমি জেলা প্রশাসক ও ডিভি কম-কে নির্দেশ জারি করেছি, নিয়ম অনুসারে ক্ষতিগ্রস্তদের আত্মীয়দের সব ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকায় যাত্রীবাহী একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) নিচে খাদে পড়ে অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর বিবিসি’র।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লিম্পোপো রাজ্যে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে সেতুর ওপর দিয়ে নিচে পড়ে যায়। এরপর মাটিতে পড়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।

চট্টগ্রামে জুতা কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট

চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় আগুন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বায়োজিদের একটি জুতা কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে টেক্সটাইল মোড়ের ‘রং দা ইন্টারন্যাশনাল’ নামের ওই কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে বায়েজিদের একটি জুতার কারখানায় আগুনের সংবাদ পাই। এর ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। শুরুতে চারটি ইউনিট কাজ শুরু করলেও এখন ১২টি ইউনিট কাজ করছে।

প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি এ ফায়ার কর্মকর্তা।

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত

দুর্ঘটনায় নিহত জিয়াউল হক জিয়া। ছবি : সংগৃহীত

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহত যুবকের নাম জিয়াউল হক জিয়া (৩২)। তার বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী।

গত ২০ মার্চ সৌদি আরবের রিয়াদে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে কিং ফাহাদ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি।

জিয়াউল হক জিয়া উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মধ্যম সুলতানপুর গ্রামের হাজী এছহাক আহম্মদ বাড়ির মৃত আবু আহম্মদের ছোট ছেলে।

নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির জিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

রাস্তা থেকে ৩০০ ফুট খাদে পড়ল গাড়ি, নিহত ১০
চট্টগ্রামে জুতা কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত
বিএনপি ইফতার পার্টি করে মিথ্যাচার চালাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে লরি-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
সন্তানের মুখ দেখার আগেই ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল বাবার
আগুনে পুড়লো ‘ভূঞাপুর থানা’ মার্কেটের ৪ দোকান
পছন্দের শীর্ষে ভারতীয় নায়ক-নায়িকাদের নামে দেশে তৈরি পোশাক
‘জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কথা হয়নি’
প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা আজ
সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রী নিহত, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত
ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস নিয়ে অশ্লীল খেলায় মেতেছে ইসরায়েলি সেনারা
যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরোধিতা করায় সাংবাদিকের কারাদণ্ড
বাতিঘরের শ্যুটিংয়ে হিমাচলে শিরোনামহীন ব্যান্ড
যৌনস্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখুন এ সব
গাজায় নিহত আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি
৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু আজ
ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫