শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৩

বিষাদ বসুধা

এতো লোকের অফিসে আসার দরকার নেই। যাদের অফিসে আসা খুব প্রয়োজন তারা ছাড়া সবাই ছুটিতে থাকবে। তালিকা বানান দ্রুত। তারপর আমি নোটিশ করে দিচ্ছি। তালিকা তৈরি করতে কতক্ষণ লাগবে বলেন তো?

আজকের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করব।

দেখেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করে ফেলেন।

জি ম্যাম।

তাহলে যান। তালিকা তৈরি করেন। প্রয়োজনে আমি পুরো অফিসই বন্ধ রাখব। বুঝতে পারছেন?

জি ম্যাম।

এসময় টেলিফোনের রিং বাজে। মোহিনী ফোন ধরার জন্য হাত বাড়ায়। আর ইশারায় আবুল কালামকে চলে যেতে বলে। ফোনের রিসিভার কানে তুলতেই মোহসীন আলীর কণ্ঠস্বর শুনতে পেল সে। মনে মনে তার কথাই সে ভাবছিল। মোহসীন আলী কিছু বলার আগেই মোহিনী বললেন, বাবা আমি তোমাকে ফোন করার কথাই চিন্তা করছিলাম।

তাই নাকি মা?

হ্যাঁ বাবা।

তাহলে আগে তোমার কথা শুনি। তারপর আমি বলছি।
তোমার অফিসে কি ছুটি দিয়ে দিয়েছ? নাকি এখনো খোলা রেখেছ?

সীমিত আকারে খোলা। অনেকে বাসায় বসে কাজ করছে। আবার অনেকে পুরোপুরি ছুটি কাটাচ্ছে।
ছুটিতে থাকলেও বেতন তো দিচ্ছ?

অবশ্যই। বেতন দেবো না কেন? এতে তো কারো হাত নেই; তাই না? প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলতে পারো। দুর্যোগে আমরা আমাদের সহকর্মীদের পাশে থাকব না!

আমি এটাই তোমার কাছ থেকে আশা করেছিলাম বাবা।

কি যে বলো! শোন, আমার ব্যবসার বয়স পঁচিশ বছর। তুমি তো জানো, অনেক ছোট অবস্থা থেকে আমি বড় হয়েছি। বাবা ছোট একটা জুটমিল রেখে গিয়েছিলেন। সেটার অবস্থাও তেমন ভালো ছিল না। আমার সহকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠান বড় হয়েছে। সুখ দুখে এরাই ছিল আমার সহযাত্রী। এখন একটা দুর্যোগ এসেছে। সারাবিশ্বই এই দুর্যোগের শিকার। বিপদের সময় সহকর্মীদের পাশে থাকাই যে আমাদের কর্তব্য মা।

জি বাবা। আমিও এটাই করেছি। কারো বেতন কাটা কিংবা বেতন ছাড়া ছুটিতে পাঠানোর কাজটি আমি করিনি।

কেন করবে? তুমি আমার মেয়ে না! শোন, এজন্য আমি তোমাকে ধন্যবাদ দেব না। তুমি আমার মেয়ে। আমাদের শরীরে মানুষের রক্ত; অমানুষের নয়। আমাদের সামনে কঠিন পরীক্ষার সময়। আমরা কতটা মানবিক তা এখনই প্রমাণিত হবে। সময়ের পরীক্ষায় আমাদের উত্তীর্ণ হতে হবে।

জি বাবা। আমি তোমার সন্তান। এটা আমার অনেক গৌরবের।

ধন্যবাদ মা। প্রয়োজন মনে করলে অফিস বন্ধ করে দাও। সুযোগ আমাদের কাছে এসে ধরা দেবে। অবশ্যই ধরা দেবে। তুমি দেখ।

ঠিক আছে বাবা। আমি সেভাবেই করছি। আমার জন্য দোয়া করো বাবা।

অবশ্যই মা। আমি এখন রাখছি।

মোহসীন আলী ফোন রাখলেন। মোহিনীও ফোন রেখে অফিসের কাজে ব্যস্ত হয়ে গেল।

আসিফ আহমেদ মোহিনীর বন্ধু। তিনি পেশায় সাংবাদিক। একটি প্রভাবশালী পত্রিকার সম্পাদক। তাদের মধ্যে কালেভদ্রে কথাবার্তা হয়। দেশের পরিস্থিতি জানার জন্য মোহিনীই তাকে ফোন করেন। নানা বিষয় সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। আজ আসিফই মোহিনীকে ফোন করেন। তার ফোন পেয়ে বিস্মিতই হন মোহিনী।

আরে আসিফ! কি মনে করে?

বিস্মিত হয়েছ মনে হচ্ছে?

বিস্মিত হবো না? তুমি কি কখনো নিজের থেকে আমাকে ফোন দিয়েছ? আমিই তোমাকে সময় সময় বিরক্ত করি।

কি যে বলো! আমি কি কখনো বিরক্ত হয়েছি?

তা হওনি। তবে তুমি খুব একটা ফোন করো না; এটা ঠিক।

তা মানছি। কেমন আছো বলো?

আমি ভালো আছি। তবে ব্যবসার অবস্থা তো বোঝই। খুবই সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। তোমাদের খবর বলো।

করোনায় সবচেয়ে বড় সংকটে পড়েছি আমরা।

কি রকম?

করোনার কারণে পত্রিকার সার্কুলেশনে তো ধস নেমেছে। বিজ্ঞাপনেও ভয়ংকর ধস। চিন্তাও করতে পারবে না কি পরিমাণ আয় কমেছে।

বলো কি!

আমাদের প্রতি মাসে এখন সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ হয়। অথচ বিজ্ঞাপন থেমে আয় মাত্র এক কোটি।

মাই গড!

তারপর শোন, সার্কুলেশন থেকে যে আয় হয় তা ট্রান্সপোর্ট খরচ বাবদ চলে যায়।

তার মানে পত্রিকা বিক্রি থেকে কোনো টাকা পাও না?

একদমই না। সারাদেশে পরিবহন খরচ বাবদ বিশাল একটা অংক চলে যায়। ফলে পত্রিকা বিক্রির টাকা ঘরে আসে না। আমি করোনাকালের কথা বলছি। করোনার আগে ভালো আসতো।

হুম। তার মানে আড়াই কোটি টাকা লোকসান?

তাহলে আর বলছি কি? আগে প্রতি মাসে আড়াই, তিন কোটি টাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন আমরা পেতাম। এখন এক ইঞ্জি বিজ্ঞাপনও পাই না। অনলাইনে যা পাওয়া যাচ্ছে, তার পরিমাণ খুব কম। সুতরাং টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়েছে।

বলো কি? এতো ভয়াবহ বিপদ!

হুম। কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক ছাঁটাইয়ের চাপ দিচ্ছে। কি যে করবো বুঝতে পারছি না।

ছাঁটাই! সে কি! এখন মানুষ এমনিতেই বিপদে আছে। এই বিপদের সময় ছাঁটাই করবে?

তোমরা কি করেছ বলো তো?

আমরা? আমরা ছাঁটাইয়ের চিন্তাও করিনি। ব্যবসা অনেক করেছি। এখন বেঁচে থাকার সময়। মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর সময়। আমরা মুখে বলবো, মানুষ মানুষের জন্য। আর কাজ করবো তার উল্টোটা; তা হয় না। আমি সবাইকে বলে দিয়েছি, তোমরা ছুটি কাটাও। অনেক সময় তো প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছ। প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক কিছু করেছ। তোমাদের শ্রম-ঘাম-মেধায় প্রতিষ্ঠান মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এবার ফ্যামিলিকে সময় দাও। প্রতিষ্ঠান তোমাদের পাশে থাকবে। কারো বেতন কাটা হবে না। চাকরিও যাবে না।

বাহ! অসাধারণ!

শোন, এখন একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসেছে বলে তাদের ফেলে দেবো? এতে কি কর্মীদের কোনো হাত ছিল? নাকি তারা এই দুর্যোগ ডেকে এনেছে?

আসিফ আহমেদ চুপ করে আছে। কোনো কথা বলছে না। মোহিনী আবার বলতে শুরু করে। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দুটি নীতি নিয়ে চলে। সততা আর মানবিকতা। আমার বাবাও তাই।

বলো কি!

হ্যাঁ।

তুমি সত্যিই অনেক মানবিক। আমি এখন রাখছি। পরে আবার কথা বলব।

আসিফ ফোন রাখার পর মোহিনী আর কাজে মন বসাতে পারলেন না। তিনি গভীর ভাবনায় ডুবে গেলেন।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১১

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

আরএ/

২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস শনাক্ত। ছবি: সংগৃহীত

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৯৪ জন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৮৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৩টি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ আইসোলেশনে আসেনি এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পায়নি। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৬৬ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭১৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৫১ জন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। টানা চারদিন ধরে ৪০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩ টার সময় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র তাপপ্রবাহে শুকিয়ে গেছে পুকুরের পানি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে হিট ওয়েভ অ্যালার্ট জারি করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। মাইকিং করে বলা হয়, খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হতে।

দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে চরম গরম অনুভূত হচ্ছে। রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। রোদের তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশ। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

গরম থেকে বাঁচতে পানিতে নেমেছেন শিশু-কিশোররা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, ‘তীব্র তাপদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, আপাতত বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না।’

২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।

গাছের ছায়ায় বসে আরাম করছেন ক্লান্ত মানুষজন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আশু মিয়া ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, প্রচণ্ড গরমে মাঠে জমিতে কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। ভ্যাপসা গরমে বেশিক্ষণ মাঠে অবস্থান করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমিতে সেচ দেওয়ার পরও মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে।
কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুজন আলী বলেন, সকালে কাজের জন্য অফিসে আসতে হয়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। সড়ক থেকে গরম উঠে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। বাইরে বেশি সময় অবস্থান করা যাচ্ছে না।

উথলী গ্রামের শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, বারবার পানি পান করেও তৃষ্ণা মেটানো যাচ্ছে না। বৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন। পরিবেশের ভারসাম্য বাজায় রাখতে গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই। ৪০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে প্রতিদিন।

এদিকে চুয়াডাঙ্গাতে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শক্রমে চুয়াডাঙ্গাতে বৃহস্পতিবার ৭২ ঘণ্টার জন্য হিট ওয়েভ অ্যালার্ট (তীব্র তাপদাহের সতর্কতা) জারি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় তথ্য অফিসের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধন করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। এই গণসংযোগ চলবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজপথের আন্দোলনে বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশী, সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন কেউই আমাদের দাওয়াতের বাইরে থাকবে না। আর সর্ব প্রথম দাওয়াত হবে নিজের নফসের প্রতি। আমাদের কথা ও কাজে যেন অমিল না থাকে। যেটা মানুষকে করতে বলব, সেটা যেন আমি নিজে আগে আমল করি।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি জনশক্তির কথাবার্তা, লেনদেন, সামাজিক কাজকর্ম আল্লাহর দ্বীন বা কোরআন অনুযায়ী হতে হবে। যতই বাঁধা আসুক আমরা ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাব। মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তাহলেই আমাদের দাওয়াত কার্যকর হবে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে অনলাইন মাধ্যম জুম, ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভ-এ ঈদপুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনে এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, রমজানের প্রকৃত শিক্ষাকে আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে হবে। যারা রমজানে তাকওয়া অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন মূলত তাদের জন্যই ঈদের আনন্দ। আমীরে জামায়াতের ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে ১৫ দিনব্যাপী গণসংযোগ পক্ষ চলবে।

সর্বশেষ সংবাদ

২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
শহরে কৃষক লীগের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না: ওবায়দুল কাদের
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০
পালিয়ে আসা ২৮৫ সেনা সদস্যকে ২২ এপ্রিল ফেরত নেবে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
বিমানবন্দরের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে পড়ল বাস, প্রকৌশলী নিহত
১০ হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক লুৎফুলকে শোকজ করল আওয়ামী লীগ
হামলার পর ইসরায়েলকে যে হুমকি দিল ইরান
আওয়ামী লীগ দেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
স্বচ্ছতার সাথে অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তীব্র গরমের মধ্যেই ঢাকাসহ তিন বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস
ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, সন্দেহের জেরে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহত
রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন