শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৫

যারা যুদ্ধ করেছিল

ভাবনাটা এমনভাবে মাথায় জট পাকাচ্ছে যে রাতে তার ঘুম উবে গেল। একটানা একই ভাবনা। হঠাৎ তার মনে হলো মমিন ব্যাপারটা জানলে কি ভাববে? মমিন তার বন্ধু। পরক্ষণে তার মনে হলো, কোথায় মমিন? তার কি আর সশরীরে ফিরে আসার সুযোগ আছে? সাকিব নিজে নিজেই বলে, অসম্ভব। দেশ কোনোদিন স্বাধীন হবে না। মমিনও কোনোদিন ফিরে আসতে পারবে না। আসলে নির্ঘাত তার মৃত্যু।

সাকিবের এখনকার ভাবনা কীভাবে সাথীকে সে কাছে পাবে। নানাভাবে কাছে পাওয়ার কৌশল নিয়ে সে ভাবতে থাকে।

সকালে ঘুম ভাঙলো বেলা করে। রাত কেটেছে নির্ঘুম। উঠে সাকিব হাঁটতে হাঁটতে সাথীদের বাড়ির দিকে যায়। দেখা হয় সাথীর বাবা করিম মিয়ার সঙ্গে। করিম মিয়া চরায় যাচ্ছিল কাস্তে হাতে। হ্যাংলা পাতলা করিম মিয়ার থুতনিতে একগোছা দাড়ি। পাক ধরেছে। মাথায়ও কাঁচা-পাকা চুল। বেশির ভাগ অংশ ফাঁকা। মাথায় গামছা পেঁচিয়ে সে যাচ্ছিল চরার দিকে। সাকিব দেখে সালাম দিলে করিম মিয়া দাঁড়িয়ে সালামের জবাব দেয়। সাকিব তার ছেলের বন্ধু। সময় এখন তাদেরই। তার বাবা পাকিস্তানি মিলিটারিদের সঙ্গে চলা-ফেরা করে। বিরাট ক্ষমতা। তার ছেলেকে সমীহ না করে উপায় আছে?

‘বাবা কেমন আছ তুমি? করিম মিয়া মিষ্টি করে শুধায়।

‘আছি চাচা মোটামুটি। আপনারা কেমন আছেন?’

‘কেমন আর থাকব বাবা। সারাক্ষণ নানা দুশ্চিন্তায় থাকি। তোমার চাচীতো সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে।’

‘করারই কথা। মমিন এমন একটা কাম করবে আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। মমিনের জন্য এখন আপনাদেরও নানা বিপদ। আমার বেশি ভাবনা সাথীকে নিয়ে। যুবতী মেয়ে। কে কখন বলে দেয় মমিন ইন্ডিয়া গেছে, দুস্কৃতিকারির খাতায় নাম লেখাইছে। তাহলেতো মহা বিপদ। কি বলেন চাচা?’ সাকিবের প্রশ্নে করিম মিয়া ঘাড় নেড়ে মাথা নামিয়ে থাকে। আর কি বলবে। বলার মতো কথা খুঁজে পায় না।

সাকিব বলে, ‘চাচা, একটা কথা বলব। কথাটা না বলেও পারছি না। বলতেও খারাপ লাগছে। কীভাবে যে বলব, তাই ভাবছি।’

‘তুমি বাবা সোজাসুজি বলো। তুমিতো আমাদের পর না।’

‘ঠিকই বলেছেন। আমি আপনাদের আপনার মানুষ। আপনার মানুষ হিসেবেই কথাটা বলছি। ব্যাটাদের নজর পড়েছে আপনার মেয়ে সাথীর উপর। ওরা সাথীকে তুলে ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চায়। আব্বা তাদের ধমক দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে। তাদের কথা, ওর ভাই আমাদের বিপক্ষে, মুসলমানের দেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ত্র ধরেছে। আমরা তার বাড়িঘর লুট করব। সাথীকে তুলে নিয়ে আগে ধর্ষণ করব তারপর ক্যাম্পে জমা দেব। কথাগুলো আমি নিজের কানে শুনেছি চাচা। শুনে স্থির থাকতে পারিনি। আমার মাথা চক্কর দিচ্ছিল। সাথী আমার বন্ধুর ছোট বোন। তারমানে সে আমারও ছোট বোন। তার এই অবস্থা আমি কীভাবে মেনে নেব চাচা, আপনি বলুন?’  

করিম মিয়া কান্না গলায় বলে, ‘তুমি আমার মেয়েকে রক্ষা করো বাবা। আমি ঘুনাক্ষরেও টের পাইনি মমিন যুদ্ধে যাবে। টের পাইলে কি ওরে আমি এই অবস্থায় যুদ্ধে যাইতে দিতাম? ওর মাতো সারাক্ষণ এই ভাইবা কান্দে। তুমি আমার মেয়েটাকে বাঁচাও বাবা।’

‘মা বলতে ছিল সাথীকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসতে। মায়ের শরীরটা খারাপ। মাকে একটু দেখাশোনা করল। সেই সঙ্গে সাথী আমাদের বাড়িতে থাকলে কেউ আর ওকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতে পারবে না। আপনি কি বলেন চাচা?’

কথাটা ঝড়ের গতিতে সাকিব বলে করিম মিয়ার প্রতিক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করে।

করিম মিয়া বলে, ‘এটাতো খুবই ভাল কথা। সাথীকে নিয়াইতো আমাদের বেশি চিন্তা। তোমাদের বাড়ি থাকলে আমাদের আর ভাবনার কিছু থাকবে না। সাথী তোমাদের বাড়িতে থাকা আর আমাদের বাড়ি থাকা একই কথা।’

সাকিব কায়দা করে বলে, ‘চাচা এক কাম করেন। আপনি বাড়ি গিয়া চাচির সঙ্গে পরামর্শ করে যেটা ভাল হয় সেইটা করেন।’

‘ঠিকই বলেছ বাবা। আমি অহনই যাইতাছি সাথীর মায়ের সাথে পরামর্শ করতে।’

করিম মিয়া দ্রুত বাড়ির পথ ধরে। সাকিব মুচকি হেসে সকালের মেঘমুক্ত আকাশ দেখে। আষাঢ় মাস শুরু হয়েছে। প্রতিদিন বৃষ্টি ঝরছে। আজ আকাশ নির্মল। এমন নির্মল আকাশ সচরাচর দেখা যায় না। সাকিব মনে মনে সাথীকে নিয়ে ভেবে নিজে নিজে ব্যাকুল হচ্ছে।

করিম মিয়াকে ফিরে আসতে দেখে সাথীর মা রমিছা বিবি অবাক বিস্ময়ে তাকায়। ‘কি অইলো ফিরা আইলেন ক্যা?’

‘তোমার সঙ্গে একটা পরামর্শ করতে আইলাম।’ করিম মিয়া কাঁচি বেড়ার বাতায় গুঁজে রেখে বারান্দায় এসে মাটিতে ঠেস দিয়ে বসে।

‘কি পরামর্শ?’ ভয়ার্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে রমিছা বিবি।

করিম মিয়া সব ঘটনা খুলে বলে। সাকিবের সঙ্গে কি কি কথা হয়েছে, সাকিব কি পরামর্শ দিয়েছে একে একে সব বিস্তারিত বলে করিম মিয়া। রমিছা বিবি সব শুনে লম্বা করে শ্বাস ফেলে। কান্না গলায় বলে, ‘শেষপর্যন্ত মেয়েটার কপালে এই আছিল।’ বলতে বলতে শব্দ করে শ্বাস ফেলে। কাপড়ের আঁচল দিয়ে চোখ মোছে। করিম মিয়া ধমকে বলে, ‘কান্নাকাটির কি অইলো, আমিতো কিছুই বুঝতাছি না।’

‘আপনি বুঝবেন কি? আপনি কি মাইয়া মাইনষের সব কিছু বোঝেন?’

‘মাইয়া মাইনষের সব কিছু আবার কি?’ করিম মিয়া বোকার মতো প্রশ্ন করে উদাসভাবে তাকিয়ে থাকে। রমিছা বিবি বলে, ‘আপনি আপনার কামে যান। আপনার এতো কিছু বোঝা লাগবে না।’

‘বোঝা লাগবে। আমাকে একটুপর সাকিবকে রেজাল্ট জানাতে হবে। মাথার খাড়া বিপদ নিয়ে কামে যাই কেমনে?’

এইসময় সেখানে আসে সাথী। সে পাশের বাড়িতে গিয়েছিল ধান শুকাতে। সামান্য আউস ধান পেয়েছে করিম মিয়া। নিজেদের উঠোন না থাকায় পাশের বাড়ির উঠোনে সেদ্ধ ধান শুকাতে নিয়ে গেছে সাথী। তাকে সাকিবের বলা কথা সব খুলে বলে করিম মিয়া। সব শুনে সাথী বলে, ‘বাজান চলো আজই আমরা নানার বাড়ি গিয়া আশ্রয় নেই।’                   

‘সেখানে রাজাকার নাই?’ কঠিন গলায় প্রশ্ন করে করিম মিয়া।

‘শুনছি ওখানে নিরাপদ। ভাইয়াও তাই বলে গেছে।’

মমিনের কথা শুনে করিম মিয়া তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। ‘ওই হারামখোরের কথা আর কইস না। তার জন্যে আজ আমাদের এই দুর্দশা।’

‘দুর্দশা বলছো কেন বাজান, আমারতো গর্ব হচ্ছে।’

‘গর্ব না ছাই। ওর নামই নিস না।’

‘ঠিকআছে নিমু না। নানার বাড়ি যাইতেতো অসুবিধা নাই।’

‘আছে। পরিষ্কার করে কইতাছি আমাকে অন্য কোথাও যাইতে কইস না।’

‘গেলে অসুবিধা কি?’

‘সেখানে গিয়া খাবি কি? তোর নানারা নিজেরাই ভাত পায় না। একবেলা খায়তো দুই বেলা উপাস থাকে। আমরা গিয়া তাদের বিপদ আরও বাড়াইতে চাস?’

‘তাইলে সাকিবের কথা মতো ওগো বাড়ি সাথীরে পাঠাইতে চান?’ রমিছা বিবি জিজ্ঞেস করে। 

করিম মিয়া আমতা আমতা করে বলে, ‘গিয়া থাক না কয়দিন। পরে অবস্থা বুইঝা ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৪

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-৩

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-২

যারা যুদ্ধ করেছিল: পর্ব-১

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ৪১.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

আজ শুক্রবার (৯ মে) বিকেল তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে দুপের ১২ টায় তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রর্তা ছিল ৩৩-২৪%। বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ। রোদের তেজ আর গরমে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

প্রখর রোদের তাপদাহে তেঁতে উঠেছে প্রকৃতি। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো জেলা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত সুর্যের তীব্র তেঁজে পুড়ছে প্রকৃতি। দুপুরের রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। রাতের তাপমাত্রাও বাড়ছে।

এর আগে চলতি গ্ৰীস্ম মৌসুমে ২৩ ও ২৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যথাক্রমে ৩৬ দশমিক ৬ এবং ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়ছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছয়ায় আশ্রয় খুঁজে ফিরছেন পথচারী মানুষ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন।

বেশ কয়েকজন খেটে খাওয়া দিনমজুর জানান, গত দুই দিন অসহনীয় গরম পড়ছে। আজ রোদের তীব্রতা অনেক। খুব কষ্ট হচ্ছে কাজ করতে। দুপুর হলেই ক্লান্তিতে শরীর চলছে না। বিকেলের আগেই বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে। এমন গরম পড়লে কাজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় বিচ্ছিন্ন ভাবে দু'একদিন হালকা বৃষ্টির দেখা মিললেও তাতে গরম কমার মত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। 

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান,  আগামী কয়েকদিন  এ জেলার তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে।   ১৪ মে'র পর বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। তারপর তাপমাত্রা কমতে পারে। 

Header Ad
Header Ad

কাশ্মীরে ফের বিএসএফের গুলি, ৭ পাকিস্তানি নিহত: দিল্লির দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদী

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা আবারও নতুন মাত্রা পেয়েছে। কাশ্মীর সীমান্তে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে সাত পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়েছেন। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিহতদের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে দাবি করেছে।

ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বিএসএফ সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে, ওই রাতে কাশ্মীরের সাম্বা জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে কয়েকজন ‘অনুপ্রবেশকারী’ ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। তাদের গতিবিধি নজরে আসলে সতর্ক অবস্থানে থাকা বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই সাতজন নিহত হন বলে জানানো হয়।

বিএসএফের দাবি, নিহতদের সঙ্গে ছিল অস্ত্রশস্ত্র, এবং তাদের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনা পোস্টের ‘যোগাযোগ ছিল’। গুলির ঘটনায় পাকিস্তানি পোস্টেও ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় বিএসএফ। সংস্থাটি হামলার একটি ভিডিও-ও প্রকাশ করেছে, যা নিয়ে সীমান্ত দুই পাশে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

ঘটনার পর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এমন ঘটনা দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়াতে পারে।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। হামলা-পাল্টা হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপন না হলে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির টিন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৪-৫ টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কাঁচা দোতলা বাড়ির টিন উড়ে গেলেও হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের চৌরা সমাসপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা গেছে, চৌরা সমাসপুর এলাকায় মৃত নাসির উদ্দীনের মাটির বাড়ির দোতলায় গতকাল রাত সাড়ে দশটার দিকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ওই এলাকার বাসিন্দারা। ককটেল বিস্ফোরণের পর থেকে নাসিরের বৃদ্ধা স্ত্রী লায়লা বেগম আত্মগোপনে রয়েছেন।

ওই এলাকার তাহেরুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাঈম, আসলামুল বলেন, কিভাবে ককটেল সদৃশ ৪-৫ টি বস্তুর বিস্ফোরণ ঘটলো তা নিয়ে আতঙ্কিত তাঁরা। এতে টিনের চালা উড়ে গেছে। কে বা কাহারা ককটেল নিয়ে এসেছে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধূম্যজাল। তবে অনেকে বলছেন ধান কাটার শ্রমিকরা ওই বাড়িতে থাকতেন। তাদের মাধ্যমেও আসতে পারে অথবা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা থেকে ককটেল মজুদ করেছিল।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

তবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, ওই বাড়িতে জেলে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন বাবরের ভাই আকতার হোসেন কয়েকদিন থেকে যাতায়াত করছিলেন। তার গতিবিধিও সন্দেহজনক। তিনি এ ঘটনায় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানান।

ঘটনার পরপরই নওগাঁ মান্দা-নিয়ামতপুরের সার্কেল অফিসার জাকির হোসেন ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ওসি বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ৪১.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ
কাশ্মীরে ফের বিএসএফের গুলি, ৭ পাকিস্তানি নিহত: দিল্লির দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদী
নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির টিন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের বিষয় নয়’: যুক্তরাষ্ট্র
দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে যা বলল আবহাওয়া অফিস
আ.লীগ নিষিদ্ধে গুরুত্বের সাথে সরকার বিবেচনা করছে: সরকারের বিবৃতি
টাঙ্গাইলে নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতা রাজ্জাকসহ ২ জন গ্রেফতার
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
এবার অপেক্ষা তারেক রহমানের ফেরার, চলছে জোরালো প্রস্তুতি
পদ্মার এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে
জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর
প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট
একের পর এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ভারত, সীমান্তজুড়ে ব্ল্যাকআউট
নিষিদ্ধ হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগ
অবশেষে গ্রেফতার আইভী
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে পিএসএলের বিদেশি ক্রিকেটারদের দেশত্যাগ শুরু
সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল দুই মাস
মাহফুজ-আসিফ আ’লীগ নিষিদ্ধ চায়, কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কারা: হাসনাত
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও পদ ছাড়লেন স্নিগ্ধ