শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ২

অস্ফুট ভালোবাসা

স্টেশনে তখনো অনেক মানুষ। এরা সবাই ভাসমান। তবে ঢাকার চেয়ে কম। স্টেশনের এক পাশে একটা চায়ের দোকানে তখনো অনেক লোকের আনাগোনা। পুলিশ স্টেশনের গার্ড আর ভাসমানদের কয়েক জন। আমরা এগিয়ে গেলাম চা খেতে। সবাই আমাদের দিকে ফিরে তাকাচ্ছে। একজন জানতে চাইল কোথায় যাবেন? আমি বললাম যাব না কোথাও এখানেই এসেছি। কি বেড়াতে? অনেকটা তাই। লোকটার নাম কাশেম। চা খেতে খেতে পরিচয় হলো। তার বাড়ি কুমিল্লা। বাড়িতে দলাদলি তাই চট্টগ্রাম চলে এসেছে। দিনে ফুটপাতে বসে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করেন। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম ঢাকায় গেলেন না কেন? সবাইতো কাজের খোঁজে ঢাকায় ছুটে। লোকটা সাবলীল গলায় বলে দিল ঢাকায় এত মাইনসের ভিড়! যাইতে ইচ্ছা করে না। আর সবাই যদি ঢাকায় যাইতে চায় তয় অন্য এলাকায় থাকব কে?  আমি ভাই বেশি টাকা পয়সা চাই না। কোনো রকম ডাইল ভাত খাইয়া দিন পার করতে পারলেই অয়। স্টেশনের পাশেই কাশেমের বাসা। সারা দিন কাজ শেষে অনেক রাত পর্যন্ত এখানে বসে থাকে গল্প সল্প করে।
 
রাত গভীর হচ্ছে। স্টেশনে লোকজনও কমে আসছে। ঘণ্টাখানেক পর আমরা আবার স্টেশনের ভিতর ঢুকলাম। তখনও মেয়েটা ওই চেয়ারেই বসে আছে। আমরা চেয়ারে বসার কিছুক্ষণ পরে মেয়েটি মিজানকে ডাকল। মিজানও উঠে গেল। মিজানের ওপর আমার খুব রাগ হচ্ছিল। যে মেয়ে রাত বিরাতে একা স্টেশনে কাটায় সে বিপদের কথা জেনেই কাটায়। তারপরও নেহাত কৌতুহল থেকেই তার কাছে জানতে গিয়েছিলাম। স্টেশনে রাত কাটানোর উদ্দেশ্য কী? আর সে কিনা উল্টো ঝারি মারে।
প্রায় পাঁচ সাত মিনিট পর মেয়েটি আর মিজান আমার দিকে এগিয়ে এলো। মিজানই আমাকে মেয়েটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। ওর নাম স্মিতা। গুলশান বাসা। বাবার
সঙ্গে রাগ করে এখানে চলে এসেছে। মেয়েটি আমার দিকে চুইংগাম এগিয়ে দিয়ে বলল আমার ব্যবহারের জন্য আমি দুঃখিত। কিছু মনে করবেন না। আসলে আমি স্টেশনে আসার পর থেকে একেক বার একেক জন এসে যেচে কথা বলতে চাইছে। এ কারণে আপনাদের সঙ্গে এভাবে কথা বলেছি। তবে এখন একটু ভয় হচ্ছে। একটা অপরিচিত জায়গায় আমার এভাবে আসা উচিত হয়নি। আমি বললাম বুঝতে যখন পেরেছেন তখন এক জায়গায় চুপ করে বসে থাকুন। আমরা সারা রাত এখানে আছি। কিছু প্রয়োজন হলে বলবেন।

স্মিতা বলল। আমার ওপর থেকে এখনো নিশ্চয়ই রাগ সরছে না। ঠিক আছে আপনি আগে রাগ কমান তবেই আমি আপনার সঙ্গে কথা বলব। এ বলে স্মিতা আবার তার জায়গায় গিয়ে বসে পড়ল।

শীতের রাত স্টেশনের ভিতরে তেমন বোঝা যায় না। তবে বাইরে বেশ ঠান্ডা। আমি মিজানকে বললাম তুই ভেতরে থাক। আমি বাইরে ঘুরে আসি। মিজান বলল না চল আমিও যাই একা বসে থাকতে ভালো লাগবে না। ভালো লাগবে বন্ধু ভালো লাগার পথ্য এখানে আছে। তা ছাড়া শীতে কষ্ট আমি একাই করি যেহেতু কাজটা আমার।

চট্টগ্রাম স্টেশনের প্লাটফর্মটি বেশ বড়। এটা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম। নতুন স্টেশনের সঙ্গে পুরাতন স্টেশনের সংযোগ করে এ প্লাটফম তৈরি করা হয়েছে। আমি প্লাটফর্ম ধরে হাটছিলাম। রাত প্রায় দেড়টা। এখনো চায়ের দোকানগুলোতে লোকের ভিড় আছে। পুরাতন স্টেশনে গিয়ে বিডিআরের একটা টিম পেলাম। তারা স্টেশনের পাশে রান্নার আয়োজন করছে। এক জন সদস্যের কাছে কথা হলো। রাঙামাটিতে একটা ট্রেনিং শেষে সকালের ট্রেনে ঢাকা যাবে। আমার পরিচয় পেয়ে আমার সঙ্গে বেশ আলাপ জমালো। আমাকে তাদের রান্না করা খাবার খেতে অফার করল। আমি না করলেও তারা আমাকে ছাড়তে চাচ্ছিল না। পরে অনেক বলে কয়ে তাদের হাত থেকে ছুটলাম। আসলে প্রায় ঘণ্টা দেড় তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হয়েছিল। তাই তাদের সঙ্গে একটা সাময়িক বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল।

ডিসেম্বর মাসের শীত। সবকিছু যেন জমিয়ে ফেলে। একটা চায়ের দোকানে গিয়ে চা চাইলাম। পাশের বেঞ্চিতে একটা লোক বসে আছে। মনে হলো স্টেশনের আশপাশের লোক। চা খেতে থেতে সামনে থেমে থাকা ট্রেনের দিকে চোখ পড়ল। সাধারনত প্লাট ফর্মে রাতে ট্রেন দাড়িয়ে থাকার নিয়ম নেই। কিন্তু নিয়ম ভাঙাই যেন আমাদের কাজ। কেউই নিয়ম মাফিক চলতে চায়না। ওই দিকটা একটু অন্ধকারও। এমন সময় চোখে পড়ল দুইজন তরুণী ট্রেনে উঠছে। আমার কৌতুহল জাগল। পাশের লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম থেমে থাকা ট্রেনে কারা থাকে। লোকটি আমার দিকে তাকিয়ে মুখ ফিরায় ট্রেনটির দিকে। বলে, ‘ওহানে হেতিরা হেগো বেডাগো লগে হুইত্তা থাকে’। আমি অবশ্য ভেবে ছিলাম শীত থেকে বাঁচাতে এ ব্যবস্থা। কিন্তু এখন দেখি তা না। আসলে এরা একটু বেশি ভাসমান। রাতে কোথায় কাত হতে হবে তা নিয়ে ভাবতে হয় না।

প্লাটফর্ম ছেড়ে স্টেশনের ভেতরে ঢুকে দেখি মিজান স্মিতার সঙ্গে বেশ আলাপ জমিয়ে ফেলেছে। আমাকে দেখে স্মিতা উঠে আবার তার আগের চেয়ারটায় গিয়ে বসল। আমিও মিজানকে জেঁকে ধরলাম।

-ভালোইতো মেয়েটাকে একা পেয়ে আলাপ জমিয়ে ফেলেছ।
-না। পারলাম কৈ? আসলে তার কাছ থেকে জানতে চাচ্ছিলাম কোথায় যাবে। এই আরকি।
-তো কি বলল। ওতো বলে আমরা যে কদিন এখানে থাকব এ কদিন সে আমাদের
সঙ্গে ঘুরবে। তারপর ঢাকায় ফিরে যাবে।
-তো তুই কি রাজি হয়েছিস।
-না। আমি তোর কথা বললাম। তুই রাজি থাকলে আমার কোন আপত্তি নেই। আর মেয়েটা আবেগের বশে এত দূর চলে এসেছে। তাকে সেল্টার দেওয়াতো আমাদের দায়িত্ব তাই না।
-দায়িত্ব। তবে সঙ্গে নিয়ে ঘুরানা। মেয়েটি সারারাত এখানে থাকবে আমরা দূর থেকে পাহারা দেব। কোনো সমস্যা হলে এগিয়ে আসব। আমি গার্ডকে বলে দিয়েছি যেন খেয়াল রাখে।
-সে না হয় বুঝলাম। সঙ্গে রাখলে সমস্যা কোথায়?
-দেখ মিজান। মেয়েটাকে আমরা চিনি না। সে যে আমাদের সঙ্গে সত্য কথা বলছে তার কি নিশ্চয়তা আছে?
-ওর নাকি ক্ষুধা পেয়েছে কিছু খেতে চাচ্ছে। সঙ্গে নাকি কোনো টাকা পয়সা নেই ।
-ওরে বাবা। তুই দেখি সিনেমা বানিয়ে ফেলেছিস। নায়িকার এখন ক্ষুধা লেগেছে। খাওয়া শেষে গায়ের ওপর কাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। সকাল হলে বাড়ি নিয়ে যাবি। তার পর পতেঙ্গা সি-বিচে হাবুডুবু। মিজান রীতিমত আমাকে মেরেই ফেলে। ঠিক আছে চল কিছু খাবারের ব্যবস্থা করি। আমারও ক্ষিদে পেয়েছে।
গার্ডকে বলে আমরা বাইরে বেরোলাম। স্টেশনের উল্টোপাশের হোটেল থেকে খেয়ে স্মিতার জন্য শুকনা কিছু খাবার নিয়ে এলাম। মিজানকে এগিয়ে দিলাম খাবার দিতে। স্মিতা মিজানের উপর ভালই আস্থা অর্জন করল। আর এ কারণে বাড়ি থেকে পালানোর কারণটা মিজানকে জানাল।

স্মিতার মা নেই। মা মারা যাবার পর তার বাবা আবার বিয়ে করেছে। ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারের পড়ে। তার বাবা তার অমতে এক ব্যবসায়ির ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে চায়। পছন্দটা তার সৎ মায়ের। কিন্তু সে বিয়েতে রাজিনা। তাই বাসার কাউকে না বলে এখানে চলে এসেছে। সে আর ফিরে যেতে চায় না। যদি কোথাও একটা কাজের ব্যবস্থা করতে পারে তবে এখানেই থেকে যাবে। এখানকার আড়ং এ নাকি তার পরিচিত কে আছে। সকালে তার কাছে যাবে।

প্লাটফর্মে হাঁটতে হাঁটতে মিজান আমাকে কথাগুলো জানালো। মিজান তার কথায় কিছুটা বিগলিত হয়ে পড়েছে। আমি মিজানকে লক্ষ্য করলাম। মিজান চাচ্ছে স্মিতা আমাদের সঙ্গে থাকুক। সকালে ওর ব্যবস্থা করে দিয়ে পরে আমাদের কাজ করি। আমি মিজানকে বুঝাতে চেষ্টা করলাম আমার জন্য এই অ্যাসাইনমেন্টটা অনেক বড়। এখন মেয়েটিকে সেল্টার দিতে গিয়ে কাজের অবহেলা করা যাবে না। তবে মেয়েটার দিকে লক্ষ্য রাখব। সে যেন কোনো সমস্যায় না পড়ে।

ইতোমধ্যে সকাল হয়ে গেল। স্টেশন কর্মচাঞ্চল্য হয়ে উঠলো। আমিও আরও ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। ফলে স্টেশনের ভেতর ঢুকতে প্রায় সাতটা বেজে গেল। গিয়ে দেখি স্মিতা নেই আমরা দুজনই পুরো স্টেশন খুঁজলাম। কোথাও নেই। ইতোমধ্যে গার্ড পরিবর্তন হয়ে গেছে। ফলে কার কাছে জিজ্ঞেস করব বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎ মিজান রাতের গার্ডকে দেখে তার কাছে ছুটে গেল। আমিও গেলাম। গার্ড আমাদের জানাল আমরা যখন প্লাটফর্মে ছিলাম তখন অনেকক্ষণ প্লাটফর্মের দিকে তাকিয়ে একা একা কাঁদছিল। পরে ম্যানেজার সাহেব দেখে তার কামরায় নিয়ে যেতে দেখেছে। এরপর কই গেছে আমি জানি না। ও ম্যানেজারের কাছে আপনাদের কথা বলছে। যে সারারাত দুই সাংবাদিক আমারে পাহাড়া দিছে।

আমরা ম্যানেজারের কামরায় গিয়ে তাকে পাইনি। শুনলাম তিনি বাসায় গেছেন। পরে আসবে। মেয়েটির বিষয়ে টিকেট কাউন্টার থেকে জানাল ম্যানেজার সাহেব মেয়েটাকে বাসায় নিয়ে গেছে। ওর বাসায় খবর দেওয়া হয়েছে। ওর বাবা আসছেন তাকে নিতে। খবরটা শুনে আমরা আশ্বস্ত হলাম যে মেয়েটি বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। আমরা আবার আমাদের কাজে ফিরে গেলাম। সন্ধ্যার দিকে মিজান আমাকে বলল অনিন্দ চল স্মিতা বাড়ি ফিরল কি না খোঁজ নিয়ে আসি। আমরা স্টেশনে গিয়ে ম্যানেজার সাহেবকে পেলাম। আমাদের পরিচয় দিতেই ম্যানেজার সাহেব বলে উঠল ও তাহলে আপনারাই কাল সারা রাত ঐ মেয়েটাকে পাহাড়ায় রেখে ছিলেন। ওর বাবা আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এতক্ষণ বসে ছিল। ঘণ্টা খানেক আগে ঢাকায় ফিরে গেছে। ম্যনেজারের কাছ থেকে স্মিতার বাড়ি ফেরার খবরটা আমাদের আনন্দ দিলেও একট বিষয়ে আমরা দু জনই বেশ নাখোশ হলাম। তা হলো মেয়েটি আমাদের কাছে তার লুকিয়েছে। ম্যানেজারকে সে বলেছে আসলে ওর নাম ফারাহ।

ঢাকায় ফিরে অফিসে ফারাহর গল্প করেছিলাম। সবাই বেশ মজা পেয়ে ছিল। কিছু দিন পর একদিন অফিসে ঢুকতেই রিসিপশন থেকে আমাকে বলল একটা মেয়ে বেশ কয়েকবার ফোন করেছে। আপনার বাসার নম্বর দিয়ে দিয়েছি। বলেছে রাতে বাসায় ফোন করবে। আমি বুঝতে পারলাম ফোনটা ফারাহ করেছে। কারণ চট্টগ্রাম স্টেশনের উপর রিপোর্টটা গতকাল ছাপা হয়েছে। যেখানে ফারাহর কথাও আছে।

রাতে ফারাহ বাসায় ফোন করল। আমাকে লেখাটার জন্য ধন্যবাদ জানাল। এরপর মাঝে মধ্যে কথা হতো। কথা বলতে বলতে এক সময় ওর প্রতি আমার দুর্বলতা জাগে। ব্যাস শুরু প্রেম।

 

(চলবে..)

 

আরও পড়ুন:

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ১

 

Header Ad

‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ

‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম বেশ কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন ঢাকার বুকে এক টুকরো জমি পাচ্ছে অভিনয় শিল্পীরা। সরকারের কাছ থেকে পাওয়া সাড়ে তিন কাঠা জমিতে গড়ে তোলা হবে তাদের স্বপ্নের ভবন ‘অ্যাক্টরস হোম’। সেখানে থাকবে অভিনয় শিল্পীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আড্ডার জায়গা, চর্চার জায়গা।

অবশেষে শুক্রবার (৩ মে) বরাদ্দকৃত জায়গাটি বুঝে পেয়েছে সংগঠনটি। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন নাসিম নিজেই।

আহসান হাবিব নাসিম তার ফেসবুকে লিখেছেন, শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ, জেলা প্রশাসন ঢাকা’র কাছ থেকে তাদের জায়গা বুঝে নিয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এরপর এ নেতা লেখেন, আরও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো: সাবিরুল ইসলাম এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক জনাব আনিসুর রহমান, এসি ল্যান্ড তেজগাঁও জনাব শরিফ মো. হেলাল উদ্দিন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি।

Caption

 

নাসিম আরও বলেন, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য আনন্দের। কেননা দীর্ঘদিন বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা চলছিল। অবশেষে জায়গা বুঝে পাওয়াটা অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি সফলতা বলে মনে করছি। শিল্পীদের প্রশিক্ষণ, মিটিং, একসঙ্গে সময় কাটানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হবে এটি। ওই জায়গা থেকে আজ আমাদের আনন্দের দিন।

এদিকে জমি গ্রহণের খবর দেয়ার সঙ্গে দুটি স্থিরচিত্র প্রকাশ করেছেন নাসিম। সেখানে তার সঙ্গে দেখা গেছে সংঠনটির সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানকে। আরও ছিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদসহ বেশ কয়েকজন। বোঝা যাচ্ছে জমি গ্রহণ করার মুহূর্ত ছিল এটি। রাজধানীর আফতাব নগরে দেওয়া হয়েছে জায়গাটি।

সংঠনটির সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘জায়গাটি হোল্ডিং নং: ৩২, রোড: ২, ব্লক: সি, জহুরুল ইসলাম সিটি, আফতাব নগর। গতকাল শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ, জেলা প্রশাসন ঢাকা এর কাছ থেকে তাদের জায়গা বুঝে নিয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস

ঢাকাসহ দেশের ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে কয়েক সপ্তাহের দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা মিললেও কমেনি ভ্যাপসা গরম। তবে এবার সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়ে কমবে তাপমাত্রা। তবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শনিবার (৪ মে ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ববঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় একইরকম থাকতে পারে।

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত

ফাইল ছবি

প্রায় ৬ মাস পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পর অবশেষে তা তুলে নিল ভারত। শনিবার দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

শনিবার (৪ মে) এক প্রজ্ঞাপনে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের এমন পদক্ষেপে স্বস্তি মিলবে সেখানের ব্যবসায়ীদের।

ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫৫০ ডলার।

ভারতের, বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কারণ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তবে নিষেধাজ্ঞা চলাকালেও ভারত সরকার সীমিত আকারে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আমিরাতে পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সর্বশেষ সংবাদ

‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডাক পেলেন আম্পায়ার সৈকত
ইসরায়েলবিরোধী পোস্ট করলেই গ্রেপ্তার করছে সৌদি
মুন্সীগঞ্জে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
চড়া দামে গ্রাহকরা কিনছে কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট
হামাসকে ৭ দিনের সময় দিল ইসরায়েল
বিদেশে পাড়ি জমানো কানাডিয়ানদের সংখ্যা বাড়ছে : গবেষণা
নওগাঁয় ট্রলির চাপায় সড়কে প্রাণ গেল এনজিও কর্মীর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ হচ্ছে বিএনপিতে বহিষ্কারের তালিকা
প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠাল পাকিস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিল সৌদি
রাজশাহীতে আগুনে পুড়ল শত বিঘা জমির পান বরজ
জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক
বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি
বৃষ্টি হতে পারে যেসব বিভাগে, যে তথ্য দিল আবহাওয়া অফিস
ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
কাল থেকে বাড়তি ভাড়ায় চড়তে হবে ট্রেনে, কোন রুটে ভাড়া কত