শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৭

স্নানের শব্দ

অফিসের আবহাওয়ায় সূক্ষ্ম একটা পরিবর্তন টের পাচ্ছে শবনম। ঠিক দৃশ্যমান কিছু নেই কিন্তু অদৃশ্য একটা বিভাজনের বাতাস হু হু করে বইছে যেন। ওসমান গণি সিইও হতে যাচ্ছে এই বিশ্বাসে একদল আগেভাগেই তার সুনজরে পড়ার আশায়, তার দলে যোগ দেওয়ার জন্য কসরত শুরু করে দিয়েছে। আরেকদল যারা গণিকে অপছন্দ করে তারা শবনমের পাঁ ধরার পাঁয়তারা করছে, যদিও শবনম স্বভাবগত কারণেই তাদের খুব একটা পাত্তা টাত্তা দিচ্ছে না। কিন্তু ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে তুমি যদি ওসমান গণিকে সমর্থন না করো তবে তার মানে হচ্ছে তুমি শবনমের লোক। ফলে শবনম প্রকাশ্যে কাউকে আশকারা না দিলেও মনিরুজ্জামান তার দলবল নিয়ে শবনমের পক্ষে দলভারী করে চলেছে।

‘এইসব গ্রুপিং ট্রুপিং ছাড়ো তো মনিরুজ্জামান, আমি পরিশ্রম করা মানুষ, আমার দলবাজির দরকার নাই। অফিসে এইরকম বিভক্তি একদমই ভাল লাগছে না আমার। এসব থামাও..’

মনিরুজ্জামানকে কড়া গলায় ধমক দিয়ে বলেছে শবনম। কিন্তু তাতে কি আর মনিরুজ্জামান থামে? সে বত্রিশ দাঁত বের করে হাসিমুখে বলে,
‘ম্যাডাম আপনি না চাইলে কি হবে, সবাই জানে অফিসে এখন দুইটা ভাগ। বাটপার আর তোষামোদকারীরা সব গেছে ওসমান গণির দলে আর বাকিরা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও সব নীরবে আপনার দলে। আপনার চাওয়া না চাওয়ায় কিছু আটকাবে না ম্যাডাম। এটা হবেই।’

শবনমের অস্বস্তি লাগে, অফিসে এই ধরনের দলাদলির চর্চা সে আগে কখনো করেনি। করার দরকারও পড়েনি। প্রফেশনের শুরুর দিকে যখন জুনিয়র পোস্টে কাজ করেছে তখন কোনো কোনো বস যে তাকে দলে টানার চেষ্টা করেনি তা নয়, কিন্তু কখনোই কারো দাবার চালের গুটি হতে ইচ্ছে করেনি তার। ফলে কৌশলে সব পক্ষের সাথেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে টেবিলে নাক মুখ গুজে নিজের কাজটা মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে করার চেষ্টা করে গেছে সে। সব দলের সঙ্গেই এক ধরনের ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছে। রওশন আপা শবনমের এই ভারসাম্যবোধের খুব প্রশংসা করতেন। কিন্তু এখন তো সেই ভারের সমতা রক্ষা আর কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে বিনা যুদ্ধে মাঠ ছেড়ে দেওয়ার কোনো ইচ্ছা শবনমের নেই।

এরই মধ্যে দুপুরবেলা লাঞ্চের পর শবনমের রুমে এসে একাউন্টসের আতিয়ার সাহেব জানিয়ে গেলেন ওসমান গণির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি করার জন্য উপর থেকে নির্দেশ এসেছে। একটা উদ্দেশ্যপূর্ণ বাঁকা হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে মেদবহুল শরীরটা চেয়ারে এলিয়ে দিয়ে বললেন,
‘আপনের তো কপাল খুলি গেছে ম্যাডাম। এবার আর কেউ আফনেরে আটকায়া রাখতে হারতো ন’।’

যেন কিছুই জানে না এমন ভঙ্গী করে শবনম বলল, ‘কি যে বলেন না! ওসমান গণির জন্য তো আমার খারাপই লাগছে। সত্য মিথ্যা তো জানি না, কিন্তু বেচারা এমন একটা বাজে অবস্থায় পড়ল!’
‘অফিসের কেউ না কেউ আছে এর পেছনে, বুঝলেননি? নাইলে এত ভিতরের খবর বাইরে যাইতে পারে ন’।’
আতিয়ার সাহেব নিচু গলায় ফিসফিস করে।

‘তাই নাকি? কারা জড়িত জানা গেছে?’ শবনম ততোধিক ফিসফিস করে জানতে চায়।
‘না, এখন পর্যন্ত জানন যায় ‘ন। তবে ধরি ফালাইব। এইসব কথা চাপা থাকে না।’
‘কিন্তু ওসমান গণির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, টাকা পয়সা এদিক সেদিক করার, সেই কাজটা কি সত্যি? আসলেই সে দুর্নীতি করছে, নাকি করে নাই, পুরাটাই কি মিথ্যা অভিযোগ..’
‘না, সেইটা আঁই জানি ন। আল্লাহ মাবুদ জানে, কার মনে কি আছে, তবে বুঝলেননি, কথায় আছে না, যা রটে তার কিছুটা তো বটে.. তদন্ত করলেই পাওন যাইব হেতি দোষী কি নির্দোষ! কিন্তু হেতি সিইও হওনের যে খায়েশ করছিলেন, সেইটা আপাতত পুরণ হওনের কোনো পথ নাই ..আফনের পথ খুলি গেছে.. আর কুনো বাঁধা নাই।’
‘কি যে বলেন না, ভাই, সবই তো বোর্ড মেম্বারদের মর্জি, দেখেন আগে, ম্যানেজমেন্ট কি সিদ্ধান্ত নেয়.. পর্দার আড়ালে কত কিছু ঘটে, সব কিছু কি আমরা জানি?’

আতিয়ার সাহেব চলে যাওয়ার পর কম্পিউটর স্ক্রিনে চোখ রেখে গত মাসের আয়-ব্যয়ের হিসাবটা দেখছিল শবনম, তখনই ঘরের দরজা ঠেলে ঝড়ের গতিতে ঢুকলো ওসমান গণি। বিধ্বস্ত, রাগী চেহারা, মাথায় চুলগুলো অবিন্যস্ত, চোখে ক্রোধ, উত্তেজনায় শরীর কাঁপছে তার। দাঁড়ানো অবস্থাতেই শবনমের টেবিলে দু হাত রেখে মাথাটা সামনে বাড়িয়ে চাপা গলায় হিস হিস করে উঠল সে,
‘নোংরা খেলাটা না খেললেও পারতেন ম্যাডাম..ছি, এত নিচে কীভাবে নামতে পারলেন?’
‘হোয়াট? কী বলতে চান আপনি?’
আকস্মিক এই আক্রমণে রেগে গিয়ে সাঁই করে চেয়ার ছেড়ে উঠে ওসমান গণির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায় শবনম।
‘এই চক্রান্তটা না করলেও পারতেন, ম্যাডাম। মানুষ পাওয়ারের জন্য এমন ইতরামি করতে পারে জানা ছিল না! অন্তত আপনার কাছে এটা আশা করি নাই..’
ওসমান গণির কণ্ঠে তীব্র শ্লেষ। এবার তর্জনী উঁচিয়ে গলা চড়িয়ে প্রায় চিৎকার করে উঠল শবনম।
‘মুখ সামলে কথা বলেন ওসমান গণি, যা তা অপবাদ দিলে আমি কিন্তু একদম সহ্য করব না। সাবধান করে দিচ্ছি আপনাকে।’

শবনমের রাগত কণ্ঠস্বর রুমের কাঁচের দরজা ভেদ করে সামনের করিডোর পর্যন্ত ছড়িয়ে গেল।
‘আমাকে কেন খামাকা আপনার কৃতকর্মের সঙ্গে জড়াতে চাইছেন? হ্যাঁ? যা বলার তদন্ত কমিটির সামনে গিয়ে বলেন! এখানে মাস্তানী করতে আসবেন না।’

শবনমের রণরঙ্গিণী মূর্তির সামনে এবার একটু থমকে গেল ওসমান গণি।
‘পদের লোভে আপনি হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন, কাকে কি বলছেন বুঝতে পারছেন না। পাগল হয়ে গেছেন!’
শবনম ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলে।
‘না ম্যডাম, আমি ঠিক আছি। জ্ঞান বুদ্ধি লোপ পায় নাই। পাগলও হই নাই। সবই আমি বুঝতে পারছি ম্যাডাম। পরিষ্কার বুঝতে পারছি। কাউকে ছাড়ব না আমি। সব কুচক্রীদের দেখে নিবো।’

হুমকি দেওয়ার ভঙ্গীতে কথাটি বলে দড়াম শব্দ করে দরজাটা ধাক্কা দিয়ে বেরিয়ে যায় ওসমান গণি। শবনম ধপ করে নিজের চেয়ারে বসে একটু হাঁপাতে থাকে। প্রচণ্ড রাগে পা থেকে মাথা পর্যন্ত চিড়বিড় করছে তার। এক গ্লাস পানি খেয়ে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে শবনম। নির্ঝর চৌধুরী একবার কথায় কথায় বলেছিলেন, প্রফেশনের ঘাত প্রতিঘাত সামলাতে হলে গায়ের চামড়া মোটা হতে হয়। রাগ ক্রোধ কদাচ থাকতে নয়। অথচ ওসমান গণির এই নোংরা কুৎসিত আক্রমণের শিকার হয়ে রাগ ক্রোধ ক্ষোভ কোনোটাই সামলাতে পারছে না শবনম। মনে হচ্ছে চিৎকার করে ওসমান গণিকে গালিগালাজ করতে পারলে বা আঘাত করতে পারলে তার ক্ষোভ হয়ত কিছুটা কমত। বুক ভরে বাতাস নিয়ে মুখ দিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ছাড়ে শবনম। নিজের ছোট্ট রুমের ভেতর পায়চারি করে নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রাখার চেষ্টা করে।
শবনম কখনোই বদরাগী টাইপের মানুষ নয়। সারা জীবন কারো উপকার করতে না পারলেও ক্ষতি অন্তত করেনি, কিন্তু এবার কি প্রতিযোগিতায় নেমে সে নিজের শুদ্ধ হৃদয়কে অশুদ্ধ করে ফেলল? শীর্ষে ওঠার জন্য প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে সাদা গায়ে কালি লাগিয়ে ফেলল? এই যে, ওসমান গণির সঙ্গে সংঘাত তার প্রধান কারণ তো এটাই যে তারা দুজনই একই সঙ্গে সিইও পদ পাবার জন্য আকাঙ্ক্ষা করছে। ফলে তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এই প্রতিযোগিতায় একজন জয়ী হবে এটাই নিয়ম। খেলা শুরু হয়ে গেছে, এখান থেকে পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। ধনুক থেকে তীর ছুটে গেছে, তাকে ফেরানো সম্ভব নয়।

ঘটনাচক্রে শবনম এই খেলায় ভালো অবস্থানে আছে। আর ওসমান গণি গাড্ডায় পড়ে গেছে। আবার উল্টোটাও হতে পারত, শবনমের কোনো ত্রুটি খুঁজে পেলে প্রতিপক্ষ নিশ্চয়ই তাকে ছেড়ে কথা কইতো না। সেই ত্রুটিটাই বড় করে ম্যানেজমেন্টের সামনে তুলে ধরে তার বিপক্ষে কাজে লাগাতো। শবনম জানে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এখন শুধু স্থির অবিচল ভাবে স্টিয়ারিংটা ধরে রাখতে হবে। কিছুতেই অধৈর্য হওয়া চলবে না। সেই পুরনো বাক্যটা নিজেকে শোনায় সে, ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।’
শবনম হারতে চায় না, যেভাবেই হোক সে এই লড়াইয়ে জিততে চায়।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৬

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৫

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৪

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৩

স্নানের শব্দ: পর্ব-১২

স্নানের শব্দ: পর্ব-১১

স্নানের শব্দ: পর্ব-১০

স্নানের শব্দ: পর্ব-৯

স্নানের শব্দ: পর্ব-৮

Header Ad

‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ

‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম বেশ কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন ঢাকার বুকে এক টুকরো জমি পাচ্ছে অভিনয় শিল্পীরা। সরকারের কাছ থেকে পাওয়া সাড়ে তিন কাঠা জমিতে গড়ে তোলা হবে তাদের স্বপ্নের ভবন ‘অ্যাক্টরস হোম’। সেখানে থাকবে অভিনয় শিল্পীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আড্ডার জায়গা, চর্চার জায়গা।

অবশেষে শুক্রবার (৩ মে) বরাদ্দকৃত জায়গাটি বুঝে পেয়েছে সংগঠনটি। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন নাসিম নিজেই।

আহসান হাবিব নাসিম তার ফেসবুকে লিখেছেন, শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ, জেলা প্রশাসন ঢাকা’র কাছ থেকে তাদের জায়গা বুঝে নিয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এরপর এ নেতা লেখেন, আরও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো: সাবিরুল ইসলাম এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক জনাব আনিসুর রহমান, এসি ল্যান্ড তেজগাঁও জনাব শরিফ মো. হেলাল উদ্দিন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি।

Caption

 

নাসিম আরও বলেন, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য আনন্দের। কেননা দীর্ঘদিন বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা চলছিল। অবশেষে জায়গা বুঝে পাওয়াটা অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি সফলতা বলে মনে করছি। শিল্পীদের প্রশিক্ষণ, মিটিং, একসঙ্গে সময় কাটানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হবে এটি। ওই জায়গা থেকে আজ আমাদের আনন্দের দিন।

এদিকে জমি গ্রহণের খবর দেয়ার সঙ্গে দুটি স্থিরচিত্র প্রকাশ করেছেন নাসিম। সেখানে তার সঙ্গে দেখা গেছে সংঠনটির সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানকে। আরও ছিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদসহ বেশ কয়েকজন। বোঝা যাচ্ছে জমি গ্রহণ করার মুহূর্ত ছিল এটি। রাজধানীর আফতাব নগরে দেওয়া হয়েছে জায়গাটি।

সংঠনটির সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘জায়গাটি হোল্ডিং নং: ৩২, রোড: ২, ব্লক: সি, জহুরুল ইসলাম সিটি, আফতাব নগর। গতকাল শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ, জেলা প্রশাসন ঢাকা এর কাছ থেকে তাদের জায়গা বুঝে নিয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস

ঢাকাসহ দেশের ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে কয়েক সপ্তাহের দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা মিললেও কমেনি ভ্যাপসা গরম। তবে এবার সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়ে কমবে তাপমাত্রা। তবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শনিবার (৪ মে ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ববঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় একইরকম থাকতে পারে।

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত

ফাইল ছবি

প্রায় ৬ মাস পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পর অবশেষে তা তুলে নিল ভারত। শনিবার দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

শনিবার (৪ মে) এক প্রজ্ঞাপনে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের এমন পদক্ষেপে স্বস্তি মিলবে সেখানের ব্যবসায়ীদের।

ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫৫০ ডলার।

ভারতের, বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কারণ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তবে নিষেধাজ্ঞা চলাকালেও ভারত সরকার সীমিত আকারে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আমিরাতে পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সর্বশেষ সংবাদ

‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডাক পেলেন আম্পায়ার সৈকত
ইসরায়েলবিরোধী পোস্ট করলেই গ্রেপ্তার করছে সৌদি
মুন্সীগঞ্জে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
চড়া দামে গ্রাহকরা কিনছে কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট
হামাসকে ৭ দিনের সময় দিল ইসরায়েল
বিদেশে পাড়ি জমানো কানাডিয়ানদের সংখ্যা বাড়ছে : গবেষণা
নওগাঁয় ট্রলির চাপায় সড়কে প্রাণ গেল এনজিও কর্মীর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ হচ্ছে বিএনপিতে বহিষ্কারের তালিকা
প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠাল পাকিস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিল সৌদি
রাজশাহীতে আগুনে পুড়ল শত বিঘা জমির পান বরজ
জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক
বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি
বৃষ্টি হতে পারে যেসব বিভাগে, যে তথ্য দিল আবহাওয়া অফিস
ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
কাল থেকে বাড়তি ভাড়ায় চড়তে হবে ট্রেনে, কোন রুটে ভাড়া কত