শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১০

স্নানের শব্দ

কয়েকদিন ধরে এই অচেনা নম্বর থেকে ফোনটা আসছে। ধরলেই নিঃশব্দে কেটে দিচ্ছে। আজকে অফিসে যাওয়ার পথে গাড়িতে আবার রিং বাজতে শুরু করলে, ‘ধরব না’ ‘ধরব না’— ভাবতে ভাবতেই শেষ পর্যন্ত ফোনটা ধরে শবনম। ওই পাশে কারো গভীর নিশ্বাসের শব্দ তার কানে এসে বাড়ি খায়।
‘কে বলছেন?’
‘জ্বি, আমাকে আপনি চিনবেন না। .. কি যদি অভয় দেন একটা কথা বলতে চাই। .. আসলে অনেক দিন ধরেই বলতে চাচ্ছি, কিন্তু কীভাবে বলব, ঠিক বুঝতে পারছি না। মানে সাহস পাচ্ছি না।’

ওই পাশের ভণিতা শুনে শবনম অস্ফুট পুরুষ কণ্ঠের বয়স আন্দাজ করার চেষ্টা করে। মনে হচ্ছে অল্পবয়সী একটা ছেলে। যার কথা বলার ভঙ্গীতে নার্ভাস ভাব স্পষ্ট। যেন, ‘বলবো কি বলবো না’- এমন লজ্জ্বা ও দ্বিধায় দোদুল্যমান এক নবীন কিশোর।
‘আসলে আমি জানি, আপনি আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড় হবেন, তবু তবু আপনাকে আমার ভাল লাগে, এই কথাটা জানাতে চাই।’
শবনম হাসবে, না রাগ করবে, ভেবে পায় না।
‘মানে, আমি কি মাঝে মাঝে আপনাকে ফোন করতে পারি, যদি অনুমতি দেন, মানে আপনার বন্ধুত্ব ..’

এবার আর পুরোটা শোনার প্রয়োজন মনে করে না শবনম, ওই পাশের বাক্য সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই বেরসিকের মতো কড়া গলায় বলে,
‘না। শোনো, আর কোনদিন আমাকে ফোন করবে না। এত সাহস হয় কি করে? আচ্ছা, এই কে তুমি, বলো তো, কি নাম তোমার?’
ফোনটা তখনই কেটে যায়। অথবা ওই পাশ থেকে কেটে দেওয়া হয়।

ব্যাগের পকেটে নিজের ফোন সেট রাখতে গিয়ে ঠোটের কোণায় মৃদু একটা হাসি ফুটে ওঠে মিলিয়ে যায় শবনমের। ‘যৌবনের শেষে শুভ্র শরৎকালের’ মতো এই উনপঞ্চাশ বছর বয়সেও নতুন বন্ধুত্বের প্রস্তাব! তার মানে কি এই, যে তার আকর্ষণ বা আবেদন একেবারে ফুরিয়ে যায়নি? (তারেক শুনলে হয়তো গত রাতের উদাহরণ টেনে বলবে, তুমি যে অনন্তযৌবনা, সে তো আমি চিরকালই জানি!) তবে এই ভাবনায় এবার নিজেই নিজের উপর বিরক্ত হয় শবনম। যে যাই বলুক তার নিজের চেয়ে আর কে বেশি জানে যে, এই শরীর ও মনে দিনের শেষে মন্দমন্থর পায়ে দিন শেষে সন্ধ্যা নামছে। এখন নতুন পরিচয়, নতুন সম্পর্কের এইসব আশ্বাস বার্তা বৃথা। এইক্ষণে আর কোনোভাবেই ‘নতুন প্রণয়ের মুগ্ধ দৃষ্টি আকর্ষণ করা’ সম্ভব নয়, এখন ধীরে ধীরে সমস্ত বাসনা ও আকাঙ্ক্ষার অবসান ঘটানোর সময়। আহা, ওই মোহগ্রন্থ’ নওল কিশোর বা যুবক জানে না, এইসব অকিঞ্চিতকর অনুভূতি ভাসতে থাকা ধোঁয়ার মতো, বাস্তবের প্রবল বাতাস এসে এক ধাক্কায় এই কোমল হৃদয়াবেগ ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়ে যায়।

শবনমের সেই কিশোরী বয়সে প্রথম প্রেমের চিঠি পাওয়ার থরো থরো কম্পিত দিনগুলির কথা মনে পড়ে। পাপড়ি মুখরিত রঙিন ফুলের জলছাপ দেওয়া হাল্কা নীল রঙের প্যাডে সবুজ কালির বলপেন দিয়ে খুব যত্ন করে লেখা ছিল সেই চিঠি। ভালবাসার বাসনা প্রকাশের পাশাপাশি অনেকগুলো প্রচলিত বাংলা সিনেমার গানের কলি উদ্ধৃত করেছিল পত্রলেখক। শবনমের এখনো মনে আছে সেই লাইনগুলো-
‘এ আকাশকে সাক্ষী রেখে, এ বাতাসকে সাক্ষী রেখে তোমাকে বেসেছি ভালো, তুমি মোর নয়নেরই আলো’
আরেকটা গানের উল্লেখ ছিল চিঠিতে, আরও আগ্রাসী মনোভাবের, সিনেমাতে সম্ভবত নায়ক ফারুক লিপসিং করে প্রেমিকার উদ্দেশে গাইতো গানটি- ‘মরণের পরে যদি জীবন থাকে, সে জীবনে প্রিয়া তুমি আমার হবে’

ইহজীবনে প্রেমিকাকে পাওয়ার আশাবাদ দিয়ে মৃত্যু পরবর্তী জীবনে তাকে কেনো কাছে পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিল সেই কিশোর, কে জানে! অবশ্য তার তো ওই চিঠি পাঠানো পর্যন্তই সার, তারপর সে কোথায় যেন লুকিয়ে পড়েছিল। কখনোই প্রকাশ্যে সামনে এসে দাঁড়ায়নি সেই পত্র লেখক। হয়ত সাহস সঞ্চয় করে উঠতে পারেনি, হয়ত সংকোচ কাটাতে পারেনি, হয়ত দ্বিধা আর লজ্জ্বা তাড়াতে পারেনি। হয়ত সেজন্যই মৃত্যু পরের অনিশ্চিত জীবনের প্রতিই আস্থা রেখেছিল সে!

মৌসুমি যেমন একবার বলেছিল, কৈশোর যৌবনের প্রেম হচ্ছে এক ধরনের মায়া, ভ্রান্তি , ইলিউশান। ইলেকট্রিক শক খাওয়ার মতো হঠাৎ একটা ধাক্কা। বিনা মেঘে আসা বৃষ্টির মতো আকস্মিক আর গভীর ঘুমের মধ্যে দেখা স্বপ্নের মত তীব্র কিন্তু ক্ষণস্থায়ী।

ফোনটা আবার বাজে। আবার কি ওই ছেলেটা নাকি? না, এবার কি আশ্চর্য ফোন করেছে মৌসুমী।
‘তোমার কথাই ভাবছিলাম দোস্ত, একটা কারণে..’
কিছুক্ষণ আগে অপরিচিত যুবকের ফোন কলের বিষয়টি হাসতে হাসতে মৌসুমীকে জানায় শবনম।

‘আরে, এটাতো হাসির বিষয় না। এই বয়সে কেউ যদি তোমার প্রতি আকর্ষণ বোধ করে তাহলে বুঝতে হবে, সে তোমার রূপের না, তোমার গুণ বা ব্যক্তিত্বের প্রেমে পড়েছে। আবেগের চেয়ে এই ধরনের সম্পর্কে শ্রদ্ধা, সম্মান, একটা শান্ত সমাহিত ভাব বিরাজ করে। আর কৈশোর যৌবন কোনো ব্যাপার না, প্রেম যেকোনো বয়সেই হতে পারে..’
‘থাক থাক ! বহুত বলছো, আমি কাঠখোট্টা মানুষ, ওসব আমার পোষাবে না।’
‘আচ্ছা, ঠিকাছে, যে জন্য ফোন করছি, কালকে সকালে প্রেস ক্লাবে আমরা কয়েকটা নারী সংগঠন মিলে একটা সমাবেশ করবো। ইস্যু হচ্ছে, ওই যে এখনকার মি টু কে কেন্দ্র করে কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি.. তো তুমি পারবা নাকি আসতে? অনেককেই ডাকছি আমরা, তুমি তো ভাল পজিশনে আছো, একজন সফল নারী। তুমি এসে কয়েকটা কথা বললে ভাল হয়।’
মৌসুমী এক নিশ্বাসে বলে যায়।
‘ইস্যুটা তো খুবই ভাল, দরকারি, কিন্তু আমার সমস্যা আছে। আমাদের অফিসেও কিছুদিন আগে এরকম একটা কেস ঘটেছে..’
‘হ্যাঁ, জানি তো, সেজন্যই তো বলছি।’
মৌসুমী বেশ জোর দিয়ে বললে শবনম একটু ইতস্তত করে,
‘দেখো বন্ধু জলে বাস করে কুমিরের সাথে দ্বন্দ্ব করা কী সম্ভব? এমনিতেই অফিসে আমার বিরোধী একটা গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে যে আমি নাকি ওই মেয়েদের দিয়ে সিইওর বিরুদ্ধে এসব করিয়েছি, এখন যদি আবার তোমাদের সাথে যোগ দেই, আর যদি সেসব নিউজ হয়, হবে তো বটেই, তখন বুঝতে পারছো, ওরা আমার বিরুদ্ধে রং চড়িয়ে আরও নানা কথা ছড়াবে। এই মুহূর্তে আসলে আমি ঝামেলাটা নিতে চাচ্ছি না..’
‘কী যে বলো, ঝামেলা কেনো হবে! তোমার নিজস্ব মতামত, স্বাধীন একটা অবস্থান থাকতে পারে না! চাকরি করো মানে কি দাসখত দিয়ে বসছো নাকি? খারাপ লোকেরা উল্টা পাল্টা কথা বলবেই, তাতে দমে গেলে চলবে? প্রতিবাদ করতেই হবে, পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নাই। নইলে অপরাধীরা প্রশ্রয় পেয়ে যাবে!’

বিপ্লবী নেতার মতো ফোনের অন্য প্রান্তে মৌসুমী জোরালো বক্তৃতা ঝাড়ে। ওকে বাস্তব অবস্থাটা বোঝানোর চেষ্টা বৃথা শবনম বুঝতে পারে। বাস্তব বিবেচনাবোধের চাইতে এখন ন্যায়ের প্রশ্নে অনড় তার অবস্থান, ফলে শিশুকে প্রবোধ দেওয়ার মতো শবনম তার কথায় সায় দেয়।
‘তাতো ঠিকই বলেছ। দেখি, আমি আসব সুযোগ পেলে, জরুরি মিটিং সিটিং না থাকলে.. চলে আসব।’

মৌসুমী এবার সন্তুষ্ট হয়। কিন্তু শবনম জানে, এই সমাবেশে যোগ দিলে অফিশিয়ালি সেটা তার জন্য আত্মঘাতী হতে পারে। সমাবেশে নিশ্চয়ই নির্ঝর চৌধুরীর ঘটনাটাও আলোচনায় আসবে। স্বাভাবিকভাবে কোম্পানির নাম ধামও তখন সামনে আসবে। এইসব জায়গায় কেউ তো আর রেখে ঢেকে কথা কইবে না। সুযোগসন্ধানীরা তখন হয়ত এটাকেই পূঁজি করবে। শত্রুতা করে ম্যানেজমেন্টকে গিয়ে জানিয়ে আসবে যে শবনমই ওই সমাবেশের মূল হোতা। ইচ্ছাকৃতভাবে কোম্পানির ভাবমূর্তি নষ্ট করছে সে। দুষ্ট লোকেরা কে যে কোনদিকে বসে কী ঘোট পাকাচ্ছে কে জানে? অনেকের কাছে মনে হতে পারে এসব শবনমের অতিভাবনা বা অতি সতর্কতা, কিন্তু শবনম তো জানে প্রতিনিয়ত এরকম সতর্ক পদক্ষেপই তাকে এখনকার পর্যায়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।

মাঝে মাঝে তার প্রাণ মন যে একসঙ্গে বিদ্রোহ করে না, তা তো নয়, অসহায়ও লাগে, রাগ হয় অবস্থার ওপর, বিরক্তি আসে নিজের অতি সাবধানী মনের উপর। কিছু একটা করতে চায় সে, সহবন্ধুদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে প্রতিবাদ করতে চায় কিন্তু আবার মনে হয় এতদিন ধরে তিল তিল করে গড়ে তোলা তার ক্যারিয়ার একটা সামান্য ভুল পদক্ষেপে ধসে পড়লে এই সমাজে তার পাশে এসে দাঁড়াবার মত কেউই থাকবে না। তার এতদিনের অর্জিত সুনামের কোনো মূল্যায়নই হবে না। আজ উচ্চ পদে ভাল অবস্থানে থেকে স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল হতে পেরেছে বলেই না এই নিষ্ঠুর সমাজে সম্মানের সঙ্গে মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে টিকে আছে। শবনমের ভেতর থেকে আরেকটা মন চোখ রাঙিয়ে প্রশ্ন করে, নিরাপদ বৃত্তের ভেতরে এভাবে আটকে থাকা তোমার কাছে সম্মানের হলো? এটা তো পরিস্থিতির সামনে কোনো আপত্তি না তুলে বোবা হয়ে, হাত পা ছেড়ে দিয়ে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ।

‘না, না, এভাবে বিষয়টা ব্যাখ্যা করা যাবে না। প্রতিবাদেরও নানা ধরণ আছে, সব সময় যে মাঠে গিয়ে সভা সমাবেশ করে প্রতিবাদ করতে হবে হবে এমন তো নয়.. ‘শবনম তার ভেতরের মনটার সঙ্গে অবিরাম তর্ক চালিয়ে যায়। ‘আমি সবসময়ই সব ধরনের নিপীড়ন নির্যাতনের বিরোধী। অফিসের ভেতরেও তো এক ধরনের সংগ্রাম আমি এককভাবে করেই যাচ্ছি। করছি না? এই যে আমি এত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টিকে আছি, সেটাও তো এক ধরনের প্রতিবাদ। এখন হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে অযথা বিপদে পড়লে কে আমাকে উদ্ধার করবে, কে এসে পাশে দাঁড়াবে? কেউ না।
হ্যাঁ, অনেকেই হয়ত এটাকে আপোষ বলবে, বলবে ক্যারিয়ার বাঁচানোর ধান্দা। কিন্তু শবনম জানে, লড়াইয়ের মাঠে সম্মুখ সমরে নামার যোগ্যতা সবার থাকে না। কেউ কেউ আছে যুদ্ধের মাঠে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে জেনেও বুক চিতিয়ে সামনে এগিয়ে যায়। তারাই হয়ত প্রকৃত বীর, তারাই পরিবর্তনের নায়ক, তারাই নমস্য। তাদের জন্য শবনমের শ্রদ্ধা ও সালাম অশেষ। নিজের এই না-পারা টুকু, এই সীমাবদ্ধতাটুকু অতিক্রমের সুযোগ তার এই জীবনে কোনোদিন আসবে কি না জানে না শবনম।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-৯

স্নানের শব্দ: পর্ব-৮

আজকের সেহরির শেষ সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫

চক্রের পাঁচজন গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

দুবাইয়ে বসে ‘জেট রোবোটিক’ নামে একটি অ্যাপস ও নিজস্ব এজেন্টের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের চাহিদা অনুযায়ী রেমিট্যান্স পাঠানোর দায়িত্ব নিতেন কুমিল্লার শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন। ২০২০ সাল থেকে তিনি দুবাইয়ে থাকেন। গত তিন থেকে সাড়ে তিন মাসে জেট রোবোটিক অ্যাপসের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার সমমূল্যের রেমিট্যান্স ব্লক করেছেন মামুন।

তবে তিনি ঠিকই চাহিদা অনুযায়ী গন্তব্যে টাকা পাঠিয়েছেন। এজন্য ব্যবহার করা হয়েছে চট্টগ্রামের মোবাইল ব্যাংকিং ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ তাসমিয়া অ্যাসোসিয়েটসকে। প্রতিষ্ঠানটির ৪৮টি মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট সিমে আগে থেকেই সমপরিমাণ বা বেশি অনলাইনে টাকা সংগ্রহ করে রাখা হয়। এরপর সংগ্রহ করা টাকা এজেন্ট সিম থেকে অ্যাপের ব্যবহার করে প্রবাসীদের আত্মীয়দের নম্বরে অর্থ পাঠিয়ে দিয়ে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্রটি বলে দাবি করেছে সিআইডি।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে এই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হুন্ডির কাজে ব্যবহৃত মুঠোফোন, সিমকার্ড ল্যাপটপ ও ২৮ লাখ ৫১ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি বলছে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রায় এক মাস ধরে অনুসন্ধান করে এই চক্রের সন্ধান পায়। এই চক্রের কারণে রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল দেশ। অনেকের অবৈধ উপার্জনের টাকা এই চক্রের মাধ্যমে বৈধ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে মালিবাগে নিজ কার্যালয়ে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নাসির আহমেদ (৬২), ফজলে রাব্বি সুমন (৩২), মো. কামরুজ্জামান (৩৩), খায়রুল ইসলাম (৩৪) ও জহির উদ্দিন (৩৭)। তাদের মধ্যে নাসির ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের মালিক। ফজলে রাব্বি ও মো. কামরুজ্জামান ডিস্ট্রিবিউশন হাউজে কাজ করেন। আর পরের দুজন দুবাই থেকে শহিদুলের পাঠানো প্রবাসীদের আত্মীয়স্বজনের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দিতেন।

সিআইডির প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই চক্র দুই ভাগে হুন্ডির কাজ পরিচালনা করে। দুবাইয়ে থাকা চক্রের সদস্যরা প্রবাসীদের কাছ থেকে বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ করেন। আর দেশে থাকা চক্রের সদস্যরা ওই প্রবাসীর দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনদের এমএফএস অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়। এতে প্রবাসীদের মাধ্যমে যে রেমিট্যান্স আসত, সেটা ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের কালোটাকার মালিকেরা এই চক্রের মাধ্যমে তাদের অবৈধ উপার্জন বৈধ করছেন। আর এই পুরো কাজটি পরিচালিত হতো জেট রোবোটিকস অ্যাপের মাধ্যমে।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির প্রধান আরও বলেন, চক্রের সঙ্গে এমএফএস কোম্পানির চট্টগ্রামের তাসনিমা অ্যাসোসিয়েট নামের একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের লোকজন জড়িত। তাদের কাছ থেকে কম লেনদেন হয় এমন এমএফএস এজেন্ট অ্যাকাউন্ট সংগ্রহ করতেন চক্রের সদস্যরা। বিনিময়ে ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের লোকজন হুন্ডির লাভের টাকার একটি ভাগ পেতেন।

সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া। ছবি: সংগৃহীত 

 

মোহাম্মদ আলী বলেন, এই চক্রের মূলহোতা শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দুবাই বসবাস করেন। মালয়েশিয়ান একটি সফটওয়্যার কোম্পানির মাধ্যমে অ্যাপটি তৈরি করে দুবাই বসে শহিদুল হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই অ্যাপের সঙ্গে একটি এমএফএস কোম্পানির ৪১টি অ্যাকাউন্ট নম্বরের সংযোগ ছিল। গত তিন মাসে ওই ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের প্রায় ১৫০টি এজেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে চক্রটি।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী বলেন, একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের অধীন প্রায় ১ হাজার ১০০ এজেন্ট থাকে। যেসব এজেন্ট অ্যাকাউন্টে লেনদেন কম হয়, সেই সব অ্যাকাউন্ট হুন্ডির কাজে ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে এমএফএস কোম্পানির নজরদারির ঘাটতি রয়েছে।

নতুন নতুন অ্যাপসের মাধ্যমে কৌশলে এ ধরনের ডিজিটাল হুন্ডি কার্যক্রম চলতে পারে উল্লেখ করে সিআইডি প্রধান বলেন, এ ধরনের কার্যক্রমরোধে সিআইডিসহ সব দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানকে ইন্টেলিজেন্স, মনিটরিং আরও বাড়াতে হবে।

তিন মাস ধরে অস্বাভাবিক লেনদেন, রেমিট্যান্স ব্লক হলো অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক টের পেল না? তাদের তো একটা শক্তিশালী মনিটরিং সেল আছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা কি-না জানতে চাইলে সিআইডিপ্রধান বলেন, ব্যর্থতা বলবো না, সার্ভিলেন্স সিস্টেমকে কতটা পেট্রলিং করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের পেট্রলিংয়ে এটা ধরতে পেরেছি। এর দায়িত্ব শুধু সিআইডি’র নয়, ডিবি, র‌্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংকেরও।

হুন্ডি তো আগেও হতো, এটাকে ডিজিটাল হুন্ডি বলছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ সিস্টেম আসলেই ডিজিটাল হুন্ডি। আগে ফোন করে বলে দিতো অমুকের টাকা অমুককে দিয়ে দাও। এটা ম্যানুয়াল সিস্টেমে। কিন্তু এখন এসবের দরকার নেই। ফোন বা লোকাল এজেন্ট অথবা ডিস্টিবিশন হাউজ দরকার পড়ে না। অ্যাপস যেভাবে ইনস্ট্রাকশন দেবে সেভাবে নম্বরে নম্বরে টাকা চলে যায়।

দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু: বিশ্বব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন, হাইজিন, বায়ু ও সীসা দূষণ বছরে বাংলাদেশে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি অকালমৃত্যুর কারণ। এসব পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে ঘরে ও বাইরের বায়ুদূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩২ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ)’ নামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সিসা দূষণ বছরে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের অকালমৃত্যুর কারণ। এর ফলে বছরে ৫.২ বিলিয়ন দিন অসুস্থতায় অতিবাহিত হয়। এসব পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭.৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ঘরের এবং বাইরের বায়ুদূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮.৩২ শতাংশের সমপরিমাণ।

এতে আরও বলা হয়েছে, পরিবেশদূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সিসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিকের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাষ্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হস্তক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সিসা দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রতি বছর ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকাতে পারে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানি ব্যবহার এবং শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ুদূষণ কমাতে পারে।

এছাড়া পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার জন্য সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই রিপোর্টে পরিবেশগত অগ্রাধিকারসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে, বিভিন্ন পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ, পরিবেশ নীতি পদ্ধতিগুলোর বৈচিত্র্যকরণ ও জোরদারকরণ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং সবুজ অর্থায়নের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ এর পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবিলা একই সঙ্গে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। আমরা পৃথিবীর নানা দেশে দেখেছি যে, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই রিপোর্টের সহ-প্রণেতা আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।

বরিশালে নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ

নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ। ছবি: সংগৃহীত

যোহরের নামাজ চলাকালীন বরিশালে জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণ হয়েছে। বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম সড়ক চকবাজার এলাকার জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদের দ্বিতীয় তলায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে দ্রুত আগুন আনে তারা। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মুসল্লিদের দাবি, এসি বিস্ফোরণ মধ্য দিয়ে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বিস্ফোরণের কথা নিশ্চিত না করলেও এসি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লিরা জানিয়েছেন, বেলা দেড়টার দিকে মুসলিরা জোহরের নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আর তখন মসজিদের দোতলার একটি এসি চালুর জন্য মুয়াজ্জিন বৈদ্যুতিক সুইচ চালু করতেই স্পার্ক করে। পরে তিনি সেটি তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেন। এরপর সবাই নামাজে দাঁড়ালে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকট শব্দ হয়। পরে পাশের ইমামের কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হলে দেখা যায় সেখানে এসির কাছাকাছি আগুন জ্বলছে। তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস ও থানায় বিষয়টি জানানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন জানান, হতাহতের ঘটনা ছাড়াই স্থানীয়দের সহযোগিতায় মুসলিরা নিরাপদে মসজিদ থেকে নামিয়ে আনা হয় এবং বরিশাল সদর ফায়ার স্টেশনের চারটি ইউনিট অল্প সময়ের চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। আগুনে ইমাম সাহেবের রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে কিছু বই ও আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে গেছে।

এদিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বরিশাল সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমিন জানান, মুসল্লিদের তথ্যানুযায়ী একটি এসি থেকে বিকট শব্দ হওয়ার পরপরই আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, তবে এসি থেকেই আগুনের সূত্রপাত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস পাশে থাকায় ব্যস্ততম এই ব্যবসায়িক এলাকাটিতে বড় ধরনের বিপদ ঘটেনি, অল্পতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।

রাস্তা সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশে কিছুটা বেগ পেতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, চকবাজারের সব রাস্তাগুলো সব সময় চালু রাখা উচিত, কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেগুলো অপসারণের জন্য আমরা মসজিদ ও ব্যবসায়িক কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছি।

স্থানীয়রা বলছেন, চকবাজারের রাস্তা সরু হওয়ায় এখানে সব সময় যানজট লেগে থাকে, আর যেটুকু জায়গা খালি থাকে তা পার্কিং নয়তো হকরদের দখলে থাকে। এমনকি গোটা চকবাজারের ফুটপাতও দখলে রয়েছে বিভিন্ন পণ্যের পসরায়।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালি) নাফিছুর রহমান জানান, ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিক সারা দেওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, এমনকি নামাজের সময় হওয়ায় মুসল্লিরা মসজিদের ভেতরে থাকলেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫
দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু: বিশ্বব্যাংক
বরিশালে নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ
নওগাঁয় পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
গুলি করে মারা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপটিকে
দুঃসময় অতিক্রম করছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল
মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক কারাগারে
বাংলাদেশ থেকে আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম হলেন যারা
বাংলাদেশে আসছেন সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম
চট্টগ্রামে ফিশিং বোটে আগুন, দগ্ধ ৪
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ৪ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৮৯ শতাংশই ফেল
ভারত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার!
৮ বছর পর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা
‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা তুলব, এটুক অন্যায় করবোই’
প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে শরফুদ্দৌলা
পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর
কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক
শিগগিরই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানো হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ