শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩

স্নানের শব্দ

অফিসে ঢোকার মুখেই, লিফট থেকে নেমে, ওসমান গণির সঙ্গে দেখা, ওসমান গণির চেহারা অনেকটা গোলগাল চাইনিজদের মতো, ছোট ছোট চোখ, মাথায় সোজা পাতলা চুল, মুখে ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ি, লম্বায় মাঝারি, মোটাসোটা শরীর, একটা আকাশি রঙের সার্টের সঙ্গে গলায় নেভি ব্লু রঙের টাই ঝুলিয়েছে গণি, শবনমকে দেখে হাসি মুখে বলল, ‘গুড মর্ণিং শবনম আপা, ইউ আর লুকিং গ্রেট!’

কর্পোরেটের চলতি নিয়মমাফিক মুখে হাল্কা হাসি ঝুলিয়ে গণিকে পাল্টা সম্ভাষণ জানাল শবনম। যদিও শবনম খুব ভাল করেই জানে গণি হারামজাদা হয়ত মনে মনে বলছে, ‘বুড়ির ঢং কত! এই বয়সেও কি সাজুগুজু কইরা অফিসে আসছে !’

এই মুহূর্তে অফিসে শবনমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ওসমান গণি, প্রকিউরমেন্ট ডিপার্টমেন্টের হেড, তবে ম্যানেজমেন্টের ব্যাপক তোষামোদি করে সব কিছুতেই ওর চেয়ে এক ধাপ সামনে এগিয়ে আছে সে। থাকুক এগিয়ে, উচ্চপদস্থদের চাটুকারিতা করা শবনমের পক্ষে আগেও সম্ভব হয়নি কোনদিন আর হবেও না, এই যোগ্যতাটি (!) না থাকার কারণে জীবনে মাশুলও গুনতে হয়েছে অনেক, চোখের সামনে হাত কচলানো পার্টি সুবিধা হাতিয়ে নিয়েছে, আর সে পড়ে রয়েছে বেকুবের মতো লাইনের পেছনে। শবনম জানে, ব্যক্তিত্বহীন বসরাই তোষামোদী পছন্দ করে, আর যারা কাজে ফাঁকি দেয়, অসৎ, যারা অনৈতিক সুবিধা পেতে চায়, তারাই হয়ত ঊর্ধ্বতনদের তোষামোদি করে নিজের মতলব হাসিল করে।

এই কোম্পানির সিইও যিনি, টপ ম্যানেজমেন্টের খুব পছন্দের লোক নির্ঝর চৌধুরী সুন্দর চেহারার স্মার্ট, পরিপাটি, হাসিখুশি দীর্ঘদেহী ভদ্রলোক, বহুদিন দেশের বাইরে ছিলেন, বড় বড় কোম্পানিতে কাজ করেছেন কিন্তু দিন শেষে তিনিও কি চাটুকারদেরই পছন্দ করেন না? শবনমের স্বাধীনচেতা দৃঢ় মনোভাব যে তার তেমন পছন্দ নয়, সেটা উৎকট ভাবে প্রকাশ না করলেও শবনম তার অপছন্দের ব্যাপারটা নিজের সিক্সথ সেন্স দিয়ে ধরতে পারে। ফলে, শবনমও তার সঙ্গে একটা প্রয়োজনীয় পেশাদারি দুরত্ব বজায় রেখে নিজের নির্ধারিত কাজ কর্মগুলো করে যায়।

নির্ঝর চৌধুরী সারাক্ষণই অফিস মিটিংগুলোতে বলতে থাকেন, কোম্পানিতে গণতান্ত্রিক চর্চা চালু করতে হবে, টপ টু বটম সবার মতামতের মূল্য আছে, আমি সব বিষয়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করি। কিন্তু মুখে যাই বলুক, শবনমের বুঝতে অসুবিধা হয় না যে তিনি আসলে চান সবাই তার সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করুক। ওসমান গণিও এটা না বোঝার মতো বোকা নয় আর সে কারণেই সবসময় সে আগ বাড়িয়ে বলতে শুরু করে, ‘অসাধারণ প্রস্তাব স্যার। অতি উত্তম প্রস্তাব, আপনার মাথায় কিভাবে এত চমৎকার সব আইডিয়া আসে বুঝি না..’

নির্ঝর চৌধুরী মুচকি হেসে বলেন, ‘অভিজ্ঞতা, বুঝলে গণি, অভিজ্ঞতার মূল্য জ্ঞানের চেয়ে বেশি! কি বলেন শবনম?’ শবনমও মাথা নাড়ে। শুকনো গলায় বলে, ‘সে তো অবশ্যই!’

তার নিজের চাকরিজীবনও যে বাইশ বছর পেরুতে চলল সে কথা আর এই মজলিশে বলে কি হবে? এখানে টিকতে হলে নির্ঝর চৌধুরীর স্তাবকতা করতে হবে, মাথা দুলিয়ে বলতে হবে, ‘চমৎকার সে হতেই হবে, হুজুরের মতে অমতকার?’ অমত নেই। অমত হলে বা মতবিরোধ তৈরি হলেই তো সমস্যা। নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে গেলে বসের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। শবনম নিজেকে বুঝিয়েছে, খামাকা বিরোধিতায় যাওয়ার দরকার নেই, এই মত যদি তোমার পছন্দ না হয় তাহলে স্রেফ চুপ করে থাক, আর যদি দেখ তোমার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তখন মত প্রকাশ কর।

এই অফিসগুলো তো অফিস নয় যেন ইঁদুর দৌড়ের মাঠ, এখানে সবাই দৌড়ায় উপরে উঠার জন্য আর কর্তৃপক্ষের সুনজরে পড়ার জন্য। শবনমের পুরনো কলিগ বিল্লাহ ভাইয়ের কথা মনে পড়ে, ‘বুঝলেন শবনম, বসদের সবসময় দেখাবেন আপনি খুবই ব্যস্ত, সারাক্ষণই তাদের সামনে ফাইলপত্র হাতে অযথাই ছোটাছুটি করবেন, উঠতে বসতে সালাম দেবেন, শুধু মাথা নিচু করে কাজ করলে হবে না, কাজ দেখাতে হবে, নইলে নেপোয় খাবে দই আর আপনি আফসোস করে মরবেন..’

শবনম ইন্টারকমে ফোন করে অ্যাকাউন্টসের নতুন ছেলেটাকে ডেকে পাঠায়, সেদিন খুব কড়া ডোজ দিয়ে ফেলেছে, আজকে একটু মলম লাগিয়ে দিতে হবে, যাতে ক্ষতটা স্থায়ী না হয়, সহকর্মীদের মনের অবস্থাটা খেয়াল রাখাও একজন ভাল বসের দায়িত্ব।

‘এসো মনিরুজ্জামান, বসো, এই অফিসে কতদিন হলো জয়েন করেছ? এটাই প্রথম চাকরি?’
‘নয় মাস ম্যাডাম। জি¦, এটাই প্রথম ফুল টাইম জব।’

শবনম তার সামনে বসে থাকা মনিরুজ্জামানকে ভাল করে লক্ষ্য করে। গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যাম, মাথায় ঘন কালো কোকড়া চুল, ক্লিন শেভড চেহারায় এখনো গ্রামীণ তারুণ্য ও সারল্যের ছাপ পুরোপুরি মিলিয়ে যায়নি। শবনম ছেলেটির দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসল, তাকে চা অফার করল, তারপর জানতে চাইল, ‘তোমার জীবনে তুমি কতদূর যেতে চাও মনিরুজ্জামান?’

মনির কিছুক্ষণ ইতস্তত করে, তারপর বলে, ‘এইতো,সবাই যেমন শীর্ষে যেতে চায় ম্যাডাম তেমন ..’
‘ভেরি গুড। বড় স্বপ্ন দেখতে হবে, বড় আশা করতে হবে। আর পজেটিভ থিংকিং প্র্যাকটিস করবে। গ্লাস অর্ধেক ভর্তি দেখা শিখবে, অর্ধেক খালি দেখা না, ঠিক আছে? মনোছবি বুঝো? মনে মনে নিজেকে কোথায় দেখতে চাও তার একটা ছবি তৈরি করবে, প্রতিদিন, তারপর সেই অনুযায়ী কাজ করে যাবে। মানুষের মধ্যে ভালটা খুঁজে বের করে সেটার প্রশংসা করবে, প্রশংসা না করতে পারলে চুপ থাকবে, সেটাও ভাল। এগুলি প্র্যাকটিস। কয়েকদিন চর্চা করো, দেখবে অভ্যাস হয়ে যাবে। বেশিরভাগ সময় নেতিবাচক চিন্তা মানুষকে পিছিয়ে দেয়, এটা মনে রেখো.. ’
‘ম্যাডাম, আমি আপনাকে অনেক পছন্দ করি, আসলে সেদিন..’
মনিরুজ্জামান হড়বড় করে বলতে শুরু করলে শবনম ডান হাতটা সামান্য উঁচু করে তাকে থামিয়ে দেয়। এরচে বেশি বাড়তে দেওয়া যাবে না।
‘ঠিকাছে মনিরুজ্জামান। উইশ ইউ অল দ্য বেস্ট, মনোযোগ দিয়ে কাজ করো কেমন!’

মনিরুজ্জামানের চলে যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে নিজের তরুণ বয়সের কথা মনে পড়ে শবনমের, একেবারে সেলফ মেড মানুষ সে, বাবা-চাচা-মামার জোর ছাড়া যেমন হয় সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার, স্রেফ নিজের সাহস আর আত্মবিশ্বাসে ভর করে এগিয়ে যাওয়া তার, ইমতিয়াজের সঙ্গে জেদ করে নেদারল্যান্ডসে এক বছরের মাস্টার্স কোর্সটা না করলে অবশ্য এ জায়গায় আসা সম্ভব হতো কিনা কে জানে, বিদেশি ডিগ্রিটা চাকরি জীবনে তাকে অনেক পয়েন্টে এগিয়ে রেখেছে। সবাই জানতো, ইমতিয়াজ আর শবনম এক সঙ্গেই বাইরে পড়তে যাবে। ডিপার্টমেন্টে সবসময় ফার্স্ট ক্লাস ফাস্ট ইমতিয়াজ, শবনম কখনো সেকেন্ড, কখনো থার্ড। তাতে অবশ্য আফসোস ছিল না শবনমের, ইমতিয়াজ তো তারই, ফলে ইমতিয়াজের সাফল্য মনে হতো শবনমের নিজেরই সাফল্য। কিন্তু ইমতিয়াজ যখন ফুল স্কলারশিপে হার্র্ভার্ডে পড়ার চান্স পেয়ে গেল, তখন থেকেই কেমন যেন বদলে যেতে শুরু করল। এই বদলানোগুলো মুখে বলে ঠিক বোঝানো যায় না, কিন্তু কাছের মানুষরা ঠিকই তা অনুভব করতে পারে। তারা বোঝে কোথায়ও তাল কেটে গেছে, ছন্দ পতন হয়েছে, কি যেন আর আগের মতো মিলছে না। তারা কেউ কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় বলেনি আবার নিজের একান্ত জীবনে স্বাগতমও জানায়নি। কিভাবে যেন, দুজনেই বুঝে গেছে দুজনের দুটি পথ এক হয়ে মিশে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ অবশিষ্ট নেই। অভিযোগ, অনুযোগ, অভিমানের চেয়ে শবনমের গায়ে বেশি লেগেছিল অপমানটুকু। পরাজয় আর প্রত্যাখ্যানের অপমান। নেদারল্যান্ডসের ঠাণ্ডা শীতল বরফ জমা সেই নিঃসঙ্গ নির্বান্ধব লেইডেন শহরে দীর্ঘ এগার মাস অপমানটা বুকের মধ্যে পুষে রেখে শক্ত পাথর বিছানো পথে রক্তাক্ত পায়ে আর মনে হেঁটে, দাঁতে দাঁত চেপে ডিগ্রিটা নিয়ে দেশে ফিরে অল্প কয়েকদিনের পরিচয়ে বড় ভাইয়ের বন্ধু তারেককে বিয়ে করে ফেলেছিল শবনম।

তারেকের তেমন বিদ্যা নেই, বিদ্যার অহংকারও নেই, অদ্ভুত এক সরল জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখে দেখেই সে কাটিয়ে দিয়েছে শবনমের সঙ্গে এতগুলো বছর, যেন সঙ্গে থেকেও নেই, পাশে থেকেও দূরে কোথাও, নিজের মধ্যে নিমগ্ন, নির্লিপ্ত ধ্যানী বুদ্ধ। এতে একদিকে ভালই হয়েছে, নিজের পেশাগত জীবন নিজের ইচ্ছামতো গুছিয়ে নিতে পেরেছে শবনম। প্রেম ছিল, তবে সেটা শুধু নিজের কাজের সঙ্গে নিজের, কোথায়ও আর কোনোদিকে চোখ মেলে তাকায়নি সে, তাকাতে ইচ্ছাও করেনি। ওই দরজা লোহার সিলমোহর মেরে চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছে শবনম। অন্তত প্রেম নিয়ে আর কোনো পুরুষের কাছে গিয়ে কাঁদুনি গাওয়ার ইচ্ছা হয়নি তার। পুরুষ, অনেক সময়, নারীর কান্নার অর্থও ঠিকমতো বুঝতে পারে না। নিজেদের মনের মতো ভুল অর্থ করে সবজান্তার মতো নিজের বানানো পৃথিবীতে ভাব ধরে বসে থাকে।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

স্নানের শব্দ: পর্ব-২

স্নানের শব্দ: পর্ব-১ 

আরএ/

Header Ad

থাই প্রধানমন্ত্রীর গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেখ হাসিনা

ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান তিনি। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

শুরুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেখানে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এসময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারী ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।

সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর করছেন।

আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, ২ ফায়ারম্যান আহত

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের কাহারোলে পেট্রোল পাম্পে আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় জনতার হামলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুই সদস্য আহত হয়েছেন এবং পানিবাহী একটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আহতরা হলেন- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের রেজাউল করিম ও গাড়িচালক মোতালেব হোসেন। আহতদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৮টার দিকে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের কাহারোল উপজেলার দশমাইল এলাকায় আরিফ ফিলিং স্টেশনে লরি থেকে রিজার্ভ ট্যাংকে পেট্রোল নামানোর সময় আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আরও ২টি ট্যাংকে আগুন লেগে পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কাহারোল উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে গেলেও মহাসড়কে প্রচণ্ড যানজটে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে দেরি করে। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সেখানে থাকা ২৫ থেকে ৩০ জন ব্যক্তি লোহার অ্যাঙ্গেল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে পানি বহনকারী ট্রাকের ইন্সপেক্টর ও চালকসহ দুই সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়।

খবর পেয়ে কাহারোলের ইউএনও আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি জানান, লরি থেকে পেট্রোল নামানোর সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ারম্যানদের ওপর হামলা চালানোয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

 

পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্নসাৎ, গ্রেপ্তার ৩

ছবি: সংগৃহীত

পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদেরকে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ও অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, সুজানগর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম এবং বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের মৃত শুশীল চক্রবতীর্র ছেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী। ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর ও ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী 

সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসেন। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান। পরে ওই অডিট কর্মকর্তারা সাঁথিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য বিষয়ে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সর্বশেষ সংবাদ

থাই প্রধানমন্ত্রীর গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেখ হাসিনা
আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, ২ ফায়ারম্যান আহত
পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্নসাৎ, গ্রেপ্তার ৩
মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে দেশে ফিরছে দুই প্রবাসীর লাশ
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা চলছে
পরিবারের অমতে বিয়ে, স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু