
সারাদেশ
দৌলতপুরে ভিজিএফ কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপি কর্মী খুন, গ্রেপ্তার ১

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় সরকারি সহায়তা কর্মসূচি ‘ভিজিএফ’-এর কার্ড নিয়ে বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে আব্দুল আজিজ (৩৫) নামে এক বিএনপি কর্মী খুন হয়েছেন। বুধবার (২ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর স্কুল বাজারে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত আব্দুল আজিজ মথুরাপুর ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা খেলাফত মণ্ডলের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সক্রিয় কর্মী এবং ফরজ উল্লাহ নামে এক নেতার অনুসারী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফ কার্ডের তালিকাভুক্তি নিয়ে কলেজপাড়া এলাকার পলাশ নামের এক যুবকের সঙ্গে আজিজের কথাকাটাকাটি হয়। পলাশ স্থানীয় বিএনপি নেতা মাহাবুল মাস্টারের অনুসারী ও ভাতিজা। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পলাশ আজিজকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় আজিজকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরপরই র্যাব-১২, কুষ্টিয়া ক্যাম্প অভিযান চালিয়ে বিএনপি নেতা মাহাবুল মাস্টার (৫২)-কে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলাশ পলাতক রয়েছে।
মথুরাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুরাত আলী সেন্টু বলেন, “মাহাবুল মাস্টার আমাদের দলের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ইউনিয়ন কমিটি নির্বাচনে সেক্রেটারি পদে অংশ নিয়ে হেরে যাওয়ার পর থেকে বর্তমানে কোনো পদে নেই।”
বিএনপি নেতা ফরজ উল্লাহ বলেন, “আজিজ আমার অনুসারী ছিলেন। রাত ১০টার দিকে পলাশ ও তার সহযোগীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভিজিএফ কার্ড নিয়েই বিরোধ কাজ করেছে।”
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব শহীদ সরকার মঙ্গল জানান, “আমি বিষয়টি শুনেছি, তবে ৫ জুলাইয়ের সম্মেলন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিস্তারিত এখনো জানি না।”
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা জানান, ভিজিএফ কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। র্যাবের সহায়তায় মাহাবুল মাস্টারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।