শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৫

স্নানের শব্দ

আজকের মিটিংটা একই সঙ্গে জরুরি আর গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মচমচে গরম সিঙ্গাড়া আর লেবু চা খেতে খেতে এজেন্ডাগুলো আলোচনা করে কয়েকটা নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারও ছিল। আর সেখানেই সবার সামনে ওসমান গণির সঙ্গে এক হাত হয়ে গেল শবনমের।

অননুমোদিত অনুপস্থিত কর্মীদের বেতন কাটা সংক্রান্ত একটা প্রস্তাবের সমর্থন দিয়েছিল ওসমান গণি আর মিটিং এ সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল শবনম। আর তারপরেই ওসমান গণি বিদ্রুপের সুরে যেন ঠাট্টা করছে এমন ভঙ্গিতে বলল, ‘আপনি কি আজকাল এমপ্লয়িদের কাছে পপুলার হওয়ার চেষ্টা করছেন নাকি শবনম আপা? সামনে ইলেকশন করবেন? নাকি মানবাধিকার কমিশনে জয়েন করার ইচ্ছা আছে ..’
তার পরিহাসের ধরনে রাগ উঠে যায় শবনমের। ঝেড়ে একটা বক্তৃতা দিয়ে ফেলে সে।

‘মানে কি, ওসমান গণি? আপনি বুঝতে পারছেন না, এই ডিসিশনটায় এমপ্লয়ি মাইগ্রেশন বেড়ে যাবে, কোম্পানির লস হবে। আমি তো নিজের জন্য কিছু বলি নাই। আপনিও আশা করি বোঝেন, কর্মীদের পেছনে পর্যাপ্ত ইনভেস্টমেন্ট না করে শুধু কাজের বোঝা চাপিয়ে দিলে ভাল রেজাল্ট আসে না। তখন তারা কাজে ফাঁকি দেয়, চাকরি ছেড়ে পালায়। আমি কোম্পানির ভালোর জন্যই এটা বলছি..’

শবনম বুঝতে পারছিল ওসমান গণির মাথার উপর নির্ঝর চৌধুরীর আধিপত্যবাদী আশীর্বাদের অদৃশ্য হাত আছে, কিন্তু তবু মিটিং এর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা না করে পারল না সে।
ওসমান গণি তীর্যকভাবে জিজ্ঞেস করল, ‘কোম্পানির জন্য আপনার কি এমন অবদান আছে আপা? শুধু লম্বা সময় উপরের পদ আঁকড়ে বসে থাকলেই কি সব হয়ে যায় নাকি?’
এর পর শবনম আর মেজাজ ধরে রাখতে পারল না, সে বেশ উচ্চ কণ্ঠেই বলল, ‘ওসমান গণি ব্যক্তিগত আক্রমণ বন্ধ করেন, আপনার কাছে এসব ফালতু প্রশ্নের জবাবদিহি করতে আমি বাধ্য নই। আমার কি অবদান সেটা কোম্পানি জানে, আপনি এই প্রশ্ন তোলার কে?’

শেষ পর্যন্ত নির্ঝর চৌধুরীর হস্তক্ষেপে ওসমান গণি চুপ করলেও নোট অব ডিসেন্ট জানিয়ে মিটিং থেকে বেরিয়ে আসে শবনম। মাথা ধরে গেছে তার, কপালের দুই পাশের রগ চিনচিন করে ব্যাথা করছে। জানে, হয়ত তাকে নিয়ে আড়ালে আবডালে বাজে কথা হবে, হাসাহাসি হবে। হয়ত সবচে বয়স্ক পুরুষটাই দাঁত কেলিয়ে বলবে, ‘শবনম আপার বয়স হয়ে গেছে, এখন অবসরে যাওয়া দরকার।’
আরেকজন হয়ত টিপ্পনী কেটে তাকে তাল দেবে, ‘হে, হে, হে, মেনোপজের পর নারীদের মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, বেশি রাগ দেখায়, নিজের ঘরেও তো দেখিরে ভাই! একই অবস্থা !’

চাইলেও এই লোকদের নোংরা মুখ তো আর বন্ধ করতে পারবে না শবনম। এরা হয়ত এরকম কথা সারা জীবন ধরে বলতেই থাকবে। হয়ত তাদের পরের প্রজন্ম আর এসব বলবে না। তারা সহকর্মী নারীকে শ্রদ্ধা করবে, সহমর্মী হবে। চাকরি জীবনের শুরুতে তো সত্যিকারের অসুস্থতার জন্য ছুটি চাইতেও ইতস্তত বোধ করত শবনম পাছে না আবার বসরা বলে বসেন, ‘এসেছেন এক চির-রুগ্ননারী, প্রতিমাসে তার অসুস্থতার জন্য ছুটি চাই।’

আর এখনকার মেয়েরা তো দিব্যি পিরিয়ডের প্রথম দু’চারদিন ছুটির দাবি তুলছে। বেশিরভাগ সময়ই পিরিয়ডের প্রথম কয়েকটি দিন কী ভীষণ অস্বস্তি, পেটে ব্যাথা, ক্লান্তি আর দুর্বলভাব শরীরে ভর করে, তা নারীমাত্রই জানে। শবনম মনে করতে পারে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের দিনগুলোতে ব্যাগে একস্ট্রা প্যাড নিয়ে শারীরিক মানসিক অবসাদে ধুঁকতে ধুঁকতে অফিসে আসার দিনগুলোর কথা। শারীরিক সব অসুবিধা মনের জোরে উপেক্ষা করে টেবিলে উট পাখির মতো মুখ গুজে কাজ করার কথা। এমন দিন কি সত্যিই এই দেশে কোনোদিন আসবে, যেদিন পিরিয়ডের অস্বস্তি আর অসুবিধা সামলানোর জন্য মেয়েরা বছরে অন্তত বারোটা দিন বেশি ছুটি পাবে?

নাকি তখন নাক কুঁচকে বলা হবে, ‘মেয়েদের বাচ্চা হওয়ার জন্য কত লম্বা ছুটি দিতে হয়, আবার পিরিয়ডের জন্যও ছুটি দিতে হবে নাকি? তারচে মেয়েদের কাজে নেওয়ারই দরকার নেই ..’

অথচ, শবনম মনে করে, নারী পুরুষের শারীরবৃত্তিয় পার্থক্য স্বীকার করতে কোনো দোষও নেই, লজ্জাও নেই। এই পার্থক্যকে মান্য করেও নারীপুরুষ সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে এগুনো যায়। কোনো দিন যদি কোম্পানির শীর্ষ পদে যাই, তবে এটা বাস্তবায়ন করে দেখাবো, মনে মনে ভাবে শবনম। ভাবে আর নিজের মনেই হাসে, আকাশকুসুম? ‘আমি কেবলি স্বপন করেছি বপন বাতাসে, তাই আকাশ কুসুম করিনু চয়ন হতাশে..’

সে কি আর জানে না, ক্ষমতা বিষয়টাই কতখানি পুরুষতান্ত্রিক। সেখানে কারো জন্য সহমর্মিতা, সমবেদনা, সহানুভূতি দেখানোর কোনো জায়গা নেই। দেখালে সেটা তোমার দুর্বলতা। তাছাড়া, এটাও তো হয়, যে ক্ষমতার শীর্ষে বসেও ক্ষমতা কাঠামোর প্রচলিত বিন্যাসের কারণে নারী অনেকসময় চাইলেও কোনো স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তাকে ঘিরে থাকা পুরুষতান্ত্রিক বলয় সেই সুযোগ তাকে কখনোই দেয় না, বরং ছলে বলে কৌশলে বাধ্য করে নিজেদের বৃত্তে আটকে রাখতে।

শবনম মাছের মতো মুখ খুলে জোরে কয়েকবার শ্বাস নেয়। নিজেকে প্রবোধ দিতে মনে মনে বলে, অবস্থাকে বদলাতে না পারলে মেনে নিতে হয়। মেনে নিলে মন দূষিত হয় না। সহনীয় হয়। অবশ্যই এর মানে পরাজয় নয়, বর্তমানকে কেবল স্বীকার করে নেওয়া। তখন বদলাবার বাস্তবতাটা তৈরি হয়। হ্যাঁ, এটা সত্যি মাঝে মাঝে এই মেনে নেওয়াটা একদমই সহজ থাকে না। মন কিছুতেই কিছু বুঝতে চায় না। আবার অনেক সময় দেখা যায়, মেনে নেওয়ার পরও অপমানগুলো ভোলা যায় না। এই না ভুলতে পারাটাও একধরনের মানসিক কষ্ট দেয়। অশান্তি উৎপাদন করে। অথচ কর্মক্ষেত্রে শুরু থেকেই মধ্য পস্থা অবলম্বন করে চলেছে শবনম। সহকর্মীদের সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় মতানৈক্য, মনোমালিন্য সযত্নে এড়িয়ে চলেছে। চেষ্টা করেছে সবার সঙ্গে যতটা সম্ভব সুসম্পর্ক বজায় রাখতে। কিন্তু আর কতো? সব সময় গা বাঁচিয়ে চলা খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে ইদানিং। নিজেকে এখন সুবিধাবাদী মনে হয়, মনে হয় মেরুদণ্ডহীন কেঁচোর জীবনযাপন করছে সে। দুর্যোগ দুর্বিপাক দেখা দিলেই তার মুখোমুখি না দাঁড়িয়ে লুকিয়ে পড়ছে নিজের গর্তে।

শবনম ভাবে, এই অফিস, তার চারপাশের চেনা কদর্য মুখগুলো সব ছেড়ে ছুড়ে কোথাও একটা যেতে হবে, কিন্তু সেটা কোথায় ঠিক জানা নেই। হতে পারে দূরের কোনো শান্ত গ্রামে, বিচ্ছিন্ন কোনো সবুজ দ্বীপে, কোনো ঘুমঘুম অবসন্ন নদীর ধারে, কোনো বিজন পাহাড়ে একা বা দল বেঁধে.. মৌসুমিকে বলা যায় উদ্যোগ নিতে। এটা হতে পারে, ওনলি ফিমেইল ট্রিপ। মন প্রাণ খুলে শুধু বিশুদ্ধ হা হা হি হি...

ফোনটা আসে তখনই, অপর প্রান্তে সালেহা খাতুনের নার্স মোমেনার উদ্বিগ্ন কণ্ঠস্বর শোনা যায়,
‘ম্যাডাম,খালাম্মার শরীর হঠাৎ খুবই খারাপ করছে, পালস পাইতেছি না, অ্যাম্বুলেন্স খবর দিছি, হাসপাতালে নেওয়া লাগবে।’

মাসের মধ্যে দুয়েকবার এমন ঘটে, সালেহা খাতুন নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে যান, তারপর কয়েকদিন হাসপাতালে বসবাস শেষে খানিকটা ভাল হয়ে আবার বাড়িতে ফিরে আসেন। নার্সদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া আছে, তারা জানে কখন কি করতে হবে, সে জন্য মাস গেলে মোটা অংকের টাকা দেওয়া হয় তাদের। এবারো আগের মতোই কিছু হয়েছে হয়ত, ভাবল শবনম। ফোনেই বলে দিল, তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে। চেনা ডাক্তারকে ফোন দিল। তারপর ব্যবসার কাজে চট্টগ্রামে থাকা তারেক ম্যাসেজ দিল। টেবিলে জমে থাকা দুটো জরুরি ফাইল দেখে স্বাক্ষর করল, সবশেষে সিইওকে বলে বেরিয়ে পড়লো হাসপাতালের উদ্দেশে।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
স্নানের শব্দ: পর্ব-৪

স্নানের শব্দ: পর্ব-৩

স্নানের শব্দ: পর্ব-২

স্নানের শব্দ: পর্ব-১ 

আরএ/

আজকের সেহরির শেষ সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

টাঙ্গাইলে নারীর অর্ধনগ্ন ছবি ফেসবুকে দেওয়ায় সংঘাত, আহত ৪

আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি মকবুল হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক নারীর অর্ধনগ্ন ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার প্রতিবাদ করায় বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে। এই হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ওই নারীর মা, ভাই বোনসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মো. মকবুল হোসেন (২৫), তার মা মোছা: নূরন্নাহার বেগম (৬০), বোন মোছা: ফাতেমা বেগম (২৪) ও স্ত্রী মোছা: সুমাইয়া বেগম (২৩)। আহতদের মধ্যে মকবুল হোসেন ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ভর্তি রয়েছে। অপর আহতরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক থেকে চিকিৎসা নেয়।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন্দ শাপলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের বেলটিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার আহত মকবুল হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, প্রায় ১ বছর আগে আমার ছোট বোনের অর্ধনগ্ন ছবি প্রতিবেশী চাঁন মিয়া তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে। পরে ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জানাজানি হয় এবং বিষয়টি আমরা জেনে স্থানীয় জনপ্রতিধি ও মাতব্বরদের জানালে তারা মীমাংসার আশ্বাস দিয়েও পরে সমাধান দেয়নি।

তিনি আরও জানান, এর কিছুদিন পর আমার বোনের নামে ফেক আইডি খুলে চাঁন মিয়া তার নিজের ছবিই ফেসবুকে পোস্ট করে আমার উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে এনিয়ে বিভিন্ন সময় আমাদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিতো। এনিয়ে আবারও মাতব্বরদের জানালে তারা সমাধান না দিয়ে কতিপয় কিছু মাতব্বর উলটো আমাদের উপর দোষ চাপায়।

বাড়িতে ভাঙচুর। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

 

এরই জেরে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলমের মদতে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে অভিযুক্ত চাঁন মিয়ার নেতৃত্বে ফিরোজ, সজিব, বাবলু, ফিরোজ, সোহেল, ১৪/১৫ জন লোক বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাকেসহ আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে মারধর করে এবং আমার বোনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এদিকে, অভিযুক্ত চাঁন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম ঢাকাপ্রকাশকে জানান, মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া মকবুল আমাকে ফাঁসানোর জন্য আপনাদের কাছে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন্দ শাপলা বলেন, বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের খবরের বিষয়টি জানতাম না। পরে খবর পেয়ে হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাই। ভুক্তভোগীরা যাতে আইনি সহায়তা পায় সে ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, হামলার ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে: রিজভী

নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে যান রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ডামি নির্বাচনের পর সরকার সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর ও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ডামি নির্বাচনের পর সরকার সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে। কারণ তাদের সাথে কোনো জনগণ নাই, তাদের জনগণের ভোটের কোনো প্রয়োজন হয় না।’

সন্ত্রাসনির্ভর সরকারের পরিণতি ভালো হবে না বলে এসময় হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন রিজভী।

রিজভী আরো বলেন, নাটোরের এমপি শিমুলের সন্ত্রাসী বাহিনী ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে, তার উপর গুলি চালিয়েছে। ফরহাদ জেলা ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিল। সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সংগ্রামে সে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। আর এ কারণেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তার ওপর ক্ষুদ্ধ। কিন্তু হত্যা করে, নিপীড়ন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান ওরফে শাহীনকে (৪২) মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ফেলে দেয়ার পর পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যাচেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তারা সবাই এমপি শিমুলের অনুসারি বলে অভিযোগ করে বিএনপি।

ফাঁকা বাড়িতে বয়ফ্রেন্ডকে ডেকে ধরা পড়েছিলেন অনন্যা!

অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। ছবি: সংগৃহীত

বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে একবার বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডেকেছিলেন অনন্যা পাণ্ডে। সেই বিষয়টি টের পেয়ে যান বাবা চাঙ্কি পাণ্ডে। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন এ অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। ছবি: সংগৃহীত

 

অনন্যা বলেন, আমার বাবা লিভিংরুমে ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম, আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এটা করেছেন। আমি খুব ভীতু প্রকৃতির মেয়ে, কখনো বাবা-মায়ের সঙ্গে মিথ্যা বলি না। আমার যখন বয়স আরও কম ছিল, তখন আমি প্রথম একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াই। ওই সময়ে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমি কি তার প্রস্তাবে রাজি হব? আসলে, আমি এমন মেয়ে তখন ছিলাম, এখনো আছি।

অভিনেত্রী বলেন, আমি সেদিন কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে ছিলাম। কিন্তু নিজেকে সাহসী মনে হচ্ছিল। তবে খুব শান্ত ছিলাম। সেদিন লিভিংরুমে বসে তার (বয়ফ্রেন্ড) সঙ্গে শুধু কথাই বলেছিলাম। বাবা আমাদের ভিডিও দেখেছিলেন। বাবা আমাকে বলেছিলেন, তুমি আমাকে হতাশ করেছ। এ ঘটনার পর বাবা-মাকে ৫ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছিলাম।

বর্তমানে আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন অনন্যা রায়। এ কথা তারা সরাসরি স্বীকার না করলেও তাদের সব জায়গায় একসঙ্গে দেখা যায়। এমনকি বিদেশে একসঙ্গে ছুটি কাটাতেও দেখা যায় এই জুটিকে।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে নারীর অর্ধনগ্ন ছবি ফেসবুকে দেওয়ায় সংঘাত, আহত ৪
সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে: রিজভী
ফাঁকা বাড়িতে বয়ফ্রেন্ডকে ডেকে ধরা পড়েছিলেন অনন্যা!
চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
গোলাগুলি-বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সেন্ট মার্টিন
রাতেই ঢাকাসহ ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আশঙ্কা
রাস্তা থেকে ৩০০ ফুট খাদে পড়ল গাড়ি, নিহত ১০
চট্টগ্রামে জুতা কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত
বিএনপি ইফতার পার্টি করে মিথ্যাচার চালাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে লরি-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
সন্তানের মুখ দেখার আগেই ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল বাবার
আগুনে পুড়লো ‘ভূঞাপুর থানা’ মার্কেটের ৪ দোকান
পছন্দের শীর্ষে ভারতীয় নায়ক-নায়িকাদের নামে দেশে তৈরি পোশাক
‘জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কথা হয়নি’
প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা আজ
সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রী নিহত, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত
ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস নিয়ে অশ্লীল খেলায় মেতেছে ইসরায়েলি সেনারা
যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী